Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কাকিনা জমিদারী বংশ ও জমিদার বাড়ি

কিভাবে যাওয়া যায়:
সড়ক পথ/রেলপথ ঢাকা হতে ৩৬৮ কিঃমিঃ। ঢাকা থেকে ঢাকা-লালমনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক পথে লালমনিরহাট হয়ে পুনরায় লালমনিরহাট হতে বুড়িমারী (পাটগ্রাম উপজেলা) স্থল বন্দরগামী রাস্তায় মহাসড়ক পথে (লালমনরিহাট হতে প্রায় ২১কিঃমিঃ) কাকিনা বাজার বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ড হতে ২০০ গজ পশ্চিমে জমিদার বাড়ির ভগ্নাবশেষ অবস্থিত। লালমনিরহাট থেকে লালমনিরহাট- বুড়িমারি মহাসড়ক পথে প্রায় ২১ কিঃমিঃ দূরে জমিদারবাড়ি অবস্থিত।  রংপুর হতে লালমনিরহাট হয়ে বুড়িমারি স্থল বন্দরের রাস্তায় ৬৬ কি মি দূরে জমিদারবাড়ি অবস্থিত।
রেলপথ রেলপথঃ লালমনিরহাট হতে বুড়িমারি রেলপথে কাকিনা রেল স্টেশন নেমে প্রায় ২ কি মি দক্ষিণ দিকে জমিদারবাড়ি অবস্থিত।

বর্তমানের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন কাকিনা ইউনিয়নের কাকিনা মৌজায় এক কালে গড়ে উঠেছিল বড় বড় ইমারত বিশিষ্ট জমিদার বাড়ি, যা কালের স্রোতে নিশ্চি হয়ে গেছে। কাকিনা জমিদার বাড়ির অতীত স্মৃতি ধারণ করে এখন নীরবে দাড়িয়ে রয়েছে শুধুমাত্র- "হাওয়াখানা'।

ইতিহাস বিশ্লেষণে জানা যায়, মহারাজা মোদ নারায়নের সময় কাকিনা ছিল কোচবিহার রাজ্যাধীন একটি চাকলা। তৎকালে কাকিনার চাকলাদার ছিলেন ইন্দ্র নারায়ণ চত্রুবর্তী। ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘোড়াঘাটের ফৌজদার এবাদত খাঁ মহারাজা মোদ নারায়ণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে কোচ রাজ্যে অভিযান চালানোর সময় রঘু রামের দু'পুত্র রাঘবেন্দ্র নারায়ণ ও রাম নারায়ণ ফৌজদারের পক্ষ অবলম্বন করেন। মোগলদের এ অভিযানে কোচ বাহিনী পরাজিত হলে ইন্দ্র নারায়ণ চত্রুবর্তীকে কাকিনার চাকলাদার পদ থেকে অপাসারণ করা হয় এবং রাঘবেন্দ্র নারায়ণকে পরগনা বাষট্রি ও রাম নারায়ণকে পরগনা কাকিনার চৌধুরী নিযুক্ত করা হয়। এভাবেই ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীর চাকলাদারী শেষ হয়ে কাকিনায় রাম নারায়ণের মাধ্যমে নতুন জমিদারীর সূচনা ঘটে। রাম নারায়ণ চৌধুরীর পিতা রঘু রাম সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, চাকলাদার ইন্দ্র নারায়ণ চত্রুবর্তীর সময় তিনি কাকিনা চাকলার একজন সাধারণ কর্মচারী ছিলেন। তবে রঘু রামের পিতা...[…]

Travel Image

গোপালগঞ্জের শ্রীধাম ওড়াকান্দির তীর্থপীঠ

গোপাল গঞ্জের শ্রীধাম ওড়াকান্দি হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী তীর্থপীঠ। পুন্যভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দি পুর্নব্রম্ম হরিচাঁন ঠাকুরের লীলাক্ষেত্র ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মহাতীর্থ হিসেবে সনাতনধর্ম্মাবলম্বী হিন্দুদের কাছে এক পবিত্রস্থান। প্রায়২০০বছর আগে দলিত , নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষের মুক্তির দূত হিসেবে পরমানবতার আধ্যাত্মিক পুরুষ পূর্নব্রম্ম হরিচাঁদ ঠাকুর ১২১৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের মধু কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে ব্রহ্ম মূহুর্তে মহাবারুণীর দিনে কাশীয়ানী উপজেলার শাফলীডাঙ্গা গ্রামে জম্ম গ্রহন করেন। মাত্র ৬৬বছর বয়সে তিনি ১২৮৪ সালে জন্মের একই তিথিতে মানবলীলা সম্বরন করেন। পরম পুরুষ হরিচাঁদ ঠাকুরের জম্মের জন্য শাফলীডাঙ্গা গ্রাম ধন্য। এর পাশ্ববর্তী গ্রাম ওড়াকান্দি হরিচাঁদ ঠাকুরের অলৌকিকত্ব ও লীলার জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে। গোপালগঞ্জ জেলার সদর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উওর-পশ্চিমে অবস্থিত শ্রীধাম ওড়াকান্দি সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের বাল্যনাম “হরি” হলেও ভক্তরা তাকে হরিচাদ বলে ডাকতেন। বাবাযশোবস্ত ঠাকুরের ৫ ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। হরিচাঁদ ঠাকুর শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দলিত শ্রেনীর মানুষকে জাগিয়ে তোলেন। তার মতার্শে মানুষ জাগ্রত হয়। আস্তে আস্তে হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
২০০বছরের ঐতিহ্য ধারন করে শ্রীধাম ওড়াকান্দি এখনো মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে প্রানাধিক হয়ে আছে। হরিচাঁদ ঠাকুরের মতাদর্শ অনুসারীদেও বলা হয় মতুয়া। প্রতি বছর ঠাকুরের জম্ম ও মৃত্যুতিথিতে মহা বারুনীর দিনে ওড়াকান্দি শ্রীধামে বিরাট স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পুণ্য লাভের আশায় অন্তত ১০ লাখ পূন্যার্র্থী এ স্নানোৎসবে অংশ নেন। মানুষের পদভাওে শ্রীধাম হয়ে ওঠে মুখরিত। এ বছর অন্যান্য বছরের ন্যায় শ্রীশ্রী হরি চাদঁ ঠাকুরের জম্ম ও মৃত্যু তিথিতে শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে বিশাল মেলা বসে। পালিত হয়েছে মহাধুম ধামে ঠাকুরের ১৯৯ তম জম্মোৎসব। তার জম্মোৎসব গোপলগঞ্জের ওড়াকান্দিতে ৩দিন ব্যাপী মহাবারুনীর মেলায় লাখ লাখ...[…]

Travel Image

শত বছরের ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হাজার বছরের পুরার্কীতি ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ। মসজিদটি ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য। তবে এটি কবে, কে নির্মাণ করেছেন তার সঠিক ইতিহাস কেউ জানে না। এমনকি মসজিদটি নিয়ে কোন ইতিহাস বা পুস্তকও নেই বলে জানা যায়। তবে স্থানীয় অনেকের মতে, বহু বছর আগে অলৌকিকভাবে মসজিদটি মাটি থেকে ফুঁড়ে ওঠে। সেই থেকে মুসলমান মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ইবাদত-বন্দেগি করে আসছে। ওই সময় থেকে মসজিদ তৈরির কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এটি দেখতে আসেন অনেকে। অনেকে দাবি করেন, প্রায় ১১শ’ বছর আগে ইরাক থেকে শাহ সুফি আদারি মিয়া ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাট এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলেন। এর মধ্যে তিনি ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার মধ্যবর্তী ঝাউদিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। কথিত আছে, তিনিই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন এবং গোটা অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করে আদারি মিয়ার মৃত্যুর পর মসজিদসংলগ্ন এলাকায় তাকে কবর দেয়া হয়। তবে ওই স্থানে তার কোন বংশধর নেই বলে স্থানীয়রা জানান। তার কবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মাজার কমিটি।
এছাড়াও মসজিদ তৈরি নিয়ে রয়েছে আরও মতভেদ। মসজিদের প্রবেশদ্বারে লেখা আছে ‘এটির বড় পরিচয় মানুষের তৈরি এবং এটা প্রতিষ্ঠিত হয় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে’।
কিন্তু ওই সময় কে নির্মাণ করেছে তার কোন উল্লেখ নেই। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরাও এর উৎপত্তি সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি। মসজিদটি ইট, পাথর, বালি ও চীনামাটির গাঁথুনি দিয়ে তৈরি। এর উপরিভাগে সুদৃশ্য ৫টি গম্বুজ ও ভেতরে প্রবেশ দরজায় দুটি মিনার রয়েছে। এটি অপূর্ব শৈল্পিক কারুকার্যসংবলিত। সহজেই মুগ্ধ করার মতো।
বর্তমানে এটির পরিচর্যা করছে সরকারের জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর।[…]

Travel Image

প্রাচীন সমৃদ্ধ নগর মহাস্থানগড়

মাথার উপর বিশাল আকাশ। ঘন সবুজ গাছপালার ছায়ায় ঘুমিয়ে আছে প্রাচীন সমৃদ্ধ নগর মহাস্থানগড়। এখানে রাত জেগে চাঁদ ঘুমায়। চাঁদের অপরূপ সুষমায় পাল, সেন রাজারা গল্প করে। হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধার করার গল্প। বিলুপ্ত সভ্যতাকে পুনরুজ্জীবিত করার গল্প। আপনি কান পাতলে নিশ্চয় সেবস গল্প শুনতে পাবেন। ভগ্নপ্রায় পাকা বাড়ির প্রতিটি ইট আপনাকে গল্প বলে শুনাবে। কোথাও পড়ে থাকা এক টুকরা পাথর আপনাকে সেসব গল্প বলবে। আর ধ্বংশের শেষ সীমায় পৌছায় পুকুর -ইন্দারা-পাতকুয়ার কথা শুনে আপনার চোখ টলমল করবে। ভ্রমন প্রেমীদের জন্য এ সময়টা খুবই মনোরম। শিউলী ফোটা শরৎ সকালের প্রকৃতির স্নিগ্ধ পরশ। ঘাসের বুকে জমে থাকা শিশির কোণা আপনার পা ধুয়ে দেবে। অদূরে চরজাগা করতোয়ার বুকে পাল তোলা সারি সারি নৌকা। দূরের মেঠো পথ থেকে ভেসে আসে ভাওয়াইয়া গানে আপনি মোহাবিষ্ট হবেন। এখানে খেটে খাওয়া মানুষের সুন্দর আচরণ বিলুপ্ত সভ্যতার সুন্দর পরিচয়ই বহণ করে। তার আগে অবশ্য আপনার চোখ কিছুটা পরিতৃপ্ত হবে বিশ্বের ১১তম দীর্ঘতম সেতুর গায়ে হাত বুলিয়ে। এতবড় যমুনা নদীর ওপর দিয়ে প্রতিদিন যে হাজার হাজার যন্ত্রদানব ওপারে যাচ্ছে তা না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। মহাস্থান খননের ফলে যে সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় তা হলো হিন্দু-বৌদ্ধ সভ্যতা। এখনও হিন্দু ধর্মের হিন্দু তীর্থস্থান মহাস্থানের আশপাশে রয়েছে। করতোয়ার পশ্চিম পাশে জাহ্নবী নামক দেবী স্থানে স্নান করলে তীর্থ লাভ হয় বলে অনেকে মনে করে। এছাড়া কালীদহে পদ্মার বাড়ী বানাইয়া পদ্মপুরাণ ও মথুরার শ্রী কৃষ্ণের কংসবধ লীলা, গোকুলে নন্দ ঘোষের বাড়ি, কুটিশ্বরী কালীঞ্চুরী দেবী, ভূতিকেশ্বর, উগ্রমাধব, শিব, সূর্য-মন্ডপ,কু প্রভৃতি কল্পিত তীর্থস্থান ও দেব-দেবীবেষ্টিত মহাত্মযুক্ত স্থান এ মহাস্থানগড়। জনশ্র“তি আছে ভগবানের ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের গড় এই মহাস্থান। তিনি পালরাজ রাম বা কৈবত্ত নায়ক ভীম। চৈনিক...[…]

Travel Image

ঐতিহ্যবাহী বাঘা শাহী মসজিদ

রাজশাহীর বাঘা প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন সমৃদ্ধ অন্যতম দর্শনীয় স্থান। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এ দেশের ৫০ টাকার নোটে ও জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত শাহী মসজিদ, সুবিশাল দীঘি, মহিলাদের প্রাচীন আন্দরমহল পুকুরের ধ্বংসস্তুপ, হযরত আব্দুল হামিদ দানিশ মান্দ এবং তদ্বীয় হযরত মুয়াজ্জেম দানিশ মান্দ শাহ্দৌলা ও ৫ জন সঙ্গীর মাজার ঐতিহাসিক ভ্রমণ প্রিয় ও ধর্মানুরাগীর জন্য এখনো এক আকর্ষণীয় স্থান। পদ্মার তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পন্ন ও স্থাপত্য কীর্তির প্রাচীন নিদর্শনটি দেশের অন্যান্য পর্যটন শিল্পের চেয়ে কোনো অংশেই কম সম্ভবনাময় নয়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর থেকে সরকারী এবং বিরোধী দলের প্রধানসহ বহু এমপি, মন্ত্রী, বাঘা'কে পর্যটন কেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ অবধি তার কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। বাঘায় পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে বাঘা শাহী মসজিদ। বাঘার এই ব্যিখাত ও বহুল প্রচারিত শাহী মসজিদ এককালে এতদঞ্চলে ইসলাম প্রচারে নিবেদিত এক সাধকের প্রতি বাংলার সুলতানি আমলের অন্যতম সুযোগ্য শাসকের স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধার নিদর্শন। যা বর্তমানে দেশের ৫০ টাকার নোটে ও ১০ টাকার ডাক টিকিটে শোভা পাচ্ছে।
রাজশাহী শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা নদীর তীরে প্রায় ২৫৬ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত দর্শনীয় শাহী মসজিদ, সুবিশাল দীঘি ও অন্য আউলিয়াদের সমাধি স্থান, মূল দরগাহ্ সবকিছু। সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৮-১০ ফুট উঁচু একটি বেদির উপরে এ মসজিদটি তৈরী করা হয়েছে। এর দুপাশ দিয়ে দুটি বিশাল গেট রয়েছে। তৎকালিন বরেন্দ্র অঞ্চলের ঐতিহ্যকে টেরাকোটা তথা পোড়ামাটির কারুকাজের দেশজ নিদর্শন দিয়ে শাপলা ও লতা-পাতাসহ পর্সিয়ান খোদাই শিল্পে ব্যবহৃত হাজার রকম কারুকাজ। মসজিদটিতে রয়েছে ৫টি দরজা ও ১০ টি গম্বুজ, ৪টি ষৌচালা গম্বুজ, ভেতরে ৬টি স্তম্ভ, ৪টি অপূর্ব কারুকাজ খচিত মেহেরাব। দৈর্ঘ্য ৭৫...[…]

Travel Image

ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ি

কিভাবে যাওয়া যায়:
দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে কুড়িগ্রাম জেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছার পর অটো(ইজি বাইক) যোগে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিওনের সামনে এসে জিজ্ঞাস করলেই পাওয়া যাবে ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ি।
এই জমিদারবাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে ১৬ কিমি দূরে নাগেশ্বরী উপজেলার ভেতরবন্দ ইউনিয়নের ভেতরবন্দ গ্রামে অবসিহত। ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে ভেতরবন্দ গরগণার সদর দপ্তর ছিল রাশাহীতে। চিরসহায়ী বন্দোবস্তের অব্যবহিত পরেই ভেতরবন্দ পরগণার সদর দপ্তর নাগেশ্বরী উপজেলার ঈেতরবন্দে সহানান্তর করা হয় । জমিদারবাড়ির কাঠ নির্মিত বাড়ির অর্ধেকটা এখন আর নেই, বাকি অর্ধেকটা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে।[…]

Travel Image

ঐতিহ্যের শহর সৈয়দপুর

উত্তরের বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। নীলফামারী জেলার এ উপজেলা শহরটি বাঙালি-বিহারীর এক বৈচিত্র্যময় শহর। স্বাধীনতার পর থেকেই এই শহরে প্রচার-প্রচারণায় বাংলার পাশাপাশি উর্দু চলে। এই নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ নির্বাচন ও পৌরসভার নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ভর করে অবাঙালি ভোটারদের ওপর।
প্রচলিত প্রবাদ আছে— রঙের রংপুর শখের সৈয়দপুর। এক সময়কার সিটি শহর সৈয়দপুরে রয়েছে অনেক দর্শনীয় ও ব্রিটিশ আমলের তৈরি বেশ কিছু অবকাঠামো। এখানে রয়েছে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা, বিমানবন্দর, সেনানিবাস, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এসপি অফিস, রেলওয়ের বিভাগীয় হাসপাতাল, ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদ, দর্শনীয় গির্জা, মুর্তজা ইন্সটিটিউট, বিশ্বের অন্যতম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল, হরেক রকম কুটির শিল্প, জুট মিল, বেনারসি পল্লী, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিস, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির ধারক ও বাহক শতবছরের পুরাতন শিল্প-সাহিত্য সংসদ অন্যতম। পাশাপাশি দেখা যাবে বাস-ট্রাকের পরিত্যক্ত টায়ার জ্বালিয়ে জ্বালানি তেল তৈরি, এর একপাশে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের নোহা প্রেসার কুকার, ননস্টিক প্যান, ওভেন ও অন্যান্য তৈজসপত্র। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে পাশের ভারত, নেপাল ও ভুটানে রফতানি করা হচ্ছে। সৈয়দপুর প্লাজার দোতলায় তৈরি হচ্ছে পরচুলা ও শহরের বাঙালিপুরে হচ্ছে জুতার চামড়ায় নকশা। যাচ্ছে বিদেশের বিভিন্ন দেশে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন কয়েকশ’ নারী শ্রমিক।
রেলওয়ে কারখানা : দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা এখানে অবস্থিত । ১৮৭০ সালে ১শ’ ১০ একর জমির ওপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ কারখানার ২৬টি শপে শ্রমিকরা কাজ করে থাকেন। নাট-বল্টু থেকে শুরু করে রেলওয়ের ব্রডগেজ ও মিটারগেজ লাইনের বগি মেরামতসহ সব কাজ করা হয়। পলিটেকনিক ও কারিগরি শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা সফর বা পরিদর্শন করে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করেন। এ কারখানার প্রধান হলেন বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। তারই অফিসের...[…]

Travel Image

বন্য হাতির অভয়ারণ্য নয়াবাড়ির টিলা

শেরপুরের গারো পাহাড়ের জনবসতি সংলগ্ন নয়াবাড়ির টিলা এখন বন্যহাতির অভয়ারন্য। রাতে এসব বন্যহাতি আশপাশের গ্রামের ধান ক্ষেতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করছে। কৃষকরা দলবদ্ধভাবে হাতির পাল তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা হচ্ছেই। শতাধিক হাতির এ পালটি ভোর হলেই চলে আসছে নয়াবাড়ির টিলায়। সারাদিন তারা সেখানে থাকে। এ যেন বন্যহাতির নিরাপদ টিলাভূমি। প্রায় দেড় মাস ধরে বন্যহাতির পাল এ টিলাতে।
প্রতিদিন হাতি দেখতে শতশত লোক যাচ্ছে ওই টিলায়। নয়ানিভিরাম পাহাড়ি টিলায় লোকজনের সমাগমে যেন গড়ে উঠছে এক পর্যটন এলাকা। অনেকে আবার প্রশ্নও তুলেন এখানে কেন পর্যটন করা হচ্ছেনা। কারণ হিসেবে বলেন, এখানে প্রকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে সৌন্দর্য্যময়ী পাহাড়ি টিলা। চোখ ধাধাঁনো আর মনকে কেড়ে নেয়ার মতো ভ্রমন পিপাসুদের টিলায় নতুন করে দেখার সুযোগ হচ্ছে বন্যহাতির বিচরণ। কিভাবে বন্যহাতি দলবেধেঁ থাকে? কিভাবে একে অপরকে সহযোগীতা করে? কোন হাতির নেতৃত্বে তারা এক স্থান থেকে অন্যত্র যায়। সবই যেন বিচিত্র মনে হবে।
শেরপুুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের বালিজুরি রেঞ্জের মালাকোচা বিটের এ নয়াবাড়ির টিলা। প্রায় এক হাজার একর জুড়ে বিশাল উচুঁ ও সমতল এ টিলা ভূমি। যার চারিদিকে ছোট ছোট কয়েকটি টিলা ভূমি যেন এর সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে বন বাগান করা হতো। কিন্তু ক’বছর কাঠ চুরির কারণে এখানের বন বাগান উজার হয়েছে। এসব পরিত্যক্ত ভূমিতে আশপাশের লোকজন আদা, হলুদ, বেগুনসহ সবজির চাষাবাদ করছেন। নয়াবাড়ির টিলার পূর্বে হালুহাটি, দক্ষিণে মালাকোচা, পশ্চিমে হাতিবর ও উত্তরে ভারতের সীমানা। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছুরহক আলী জানান, ভারতের পোড়াকাশিয়া এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরেই বন্যহাতির একটি পাল পাহাড়ে আসে। দিনের বেলায় আশপাশের এলাকার ঝোঁপ জঙ্গলে থাকে আর রাতে হানা দেয় জনবসতি এলাকায়। ক্ষতি করে জানমালের।...[…]

Travel Image

শরীয়তপুরের রুদ্রকরের জমিদার বাড়ি তথা বাবু বাড়ি

শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিন-পূর্বে ঢাকা ডামুড্যা মহাসড়কে পাশে রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় । এরই পশ্চিম পাশ দিয়ে একটি আকাঁবাকাঁ মেঠোপথ চলে গেছে । মহাসড়ক থেকে উওর দিকে । এ পথে পা বাড়ালেই জমিদার বাড়ি তথা বাবু বাড়ি সংলঘ্ন বাবু বাড়ির মঠের অবস্থান চোখে পড়বে ।মঠের কাছে এলেই বিশাল পুকুর লাগোয়া সু-উচ্চ এই মঠটি দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যাবে । জমিদার বাড়িতে মূলত কবে নাগাদ নির্মান করা হয়েছে তা জানা যায়নি । তবে জমিদার বাড়ির প্রবেশ পথে প্রথম ইমারতের মূল ফটকের উপরে লেখা রয়েছে শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ন , নীলমনি চক্রবর্তী মহাশয় কৃত দালানের পুনঃসংস্কার ১২৯৮বঙ্গাব্দ। বর্তমানে জমিদার বাড়ির তিনটি ইমারত তাদের অস্তিত্ব বজায় রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে অপূর্ব নির্মান শৈলী নিয়ে । তিনটি দালানের দু’টিতে এখনো এক সমায়কার তিন তলার নিদের্শন পাওয়া যায় । তবে অবশিষ্ট অপর দালানটির প্রতম তলার বেশি অবশিষ্ট কিছু নেই । স্থানীয় মতে জানা যায় । এখনো আট থেকে দশটি লাগোয়া ইমরাত ছিলো । যা বাবু বাড়ির মঠ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো । এর মধ্যে তিনতলা বিশিষ্ট ইমারতগুলি ছিলো আবাসস্থল । বাকীগুলোয় ছিলো দরবার কক্ষ গুদাম ঘর রন্ধনশালা ওনৃত্যশালা ।এ ছাড়া মঠ সংলগ্ন দালান ছিলো উপাসনালয় য়ার কোন অবস্থান এখন নেই । এ ছাড়া ও জমিদার বাড়ি তথা বাবু বাড়িটিতে কয়েকটিতে গোপন কুঠরী ছিল মাটির নিচে । ভূ-গর্ভস্থ যা এখন মাটি ধ্বংস স্তুপের নিচে তলিয়ে গেছে । ধারনা করা হয় মাটি খুড়লে এখনো এগুলো অস্তিত্ব লাভ সম্ভব । ইদানীং জমিদার বাড়ির কিয়দংশ দখলদারদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।
জমিদার বাড়ির সবচেয়ে বড় এবং আর্কষনী স্থাপত্য হচ্ছে বাবুবাড়ি বা জমিদারবাড়ির শশ্মাণ মন্দিও । এ মঠটি ও...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.