Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

ঐতিহাসিক আতিয়া জামে মসজিদ



যমুনা, ধলেশ্বরী ও বংশী নদীবিধৌত টাঙ্গাইল জেলা। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন বাংলার অনেক কৃতী পুরুষ যারা বিভিন্ন সময় এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। এ মাটিতে শায়িত আছেন হযরত শাহান শাহ বাবা আহমদ কাশমিরী (রা.)। এই জেলার সন্তান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। টাঙ্গাইলের শাড়ি এক সময় বিখ্যাত ছিল দেশ-বিদেশে, যা আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। এই টাঙ্গাইল শহরের একটি গ্রামেই কালের সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মুঘল আমলের তৈরি আতিয়া জামে মসজিদ।

আতিয়া মসজিদ : টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দূরত্বে লৌহজং নামক নদীর তীরবর্তী পূর্ব পাশে নির্মাণ করা হয় আতিয়া জামে মসজিদে। মসজিদের পাশে পশ্চিমে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা পুকুর। পূর্ব- পশ্চিমে এই মসজিদের আয়তন দৈর্ঘ্য ৬৯ ফুট এবং প্রস্থ ৪০ ফুট। মিনারগুলো অলঙ্কৃত হয়ে গম্বুজের আকৃতি নিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। আতিয়া মসজিদে দুটি ভাগে বিভক্ত, একটি অভ্যন্তরীণ এবং অপরটি বারান্দা। প্রধান কক্ষ অথবা নামাজ পাটের কক্ষের প্রত্যেক বাহু প্রায় ২৫ ফুট লম্বা, মূল কক্ষের ওপরে বৃহদাকারের গম্ভুজ রয়েছে। পূর্ব দিকে বারান্দা, যেখানে তিনটি গম্ভুজ রয়েছে। পূর্ব দেয়ালে তিনটি প্রবেশ পথ। প্রবেশ পথের উপরাংশ প্রায় গোল গম্ভুজ সদৃশ। দরজায় কাঠের পান্না অনেক ভেতরে। মসজিদের প্রবেশ পথের কাছে একটি শিলালিপি রয়েছে। যেখানে শিলালিপি স্থাপিত তার চারপাশের এলাকা অলঙ্করণযুক্ত। মসজিদটি দীর্ঘদিনের পুরনো বলে অলঙ্করণে আদিরূপ ক্ষয়িষ্ণু অথবা অনুপস্থিত থাকায় মূলত কি ধরনের অলঙ্করণ ছিল তা শনাক্ত করা কঠিন। মসজিদের শিলালিপির পাঠ মতে, ১০১৮ হিজরি তথা ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে বায়েজিদ খান পন্নীর পুত্র সাঈদ খান পন্নী পীর আলী শাহান শাহ বাবা কাশ্মীরির সম্মানে এটি নির্মাণ করেন ১৬০৯ খ্রি. এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পীর শাহান শাহ এতদঞ্চলে বাবা কাশ্মীরি বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের অতিশয় ঘনিষ্ঠ এবং সম্মানীয় ব্যক্তি। মুসলিম ধর্মে একজন দরবেশ। তিনি যখন ধর্ম প্রচারের জন্য এই এলাকায় আসেন তখন সম্রাট তাকে দুটো এলাকার বন্দোবস্ত করেছেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে আটিয়া পরগনা অপরটি কাগমারী পরগনা।

যেভাবে যেতে হবে : সিলেট থেকে সরাসরি টাঙ্গাইল অথবা ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার আগে পাকুল্লা নামক স্টেশন থেকে টেম্পোতে করে পাথরাল বাজার পর্যন্ত। সেখান থেকে ভ্যান অথবা রিকশায় একেবারে মসজিদে পর্যন্ত পৌঁছা যায়।