Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

ভাঙ্গার পাতরাইলে ঐতিহ্যবাহী আউলিয়া মসজিদ



ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইলের আউলিয়া মসজিদ প্রায় ১৫ শতাব্দীর ঐতিহ্য ।পুরকীর্তি বলে ঘোষনা পেলেও রয়েছে সংরক্ষনের অভাব । অবহেলায় ইতিহাস থেকে মুছে যেতে বসেছে এ ঐতিহ্যবাহী পুরাকীতির্ । ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইল আউলিয়া মসজিদ ফরিদপুরের ঐতিহ্য । দুলর্ভ প্রাচীন কারুকার্য খচিত এ মসজিদ । এখানে রয়েছে বিখ্যাত সুফিসাধক আউলিয়া আবদুল্লাহ খান মসলিশের মাজার । রয়েছে বিখ্যাত দীঘি , খেলারমাঠ, পোষ্ট অফিস ও বাজার ।

একটি দুলর্ভ পুরাকীর্তি । এর দেয়ালে রয়েছে ঐতিহ্য মন্ডিত প্রাচীন কারুকার্য খচিত । রং ও ডিজাইনে রয়েছে অনাভিল শৈল্পিক সৌন্দর্যের ছাপ । মসজিদ নির্মানে রয়েছে সমৃদ্ধ স্থাপত্যকলার নির্দশন । এ অরুপ সৌন্দর্য মন্ডিতস্থাপত্য শিল্পের ঐতিহ্যের অহংকার ।মসজিদের ইতিহাস আউলিয়া মসজিদ কবে নির্মিত হয়েছে এর সঠিক উতিহাস আজো জানা যায়নি । তবে লোক মুখে যতদুর জানাযায় ১৪০০ খিষ্টাব্দে সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম সাহের আমলে এটি নির্মান করা হয় । সে সময় আবদুল্লাহ খান তার শিষ্যদের নিয়ে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে আসেন । তারই উদ্যোগে ও তত্বাবধানে এ মসজিদ গড়ে তোলা হয় । পরে তার নামানুশারেই মসজিদের নাম করন করা হয় আউলিয়া মসজিদ । মসজিদের দুই পাশে দু’টি সুবিশাল দীঘি রয়েছে । দীঘি দুটির ইতিহাস ও জড়িত আছে মসজিদের সঙ্গেই । এলাকায় তখন ছিল পানির প্রচন্ড অভাব । এথেকে মানুষের পরিত্রানের জন্য আউলিয়া আবদুল্লাহ খান সুবিশাল দীঘি দু’টি খনন করান । পরে দীঘির নামের সঙ্গে যুক্ত করে এলাকার নামকরণ করা হয় পাতরাইল দীঘির পাড়। আবদুল্লাহ খান মারা যাওয়ার পর মসজিদেও পাশেই তাকে সমাহিত করা হয় । পরে তার সামাধির ওপর নির্মিত হয়েছে আর্কষ নীয় মাজার ভবন । মাজারের পাশে তার শিষ্যদের কবরও রয়েছে । প্রতিদিনই ধর্মপ্রান মানুষ এ পুর্ন ভূমিতে ছুটে আসেন । আসেন পুর্ন ও মুক্তি লাভের আশায় । দুলর্ভ নিদর্শন হলেও আউলিয়া মসজিদ আজো অবহেলিত । পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে অনেক । অবশেষে মসজিদের কারু কাজ ও ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটি অধিক গ্রহন করে । এলাকা বাসীর মতে মসজিদকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে সম্ভাভনাময় পর্যটন কেন্দ্র ।