Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

দু’শ বছরের পুরনো কাজির গলি মসজিদের স্মৃতি চিহ্ন

সংস্কারের অভাবে শেরপুর পৌরসভার কসবা এলাকার দু’শ বছরের পুরনো কাজির গলি মসজিদটির শেষ স্মৃতি চিহ্ন আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
যদিও স্থানীয়রা মসজিদটিকে এবাদত খানা হিসেবে যুগযুগ ধরে জেনে আসছেন । মসজিদটির গাঁথুনি ও নির্মাণ কৌশল দেখে ধারনা করা হয় বৃটিশ আমলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল । তবে মসজিদটি সম্পর্কে সঠিক ধারনা কেউই দিতে পারেনি ।
মসজিদের মূল ভবনটি প্রায় ৩ শতক জমির উপর ১২ ফুট দৈর্ঘ এবং ১২ ফুট প্রস্থে নির্মিত হয়েছিল। এর দেয়ালের পুরু ২৫ ইঞ্চি। মূল ভবনের চারপাশে একটি সীমানা প্রাচীর ছিল বলে আশপাশের কিছু ধ্বংসবাশেষ দেখে এবং এলাকাবাসী সূত্রে ধারনা করা হয়। এই সীমানাসহ মসজিদটির মূল জমির পরিমান ছিল প্রায় ৫০ শতক। কালের আবর্তে ওই জমি বিভিন্নভাবে বেহাত অথবা মুল মালিক সূত্রে কিনে আশপাশের অনেকই বাড়ী-ঘর নির্মাণ করেছেন। কেবলমাত্র মসজিদের মূল ভবনের ধ্বংসাবশেষটুকু এখন শেষ চিহ্ন হিসেবে রয়েছে।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যাক্তি মোজাফর মিয়া ওরফে মোজা খলিফা (৭০) বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখছি এখানে এবাদতখানাটি এভাবেই ভংগুর অবস্থায় পড়ে থাকতে। মাঝখানে প্রায় ৪০ বছর থেকে ৫০ বছর পূর্বে এলাকাবাসী মসজিদটির সামান্য সংস্কার করে নিয়মিত নামাজ পড়তেন । আমিও পড়তাম। কিন্তু পরবর্তিতে এর ছাদ ধ্বসে পড়ার পর এখানে আর কেউই নামাজ পড়েন নি। ফলে এখানে এখন বিভিন্ন লতা-পাতা আর পরগাছায় ভরে গেছে। মসজিদটি কখন বা কে তৈরী করেছিলেন তা এলাকার কেউই বলতে পারেন না। তবে গত ২০ বছর পূর্বে মারা গেছেন জনৈক ব্যাক্তির মুখে শুনেছিলাম,বৃটিশ আমলে এক কামেল ব্যাক্তি এবাদতের জন্য এ ঘরটি তৈরী করেছিলেন। এখানে এক সঙ্গে দুই কাতারে ১০ জনের বেশী নামাজ পড়া যেতো না। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটির দুই পাশে দুটি এবং সামনে একটি দরজা...[…]

Travel Image

এই বর্ষায় মেঘেদের দেশে

বৃষ্টির সময় প্রকৃতি যেন তার সবটুকু রূপ ঢেলে দিয়েছে বান্দরবানে। এই সময় পাহাড়ের এই সবুজ গালিচার ওপর আপনার আগমনে যোগ হবে ভিন্ন মাত্রা। বান্দরবানের রিসোর্টগুলোর কোনো একটায় বসে দূর পাহাড়ে ঝুম বৃষ্টি দেখে মনে ঘোর লেগে যাবে সত্যি। আর তাই মেঘের ছোঁয়া পাওয়ার আশায় এই বর্ষা মৌসুমেও বান্দরবানের পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নামে।
বর্ষা এলেই বান্দরবানের উঁচু পাহাড়গুলোকে সারা ক্ষণই ছুঁয়ে যায় জমাট বাঁধা মেঘের সারি। দেখে মনে হয় মেঘ আর পাহাড় একে অপরের সঙ্গে নিজ ভাষায় সুখ-দুঃখের যেন গল্প করছে। বান্দরবানের নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুক, বগা লেক, দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং, তাজিংডংসহ বিভিন্ন স্পটে দাঁড়িয়ে বর্ষায় মেঘের স্পর্শ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বান্দরবান থেকে থানচি পর্যন্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করলেও মেঘের দেখা মেলে। নীলগিরি কিংবা চিম্বুকে দাঁড়ালে মেঘ যে-কাউকে আপনা থেকেই ছুঁয়ে যাবে।
এই বর্ষায় এক ভিন্ন রূপেই দেখা যায় এ পর্যটন শহরকে। আমাদের দেশের ভ্রমণ পিয়াসুরা ভ্রমণের জন্য শীত মৌসুমকে বেছে নিলেও হয়তো অনেকেই জানেন না বৃষ্টির সময় পাহাড়ঘেরা জেলাটি যেন একটি সবুজ কার্পেটের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। যেদিকে দুচোখ যাবে সবুজে সবুজে বর্ণিল এক নতুন সাজ ধরা দেবে আপনার কাছে।
পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন স্পট। ভরা মৌসুমে এখানে বেড়াতে এলে অনেক কিছুর স্বাদ অপূর্ণ থেকে যায়। বর্ষায় কোলাহলমুক্ত পরিবেশে বান্দরবানের সৌন্দর্য উপভোগ করা অনেকটা সহজ।
শহরের অদূরে মেঘলায় রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, মিনি সাফারি পার্ক, শিশু পার্ক, প্রাকৃতিক লেক, চিড়িয়াখানা, চা বাগানসহ পর্যটকদের মন ভোলানো সব আয়োজন। এ ছাড়া শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে নীলাচল, যেখানে পাহাড়ের সঙ্গে আকাশ মিতালি গড়েছে। দেশি-বিদেশি যে কোনো পর্যটক স্পটটিতে গিয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য। বান্দরবানের আরেকটি দর্শনীয় স্থান...[…]

Travel Image

বর্ষায় রাঙ্গামাটির পথে

বর্ষায় অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে পাহাড়িয়া শহর রাঙ্গামাটি। চারদিকে হ্রদ, এরই মাঝখানে পাহাড়ের গায়ে রাঙ্গামাটি শহর। বর্ষায় এখানের হ্রদ ও কর্ণফুলী নদীপথে জলে থই থই করে। মনে হয়, রাঙ্গামাটি হ্রদের শহর। বর্ষায় এখানে হ্রদ দেখায় আনন্দ আছে। নীল নব ঘনে আষাঢ় গগনে... আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে... বর্ষায় রাঙ্গামাটিতে গেলে কবিগুরুর কথা কেউ মানতে চায় না। যতই বর্ষা হোক না কেন, ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে হ্রদ হয়ে দূরে বহুদূরে হারিয়ে যেতে মন চায়। বর্ষায় রাঙ্গামাটির যেদিকে যাবেন সেদিকেই হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হবে। এমন নয়নলোভা জায়গা পাহাড়িয়া রাঙ্গামাটি। বাংলার সব সৌন্দর্য এখানে এসে উছলে পড়েছে...। যেদিকে চোখ যায় তখন মনে হয়, আমরা আসব বলেই কি রাঙ্গামাটি বুঝি রঙিন হয়ে সেজে বসে আছে। রাঙ্গামাটি হয়ে শুভলং কিংবা বরকলের দিকে গেলে দেখবেন নদীর দুই পাশে পাহাড়, অরণ্য আর ঝরনা। নৌকায় বসে ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করা জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকতে পারে। ঝুমুর ঝুমুর নূপুর বাজে ঐ পাহাড়ে... এরকম মনে হবে কখনও কখনও। হ্রদের পর হ্রদ দেখে দূরে বহুদূরে চলে যেতে ইচ্ছে হবে।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়ার জন্য রয়েছে ডলফিন পরিবহন। ইচ্ছে করলে হানিফ পরিবহন, টোকিও লাইন, গ্রিন লাইনের যে কোনও একটি পরিবহনে চট্টগ্রাম গিয়ে এরপর রাঙ্গামাটির বাস ধরে রাঙ্গামাটিতে। চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি পৌঁছতে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে হানিফ পরিবহনে যেতে চাইলে আগেভাগে টিকিট বুকিং দিন। এজন্য যোগাযোগ করুন ম্যানেজার আবদুস সামাদ মণ্ডলের সঙ্গে। ফোন-০১৭১১-৮৮৩৬৮৯।
হোটেলের খোঁজখবর : রাঙ্গামাটিতে রাত যাপন করার জন্য পর্যটনের মোটেল, হোটেল সুফিয়া, হোটেল জেরিন, মধুমতি, গোল্ডেন হিল, বনফুল, ডিগনেটি, শাপলা, সৈকত প্রভৃতি রয়েছে। যেখানে পছন্দ হয় সেখানে উঠুন। তবে পর্যটন মোটেলে ভাড়াটা একটু...[…]

Travel Image

ঐতিহ্যবাহী খালিয়া রাজারাম মন্দির

অযত্ন, অবহেলা,উদাসীনতা আর সঠিক রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে দেশের কত । ঐতিহ্য যে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তার একটি দৃস্টান্ত মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার প্রাচীন ভাস্কর্য শিল্পের অনুপম নিদের্শন খালিয়া রাজারাম মন্দির । সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত । এ মন্দির টি মহাকাল কে উপেক্ষা করে আজো টিকে রয়েছে জেলার । এটিই একমাত্র প্রাচীন মন্দির । তৎকালীন জমিদার কালী সাধক রাজারাম রায় চৌধুরী এ মন্দিরটি বিপুল অর্থব্যয়ে নির্মান করেছিলেন । নির্মানের সঠিক তারিখ জানা যায়নি । নির্মাতার নামেই এটি পরিচিত হয়ে উঠেছে । এটি বাংলাদেশের বাংলার রীতিতে তৈরি । দেখতে চৌচালা ঘরের মতো । ২৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মন্দিরের দৈর্ঘ ২০ ফুট,প্রস্থ ১৬ ফুট,এবং উচ্চতা৪৭ ফুট । দ্বিতল মন্দিরের এসব টেরাকোটায় রামায়ন ও মহাভারতের বিভিন্ন দৃশ্যাবলী ফুটিয়ে তোলা হয়েচে নিপুন দক্ষতায় । এছাড়া মন্দিরের গায়ে রয়েছে বিভিন্ন দেব দেবীর, পশু পাখির ও লতা পাতার অসংখ্য চিত্র । দক্ষ শিল্পীদের নিপুন হাতের কারু কাজ ৪ শ বছর পরও মানুষের মন কাড়ে । মন্দিরের অলস্করনের জন্য ব্যবহৃত টেরাকোটায় রয়েছে কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধ, রামায়ন ও মহাভারতের নানা কাহিনী মন্দিরের পাশে রয়েছে রান্নাঘর অনেক কিছুর সাক্ষী এ ঘরটির অবস্থা এখন খুবই বিপন্ন। এই রান্না ঘর থেকেই পূজার বিভিন্ন উপচার ও উপকরন তৈরি করা হত । জমিদার রাজারাম রায় চৌধুরী নিজেই এ মন্দিরে পূজা করতেন । রান্না ঘরটি বর্তমানে সংস্কারের অভাবে বিধস্ত হয়ে পড়ার উপক্রম । মন্দিরের নিচ তলায় ৩টি কক্ষ ও উপরের তলায় ৬ টি কক্ষ রয়েছে । মন্দিরের উপরের তলায় ভেতরের দিকে ফাটল ধরেছে । যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা । কোথাও চুন সুরকি খসে পড়ছে । মন্দিরটি দেখা শোনার জন্য...[…]

Travel Image

বিদ্রোহী কবির কুমিল্লার দৌলতপুর

মানুষের জীবনের উজ্জ্বল সময় তার যৌবন। একজন কবির জীবনে এ সময়টি নক্ষত্রের মতো আলোকিত। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের যৌবনের কিছু সময় কেটেছে কুমিল্লার মুরাদনগরের দৌলতপুরে। বিদ্রোহী কবি দৌলতপুরে এসে হয়ে গেলেন প্রেমের কবি। কবির জীবনের গতিপথ বদলে দিল এক নারী। কবি নিজেই বলেছেন ‘এক অচেনা পল্লী বালিকার কাছে এত বিব্রত আর অসাবধান হয়ে পড়েছি, যা কোন নারীর কাছে হয়নি।’
এ বালিকাটি আর কেউ নয় সে হচ্ছে মুরাদনগরের বাঙ্গরা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মুন্সী বাড়ির আবদুল খালেক মুন্সীর মেয়ে সৈয়দা খাতুন। কবি আদর করে ডাকতেন নার্গিস।
দৌলতপুরে যাওয়ার আগেই বাঙ্গরা পেরিয়ে দেখবেন নজরুল গেট। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নজরুল তোরণটি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
নজরুল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ যুদ্ধ জাপান-জার্মান-ইতালির সঙ্গে অন্য পক্ষের দীর্ঘ পাঁচ বছর চলেছিল। নজরুল যুদ্ধে গিয়েছিলেন ১৯১৭ সালে। তিনি ব্যাটালিয়ন কোয়ার্টার মাস্টার ছিলেন। তখন ক্যাপ্টেন আলী আকবর খাঁর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১৯১৯ সালে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। নজরুল তখন মুসলিম সাহিত্য সমিতির (কলকাতায়) অফিসে আফজাল-উল-হক সাহেবের সঙ্গে থাকতেন। সে সময় আলী আকবর খানের সঙ্গে নজরুলের হƒদ্যতা গড়ে ওঠে। আলী আকবর নজরুলের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে কুমিল্লায় তার গ্রামের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান।
নজরুল ৩ এপ্রিল ১৯২১ কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম মেইলে রাতে আসেন। আলী আকবর খাঁ নজরুলকে নিয়ে যান। ওঠেন কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ে। এখানে তার সহপাঠী বন্ধু ইন্দ্র কুমার সেনের ছেলে বীরেন্দ্র কুমার সেনের বাড়িতে ওঠেন। এখানে বীরেন্দ্রের মা বিজয়া সুন্দরীদেবীকে নজরুল মা বলে সম্বোধন করতেন।
দু’দিন বেড়ানোর পর ছয় এপ্রিল আলী আকবর খাঁ নজরুলকে নিয়ে মুরাদনগরের বাঙ্গরা ইউনিয়নের দৈলতপুরে নিয়ে আসেন। বর্তমানে যেখানে আলী আকবর মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিল্ডিংটি অবস্থিত। এখানে আরেকটি ঘর ছিল, এ ঘরেই নজরুলকে...[…]

Travel Image

শহীদের রক্তে ভেজা চারটি গ্রাম

মহান মুক্তিযুদ্ধের এক খন্ডিত ইতিহাস মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেন্দিয়া গনহত্যার ঘটনা, যা দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে অন্ধকারে ডুবে আছে । অথচ আজ পর্র্যন্ত এ ঘটনাটি অনুসন্ধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি । এমন কি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষকরাও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি । দেয়া হয়নি শহীদ হিসেবে ১২৬ শহীদকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি । বিচার হয়নি এ মর্মান্তিক ঘটনার নেপথ্য নায়কদের । পাশাপাশি অনাবিষ্কৃত ৬ টি গনকবর হারিয়ে যাচ্ছে অযত্ন- অবহেলায় ফলে ঘটনার আড়ালেই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস । ১৯৭১ সালে ( সম্ভাব্য ১৯মে ) বাংলা ১৩৭৮ সালের ৫ জ্যৈষ্ঠ বুধবার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা রাজৈর উপজেলার সেন্দিয়া, পলিতা, ছাতিয়ানবাড়ি ও খালিয়া গ্রামের ১২৬ জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় । এ হত্যাকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ছোট্র শিশুরাও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর একটি সেনা ক্যাম্প ছিল রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে । তখন নদী পথ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতায়াতের আর কোন পথ ছিল না । ঘটনার দিন ৯টায় পাক বাহিনী লঞ্চযোগে গোপালগঞ্জের ভেন্না বাড়িতে নেমে চর চামটা থেকে গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করতে করতে মাদারীপুরের কদম বাড়ি ইউনিয়নের মহিষমারীর ভেতর দিয়ে প্রথমে উল্লাবাড়িতে হত্যাকান্ড চালায় । উল্লাবাড়ি থেকে সেন্দিয়ার দিকে যেতে যেতে পথে পথে অগ্নিসংযোগ, লুন্ঠন ও গুলি চালিয়ে হত্যা করতে করতে সেন্দিয়ার ভেতরে ঢোকে। এই সংবাদ পেয়ে সেন্দিয়া, পলিতা ,ছাতিয়ানবাড়ি ও খালিয়া গ্রামের আবাল -বৃদ্ধ-বনিতা আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তি পশ্চিম সেনিদয়া আখক্ষেতে । পাকবাহিনী ততক্ষণে পুরো এলাকা ঘিরে গনহত্যা শুরু করে । এলাকার মুক্তিকামী নারী-পুরুষদের ধরে এনে পশ্চিম সেন্দিয়া ফকিরেভিটা , সেন্দিয়া বাওয়ালী ভিটায়, বারিদারবাড়ির উওরে বাঁশ বাগানে ,শচীন বারিকদারের বাড়ীর দক্ষিণ খালপাড় এবং ছাতিয়ানবাড়ির পুকুরপাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে...[…]

Travel Image

ভ্রমণের জন্য অসাধারণ ২৬ টি প্রাচীন নিদর্শন

কালের বিবর্তনে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে প্রাচীন সভ্যতার অনেক নিদর্শন। এরপরও হাজার বছর পুরোনো কিছু শহরের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর কিছু কোণে টিকে আছে এখনও। এই নিদর্শনগুলোই আমাদের দেয় প্রাচীন সভ্যতার ধারণা। আমরা বুঝতে পারি মানুষ কতটা শৈল্পিক ছিলো সেই প্রাচীন সময়েও।
ছবিতে দেখুন এমনই ২৬টি শহরের ধ্বংসাবশেষ যা নিশ্চিতভাবেই আপনাকে আকৃষ্ট করবে।
১. ১৫ শতকের দিকে পেরুর মাচুপিচু রাজকীয় এবং ধর্মীয় নেতাদের আবাসস্থল ছিলো। ১৯১১ সালে আবিষ্কৃত এই সাইটটিতে ১৫০টি পাথরের কারুশিল্প রয়েছে।
২. পম্পেই ন্যাপলসের নিকটবর্তী একটি রোমান শহর। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাতে এটি ঢাকা পড়ে গিয়েছিলো। ওই ঘটনায় ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এর দেড় হাজার বছর পরে ১৭৪৮ সালে আবিস্কৃত হয় শহরটি।
৩. বিশ্বে সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম হচ্চে এই ‘স্টোন হেঞ্জ’। প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী এখানে আসন। ধারণা করা হয় এটি তৈরিতে প্রায় দেড় হাজার বছর লেগেছিলো।
৪. মেক্সিকোর পবিত্র স্থান ‘চিচেন ইতজা’। হাজার বছর আগের এই মায়ান সেন্টারটি ৪১৫-৪৫৫ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম স্থাপত্য।
৫. কম্বোডিয়ার সিয়েম রিপ নামক এই খামির রাজ্যের নিদর্শন। ধারণা করা হয় ৯-১৫ শতকের দিকে এটি স্থাপন করা হয়। আয়তনে এটি নিউইয়র্কের ৫টি পৌরসভার চেয়েও বড়।
৬. রোমের কলোসিয়াম। গ্ল্যাডিয়েটরদের শহর বলেই বেশি পরিচিত এই নিদর্শনটি। ৭০-৭২ খ্রিষ্টাব্দে এটি রোমান নাগরিকদের বিনোদনের জন্য রাজা ভেসপাশিয়ান উপহার দিয়েছিলেন।
৭. ১৪ শতকের এই শহরটি এখনো গ্রীসের মাইসিনাতে দাড়িয়ে আছে।
৮. চিলি’র ২৩০০ মাইল পশ্চিমাঞ্চলে এই ইস্টার দ্বীপটিকে বলা হয় মোয়াই অফ রানো রাকাউ। মোয়াইয়ে ৯০০ পাথরের মূর্তি রয়েছে। এবং প্রত্যেকটি মূর্তির ওজন ১৩ টন।
৯. তুরস্কের ক্যাপাডোসিয়া শহরটি আসলে রুপকথার রাজ্যের মতো। এটি হিটি রাজ্যের একটি অংশ। খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এই চিমনিগুলো একইসঙ্গে বাড়ি ও উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত।
১০. জর্ডানের ডেড এবং রেড সি এর...[…]

Travel Image

চন্দ্র বর্মন কোট : প্রাচীন বাংলার রাজধানী

আমাদের ভ’খন্ডের অস্তিত্ব বহু প্রাচীন। ধারনা করা হয়, যাযাবর জাতীয় লোক সর্ব প্রথম এখানে আসেন। খ্রিষ্টপুর্ব পঞ্চ দশ শতকে ভারত বর্ষেও এই অঞ্চলে আর্যদের আগমনের আগে বাংলাদেশের নিজস্ব ভাষা সংবলিত বিভিন্ন জনপদে কৃষি ভিত্তিক নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। লোকজনও খুব পরিশ্রমী ছিল। কৃষি কাজ করে প্রার্চুযময় জীবন যাপন করতে পারতেন। জনপদগুলো সাধারনত দেশের বড় বড় নদ নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল। মৌর্য শাসনের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার শাসন ক্ষমতা বিভিন্ন রাজ বাংলার শাসন ক্ষমতা বিভিন্ন রাজ পরিবারের হাতে চলে যায়। এছাড়াও কিছুকিছু বিদেশী রাজ বংশ আংশিক বঙ্গ শাসন করেন। এদেও মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো গ্রিক, শক, পহলক, কুষান প্রভৃতি রাজবংশের রাজন্যরা। কুষান রাজ বংশের শাসনামলের কিছু স্বর্নমুদ্রা বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে। তবে এই রাজারা কি ভাবে কত দিন কোন কোন অঞ্চলে শাসন করতেন তার সঠিক তথ্যাবলি লিখিত আকারে নেই। বাংলায় গুপ্ত রাজ বংশের সুচনা হয়েছিল ৩২০ খিষ্টাব্দে। কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করেন যদিও গুপ্ত সম্রাটরা প্রায় পুরো ভারত বর্ষ শাসন করেছিলেন তবে তাদের নিবাস ছিল বঙ্গে। সঠিক তথ্য এবং প্রমানের অভাবে এ ধারনা গৃহীত হয়নি। তবে গুপ্ত সম্রাট প্রমান চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে কিছুটা স্থান সম্রাজ্যের অন্তভুক্ত হয়ে ছিল। ষষ্ঠ শতকের গোড়ার দিকে দুর্ধর্ষ পাহাড়ি জাতি হুনদের প্রবল আক্রমনে মহাপরাক্রমশালী গুপ্তসম্রাজ্যেও পতন ঘটে। ফলে ভারতবর্ষে একক শাসনে ফাটল ধরে। গুপ্ত সাম্রারাজ্য টুকরা টুকরা হয়ে প্রায় হয়ে প্রায় পঞ্চাশটি ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত হলো। এদের মধ্যে বঙ্গরাষ্ট্র এবং গৌড় ছিল সবচেয়ে শক্তি ধর। আনুমানিক৫২২ খিষ্টাব্দে প্রাচীন বঙ্গের সবচেয়ে শক্তি ধর রাজ্যের পত্তন হয়। মনে করা হয় বঙ্গের দক্ষিন অঞ্চল অর্থাৎ বর্তমানে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এর রাজধানী ছিল। রাজধানীর নাম ছিল...[…]

Travel Image

সবুজ গালিচায় মোড়া লাউচাপড়া ক্ষনিকা পর্যটন কেন্দ্র

প্রকৃতির রূপ লাবন্য মনোমগ্ধকর ছোট বড় অসংখ্য সবুজ পাহাড়ে ঘেরা বকশীগঞ্জের গারো পাহাড়। প্রকৃতির উজার করা সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা এ পাহাড়ি জনপদ আনন্দ জুড়িয়ে দেয় প্রকৃতি প্রেমিক মানুষের মন। এ পাহাড়ের ২৬ একর বনভূমি জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে লাউচাপড়ার ক্ষনিকা পর্যটন কেন্দ্র । অপার সম্ভাবনাময় এ পর্যটন কেন্দ্রটিকে ঘিরে বিনোদন পিয়াসী মানুষের প্রবল আর্কষণ থাকলেও দীর্ঘ এক যুগেও এর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। ফলে সম্ভাবনাময় এ পর্যটন কেন্দ্রটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিতে গড়ে উঠছেনা।
জামালপুর জেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার এবং বকশীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের তুরা পাহাড়ের পাদদেশে সরকারি প্রায় ১০ হাজার একর জায়গা জুড়ে গারো পাহাড়। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের পাহাড়ি এ বনভূমিতে জামালপুর জেলা পরিষদ ৯৬ সালে ২৬ একর জায়গা জুড়ে গারো পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করেছে ক্ষনিকা নামের পর্যটন কেন্দ্র । জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্রটি বকশীগঞ্জের কামালপুর মিদ্যাপাড়া মোড় থেকে লাউচাপড়া পর্যটন কেন্দ্র পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার পাহাড়ি সড়কটি শেরপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন।
এক যুগ আগে রাস্তাটি নিমার্ণ হলেও ছোট দুটি ব্রিজ ও সড়কটি পনুঃ নিমার্নের অভাবে দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে লাউচাপড়া পর্যটন কেন্দ্রে আসতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবহেলার কারনে রাস্তাটি পুনঃসংস্কার না করায় এক যুগেও লাভজনক এ বিনোদন কেন্দ্রের কোন উন্নয়ন ঘটেনি। এ গারো পাহাড়ে এসে দেখা যাবে হাজারো প্রশান্তির বৃক্ষরাজি পাখিদের কোলাহল, ঝর্ণার কলতানে মুখরিত এ পর্যটন কেন্দ্রে ১শ ৫০ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে ৬০ ফুট সুরম্য পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, টুরিস্ট কমপ্লেক্সসহ নানা স্থাপনা। টাওয়ারে দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকালে চোখ পড়ে শুধু পাহাড়ের দূরের ও কাছের আকাশ ছোঁয়া উঁচু উঁচু চূড়া। এ যেন সবুজ গালিচার মোড়া...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.