Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ঢাকার যে ৮ টি মনোরম স্থান নিমিষেই আপনার মন ভালো করে দেবে

ভেবে দেখুন তো আপনার অনেক মন খারাপ করছে, বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারছেন না, বদ্ধ ঘরের মধ্যে আরও বেশি দম বন্ধ হয়ে আসছে। এই করুণ অবস্থাতে আপনি কী করতে পারেন? ঢাকার মত একটি যান্ত্রিক শহরে কও্ভাববে পেতে পারেন একটুখানি খোলা হাওয়া? আর চিন্তা করতে হবে না। ঢাকার চারপাশে ভালো করে খেয়াল করে দেখুন এমন যান্ত্রিকতার মাঝেও এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে মন এমনিতেই অনেক ভালো হয়ে যায়। সত্যি বলছি, একেবারে মিথ্যা নয়। বিশ্বাস না হলে মন খারাপের মুহূর্তে একবার যাচাই করে দেখতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন এসব জায়গায়। শুধু মনে মনে বিশ্বাস রাখতে হবে আপনার মন ভালো হবেই।
১. হাতিরঝিল :
বর্তমানে হাতিরঝিল সবাই চেনেন। না দেখলে বিশ্বাস হবে না যে এই হাতিরঝিল ছবির তুলনায় বাস্তবে এতটাই সুন্দর। হাতিরঝিলের এই প্রকল্পটি ২০০৭ সালে অনুমোদিত হয় মূলত রাজধানীর বাড্ডা, মৌচাক, গুলশান, রামপুরা, তেজগাঁও এবং মগবাজারের যানজট কমানোর জন্য। কিন্তু প্রকল্পটি এমন সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে যে অনেক ঢাকাবাস্ইী বর্তমানে তাদের অবসর সময় কাটাতে এই হাতিরঝিলে ছুটে যান। আপনার যদি সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায় কোনো এক সময় আপনিও চলে যেতে পারেন এই হাতিরঝিলে। এর সুমধুর খোলা বাতাস আপনার মনকে নিমেষেই ভালো করে দিতে পারে। সন্ধ্যার দিকে যে আলোর খেলা দেখা যায় সেটিও আপনার মনকে ভালো করে দিতে বাধ্য। তাই এবারের মন খারাপে বাসায় গুটিসুটি মেরে বসে না থেকে চলে যান এই সুন্দর জায়গাটিতে।
২. আশুলিয়া :
সাভারের পরে আশুলিয়া এমন একটি সুন্দর জায়গা যেটিকে অনেকেই ঢাকার সমুদ্র সৈকত বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া পাওয়া যাবে এই জায়গাটিতে। বিশেষ করে বর্ষাকালে দিগন্ত বিস্তৃত পানি আর পানির ঢেউ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে...[…]

Travel Image

গুলশান লেকের প্রাণবন্ত বিকেল

চারপাশে সবুজ ঘাস। তিনটা হরিণের একটা ঘাস খাচ্ছে, একটা পা দিয়ে কান খোঁচাচ্ছে। আর অন্য হরিণের কান দুটো সজাগ। ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাচ্ছে। তার সন্দেহ একদম ঠিক। একটু দূরে একটা হিংস্র বাঘ তেড়ে আসছে। -এমন দৃশ্য কোনো গভীর জঙ্গল কিংবা চিড়িয়াখানায় নয়, ঢাকা শহরের সড়কেই দেখা যাচ্ছে। গুলশান লেকের উপর গুলশান ও বনানী সংযোগ সেতুর পাশেই ইট-সিমেন্টে গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রাণীর ভাস্কর্য। লেকের সবুজপাড় আরও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। যার ফলে জায়গাটি বিনোদন পিয়াসুদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বনানী ও গুলশানের সংযোগ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে এবং উদ্বোধন হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে। এতে বনানী ও গুলশানবাসীর যোগাযোগ যেমন সহজ হয়েছে, তেমনই মনোমুগ্ধকর একটি বেড়ানোর জায়গাও তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ অবসর কাটাতে, আড্ডা দিতে, প্রকৃতির সৌন্দর্য খুঁজতে আসে।
গুলশান-বনানী সংযোগ সেতুকে ঘিরে আড্ডায় মেতে উঠেছেন অনেকেই
লেকের দুইপাশের সবুজের ছোঁয়া লেগেছে লেকের পানিতেও। সবুজাভ পানির ছোট ছোট ঢেউ খেলে যাচ্ছে বারবার। লেকের উপরের সেতুতে দাঁড়িয়েই পানির এ ঢেউ ঢেউ খেলা উপভোগ করা যায়। চোখে পড়ে, দূরে ভাসছে নৌকা। আবার লেকের উপর দাঁড়িয়ে থাকা কিছু অবৈধ বাড়িও চোখে পড়বে।
গুলশান লেকের এই অংশে বন্ধুদের সাথে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাজিব হাসান। তিনি বলেন, ‘এখানে এলে সব মিলিয়ে একটু গ্রামের আবেশ পাওয়া যায়। যানজট, গরম আর কোলাহলের এই শহর থেকে নিজেকে আলাদা করতে সময় পেলেই এসে আড্ডায় মেতে উঠি এখানটায়। এমন দৃষ্টিনন্দন সেতু করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সূর্য ডোবার এমন মনোরম দৃশ্যের দেখাও মিলবে গুলশান লেকে
সেতুর পাশেই জেব্রা, হরিণ, বাঘ, ঘোড়া, দোয়েল, টিয়া, মাছরাঙা এবং একটি শুকনো ডালে পেঁচা ও কাঠঠোকরা পাখির ভাস্কর্য যেন প্রাণ ফিরে...[…]

Travel Image

রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে খাগড়াছড়ির রহস্যময় আলুটিলা গুহা

চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন তো, একটা ভয়ংকর অন্ধকার গুহার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছেন আপনি। আপনার হাতের ছোট্ট একটি বাশের মশালটাই গুহায় আলোর শেষ উৎস। পায়ের নিচে এবড়ো থেবড়ো পাথর আর হিম শীতল পাহাড়ি ঝরনার জলধারা বয়ে চলছে। গুহায় কোন মতে চলতে চলতে একপর্যায়ে হামাগুড়িও দিতে হচ্ছে আপনাকে। গুহার দুপাশের দেয়ালও চেপে আসছে ধীরে ধীরে। একসময় হঠাৎ দেখতে পেলেন একটু খালি আলো! ঐ তো সবুজ গাছপালা। কি মারাত্মক রোমাঞ্চকর অনুভূতি তাই না? নাহ, এটা কোনো সিনেমার দৃশ্য না। এমন অনুভুতি পেতে পারবেন আপনিও। আর তার জন্য খুব দূরে কোথাও যেতে হবে না আপনাকে। বাংলাদেশেই আছে এমন অসাধারন রোমাঞ্চকর গুহা!
মানুষের মন মাত্রই রহস্যপ্রেমী। আর তাই যেখানেই কিছুটা রহস্য আর রোমাঞ্চের গন্ধ পাওয়া যায় সেই স্থানটিই আকর্ষন করে মানুষকে। তেমনই আকর্ষনীয় ও রহস্যময় একটি পর্যটন স্থান হলো খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা। খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পযর্টন কেন্দ্রে এই গুহা অবস্থিত। এই গুলার সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ ফুট উঁচু।
আলুটিলার গুহায় যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে টিকেট কেটে নিতে হবে মূল গেট থেকে। এরপর মশাল কিনে নিতে হবে। প্রধান গেট দিয়ে ঢোকার পরে বেশ খানিকটা পাহাড়ি পথ পেরুলেই মিলবে গুহার সন্ধান। গুহার পাথর গুলো পিচ্ছিল। তাই পা পিছলে যায় এমন স্যান্ডেল বা জুতা পরা যাবে না। গুহার মুখে প্রবেশের আগে মশাল জ্বালিয়ে নিতে হবে। মশাল গুলো সোজা করে ধরতে হবে নাহলে কেরোসিন তেল পরে যাবে এবং গুহার মাঝ পথে গিয়েই নিভে যাবে মশাল। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য মোবাইল টর্চ বা টর্চ লাইট নিয়ে যেতে পারেন সঙ্গে।
এবড়ো থেবড়ো পাথরের উপর দিয়ে হেটে যেতে যেতে বেশ রোমাঞ্চকর অনুভুতি হবে আপনার। একটা...[…]

Travel Image

মৃত্যুর পূর্বে যে ৯টি দেশে একবার হলেও যাওয়া উচিত

এমন অনেকেই আছেন যারা ঘুরতে অনেক পছন্দ করেন। সময়ের ফাঁকে ফাঁকে তারা ছুটে যান পৃথিবী ভ্রমণে। দেখে আসেন পৃথিবীর সৌন্দর্য। আমাদের এই পৃথিবীটা আজও অনেক রহস্যে ঘেরা, আর ভরা তীব্র সৌন্দর্যে। এমনই রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখতে কার না ইচ্ছা করে? ভেবে দেখুন, কবে-কখন-কীভাবে মারা যাবেন আপনি নিজেও জানেন না। তাই মৃত্যুর আগে দেখে নিন এই দারুণ সুন্দর পৃথিবীটা। আসুন, জানা যাক ৯টি দেশের তালিকা যেখানে জীবনে একবার হলেও যাওয়া উচিত।
১. বোরা বোরা :
বিশ্বের যে কয়েকটি স্থান পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে সেগুলোর মধ্যে বোরা বোরা আইল্যান্ড অন্যতম। গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে এর জুড়ি নেই। বিশেষ করে নবদম্পতিদের আনাগোনো এখানে সবচেয়ে বেশি। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই দ্বীপে। বোরা বোরা দ্বীপটির অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে। এর আয়তন ২৩০ কিলোমটার, যা প্যাপেটার উত্তর-পশ্চিম এবং অন্তরীক্ষ বাঁধবেষ্টিত। এ দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে একটি মৃত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। 'মাউন্ট পাহিয়া' এবং 'মাউন্ট ওটেম্যানু' দ্বীপটির উচ্চতম স্থান। যেগুলো ভূমি থেকে ৭২৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
এ স্থানটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মূলত এর বিলাসবহুল রিসোর্টগুলোর জন্য। এখানকার উৎপাদনজাত দ্রব্যগুলো মূলত সমুদ্রকেন্দ্রিক। আরও রয়েছে প্রচুর নারিকেল গাছ। যা অর্থনৈতিকভাবে দ্বীপটিকে সমৃদ্ধ করেছে। এক কথায় বলতে গেলে, বোরা বোরা আইল্যান্ড পুরোপুরি পর্যটননির্ভর। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে অনেক রিসোর্ট তৈরি হয়েছে। কারণ একটাই, দিনে দিনে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। এখানকার রিসোর্টগুলোতে অবস্থান খরচ তুলনামূলকভাবে কম। মৌলিকতার দিক দিয়ে থাকার স্থানগুলো ভীষণ আরামদায়ক। ক্যাম্প করেও একসঙ্গে অনেকে দল বেঁধে এখানে থাকেন। তবে অধিকাংশ পর্যটক সমুদ্র তীরবর্তী স্থানগুলোই বেছে নেয়। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি ফ্লাইট বোরা বোরা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মূলত এ অঞ্চলের জনসাধারণ ফ্রেঞ্চ এবং তাহিশিয়ান ভাষায় কথা বলে। তবে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে...[…]

Travel Image

অপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত ‘হা লং বে’

বিশ্বের সুন্দরতম স্থানগুলোর একটি হা লং বে। প্রতি বছর এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে অসংখ্য পর্যটক এই স্থানটিতে বেড়াতে আসেন। ‘হা লং বে’ অথবা ‘হা লং উপসাগরের’ অবস্থান দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামে। এটি ভিয়েতনামের অন্যতম একটি পর্যটন স্পট। ভিয়েতনাম রাজধানী শহর হ্যানয় থেকে ১৬৫ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব দিকে কুয়াংনি প্রদেশে এর অবস্থান। সম্পূর্ণ দ্বীপের আয়তন প্রায় ১৫৫৩ বর্গকিলোমিটার। পুরো এলাকায় রয়েছে প্রায় ১৯৬৫ টি ছোট বড় দ্বীপ। দ্বীপগুলো চুনাপাথরে তৈরি। প্রায় ৫০ কোটি বছর আগে এসব চুনাপাথরের দ্বীপের সৃষ্টি হয়। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশটিতে মানুষের কোন বসবাস নেই। এখানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মৎস্যজীবী বা জেলে। ১৯৯৪ সালে ‘হা লং বে’ কে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।
‘হা লং বে’ উপসাগর এলাকাটাকে নিয়ে একটি অসাধারণ রূপকথা প্রচলিত আছে। এখানে বসবাসকারী দ্বীপবাসীরা বিশ্বাস করেন তাদের পূর্বপুরুষদের রক্ষার জন্য সৃষ্টিকর্তা প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করতেন। পূর্বে যখন এই এলাকার মানুষ নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছিল তখন এখানে জলদস্যুদের প্রচণ্ড উৎপাত শুরু হয়। জলদস্যুরা প্রায়ই তাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যেত। এই জুলুম নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য সৃষ্টিকর্তা প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করেন। পাঠিয়ে দেন একটি ড্রাগনকে। ধারণা করা হয় এর কারণেই এই এলাকার নাম ‘হা লং বে’। কারণ ভিয়েতনামি ভাষায় ‘হা লং' অর্থ ‘ভূমিতে নেমে আসা ড্রাগন'।
যেভাবে যাবেন
হ্যানয় থেকে নিজে ব্যক্তিগত ভাবে অথবা ট্রাভেল এজেন্ট এর মাধ্যমে ‘হা লং বে’ যেতে পারেন। ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্টের সাহায্য নেয়া ভাল। তারা আপনার পুরো ভ্রমণের সব ব্যবস্থা করে দিবে। সাথে থাকবে অভিজ্ঞ গাইড। যারা সার্বক্ষণিক আপনাকে ভ্রমণ বিষয়ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে যাবে। ব্যক্তিগত ভাবে যেতে চাইলে হ্যানয় থেকে বাস অথবা মিনিবাসে করে যেতে পারেন। মিনিবাসে করে যেতে আপনার খরচ পড়বে ১২০,০০০ ডং বা ৬ ডলার। এছাড়াও...[…]

Travel Image

ইতিহাস-ঐতিহ্যে ঘেরা মান্ডু দুর্গ

মান্ডু বা মান্ধবগড় বর্তমানে একটি বিলুপ্ত শহর। ভারতের মধ্যপ্রদেশের পশ্চিমাংশে মালওয়া অঞ্চলে এটি অবস্থিত। জেলাশহর ধর থেকে এর দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। বিন্ধ্যপর্বতমালার শিখরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক দুর্গনগরী মান্ডুই ছিলো একসময় পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্গ। ঐতিহাসিকদের মতে ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিলো মান্ডু দুর্গ। প্রথমে এর নাম ছিল মণ্ডপ দুর্গ। মণ্ডপ থেকে হয় মাণ্ডব। তারপর মান্ডু।
দুর্গটি প্রায় ৪৫ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। রয়েছে ১২টি প্রবেশদ্বার। প্রধান প্রবেশদ্বারটি দিল্লি দরওয়াজা, এরপরেরটি আলমগির দরওয়াজা আর শেষেরটির নাম ভাঙ্গি দরওয়াজা৷ অসাধারণ নির্মানশৈলীর সাক্ষ্যবহনকারী সুন্দর এই দুর্গকে মুসলমান ঐতিহাসিক গুলাম ইয়াজদানি অভিহিত করেছিলেন 'শারাংপুর' বা 'আনন্দের শহর' বলে।
রূপমতী প্যাভেলিয়ন
যুগের পর যুগ ধরে সুলতান, সম্রাট, রাজা, মহারাজারা তাদের রাজত্বকালে মান্ডুকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। নির্মাণ করেছেন একের পর এক অসামান্য স্থাপত্যকীর্তি। ৭৫টি ঐতিহাসিক সৌধ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মান্ডুর নানান জায়গায়। মান্ডুতে ইতিহাস ও ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে বিভিন্ন স্থাপনা। আগেই বলেছি ১২ টি দরওয়াজা রয়েছে এই দুর্গের। প্রধান প্রবেশদ্বারটি দিল্লি দরওয়াজা। দরওয়াজা বা গেইটগুলো বহন করছে সে সময়ের নির্মাণশৈলীর স্বাক্ষর।
মান্ডুর সেরা স্থাপত্যকীর্তি হচ্ছে জাহাজমহল। ১৩৬৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন সুলতান গিয়াসউদ্দিন খিলজী৷ সুলতান গিয়াসুদ্দিন খিলজী তৈরি করেন জাহাজমহল। মহলের দুই দিকে দুই জলাশয়- একদিকে মুঞ্জ তালাও ও অন্যদিকে কাপুরতালাও৷ দ্বিতল বিশাল প্রাসাদের টেরেসে দাঁড়িয়ে দুপাশে দুটি লেকের জলে তাকালে মনে হবে একটি জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে আছেন । এই দুই লেকের জলে নোঙর করা জাহাজমহল ছিলো হেরেমখানা।
জাহাজমহল
হিন্দোলা মহল হচ্ছে একটি দেওয়ানি দরবার হল। স্লোপিং দেওয়াল এবং পিলারের কারসাজি দেখে দেখে মনে হবে মহলটি দোদুল্যমান। তাই এর নাম হিন্দোলা মহল। স্যান্ড স্টোনের অপূর্ব কাজ মহলটিকে করেছে দৃষ্টি নন্দন।
হিন্দোলা মহল
হোসং শাহের...[…]

Travel Image

স্মৃতি বিজরিত জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ

মিরপুরের বেনারশি পল্লী পার হয়ে ভেতরের দিকে এগুলে দেখা মিলবে জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠের (জাদুঘর)। কসাইখানা জাদুঘর নামেও এটির বেশ পরিচিতি রয়েছে। এখানে ২০ হাজারের বেশি বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি হানাহার, অবাঙালি বিহারি আর তাদের দোসররা মিলে এই হত্যাকাণ্ড করে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে এই জায়গায় হত্যা করা হতো।
দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই বধ্যভূমি অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। এরপর ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর এই বধ্যভূমির পরিত্যক্ত পাম্পহাউসটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় খনন কাজ শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ট্রাস্ট (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর)। পরবর্তীতে শহীদদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পাকিস্তানি ও তাদের দোসরদের নারকীয়তা স্বাধীন দেশের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ট্রাস্ট এই উদ্যোগে সেখানে গড়ে তোলা হয় জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ। বধ্যভূমি থেকে ৭০টি মাথার খুলি, ৫৩৯২টি অস্থিখণ্ডসহ শহীদদের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন উদ্ধার করা হয়।
এ স্মৃতিপীঠের আয়তন খুবই সামান্য। ছোট্ট এই জায়গায়ই মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চমৎকারভাবে। ভেতরে প্রবেশ করতেই এক টুকরো সবুজ মাঠ স্বাগত জানাবে। এর চারপাশেই স্বচ্ছ কাচের বাকসোর ভেতরে মাটির সরায় সংরক্ষণ করা আছে বিভিন্ন বধ্যভূমির মাটি। একটি ছোট ঘরের ভেতরে বধ্যভূমির কূপটি স্বচ্ছ কাচে ঘেরা রয়েছে। ছোট ছোট ঘরের ভেতরে সংরক্ষিত রয়েছে শহীদদের স্মৃতি সংবলিত বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন।
বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠে রয়েছে শিল্পী রফিকুন নবীর দেয়ালচিত্র। এতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার শহীদদের কঙ্কাল-করোটি প্রতীকীভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠের পরিকল্পনায় ছিলেন স্থপতি রবিউল হুসাইন।
জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার ব্যয় সংগ্রহের জন্য ব্যতিক্রমী এক প্রয়াস দেখা গেছে। জল্লাদখানার ফটকেই রয়েছে একটি আবেদনপত্র। দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে তাতে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এখানেই রয়েছে একটি কাচে ঘেরা তালাবদ্ধ বাকসো। এতে যে কেউ...[…]

Travel Image

গ্লাস সমুদ্র সৈকত

ক্যালিফোর্নিয়ার ফোর্ট ব্র্যাগের কাছে ম্যাক্যারিচার স্টেট পার্কে এক অদ্ভুত সমুদ্র সৈকত রয়েছে। গ্লাস বিচ নামে পরিচিত এই সমুদ্র সৈকতে গেলে আপনার মন ভরে যাবে নানা রঙের স্বচ্ছ পাথর দেখে। রঙিন পাথরগুলোর উপর সূর্যের আলো পড়ে চিকচিক করে আলোর প্রতিফলন এক স্বর্গীয় দৃশ্যের অবতারনা করে।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ফোর্ট ব্র্যাগের বাসিন্দারা তাদের গৃহস্থালির আবর্জনা আর ইউনিয়ন লুম্বার কোম্পানির পরিত্যক্ত বস্তুসামগ্রি সৈকত ধারে ফেলে রাখে। এগুলোর মাঝে ছিলো কাঁচ, গৃহসরঞ্জাম আর পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি সহ নানা বর্জ। এরপর তারা এগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বর্জের পরিমান কমিয়ে ফেলতে।
এই সব ময়লা আবর্জনা সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে দেখে ১৯৬৭ সালে ক্যালিফোরনিয়া স্ট্যাট ওয়াটার রিসোর্সেস কন্ট্রোল বোর্ড এবং শহরের নেতারা এই অঞ্চলে মানুষ প্রবেশ ও ময়লা ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে শহর কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সমুদ্রের ঢেউ পরিষ্কার করে দেয় সৈকতকে আর জমে থাকা কাচের টুকরা, আর আর বর্জগুলো পুড়ে সংকুচিত হয়ে নানা রকম পাথরের মতো হয়ে গিয়েছিলো। ঢেউয়ে আঘাতে সেগুলোও মসৃণ হয়ে যায়। এখন মনে হয় সমুদ্রতটে পড়ে আছে ছোট ছোট রঙিন সব পাথর, উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ।
১৯৯৮ সালে এই সমুদ্র সৈকত ব্যাক্তিমালিকানায় না রেখে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। তবে তার আগে পাঁচ বছর ধরে এর উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়। ২০০২ সালের অক্টোবরে এই সৈকতকে ম্যাক্যারিচার স্টেট পার্কের আওতাভুক্ত করা হয়।
বর্তমানে প্রচুর পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান। তবে সৈকত থেকে কোন পাথর বা গ্লাসের টুকরা নেয়া সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। গ্রীষ্মে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় থাকে সৈকতে। প্রতিবছর এখানে গ্লাস ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। পাওয়া যায় কাঁচের তৈরি নানা রকম...[…]

Travel Image

অসাধারণ সৌন্দর্যের মন ভোলানো তিব্বত

রহস্য আর বিস্ময়ের দেশ তিব্বত। সাধারণ জ্ঞান পড়ার সময় আমরা অনেকেই নিষিদ্ধ দেশ বা শহর হিসেবে তিব্বতের নাম পড়েছি। শত শত বছর ধরে হিমালয়ের উত্তর অংশে দাঁড়িয়ে আছে তিব্বত নামের এই রহস্যময় রাজ্যটি। তিব্বতে যে কী আছে সে ব্যাপারে সকল পর্যটকের মনই উৎসুক সবসময়। আসুন, আজ দেখি অসাধারণ তিব্বতের মন ভোলানো কিছু দৃশ্য।
হিমালয়ের উত্তরে অবস্থিত ছোট একটি দেশ তিব্বত। সমগ্র পৃথিবী যে সব ভূগোলবিদরা চষে বেড়িয়েছেন তিব্বত অঞ্চলটি তাদের কাছেও একটি রহস্যেঘেরা অঞ্চল। তিব্বতের প্রকৃতি ও পরিবেশ এতই দুর্গম যে তার কারণে এটি সবার কাছে অপরিচিত থেকে গেছে। রাজধানী লাসা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোবি মরুভূমি। মরুভূমির নিষ্ঠুর ও কষ্টদায়ক পরিবেশ এসব এলাকায় মানুষকে কাছে আনতে নিরুৎসাহিত করে।
তিব্বতের বেশির ভাগ ভূ-ভাগ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০০ ফুটেরও ওপরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে বসবাস করা পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের চেয়ে একটু বেশি কষ্টকর। এই অঞ্চলগুলো এতই উঁচু যে, একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়ে থাকে। তিব্বতের স্থলভাগ বছরের প্রায় ৮ মাস তুষারে ঢেকে থাকে। সেজন্য এ সকল স্থানে বসবাস করা যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি এখানে ভ্রমণ করাও বিপজ্জনক।
১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ত্রয়োদশ দালাইলামা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গণচীনের একটি স্বশাসিত অঞ্চল তিব্বত। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এই অঞ্চলটি তিব্বতীয় জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। এই অঞ্চলটি চীনের অংশ হলেও এখানকার অনেক তিব্বতীয় এই অঞ্চলকে চীনের অংশ মানতে রাজি নয়।
১৯৫৯ সালে গণচীনের বিরুদ্ধে তিব্বতিরা স্বাধিকার আন্দোলনে করলে সেটি ব্যর্থ হয়। তখন দালাইলামার নেতৃত্বে অসংখ্য তিব্বতি ভারত সরকারের আশ্রয় গ্রহণ পূর্বক হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে স্বাধীন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানেও তিব্বতিরা নিজেদেরকে চীনের অংশ হিসেবে ভাবেন না। তিব্বতের রাজধানীর নাম লাসা। তিব্বতের অধিকাংশ মানুষই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
তিব্বতের...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.