Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

পন্ড গার্ডেন পার্ক

শীতলক্ষা নদীর পূর্বতীরবর্তী রূপগঞ্জের চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশে কাঞ্চন সেতুর ধার ঘেষে গড়ে উঠেছে একটি চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র। বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ পার্কটি ইতো মধ্যেই ভ্রমনপিপাসুদের নজর কেড়েছে। গ্রামীণ নৈসর্গে গড়া বিশাল এ পার্কটিতে বিনোদনের জন্য রয়েছে নানা আয়োজন।
পুকুরের মাঝখানে ফোয়ারা আর ভাসমান সেতু দর্শনার্থীদের নিঃসন্দেহে মুগ্ধ করবে। পুকুর থেকে তাজা মাছ ধরে পরিবেশনের ব্যবস্থাও আছে এখানে। এখানে আছে ১৬ সিটের সুপার চেয়ার, শিশুদের জন্য রয়েছে ইঞ্জিন ট্রেন, আনন্দ ঘুর্ণন, হেলিকপ্টার, ব্যাটারি গাড়ী, স্লিপার, দোলনা, ঢেকি ইত্যাদি। পার্ক জুড়ে চোখে পরবে চিত্রা হরিন, বানর আর পাখিদের ছুটাছুটি। আছে হরেক রকমের জীবিত মাছ নিয়ে সাজানো ফিস মিউজিয়াম। ১শ’ থেকে ৫ শ’ জন পর্যন্ত পিকনিক করতে পারেন এখানে। খাবার জন্য রয়েছে দ্বিতল ডাইনিং হল। আছে বাবুর্চি, ডেক-হাড়িপাতিলের ব্যবস্থা। পিকনিকে আসা লোকদের জন্য রয়েছে খেলাধুলার বিশেষ ব্যবস্থা।
এখানে যে খেলাগুলোতে অংশগ্রহন করে নিজেরা আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি সঙ্গীদের মনোরঞ্জন করতে পারেন তাহলো মিউজিক্যাল চেয়ার, মিউজিক্যাল পিলো রানিং, রশি টানাটানি, বাস্কেট, ভলি, ব্যাডমিন্টন, হাড়ি-ভাঙ্গা ইত্যাদি। পার্কটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে পানিয়জল, বিদ্যুৎ ও টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। আছে ফাস্টফুডের দোকান। আছে গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা।
এখানে এলে ফোয়ারা, ভাসমান সেতু, বিশাল ফুলের বাগান আপনাকে সত্যিই মুগ্ধ করবে। পার্কের দর্শনার্থী বিশ্রামাগারের দ্বীতিয় তলার খোলামেলা বাড়ান্দায় বসে ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। কোলাহলমুক্ত এই স্থানটির মনোরম পরিবেশ আপনার মনকে আনন্দে মাতিয়ে তুলবে।[…]

Travel Image

জাহাপুর জমিদার বাড়ি

হাতিশালায় হাতি নেই, আস্তাবলে ঘোড়া নেই, সিংহ দরজায় সিংহ নেই দালানগুলোই শুধু স্মৃতি বহন করছে ৪০০ বছর আগের এ জমিদার বাড়িটির। কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাপুরে এর অবস্থান। গোমতি বিধৌত এ জাহাপুর। গোমতির কল কল ঢেউয়ের তালে তালে এক সময় বয়ে চলত জমিদারদের ‘গয়না’ নৌকা। তাদের ব্যাপারে বাংলার বার ভূঁইয়ার এক ভূইয়া কেঁদার রায় নাকি বলেছিলেন, মেঘনার পূর্ব পাড়ে কোন বড় জমিদার নেই। শাকের মধ্যে লবণতুল্য আছে জাহাপুরের জমিদাররা।
কি কি দেখবেন
জমিদার বাড়িতে পৌঁছেই দেখবেন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুটি সিংহ। তারা আপনাকে এ বাড়িতে নিঃশব্দে স্বাগত জানাবে। প্রধান ফটকে সবসময় দু’জন রক্ষী থাকত। জমিদারি আমলে এলে পরিচয় দিয়ে ঢুকতে হতো। এখন আর সেদিন নেই। রাইফেল অথবা তীর-ধনুক হাতে মাথায় পাগড়ি নিয়ে কোন শিখকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন না। বহিরাঙ্গন এবং অন্দরমহল তারাই দেখতেন। আপনাকে মূল গেটে দেখে হয়তো কেউ এগিয়ে আসবেন। তিনি আপনাকে মূল বাড়িতে নিয়ে যাবেন।
প্রথম বিল্ডিংটি তিন তলা। পুরোটাই ইট-সুরকি দিয়ে নির্মিত। এরকম আরও ৯টি বিল্ডিং ছিল। ২টি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু জড়াজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাকিগুলো ভালো। ১মটি বাদে বাকি সবগুলো দোতলা। প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করেই একটি মন্দির দেখতে পাবেন। এটি নাট মন্দির। দুর্গা পূজার সময় এখানে ভক্তরা সমবেত হন। পাশেই রয়েছে দুর্গাদেবীর প্রতিমা। প্রতিমাটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
এখান থেকে সোজা চলে যাবেন অন্দর মহলে। এ মহলেই বর্তমান বংশধররা বসবাস করছে। এখানে দেখা হবে ১১তম বংশধর শ্রী আশীষ কুমার রায়, সমরেন্দ্র রায় ও অজিত কুমার রায়ের সঙ্গে। এছাড়া রয়েছেন প্রফেসর অঞ্জন কুমার রায়, অধ্যক্ষ রঞ্জন কুমার রায় ও তাদের পরিবারবর্গ। তারাই বর্তমানে এ বিশাল বাড়িটি দেখাশোনা করছেন। জমিদারদের আরও ২টি পরিবার এখানে বসবাস করছে। তবে ওই পরিবারগুলোর...[…]

Travel Image

বালিয়াটির জমিদার বাড়ি

প্রায় দুশ’ বছরের ইতহাস-ঐতিহ্য বুকে লালন করে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বালিয়াটির জমিদার বাড়ি। মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে এ জমিদার বাড়ির অবস্থান। সে সময়কার মানুষের জীবন-জীবিকা, চাল-চলন, আনন্দ-বিনোদন আর শৌখিনতার পরিচয় পাওয়া যায় এ জমিদার বাড়িটিকে দেখলে। মানুষের মেধা আর পরিশ্রমকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করা যেমন কঠিন নয়, এই জমিদার বাড়ির মানুষগুলোই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কেননা একটি নিুবিত্ত পরিবার থেকে এ জমিদার বাড়ির কর্তারা তাদের মেধা মননশীলতা আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে জমিদারি হাল-হকিকতে নিজেদের নাম লেখাতে পেরেছেন। উন্নতির শীর্ষে নিজেদের অবস্থানকে ধরে রেখেছেন যুগ থেকে যুগান্তরে।
যেভাবে এ জমিদার বাড়ি : একটি নিুবিত্ত সাহা পরিবার থেকেই বালিয়াটি জমিদার বংশের উদ্ভব। মহেশরাম সাহা নামে জনৈক বৈশ্য বারেন্দ্র শ্রেণীর ছোট্ট এক কিশোর ভাগ্য অন্বেষণে বালিয়াটিতে আসে। সেখানে জনৈক পান ব্যবসায়ীর বাড়িতে চাকরি নেয় মহেশরাম সাহা নামের ওই ছোট্ট বালক। চাকরিতে তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে সেখানেই বিয়ে করে সংসারী হন। তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে মহেশরামের ছেলে গণেশ রামকে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন তিনি। গণেশ রাম তার পিতার আনুগত্যতায় লবণের ব্যবসা শুরু করেন। গণেশ তার মেধা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে লবণের ব্যবসায় বেশ উন্নতি লাভ করেন।
গণেশ রামের চার ছেলের মধ্যে একজন হল গোবিন্দ রাম। তিনিও তার পিতার ব্যবসাকে আরও অনেকদূর এগিয়ে নেন। গোবিন্দ রাম বিয়ে করেন বালিয়াটিতে। তার ঘরে জন্ম নেয় চার ছেলে। যথাক্রমে আনন্দ রাম, দধিরাম, পণ্ডিত রাম ও গোপাল রাম। এ চার ভাইয়ের পৃথক পৃথক ব্যবসা ছিল। বাণিজ্য কেন্দ্র সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঝালকাঠি, নলছিটি প্রভৃতি স্থানে লবণ, সুপারি, চাল ইত্যাদি ব্যবসার মাধ্যমে অনেক অর্থের মালিক হন তারা। এদের ঐশ্বর্য বেড়ে উঠলে তারা জমিদারি ও তালুকদারি...[…]

Travel Image

ঐতিহাসিক আতিয়া জামে মসজিদ

যমুনা, ধলেশ্বরী ও বংশী নদীবিধৌত টাঙ্গাইল জেলা। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন বাংলার অনেক কৃতী পুরুষ যারা বিভিন্ন সময় এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। এ মাটিতে শায়িত আছেন হযরত শাহান শাহ বাবা আহমদ কাশমিরী (রা.)। এই জেলার সন্তান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। টাঙ্গাইলের শাড়ি এক সময় বিখ্যাত ছিল দেশ-বিদেশে, যা আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। এই টাঙ্গাইল শহরের একটি গ্রামেই কালের সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মুঘল আমলের তৈরি আতিয়া জামে মসজিদ।
আতিয়া মসজিদ : টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দূরত্বে লৌহজং নামক নদীর তীরবর্তী পূর্ব পাশে নির্মাণ করা হয় আতিয়া জামে মসজিদে। মসজিদের পাশে পশ্চিমে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা পুকুর। পূর্ব- পশ্চিমে এই মসজিদের আয়তন দৈর্ঘ্য ৬৯ ফুট এবং প্রস্থ ৪০ ফুট। মিনারগুলো অলঙ্কৃত হয়ে গম্বুজের আকৃতি নিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। আতিয়া মসজিদে দুটি ভাগে বিভক্ত, একটি অভ্যন্তরীণ এবং অপরটি বারান্দা। প্রধান কক্ষ অথবা নামাজ পাটের কক্ষের প্রত্যেক বাহু প্রায় ২৫ ফুট লম্বা, মূল কক্ষের ওপরে বৃহদাকারের গম্ভুজ রয়েছে। পূর্ব দিকে বারান্দা, যেখানে তিনটি গম্ভুজ রয়েছে। পূর্ব দেয়ালে তিনটি প্রবেশ পথ। প্রবেশ পথের উপরাংশ প্রায় গোল গম্ভুজ সদৃশ। দরজায় কাঠের পান্না অনেক ভেতরে। মসজিদের প্রবেশ পথের কাছে একটি শিলালিপি রয়েছে। যেখানে শিলালিপি স্থাপিত তার চারপাশের এলাকা অলঙ্করণযুক্ত। মসজিদটি দীর্ঘদিনের পুরনো বলে অলঙ্করণে আদিরূপ ক্ষয়িষ্ণু অথবা অনুপস্থিত থাকায় মূলত কি ধরনের অলঙ্করণ ছিল তা শনাক্ত করা কঠিন। মসজিদের শিলালিপির পাঠ মতে, ১০১৮ হিজরি তথা ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে বায়েজিদ খান পন্নীর পুত্র সাঈদ খান পন্নী পীর আলী শাহান শাহ বাবা কাশ্মীরির সম্মানে এটি নির্মাণ করেন ১৬০৯ খ্রি. এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পীর শাহান শাহ এতদঞ্চলে বাবা...[…]

Travel Image

মৃণালিনী দেবীর গ্রামে মেলা

কে লইবে মোর কার্য কহে সন্ধ্যারবি—
শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি।
মাটির প্রদীপ ছিল; সে কহিল, স্বামী,
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার এই লাইন খোদাই করা আছে তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর আবক্ষ ভাস্কর্যে। খুলনার দক্ষিণডিহি গ্রামে কবির শ্বশুরবাড়ির দোতলা ভবনের সিঁড়ির দুই পাশে স্থাপন করা হয়েছে কবি ও তাঁর স্ত্রীর আবক্ষ ভাস্কর্য। তাতে প্রাণ নেই বটে, আছে ইতিহাস। ২৫ বৈশাখ এলে রবীন্দ্রভক্তরা ছুটে আসেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শ্বশুরবাড়িতে, রবীন্দ্র কমপ্লেক্সে। এ বছর পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী। প্রতিবছরের মতো এবারও এ বাড়িটি ঘিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন দিনব্যাপী সার্ধশততম রবীন্দ্রজন্মবার্ষিকী ও লোকমেলা।
৮ মে থেকে শুরু হয়ে আজ অনুষ্ঠানের শেষ দিন। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন হাজারো রবীন্দ্রানুরাগী। আলোচনা অনুষ্ঠান, সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্যানুষ্ঠান, নৃত্যালেখ্য ও নাটক রয়েছে অনুষ্ঠানমালায়। লোকমেলায় প্রাধান্য পেয়েছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য লোকশিল্প, চারুশিল্প ও কারুশিল্প। এসেছে নাগরদোলা। গোটা রবীন্দ্র কমপ্লেক্সজুড়ে এখন প্রাণের উচ্ছ্বাস। কলেজশিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ আমাদের অস্তিত্বে মিশে আছেন শিকড়-বাকড়ের মতো। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে ছুটে আসি মনের খোরাক মেটাতে।’ ব্যবসায়ী কবিরুল হাসান বলেন, ‘আলোচনা-গান-নৃত্যে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ, পাশাপাশি আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে ঠাসা লোকমেলা খুবই ভালো লাগছে।’
কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণডিহির সম্পর্ক নিবিড়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মা সারদা সুন্দরী দেবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই দক্ষিণডিহি গ্রামে। রবীন্দ্রনাথের কাকি ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী এই গ্রামেরই মেয়ে। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী দক্ষিণডিহিরই মেয়ে। তাঁর ভালো নাম ভবতারিণী। যৌবনে পা দিয়ে কবি প্রায়ই তাঁর মায়ের সঙ্গে দক্ষিণডিহি গ্রামের মামাবাড়ি আসতেন। নিরঞ্জন রায়চৌধুরী ও হিরণ্ময় রায়চৌধুরী কবির দুই মামা। কবির মামাবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির মধ্যখানে ছিল বিশাল এক পুকুর। নাম ‘তিতির পুকুর’। পুকুরটিতে ছিল...[…]

Travel Image

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই কিছু না কিছু দর্শনীয় স্থান আছে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও এর ব্যতিক্রম নয়। কাজ কিংবা আত্মীয়ের বাড়ি বেড়ানো-যে কারণেই যান না কেন দেখে আসতে পারেন সেখানকার অসংখ্য রাজবাড়ি, পুরনো মসজিদ, মন্দির, দিঘি। আছে পীর, দরবেশ, আউলিয়া ও ধর্মগুরুদের স্মৃতিবিজড়িত নানা জায়গা ও স্থাপত্য...
রানীশংকৈল উপজেলার উত্তরগাঁওয়ে ঐতিহাসিক রাম রায় দিঘি এখন আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট। দিঘির চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন ফলমূল ও ঔষধি গাছের বাগান। জেলা প্রশাসন ২০০২ সালে দিঘির পাড়ে ১ হাজার ২৬০টি লিচু ও ১০ হাজার বনজ ঔষধি গাছ রোপণ করে। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত এই বাগানকে পাখ-পাখালির অভয়ারণ্য বলা চলে। দেখে মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়। দূর থেকে দিঘির পাড়ে গাছগুলো দেখে মনে হয় কোনো পাহাড়ের টিলা। এটি বরেন্দ্রভূমি এলাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দিঘি, দৈর্ঘ্যে ৯০০ মিটার ও প্রস্থে ৫৫০ মিটার।
ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে পিকনিক স্পট কুমিল্লা হাড়ি। বর্তমানে এর নাম বলাকা উদ্যান। শাল, শিশু, মেহগনি ইত্যাদি পুরনো গাছগাছালির সমারোহ রয়েছে এখানে। বৃক্ষপ্রেমিকদের কাছে এলাকাটি বেশ আকর্ষণীয়। একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে এখানে চলে আসে মানুষ। এখানে সরকারি ডাকবাংলোতে থাকার ব্যবস্থা আছে।
এ ছাড়াও জেলায় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে রানীশংকৈলের ভবানন্দপুরে নেকমরদ মসজিদ, ঠাকুরগাঁও সদরের জামালপুর গ্রামে জমিদারবাড়ি ও মসজিদ এবং ঢোলারহাট এলাকায় আরাজি দক্ষিণ বঠিনা গ্রামে গৌরলাল জমিদারবাড়ির শিবমন্দির ও দিঘি।
জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় কুলিক নদীর তীরে রাজা টঙ্কনাথের রাজবাড়ি। উপজেলা শহর থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়ায় রাজবাড়ি যাওয়া যায়। ১৯১৫ সালে রাজা বুদ্ধিনাথ চৌধুরীর পুত্র টঙ্কনাথ চৌধুরী এই বাড়ি নির্মাণ করেন। নয়নাভিরাম এর কারুকাজ। রাজবাড়ির মেঝে ছিল মার্বেল পাথরের তৈরি। কালক্রমে এ রাজবাড়ি এখন ধ্বংসের পথে।
রানীশংকৈলেই আছে গোরকই গ্রামে গোরক্ষনাথ মন্দির। এর পাশেই আছে...[…]

Travel Image

স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর আমার দেশ

নীলাচল
বান্দরবানের পাহাড়ি রাস্তার আঁকাবাঁকা স্বাদ পেতে হলে নীলাচল যাওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই। এখান থেকে একনজরে পুরো বান্দরবান শহর দেখতে পারা যায়। আবছাভাবে নীলগিরিও চোখে পড়বে। এড়িয়ে যাবে না কেওক্রাডং যাওয়ার হাঁটাপথের রাস্তাটুকুও। ঠিক ভোরবেলা আর সন্ধ্যার পর এখানে মেঘের বাজার বসে। এখানে একটা কটেজও আছে, যেখানে আপনি দুই হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে একটা শিরশিরে মেঘলা রাত কিনে নিতে পারবেন।
কীভাবে যাবেন
বান্দরবান শহর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে নীলাচল যেতে পারেন। আসা-যাওয়া মিলিয়ে ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা। যাওয়ার পথে ওপরে ওঠার সময় আপনাকে অনেকবারই গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হবে। ফেরার সময় ট্যাক্সিচালককে বলবেন স্টার্ট বন্ধ করে নামতে। জীবনে যে আনন্দের কতটা বাঁক থাকতে পারে, সেটা বুঝবেন সেদিন। ইঞ্জিনের সাহায্য ছাড়াই ১৫ কিলোমিটার দূরের বান্দরবান শহরে চলে আসবেন।
চিংড়ি ঝরনা
বগালেক থেকে ঘণ্টা দেড়েক কেওক্রাডংয়ের দিকে হাঁটতে থাকলে কানে আসবে পানি বয়ে যাওয়ার ঝিরঝিরে এক মিষ্টি শব্দ। এই শব্দের উৎসস্থল কিন্তু আরও অনেক ভেতরের দিকে। লাঠি ঠুকে ঠুকে পিচ্ছিল পাথরের গা বেয়ে ক্রমশ ওপরের দিকে উঠতে থাকলে হঠাৎ করেই নজরে পড়বে বিশাল বান্দরবানের আরও একটি লুকানো সৌন্দর্য। আধখানা চাঁদের আকৃতি নিয়ে রিমঝিম শব্দে সারাটা এলাকা মাতিয়ে রেখেছে যে ঝরনা, তার নাম চিংড়ি ঝরনা। একটু খুঁজলেই ঝরনার পানির বয়ে যাওয়া জমানো পানিতে দেখতে পাবেন চিংড়ি মাছের দৌড়াদৌড়ি।
কীভাবে যাবেন
বগালেক থেকে ঘণ্টা দেড়েক কেওক্রাডংয়ের দিকে হাঁটলেই পেয়ে যাবেন চিংড়ি ঝরনা। প্রথমে হাতের বাঁয়ে একটা ঝরনা পড়বে। সেটা ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। দ্বিতীয় ঝরনাই হলো চিংড়ি ঝরনা।
জাদিপাই ঝরনা
অরণ্যের আড়ালে যে কী বিস্ময় লুকিয়ে আছে, তা কেবল জাদিপাই ঝরনায় গেলেই দেখা যায়। উদ্ধত পাহাড়কে ক্রমাগত ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ভিজিয়ে তার গায়ে রংধনুর রং...[…]

Travel Image

গুহার ভেতর-বাহির

শাহেনশাহ গুহায় ঢোকার মুখে পশ্চিমে বিশাল বঙ্গোপসাগর, পুবে উঁচু পাহাড়। মাঝখান দিয়ে চলে গেছে ‘কক্সবাজার-টেকনাফ’ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এই পথ ধরে কক্সবাজার শহর থেকে আট কিলোমিটার এগিয়ে গেলে নজরে পড়ে সবুজ-শ্যামলে ভরা একটি গ্রাম বড়ছড়া। এই বড়ছড়ার উঁচু-নিচু ৩৭ একরের বিশাল পাহাড় নিয়ে গড়ে উঠেছে পর্যটনের বিনোদন কেন্দ্র ‘দরিয়ানগর’।
কলাতলী সৈকত, ইনানী দেখা তো হলো অনেকবার। এবার ঘুরে আসতে পারেন দরিয়ানগর। রোমাঞ্চের স্বাদ পাবেন এখানেই।
শাহেনশাহ গুহা
দরিয়ানগরে উঁচু পাহাড়ের নিচে প্রায় আধ কিলোমিটার লম্বা আঁকাবাঁকা একটি সুড়ঙ্গ পথ, নাম শাহেনশাহ গুহা। এর একটু দক্ষিণে কিংবদন্তির ‘পরিমুড়া’, যাকে আমরা হিমছড়ি ঝরনা বলে জানি। কক্সবাজারের মানুষের মুখে ফেরে এ পরির গল্প। বানেছা পরির কন্যা হিমপরি নাকি সখীদের নিয়ে সমুদ্রস্নান সেরে এ পাহাড়ে আড্ডা দিতেন। তাই হিমপরির নামে জায়গার নামকরণ ‘হিমছড়ি’।
হিমপরির সঙ্গে মানুষের ভালোবাসার গল্পও শোনা যায় এই অঞ্চলের মানুষের কাছে।
একসময় এ হিমছড়িতে নাকি আরবের একটি বাণিজ্যতরী ডুবে গিয়েছিল। সেই তরীতে ছিলেন শাহেনশাহ নামের একজন তরুণ। তিনি এখানে ঝরনার মিষ্টি পানি খেতে এসে বন্য প্রাণীর কবলে পড়েন। আশ্রয় নেন এক গুহায়। সেই গুহারই পরে নাম হয় শাহেনশাহ গুহা। এক পূর্ণিমা রাতে শাহেনশাহর সঙ্গে দেখা হয় হিমপরির। দুজনের ভালোবাসার সে-ই শুরু। পরি তাঁকে নিয়ে চলে যান নিজ পূর্ণিমা রাতে শাহেনশাহর দেশে। এখানে রয়ে যায় হিমছড়ি আর শাহেনশাহ গুহা।
দরিয়া-দর্শন
গুহার ওপরে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু পাহাড় চূড়ায় ছন আর কাঠ দিয়ে তৈরি ‘চেরাংঘর’ বা ‘আড্ডাখানা’। এখানে বসে দেখা যায় দরিয়া বা সমুদ্র-দর্শন। পাহাড় চূড়ায় দাঁড়ালে মনে হবে, যেন বঙ্গোপসাগরের নীল জলের ওপরই দাঁড়িয়ে আছেন। নজরে পড়বে দূরের সাগরের নৌকাগুলো। গভীর সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরা ট্রলারের সারি।
এই পাহাড়ের নিচে রাত যাপনের জন্য রয়েছে বাংলো বা রেস্টহাউস।...[…]

Travel Image

কোল্লাপাথর শহীদ সমাধি

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা আমাদের জন্য নিজের জীবন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এরকম ৫০ জন শহীদের সমাধি স্থল । উচু উচু অসংখ্য পাহাড় আছে পর্যটকদের জন্য অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। পাহারের উঠলেই দেখা যাবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অনেক কিছু ।সমাধি স্থলে যাওয়ার পথে দেখতে পাবেন সালদা গ্যাস ক্ষেত্র। দুই পাহারের মাঝে রাস্তা দিয়ে যেতে হবে আপনাকে সমাধি স্থলে। সত্যিই খুবই অপরুপ দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস-ই করবেনা ।
যেভাবে যাবেনঃ
কুমিল্লা এবং বি-বাড়ীয়া দুই দিক থেকে যাওয়া যায়। যারা কুমিল্লা থেকে যেতে চান তারা ,কুমিল্লা শহরের কেন্দ্রিয় ঈদগাঁ কাছ থেকে সি.এন.জি করে বাগরা বাজার ব্রিজ এর কাছে নামবেন।সি.এন.জি ভাড়া ৫০-৬০ টাকা রাখবে।আর মনে রাখবেন সি.এন.জি আর সামনে যাবেনা এটাই সর্বশেষ ষ্টপিজ। ব্রিজ পার হয়ে নয়নপুর বাজার থেকে রিষ্কা অথবা ব্যাটারি চালিত অটোরিষ্কা করে সমাধি স্থলে যাওয়া যায়।
বি-বাড়ীয়ার কাউতলী বাস ষ্ট্যান্ড থেকে বাস আথবা সি.এন.জি করে আপনি নয়নপুর বাজার আসতে পারেন। ভাড়া লাগবে বাস -৫০ টাকা আর সি.এন.জি ৮০-১০০ টাকা । দূরত্ব -৫৪ কি.মি[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.