Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ দুর্গ

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ কেল্লার স্থানটির সামনে দাঁড়াতেই বুকটা কেমন যেন ধক করে উঠল। অদ্ভুত সুন্দর বিশাল এক কেল্লা। একটু একটু শিহরণও জাগল ভেতরে এই ভেবে, এ বিশাল কেল্লাটি তৈরি করা হয়েছিল যুদ্ধের জন্য। ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে মোগল শাসক ঈশা খাঁ মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের কবল থেকে এ জনপদকে রক্ষা করার জন্য শীতলক্ষ্যা-ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা নদীর মিলন স্থলে কেল্লাটি নির্মাণ করেন। এখানে দিনের পর দিন না জানি কত যুদ্ধ হয়েছে। সুগঠিত এ কেল্লার নাম খিজিরপুর দুর্গ যা বর্তমান হাজীগঞ্জের দুর্গ বা কেল্লা নামে পরিচিত। ১৭০০ শতাব্দী বা তারও আগে নির্মিত এ দুর্গের সঠিক স্থপতির নাম তেমন পরিষ্কারভাবে কোথাও নেই। তবে ধারণা করা হয়, সম্ভবত সুবেদার ইসলাম খানের সঙ্গে সংঘর্ষকালীন ঈশা খাঁ এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রাজধানী সোনারগাঁয়ের নিরাপত্তার জন্য মীর জুমলা অধিকাংশ সময় অবস্থান করতেন এ কেল্লায়। প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এ খিজিরপুর (হাজীগঞ্জ) দুর্গ। চারপাশ আবদ্ধ এ কেল্লাটির দৈর্ঘ্য পূর্ব-পশ্চিমে ২৫০ ফুট এবং উত্তর-দক্ষিণে ২০০ ফুট। একটি সু-উচ্চ প্রধান ফটক রয়েছে দুর্গের পূর্বদিকে। রয়েছে কয়েকটি গোপন দরজা কেল্লার বিভিন্ন দিকে। দুর্গজুড়ে রয়েছে আÍরক্ষার জন্য মাটির উঁচু বাঁধ, যার মাঝে রয়েছে ছোট ছোট ফাঁকা জায়গা সেখানে অস্ত্র রেখে মোকাবিলা করা হতো শত্র“দের। দুর্গের মাঝে পুরোটাই ফাঁকা মাঠ। ধারণা করা হয়, এখানে অবস্থান নেয়া-সৈন্যরা এ মাঠে তাঁবু খাটিয়ে থাকত। সেই সময়ে যেহেতু নদীপথই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম তাই নদীপথের আক্রমণ রুখতে নদীর তীরবর্তী জায়গাতেই নির্মাণ করা হয় এ দুর্গটি। এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মীর জুমলা খানও অধিকাংশ সময় এ দুর্গে কাটাতেন। বিশেষ করে বর্ষার সময় তিনি এ খিজিরপুর (হাজীগঞ্জ) দুর্গের ভার নিজ...[…]

Travel Image

মধুসূদনের সাগরদাঁড়ি

সাগরদাঁড়ি। নাম শুনলেই কপোতাক্ষের কথা মনে পড়ে যায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে শ্মশ্রমণ্ডিত একজন প্রত্যয়ী পুরুষের কথা। হ্যাঁ, তিনি আমাদের আধুনিক কবিতার নির্মাতা, মেঘনাদবধ কাব্যের স্রষ্টা মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি যশোরের সাগরদাঁড়ির দত্ত বাড়ির জমিদার রাজনারায়ণ দত্তের ঔরসে জন্মেছিলেন মধুসূদন। মা জাহ্নবী দেবী। সোনার চামচ মুখে জন্ম নেয়া এ মানুষের জীবন ছিল বিচিত্র। শেলী, কিটস, বায়রনের মতো বড় কবি হওয়ার অদম্য বাসনায় বন্দর থেকে বন্দরে দৌড়ে বেড়িয়েছেন। অবশেষে কপোতাক্ষের তীরে তিনি তরী ভিড়িয়েছেন।
জানুয়ারি মাসে। সাগরদাঁড়ির রাস্তাঘাট থাকে জনারণ্য। সারাদেশ থেকে ভ্রমণবিলাসী মানুষ এখানে আসেন মহাকবির জন্মভূমি দর্শন করতে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন একবার বলেছিলেন, ‘সাগরদাঁড়ির ধুলি গায়ে মেখে পুণ্যস্নান করলাম।
প্রতাপাদিত্যের দেশ যশোর। যশোর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে সাগরদাঁড়ি। ঢাকা থেকে আপনি যশোর পর্যন্ত দু’ভাবে যেতে পারেন। আকাশপরীর ডানায় ভর করে আর স্থলপথে ডে অথবা নাইট কোচে। বিমান আপনাকে নিয়ে যাবে মাত্র ৪০ মিনিট কিংবা তারও কম সময়ে। আর বাসে যেতে হলে যাওয়া যায়, অবশ্য একটু কষ্ট স্বীকার করতে হবে। সময় নেবে ৫ ঘণ্টা।
ওই তো সাগরদাঁড়ি। পথ যেন ফুরাতে না চায়, দূর থেকে দূরে সরে যায়। বাড়িটা পরে দেখা যাবে খুঁতিয়ে খুঁতিয়ে। তার চেয়ে চলুন কপোতাক্ষটা দেখে আসা যাক। পশ্চিমে চলে গেছে পাকা সড়ক। বাঁ হাতে কলেজ। কলেজটিকে পেছনে ফেলে সামনে কপোতাক্ষ। আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কপোতাক্ষকে সামনে রেখে। কথিত আছে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর মধুসূদন একবার এখানে তার স্টিমার ভিড়িয়েছিলেন। এ যে গ্রিল দিয়ে ঘেরা ফলকটি দেখছেন এতে খোদাই করে লেখা সেই বিখ্যাত সনেট কপোতাক্ষ নদ। সেটি সুদূর ভার্সাই-এ বসে লিখেছেন কবি। সামনে একটি সুদৃশ্য ফুলের বাগান, বাঁ হাতে পার্ক। পূর্ব দিকে চলেছেন আপনি। খুব খারাপ লাগছে। ক্যামেরা আনেননি।...[…]

Travel Image

হোগলা পাতার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন শিল্প

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর, কোটালী পাড়া, কাশিয়ানী, টুঙ্গীপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন শিল্প হোগলা পাতা দিয়ে চাটাই, অন্যান্য শৌখিন সামগ্রী তৈরি করে গোপালগঞ্জ জেলার ১০ হাজার নারী আত্মনির্ভশীলতার পথে হাঁটছেন। জেলার কোটালীপাড়া, টুঙ্গীপাড়া, কাশিয়ানী, মোকসুদপুর ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে হোগলা শিল্প। নিম্ম আয়ের নারীরা এই শিল্পের সাথে সরা সরি জড়িত। মাত্র ১০০ টাকার হোগলার পাতায় ৩টি ৩০০ টাকামূল্যের চাটাই বোনা যায়। একজন নারী ঘরে বসেই দক্ষ হাতে প্রতিদিন ৩/৪টা চাটাই বোনতে পারেন। তাই এ অঞ্চলের নারীরা খুব সামান্য পুঁজি নিয়ে এ কাজটি করে যাচ্ছেন। হোগলা শিল্প কে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে সাপ্তাহিক হাট। এই হাট থেকে ঢাকা , চট্রগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী খুলনা, ফরিদপুর , মাদারীপুর, বরিশাল, যশোর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বছরে কয়েক কোটি টাকার হোগলা শিল্প চালান করা হয়। শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিক বাজারে ও পরিবেশ বান্ধব হোগলা শিল্প রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভবনা রয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, গোপালগঞ্জ জেলায় ১০ হাজার হেক্টরএর বেশী জমিতে হোগলা পাতা চাষ হয়। এটি তৃন জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছটি লম্বা হয় ১৫ থেকে -২০ ফুট হয়ে থাকে। গোপালগঞ্জ জেলার বিল গুলোতে পলিমাটি সমৃদ্ধ হওয়ায়য় এ সব জমিতে হোগলা গাছ প্রকৃত ভাবেই বংশ বিস্তার করে । খরা বা বর্ষায় এগাছের কোন ক্ষতি হয় না। যে কোন পরিবেশে গাছটি দীঘজীবি। তাই এই এলাকার মানুষেরা প্রায় বিনা শ্রমে হোগলা গাছ পেয়ে থাকে। যার ফলে এখানে হোগলা পাতার শিল্প প্রসার লাভ করেছে। এ শিল্পটি নারী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। এই এলাকায় নিম্ম শ্রেণীর আয়ের লোকেদের প্রায় নারীরা এ কাজে জড়িত। এদিকে হোগলাপাতা শিল্প শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে...[…]

Travel Image

কান্তজীর মন্দির

ঢাকা থেকে দূরত্ব অনেক। প্রায় ৮ ঘণ্টা ভ্রমণের পর পৌঁছতে হয় দিনাজপুরে। সেখান থেকে ৩০ মিনিটের পথ কান্তজীউ মন্দির বা কান্তজীর মন্দির বা কান্তনগর মন্দিরের। দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে, দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত। কারণ তিনতলাবিশিষ্ট এ মন্দিরের ৯টি চূড়া বা রত্ন ছিল। মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদির শিলালিপি থেকে জানা যায়, তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
১৭২২ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যুর পরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। শুরুতে মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিল ৭০ ফুট। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি ভূমিকম্পের কবলে পড়লে এর চূড়াগুলো ভেঙে যায়। মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরের ব্যাপক সংস্কার করলেও মন্দিরের চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি। মন্দিরের বাইরের দেয়ালজুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫ হাজারের মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে। উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সব খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার। নিচতলার সব প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান রয়েছে। দুটো ইটের স্তম্ভ দিয়ে খিলানগুলো আলাদা করা হয়েছে, স্তম্ভ দুটো খুবই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ অলংকরণযুক্ত।
মন্দিরের পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। মন্দিরের নিচতলায় ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি দরজা-খিলান রয়েছে, তবে তৃতীয় তলায় রয়েছে মাত্র ৩টি করে।[…]

Travel Image

মাদারীপুরের পর্বত বাগান

শুরুর কথাঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা আমাদেও এ দেশ । এদেশের কোথাও কোথাও অবহেলিত ,অযত্নভাবে পড়ে আছে এসৌন্দর্য । সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ একটু সৌন্দর্যেও জন্য ছুটে যাচ্ছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত । যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি যেখানে মানূষ ছুটে গেছে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ সৌন্দর্য যেমন চয়ন করেছে তেমনি লালন করেছে প্রানের আবেগ দিয়ে । এমনি এক প্রকৃতিকপ্রেমি,সৌন্দর্যপিপাসু রাস বিহারী পর্বত মাদারীপুরের মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়বাড্ডা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন । ময়মনসিংহ জমিদার সেরেস্তার নায়েবের চাকরি শেষে আপন শখেই গড়ে তুলেছিলেন বাগান ।
তৈরি হয়েছিল যেভাবেঃ
১৯৩০সালে রাসবিহারী পর্বতদেশ-বিদেশি প্রায় ৫০০ জাতের ফল ও ফুলেরচারা সংগ্রহ কওে প্রায় ২০একর জমির ওপর গড়ে তোলেন এ বাগান । সেই থেকে তার নামানুসারে এ বাগান টি পর্বত বাগান নামে পরিচিত পায় । বাগানের পাশ দিয়ে বযে যাওয়া খরস্রোত কুমারনদ বাগানের আকর্ষনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে বাড়তি সৌন্দর্য এনে দেয় । নানা আকৃতির সুন্দও শৈল্পিক পথ বাগান প্রতিষ্ঠালগ্নে হাজার হাজার নারিকেল ও সুপারি গাছ বাগানটি ঘিরে রেখেছে । ছিল আম ,জাম ,কাঁঠাল,কামরাংগা, আমড়া,কুল,সফেদা , জলপাই, আমলকী, কমলা জামরুল,তেজপাতা,দারুচিনি, লবঙ্গ,এলাচ সহ দেশ বিদেমি বিভিন্ন ফল ও ভেষজ গাছ । বাগাটি নয়নাবিরাম করার জন্য গোলাপ,গন্ধরাজ টগর, কামিনী, হাসনাহেনা বকুল, জুই বেলি ,জবা সহ দেশ বিদেশী সংখ্য ফুলের গাছ ।
পবর্ত বাগানের সৌন্দর্য ও রূপঃ
প্রয়ি ১২ রকমের গোলাপ গাছ ছিল পবর্ত বাগানে । বিচিত্র পাখির কল-কাকলিতে বাগানটি ছিল মুখরিত । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আকৃষ্ট বহু দেশি-বিদেশি পর্যটকও পিকনিক পার্টিও আগমন ঘটতো এ বাগানের শোভা দর্শনের প্রত্যাশায় । শীতকালে বাগান সংলগ্ন পুকুরের আগমন ঘটতো বিচিত্র পাখির ।ফলে খুব সহজেই আকৃষ্ট হতো পর্যটক । বাগানের মধ্যে ৬টি শান বাধানো পুকুরও রাজবিহারি পবর্তেও...[…]

Travel Image

রাজৈরে পল্লীতে কৃষি জাদুঘর

মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার চৌয়ারিবাড়ী আবস্থিত মতিলাল হাইস্কুলের পল্লী জাদুঘরে প্রত্নতওের স্মারক বহন করছে ৩ হাজার বছরের পুরনো ফসিল । ২০০১ সালে যাএা শুরু হয়ে দিন দিন এর ঐতিহ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে । পাশাপাশি দূর-দূরন্ত থেকে সংগৃহীত পুরানো দিনের জীবাশ্ন সংরক্ষন করা হচ্ছে এখানে । আর রাজৈর বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিন দিকে কোটালীপাড়া রোড দিয়ে কিছুদূর গেলেই ডানদিকে মতিলাল হাইস্কুল । স্কুলের একটি লম্বা টিনের ঘরে গড়ে তোলা হয়েছে জেলার অনন্য প্রত্নতাওিক জাদুঘর । স্কুলে স্থাপিত জাদুঘরে রক্ষিত প্রত্নতাওিক নিদের্শক এ অঞ্চলকে নতুনভাবে জানার ও চেনার দাবি রাখে নিঃসন্দেহে । স্কুলের একটি কক্ষে কাঠের শেফালে সারি সারি সাজানো রয়েছে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে মৃত হাতি বনগরু ও মহিষের হাড়, বিষধর সাপ, পোকা-মাকড় । বিলুপ্ত শস্যের বীজ ও উভচর নানা প্রানীর মরদেহ এখানে রক্ষিত ।এসব উপাদান মাদারীপুর জেলার রজৈর উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা, চান্দার বিল ও কোটালীপড়া উপজেলার বাঘিয়ার বিল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ।
২০০১ সালের প্রথম থেকে বিসিএএস (বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভন্স স্টাডিজ ) তার সেম্প প্রকল্পের আওতায় নিজেস্ব এলাকায় গ্রাম ও স্কুলভিওিক পরিবেশবাদী ক্লাব গড়ে তোলে । একই বছর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার চান্দার বিলের বেদগ্রামের বৃদ্ধ মধুসূদন বিশ্বস পুকুর খনন করতে গিয়ে বেশ কিছু হাড়ের সন্ধান পান । সেখান থেকে বিসিএএস কর্মীরা হাড়গুলো সংগ্রহ করেন ।
রাজৈর এলাকা, চান্দার বিল ও বাঘিয়ার বিল থেকে বিলুপ্ত সাপ,ব্যাঙ, পোকা-মাকড়, শস্য বীজ নিয়ে জাদুঘরের যাএা শুরু । প্রায় ৩ হাজার আগে মৃত বনগরু, হাতি ওমহিষের জীবাশ্ন, বিলুপ্ত প্রজাতির উদ্ভিদের ধ্বংসাবশেষ, কালগোখরা, খৈয়াগোখরা, কালকেউটা, সুতানলি, ঘরমনি, গোবর পোকা, কয়া, মাকড়শা, তেলাপোকা, ঝিঝি পোকা, জোনাকি, পদ্মবতী পোকা, ইত্যাদি । এক...[…]

Travel Image

ভাঙ্গার পাতরাইলে ঐতিহ্যবাহী আউলিয়া মসজিদ

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইলের আউলিয়া মসজিদ প্রায় ১৫ শতাব্দীর ঐতিহ্য ।পুরকীর্তি বলে ঘোষনা পেলেও রয়েছে সংরক্ষনের অভাব । অবহেলায় ইতিহাস থেকে মুছে যেতে বসেছে এ ঐতিহ্যবাহী পুরাকীতির্ । ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইল আউলিয়া মসজিদ ফরিদপুরের ঐতিহ্য । দুলর্ভ প্রাচীন কারুকার্য খচিত এ মসজিদ । এখানে রয়েছে বিখ্যাত সুফিসাধক আউলিয়া আবদুল্লাহ খান মসলিশের মাজার । রয়েছে বিখ্যাত দীঘি , খেলারমাঠ, পোষ্ট অফিস ও বাজার ।
একটি দুলর্ভ পুরাকীর্তি । এর দেয়ালে রয়েছে ঐতিহ্য মন্ডিত প্রাচীন কারুকার্য খচিত । রং ও ডিজাইনে রয়েছে অনাভিল শৈল্পিক সৌন্দর্যের ছাপ । মসজিদ নির্মানে রয়েছে সমৃদ্ধ স্থাপত্যকলার নির্দশন । এ অরুপ সৌন্দর্য মন্ডিতস্থাপত্য শিল্পের ঐতিহ্যের অহংকার ।মসজিদের ইতিহাস আউলিয়া মসজিদ কবে নির্মিত হয়েছে এর সঠিক উতিহাস আজো জানা যায়নি । তবে লোক মুখে যতদুর জানাযায় ১৪০০ খিষ্টাব্দে সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম সাহের আমলে এটি নির্মান করা হয় । সে সময় আবদুল্লাহ খান তার শিষ্যদের নিয়ে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে আসেন । তারই উদ্যোগে ও তত্বাবধানে এ মসজিদ গড়ে তোলা হয় । পরে তার নামানুশারেই মসজিদের নাম করন করা হয় আউলিয়া মসজিদ । মসজিদের দুই পাশে দু’টি সুবিশাল দীঘি রয়েছে । দীঘি দুটির ইতিহাস ও জড়িত আছে মসজিদের সঙ্গেই । এলাকায় তখন ছিল পানির প্রচন্ড অভাব । এথেকে মানুষের পরিত্রানের জন্য আউলিয়া আবদুল্লাহ খান সুবিশাল দীঘি দু’টি খনন করান । পরে দীঘির নামের সঙ্গে যুক্ত করে এলাকার নামকরণ করা হয় পাতরাইল দীঘির পাড়। আবদুল্লাহ খান মারা যাওয়ার পর মসজিদেও পাশেই তাকে সমাহিত করা হয় । পরে তার সামাধির ওপর নির্মিত হয়েছে আর্কষ নীয় মাজার ভবন । মাজারের পাশে তার শিষ্যদের কবরও রয়েছে । প্রতিদিনই ধর্মপ্রান মানুষ এ পুর্ন ভূমিতে...[…]

Travel Image

মোগল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র সুবাদার শাহ সুজার আমলের হোসেনী দালান

হোসনী দালান পুরানো ঢাকায় অবস্থিত শিয়া সম্প্রদায়ের একটি ইমারত। বাংলায় নির্মিত মোগল শাসনামলের দর্শনীয় স্থাপনার মধ্যে ঢাকার হোসেনী দালান একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য নিয়ে আজও টিকে রয়েছে। দালানটি মূলত একটি স্মৃতিসৌধ। হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটি নির্মিত হওয়ার কারণে এর নামকরণও হয়েছে তারই নামানুসারে অর্থাৎ হোসেনী দালান। হোসেনী দালানটি নির্মিত হয় মোগল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র বাংলার সুবাদার শাহ সুজার আমলে। শাহ সুজা ছিলেন শিয়া মতাবলম্বী শাসক। তিনি যখন সুবাদার হয়ে বাংলায় আগমন করেন, তখন তার সঙ্গে করে তিন শতাধিক শিয়া অনুচর ও তাদের পরিবার এদেশে নিয়ে আসেন। শাহ সুজার নৌবাহিনী প্রধান-শিয়া মতাবলম্বী অনুচর সৈয়দ মীর মুরাদ এই হোসেনী দালান তৈরি করেন।
কথিত রয়েছে, সৈয়দ মীর মুরাদ এক রাতে স্বপ্নে দেখতে পান, কারবালার যুদ্ধের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করছেন এবং স্বপ্নে মীর মুরাদকেও অনুরূপ একটি দালান নির্মাণের নির্দেশ দিচ্ছেন। স্বপ্নে নির্দেশ লাভ করে মীর মুরাদ ১৬৪২ খিস্ট্রাব্দ নাগাদ হোসেনী দালানটি নির্মাণ করেন। বাংলায় মোগল নির্মিত অন্য সব স্থাপনার মতো এটিও মোগল স্থাপত্য রীতি-নীতি অনুসারে নির্মিত হয়। ঢাকার নায়েব নাজিমগণ শিয়া মতাবলম্বী হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন তারাই হোসেনী দালানটির মুতাওয়াল্লী ছিলেন।
দালানের দুই দিকে রয়েছে দুইটি মিনার, দক্ষিণ দিক ঘেঁষে বিশাল পুকুর আর উত্তর দিকে প্রশস্ত মাঠের পর বিশাল গেটওয়ে। ভবনটি দ্বিতল আকৃতি বিশিষ্ট। নিচে রয়েছে কবরখানা। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে জরিখানা, হুক্কাখানা, নিশিত খাঁ নামের তিনটি কক্ষ। হোসেনী দালানটি নির্মাণের পর এখান থেকে বিভিন্ন উৎসবে জাঁকজমকপূর্ণ ও সজ্জিত মিছিল বের হতো। এছাড়া রয়েছে নহবতখানা, যেখানে প্রতিটি চাঁদ দেখার রাত থেকেই শুরু হতো নহবত বাজানো।[…]

Travel Image

একদিন মুন্সিগঞ্জে

রাজধানী থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক জনপদ মুন্সিগঞ্জ। এর উত্তরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, পূর্বে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলা এবং পশ্চিমে ঢাকা ও ফরিদপুর জেলা। পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি ও শীতলক্ষা এ জেলার প্রধান নদী। এ জেলার বেশিরভাগ বেড়ানোর জায়গাই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাকেন্দ্রিক। কড়চার এবারের বেড়ানো একদিনে মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণ।
ইদ্রাকপুর দুর্গ
মুন্সীগঞ্জ শহরের ইদ্রাকপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইদ্রাকপুর দুর্গ। ইতিহাস থেকে জানা যায় মুঘল সুবাদার মীর জুমলা ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে পুরনো ইছামতি নদীর পশ্চিম তীরের ইদ্রাকপুরে এই দুর্গটি নির্মাণ করেন। নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ও সোনাকান্দা দুর্গের চেয়ে এটি আয়তনে কিছুটা ছোট। সে সময় মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকা রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়েছিল এই দুর্গটি। সুরঙ্গ পথে ঢাকার লালবাগ দুর্গের সাথে এই দুর্গের সংযোগ ছিল বলে একটি জনশ্রুতি আছে। উঁচু প্রাচীর ঘেরা এই দুর্গের চারকোণে রয়েছে একটি করে গোলাকার বেস্টনী। দুর্গের ভেতর থেকে শত্রুর প্রতি গোলা নিক্ষেপ করার জন্য চারদিকের দেয়ালের গায়ে রয়েছে অসংখ্য ছিদ্র। বাংলাদেশে মুঘল স্থাপত্যের অনন্য নির্দশন হিসেবে ইদ্রাকপুর দুর্গটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয় ১৯০৯ সালে।
রামপাল দীঘি
জেলার রামপালে অবস্থিত। বিক্রমপুরের রাজধানী রামপালের রাজা বল্লাল সেন জনগণের পানীয় কষ্ট দূর করার জন্য এই বিশাল দীঘিটি খনন করেন। কিংবদন্তি আছে, বল্লাল সেনের মা প্রজাদের পানীয় জলের কষ্ট দূর করতে তাকে একটি দীঘি খনন করার আদেশ দেন। বল্লাল সেন মাকে আশ্বাস দেন, তিনি (মা) যতদূর হেঁটে যেতে পারবেন ততটুকু জায়গা নিয়ে দীঘি খনন করে দিবেন। পরের দিন সকালে তার মা দক্ষিণ দিকে হাঁটতে শুরু করেন। বল্লাল সেন দেখলেন তার মা অনেক দূর...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.