মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার চারশত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী জমিদারবাড়ি ধ্বংসের মুখোমুখি আর্কষণীয় একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও প্রয়োজনীয় সংস্কার সংরক্ষনের অভাব এবং সঠিক পরিকল্পনা না নেওয়ার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে জমিদার বাড়ীর অতীত ঐতিহ্য ও গৌরব ।
সপ্তদশ শতাব্দীতে এখানকার জমিদারদের জমিদারির গোড়া পওন হয় । ওই সময়ে নির্মিত পুরকীর্তি খালিয়া রাজারাম মন্দির, অন্নপুর্নামন্দির, কবি কিরন চাঁদ দরবেশের বাড়ি,বিপ্লবী চিওপ্রিয় রায় চৌধুরীর বাড়ি, জমিদার পঞ্চানন রায় চৌধুরীর বাড়ি, জমিদার শিশির গাঙ্গলীর জমিদার বাড়ি, জমিদার রাজারাম রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি ও জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ খালিয়া রাজারাম ইনষ্টিটিউশন এ অঞ্চলে । এর কাছেই রয়েছে দর্শনীয় স্থান গণ উন্নয়ন প্রচেষ্টার শিশু স্বাস্খ্য কেন্দ্র ওশান্তিকেন্দ্র। ঐতিহ্যবাহী এ পুরার্কীতির নির্দশন সৌন্দর্য পিপাসু দর্শকদেরও মন কেড়ে নিয়েছে । বিপুল প্রাচুর্য সম্পদেও অধিকারী জমিদাররা ইংরেজ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
প্রায় ২৫০ একর জমির ওপর অবস্থিত খালিয়া জমিদার বাড়িটি । জমিদার আমলে এখানে গড়ে তোলা হয় আকর্ষণীয় দ্বিতল-ত্রিতল, দালান কোঠা ও বাগানবাড়ি । এখানকার সারিবদ্ধ দালান-কোঠা, ও বাগানবাড়ি পূজার মন্ডব, শানবাধানো পুকুর ঘাট, পূজার মন্ডপ, আজও মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। জমিদারদের প্রচন্ড দাপট প্রতাপের কথা আজও সর্বজনজনবিদিত। ওই সময়ে জমিদারদের বাড়ির কাছ ঘেঁষে জনসাধারনের চলা চলের নিষেধ ছিল ।
জমিদারদের আচার আচরন নিয়ে বহু কথা এখনও লোকমুখে রয়েছে জমিদার বংশের লোকেরা শুষ্কমৌসুমে বিলাশবহুল ঘোড়ার গাড়ি, বর্ষাকালে আর্কষণীয় পানসি নৌকা, গয়না নৌকা এবং সুজ্জিত পালকি ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতো না। ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি বর্তমানে অবহেলা- অযত্নের নিদারুণ সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে । তারা কেবল জমিদারই ছিলেন না , তারা এক দিকে যেমন প্রজাবৎসল ছিলেন অন্যদিকে তেমন কবি সাহিত্যিক ও পন্ডিত ব্যক্তিদের সম্মান...[…]
সাব্বিরের খেলা ছুঁয়ে গেছে ধোনী মন