কিভাবে যাওয়া যায়:
সড়ক পথ/রেলপথ ঢাকা হতে ৩৬৮ কিঃমিঃ। ঢাকা থেকে ঢাকা-লালমনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক পথে লালমনিরহাট হয়ে পুনরায় লালমনিরহাট হতে বুড়িমারী (পাটগ্রাম উপজেলা) স্থল বন্দরগামী রাস্তায় মহাসড়ক পথে (লালমনরিহাট হতে প্রায় ২১কিঃমিঃ) কাকিনা বাজার বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ড হতে ২০০ গজ পশ্চিমে জমিদার বাড়ির ভগ্নাবশেষ অবস্থিত। লালমনিরহাট থেকে লালমনিরহাট- বুড়িমারি মহাসড়ক পথে প্রায় ২১ কিঃমিঃ দূরে জমিদারবাড়ি অবস্থিত। রংপুর হতে লালমনিরহাট হয়ে বুড়িমারি স্থল বন্দরের রাস্তায় ৬৬ কি মি দূরে জমিদারবাড়ি অবস্থিত।
রেলপথ রেলপথঃ লালমনিরহাট হতে বুড়িমারি রেলপথে কাকিনা রেল স্টেশন নেমে প্রায় ২ কি মি দক্ষিণ দিকে জমিদারবাড়ি অবস্থিত।
বর্তমানের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন কাকিনা ইউনিয়নের কাকিনা মৌজায় এক কালে গড়ে উঠেছিল বড় বড় ইমারত বিশিষ্ট জমিদার বাড়ি, যা কালের স্রোতে নিশ্চি হয়ে গেছে। কাকিনা জমিদার বাড়ির অতীত স্মৃতি ধারণ করে এখন নীরবে দাড়িয়ে রয়েছে শুধুমাত্র- "হাওয়াখানা'।
ইতিহাস বিশ্লেষণে জানা যায়, মহারাজা মোদ নারায়নের সময় কাকিনা ছিল কোচবিহার রাজ্যাধীন একটি চাকলা। তৎকালে কাকিনার চাকলাদার ছিলেন ইন্দ্র নারায়ণ চত্রুবর্তী। ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘোড়াঘাটের ফৌজদার এবাদত খাঁ মহারাজা মোদ নারায়ণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে কোচ রাজ্যে অভিযান চালানোর সময় রঘু রামের দু'পুত্র রাঘবেন্দ্র নারায়ণ ও রাম নারায়ণ ফৌজদারের পক্ষ অবলম্বন করেন। মোগলদের এ অভিযানে কোচ বাহিনী পরাজিত হলে ইন্দ্র নারায়ণ চত্রুবর্তীকে কাকিনার চাকলাদার পদ থেকে অপাসারণ করা হয় এবং রাঘবেন্দ্র নারায়ণকে পরগনা বাষট্রি ও রাম নারায়ণকে পরগনা কাকিনার চৌধুরী নিযুক্ত করা হয়। এভাবেই ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীর চাকলাদারী শেষ হয়ে কাকিনায় রাম নারায়ণের মাধ্যমে নতুন জমিদারীর সূচনা ঘটে। রাম নারায়ণ চৌধুরীর পিতা রঘু রাম সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, চাকলাদার ইন্দ্র নারায়ণ চত্রুবর্তীর সময় তিনি কাকিনা চাকলার একজন সাধারণ কর্মচারী ছিলেন। তবে রঘু রামের পিতা...[…]
যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরলাম