Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অবিশ্বাস্য জলপ্রপাতযুক্ত বিশ্বের ১১টি সেতু

প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য জলপ্রপাত। সম্প্রতি মার্কিন ম্যাগাজিন ‘আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট’ জলপ্রপাতযুক্ত বিশ্বের ১১টি সেতুর ছবি প্রকাশ করেছে। উপরের ছবিটি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সীমান্তের ইগুয়াজু জলপ্রপাতের পাশে পদব্রজে গমনকারী সেতুর ছবি।
ভিক্টোরিয়া ফলস ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে সীমান্ত।
নরওয়ের লেটফোসেন জলপ্রপাতের পাশে অবস্থিত এ সেতুটি।
জাপানের নাগানো’র ওটারি গ্রামের জলপ্রপাতের পার্শ্ববর্তী সেতু।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া নদীর ঘাটবর্তী ম্যালনোমাহ জলপ্রপাতের পার্শ্ববর্তী সেতুর দৃশ্য এটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের অলিম্পিক ন্যাশনাল পার্কের সল ডাক জলপ্রপাতের পার্শ্ববর্তী সেতু এটি।
জাপানের কিনকি অঞ্চলের মিনু জলপ্রপাতের পাশ্ববর্তী লাল রঙা পায়ে হাঁটা সেতু এটি।
নিউ ইয়র্ক এবং কানাডার ওন্টারিও সীমান্তের মধ্যবর্তী নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পার্শ্ববর্তী রেইনবো সেতু।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ইয়োহো ন্যাশনাল পার্কের টাকাক্কাও জলপ্রপাতের পার্শ্ববর্তী পদব্রজের সেতু।
গ্রিসের কালামবাকার পালাইওকারিয়া জলপ্রপাতের পাশের পুরনো পালাইওকারিয়া সেতু।
[…]

Travel Image

নীলাভ তারাখচিত তারা মসজিদ

এ দেশের বুকে এখনও বেঁচে থাকা সুন্দর সুন্দর স্থাপনাগুলো দেখে বোঝা যায় মধ্যযুগে প্রাচ্যদেশের মানুষ অনেকটাই সৌখিন ছিলেন। ছোট ছোট কারুকাজ খচিত বিভিন্ন স্থাপনাগুলো ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। এমনই একটি সুন্দর স্থাপনা হল পুরান ঢাকায় অবস্থিত তারা মসজিদ।
নির্মাণ :
পুরান ঢাকার আরমানিটোলার আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত এই মসজিদটি। খ্রিষ্টীয় আঠারো শতকে ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম পীর ওরফে মির্জা আহমদ জান মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। এই বিশিষ্ট স্থাপনাটিকে মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ বা সিতারা মসজিদ বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। সতের শতকে দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরে নির্মিত মোঘল স্থাপত্য শৈলী অনুসরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
মসজিদটির বিশিষ্টতা :
প্রথম থেকেই মসজিটি আয়তাকার ছিল। মির্জা গোলাম পীর দ্বারা নির্মিত আদি মসজিদটির পরিমাপ ছিল, দৈর্ঘ্যে ৩৩ ফুট (১০.০৬ মিটার) এবং প্রস্থে ১২ ফুট (৪.০৪ মিটার), গম্বুজ ছিল তিনটি। এর ভিতরে মাঝের গম্বুজটি অনেক বড় ছিল। সাদা মার্বেল পাথরের গম্বুজের উপর নীলরঙা তারার নকশা যুক্ত ছিল। এই তারাখচিত নকশার কারণেই মসজিদটি তারা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। এর পূর্ব দিকে মসজিদে প্রবেশর জন্য ৩ টি এবং উত্তর দিকে ১ টি এবং দক্ষিণ দিকে ১ টি দরজা ছিল।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। এসময় মসজিদটির আকার বৃদ্ধি করা হয় এবং পূর্বদিকে একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি মসজিদের মেঝে মোজাইক করা হয়। চিনিটিকরি কৌশলের এই মোজাইকে ব্যবহার করা হয় জাপানী রঙিন চীনা মাটির টুকরো এবং রঙিন কাঁচের টুকরো। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটির পুনরায় সংস্কার করা হয়। এসময় পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ...[…]

Travel Image

পুরনো ঢাকার আর্মেনীয় গির্জা ও একজন শেষ আর্মেনীয়ান

পুরনো ঢাকার আর্মেনিয়ান গির্জা, এক ঐতিহ্যমন্ডিত আর স্মৃতি বিজড়িত স্থান। আর্মানিটোলায় অবস্থিত এই গির্জায় এক সময় প্রচুর লোকের সমাগম হতো। এখানে মূলত আর্মেনিয়ান অর্থোডক্স সম্প্রদায়ের মানুষজনই বেশি আসতেন, যারা এই এলাকাতেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু কালক্রমে তাদের সংখ্যা কমতে থাকে। আর আজ অনেক অনেক বছর পর পুরনো এই গির্জাতে সেই আর্মেনিয়ান সম্প্রদায়ের একজন মাত্র ব্যক্তিই রয়েছেন।
১৭৮১ সালে আর্মেনিয়ান এপোস্টলিক চার্চের অধীনে এই গির্জাটি নির্মিত হয়, যা কিনা বিশ্বের প্রাচীনতম জাতীয় গির্জা হিসেবে স্বীকৃত। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারের স্থাপত্য বিভাগের আওতাভুক্ত একটি গুরত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এর রক্ষণাবেক্ষণ কাজে এখন একজন মাত্র ব্যক্তিই রয়েছেন, যার নাম মাইকেল জোসেফ মার্টিন। এখানে এখন দর্শনার্থী তেমন আসে না বললেই চলে। যেকারণে গির্জাটিও বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিও পালিত হয় কালেভদ্রে।
মার্টিন ১৯৪২ সালে তার বাবার পথ অনুসরণ করে এদেশে আসেন। আর যেসব আর্মেনীয়রা এই গির্জার দেখভাল করতেন হয়তো তাদের মাঝে তিনিই সর্বশেষ ব্যক্তি। মার্টিন এই প্রাচীন গির্জা আর তৎসংলগ্ন কবরস্থান দেখাশোনা করেন। এতে রয়েছে ৪০০ টি কবর-যার মাঝে একটি মার্টিনের প্রিয়তমা স্ত্রীর। বিশাল এই গির্জাতে মার্টিন একাই থাকেন। মাঝে মাঝে কানাডাতে তার মেয়েদের দেখতে যান।
তিনি জানেন না, তার মৃত্যুর পর কে এই গির্জার দেখাশোনার ভার নেবে। ২০০৯ সালে এএফপি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,হয়তো তার তিন মেয়ের কোন একজন এই দায়িত্ব নিতে পারে। আর এর সাথে বেঁচে থাকবে আর্মেনীয়দের স্মৃতি। কিংবা তাঁর বিশ্বাস পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্ত থেকে আর্মেনীয়রা এসে গির্জার দায়িত্ব নেবেন। মার্টিন বলেন, ইশ্বর কখনোই এরকম একটি স্থানকে অরক্ষিত আর অযত্নে পড়ে থাকতে দিতে পারেন না। স্থানীয় এলাকাবাসীও এরকমই মনে করেন।
পুরনো ঢাকার আরমানিটোলা রোডে অবস্থিত এই...[…]

Travel Image

ভ্রমণের আগে যে খাবারগুলো খাবেন না মোটেও

ভ্রমণ চলাকালীন সময়ে টুকটাক কিছু খাওয়া- এমনটা অভ্যাস আছে অনেকেরই। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের আর দশটা দিনের চাইতে ভ্রমণের দিনটি যেহেতু বেশ কিছুটা আলাদা, তাই এসময় খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপার। পানি আর পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে নানারকম খাবার। যেহেতু এসময় শরীরের খাদ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকেনা তাই খেয়াল রাখতে হবে খাদ্যের পরিমাণ আর সহজপাচ্যতার প্রতিও। আর তাই এসব দিকে লক্ষ্য রেখেই ঠিক কোন কোন খাবার ভ্রমণের সময় এড়িয়ে চলবেন আপনি জেনে নিন।
১. ফাস্ট ফুড
ভ্রমণের আগে ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সাধারনত বাস, ট্রেন, বিমান- সবখানেই সাধারন খাবারের চাইতে বেশি বিক্রি হয় ফাস্ট ফুড। দেখতে আর খেতে ভালো হলেও এই খাবারগুলো আপনার শরীরকে করে তোলে অনেকটাই দূর্বল। এমনিতেই ভ্রমণের সময় শরীরের খাদ্যগ্রহন প্রক্রিয়া ঠিকমতন কাজ করেনা। আর এই অতিরিক্ত পরিমাণ স্নেহ সেটাকে করো তোলে আরো অস্বাভাবিক। বিশেষ করে আকাশে ভ্রমণের সময় রক্ত চলাচলকে বাঁধা দেয় এগুলো। খাদ্যগ্রহন, পরিপাক আর রক্ত চলাচলে অসুবিধা- ভ্রমণের সময় সবকিছুতেই ঝামেলা সৃষ্টি করে ফাস্টফুড।
২. গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার
ভেতর থেকে সমস্যা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে, এমন খাবার থেকে যতটা সম্ভব দুরত্ব বজায় রাখুন ভ্রমণের আগে। গ্যাস এমনিতে ফাস্ট ফুড আর তেলযুক্ত খাবার থেকেই তৈরি হয়। তবে ভ্রমণের সময় গ্যাসের বেলুন হয়ে না উঠতে চাইলে এগুলোর পাশাপাশি বিরত থাকুন ফুলকপি, পেঁয়াজ, বাঁধাকপিসহ আপনার গ্যাস সমস্যার সৃষ্টি করে এমন সব ধরনের খাবার থেকে। কারণ, ভ্রমণের সময় গ্যাসজনিত সমস্যা কেবল আপনারই নয়, ঝামেলা তৈরি করতে পারে অন্যদের জন্যেও।
৩. নেশাজাতীয় দ্রব্য
অনেকেই, বিশেষ করে আকাশপথে ভ্রমণকারী যাত্রীরা ভ্রমণের আগে ভয় দূর করতে অ্যালকোহল পান করে নেন।...[…]

Travel Image

আগৈলঝাড়ায় পয়সারহাট ব্রিজ

পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম পয়সারহাট ব্রিজ ভ্রমণ পিপাসুদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
ঈদে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে আসা লোকজনসহ পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভ্রমণ পিপাসু যুব কিংবা প্রৌঢ়দের একান্তভাবে সময় কাটানো বা চিত্ত বিনোদনের আর কোন সুযোগ না থাকায় ঈদ ও ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী কেন্দ্র হিসেবে অনেকেই বেছে নিয়েছেন পয়সারহাট ব্রিজকে। ব্রিজটি সকল বয়সের নারী-পুরুষদের জন্য হয়ে উঠেছে ইকোপার্ক। এখানে প্রেমিক জুটি থেকে শুরু করে সকল বয়সীরা কাটিয়েছেন রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলো।
সকাল ও বিকেল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটানো ও প্রকৃতির শোভা উপভোগ করার সকল উপাদান রয়েছে এখানে। প্রকৃতির নির্মল বাতাস খোলা আকাশে মেঘের ভেলায় আত্মহারা হয়ে ভেসে চলেছেন যে যার স্বপ্নের রাজ্যে।
ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে এখানে বসেছিল বিভিন্ন ধরণের পণ্যের দোকান। তবে পর্যটনের আনুষঙ্গিক সুবিধাগুলো না থাকা সত্বেও আনন্দ উপভোগের কমতি ছিলনা এখানে ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের।
পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঘুরতে আসা লোকজন যাতে অহেতুক হয়রানি না হয় সেজন্য ঈদের আগে ও পরের কয়েক দিন এখানে প্রশাসনেরও ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। বিশেষ দিন ছাড়াও এই ব্রিজ ও ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে প্রতিদিন বিকেলে শত শত নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন সময় কাটাতে আসেন।[…]

Travel Image

পাহাড় আর হ্রদের মিতালি ফয়’স লেক

অবারিত সবুজের বুক চিড়ে জেগে ওঠা বিস্ময়কর ফয়’স লেক। এই বিশ্বমানের পার্ক ফয়’স লেকে কনকর্ড রিসোর্টস এবং হানিমুন শ্যালে, যা দেশি-বিদেশি পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চট্টগ্রাম শহরের মাঝে শহরের বৃহত্তম এলাকা জিইসি মোড় থেকে ২ মিনিটের দূরত্বে এবং জাকির হোসেন রোডের পাশেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে হ্রদ-পাহাড় ও স্বচ্ছ পানির সমন্বয়ে ফয়’স লেক।
নান্দনিক স্থাপত্য, সুবিশাল পাহাড় আর লেকের সমন্বয়ে গড়ে তোলা এই পার্কে রয়েছে বিভিন্ন রাইডস; যেমন সার্কাস ট্রেন, ফ্যামিলি কোস্টার, ক্যারাওয়াল ফেরিস হুইল, রেড ড্রাই স্লাইড, ইয়েলো ড্রাই স্লাইড, বাম্পার কার, হ্যাপি ডাম্পস সার্কাস সুইং। নৌ ভ্রমণের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় নৌকা, প্যাডেল বোট ও ইলেকট্রিক মোটর বোট। পাহাড়ের বনাঞ্চলে ট্রাকিংয়ের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সুউচ্চ টাওয়ার। লাঞ্চ ও ডিনারের জন্য আধুনিক রেস্তোরাঁ ‘লেক ভিউ’। দেশি-বিদেশি খাবার ও ফাস্টফুডের জন্য বিভিন্ন ফুড ফিউস। দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড়ে মুখর থাকে ফয়’স লেক। বিশেষ দিনগুলোতে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এখানে আপনার জন্য রয়েছে সপরিবারে, একান্তে, সদলবলে, সহকর্মীদের নিয়ে সময় কাটানোর অপূর্ব সুযোগ।
ফয়’স লেক রিসোর্ট
পাহাড়ের গা ঘেঁষে নিরিবিলি পরিবেশে অনুপম নির্মাণশৈলী, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক মান ও সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কনকর্ড গড়ে তুলেছে ফয়’স লেক রিসোর্ট। হানিমুন শ্যালে, গোল্ড ও প্লাটিনাম এই তিন ক্যাটিগরির রুম রয়েছে রিসোর্টে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, রিসোর্টে যেতে হবে স্পিডবোটে। রিসোর্ট গেস্টদের লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে প্যাডেল বোট। রিসোর্টের ব্যালকনি থেকে উপভোগ করা যাবে স্বচ্ছ জলরাশি, সবুজ পাহাড়, ছুটে চলা হরিণ, বুনো খরগোশ, নানা রকম পাখি। রিসোর্ট সংলগ্ন রয়েছে ফ্লোটিং রেস্তোরাঁ, যেখানে বসে সারা যাবে চা-কফির আড্ডা। এখানে আপনার ভ্রমণ ও একান্ত বিশ্রামকে মোহময় করে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই রয়েছে। এ অভিনব...[…]

Travel Image

পর্বত বাগান

শুরুর কথাঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা আমাদের এ দেশ। এদেশের কোথাও কোথাও অবহেলিত,অযত্নভাবে পড়ে আছে সৌন্দর্য। সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ একটু সৌন্দর্যের জন্য ছুটে যাচ্ছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি যেখানে মানুষ ছুটে গেছে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ সৌন্দর্য যেমন চয়ন করেছে তেমনি লালন করেছে প্রানের আবেগ দিয়ে। এমনি এক প্রাকৃতিক প্রেমী,সৌন্দর্যপিপাসু রাস বিহারী পর্বত মাদারীপুরের মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়বাড্ডা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন । ময়মনসিংহ জমিদার সেরেস্তার নায়েবের চাকরি শেষে আপন শখেই গড়ে তুলেছিলেন বাগান।
তৈরি হয়েছিল যেভাবেঃ
১৯৩০সালে রাসবিহারী পর্বতদেশ-বিদেশি প্রায় ৫০০ জাতের ফল ও ফুলের চারা সংগ্রহ করে প্রায় ২০একর জমির ওপর গড়ে তোলেন এ বাগান। সেই থেকে তার নামানুসারে এ বাগান টি পর্বত বাগান নামে পরিচিত পায়। বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোত কুমারনদ বাগানের আকর্ষনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে বাড়তি সৌন্দর্য এনে দেয়। নানা আকৃতির সুন্দর শৈল্পিক পথ বাগান প্রতিষ্ঠালগ্নে হাজার হাজার নারিকেল ও সুপারি গাছ বাগানটি ঘিরে রেখেছে। ছিল আম, জাম, কাঁঠাল, কামরাংগা, আমড়া, কুল, সফেদা, জলপাই, আমলকী, কমলা জামরুল, তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ সহ দেশ বিদেশী বিভিন্ন ফল ও ভেষজ গাছ। বাগাটি নয়নাবিরাম করার জন্য গোলাপ, গন্ধরাজ, টগর, কামিনী, হাসনাহেনা, বকুল, জু্‌ঁই, বেলি, জবা সহ দেশ বিদেশী সংখ্য ফুলের গাছ।
পবর্ত বাগানের সৌন্দর্য ও রূপঃ
প্রায় ১২ রকমের গোলাপ গাছ ছিল পবর্ত বাগানে। বিচিত্র পাখির কল-কাকলিতে বাগানটি ছিল মুখরিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আকৃষ্ট বহু দেশি-বিদেশি পর্যটকও পিকনিক পার্টির আগমন ঘটতো এ বাগানের শোভা দর্শনের প্রত্যাশায়। শীতকালে বাগান সংলগ্ন পুকুরের আগমন ঘটতো বিচিত্র পাখির। ফলে খুব সহজেই আকৃষ্ট হতো পর্যটক। বাগানের মধ্যে ৬টি শান বাধানো পুকুরও রাজবিহারি পবর্তেও বাসভবনটি সবচেয়ে আকর্ষনিয়। এগুলো এখন পরিনত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। ঠুয় এক...[…]

Travel Image

যে শহরে কোন রাস্তা নেই

গাড়ি-ঘোড়ার যানজটবিহীন এমন কোন স্থানে কতদিন থাকতে চাইবেন আপনি? বা ধরুন ভ্রমণই। হ্যাঁ, এরকম স্থান পৃথিবীতেই আছে। রীতিমত শহরাঞ্চলেই আছে।
নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডামের ৭৫ মাইল উত্তরের গিথুর্ন শহরকে আষ্টেপৃষ্ঠে আছে এতগুলো খাল যে যাতায়াতের জন্য আছে প্রায় ১৮০টি সেতু। আর যাতায়াতের জন্য আছে তিনটি মাধ্যম: পায়ে, বাইকে অথবা নৌকায়।
সৌন্দর্য ও রোমান্টিকতার জন্য শহরটিকে ‘ডাচ ভেনিস’ বলা হয়ে থাকে। এমন সুন্দর শহরকে নৌকায় বা হেঁটে আবিষ্কারের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে কে না চাইবে।
শহরটি বিশাল প্রাকৃতিক সংরক্ষণশালা উইরিবেন উইডেন ন্যাশনাল পার্কের মাঝ বরাবর অবস্থিত। আর শহরটিকে ভালোভাবে পরিদর্শন করতে হলে নৌকায় চড়া বাঞ্ছনীয়।
স্থানীয় ছোট জনসংখ্যা ও কম পর্যটক গিথুর্ন শহরকে চিত্রানুগ করেছে। শহরের চারপাশের নিদ্রালু খাল পর্যটকদেরকে স্মৃতিকাতর করে তোলে।
অবশ্যই গ্রীষ্মকালে শহরটি বেড়ানোর জন্য জনপ্রিয় জায়গা। তবে শীতকালেও এটি সমান জনপ্রিয় কারণ সেসময় পর্যটকরা স্থানীয় খাল ও হৃদগুলোতে আইস স্কেটিং করতে পারে।[…]

Travel Image

একটি দালানের মাঝেই সীমাবদ্ধ বিচিত্র শহর

শহর কথাটি শুনলেই কী মনে হয় আপনার? কতগুলো দালান, খেলার মাঠ, প্রশাসন, পুলিশ, পোস্টঅফিস, হাসপাতাল, বিদ্যালয়- এসবকিছু মিলেই তো একটি শহর হবার কথা। কিন্তু শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে আলাস্কার এ শহরটিতে আর দশটি শহরের মতন এ সব উপাদান থাকলেও নেই কেবল থাকবার স্থান। আর তাই পুরো একটি শহরই এখানে তৈরি হয়েছে একটামাত্র দালানকে ঘিরে। ভাবতে পারছেন একটা বিল্ডিং এর ভেতরেই আটকে থাকা কোন শহরের কথা? না পারলে আসুন দেখে নিন বাস্তবেই!
আলাস্কার হোয়াইটার নামক এই শহরটির কেন্দ্রস্থল একটিমাত্র দালান। ১৪ তলার এই দালানে বর্তমানে প্রায় ২২০ জন মানুষ বাস করে। বেইজিক টাওয়ার নামে পরিচিত এই দালানটি সাবেক আর্মি ব্যারাক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এটিই শহরবাসীর একমাত্র আশ্রয়স্থল। শহরের সব মানুষ যে একটি দালানে আটকে যায় তা না। বাইরে গাড়ি, মাছ ধরার নৌকা কিংবা অন্যকোন যানবাহনেও জায়গা খুঁজে নিতে হয় অনেককে। তবে সেটা কিছু মানুষের ক্ষেত্রেই। বাদবাকী বেশিরভাগ মানুষই ঠিকঠাক এঁটে যায় অদ্ভুত এই শহরটির দালানে।
থাকবার ঘর ছাড়াও দরকারি কি নেই এই দালানে? ডাকঘর, পুলিশ স্টেশন, বিদ্যালয়, চার্চ, হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোটখাটো বাজারও রয়েছে এই শহরে। রয়েছে শরীরচর্চার জন্যে জিম আর ভূগর্ভস্থ টানেল। এই ১৪ তলার ভেতরেই! তবে বাদবাকি সবকিছু অনেক বেশি ব্যবহৃত হরেও এখানকার দোকানটিতে কখনোই খুব বেশি ভিড় দেখা যায়না। দালানের প্রতিটি মানুষের হাতেই দেখতে পাওয়া যায় বাইনোকুলার। নানারকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বরফ আর প্রিয়জনের খোঁজখবর রাখতেই এটি ব্যবহার করেন তারা।
পর্যটকদের কাছে পর্যটনস্থান হিসেবে হোয়াইটার বেশ আকর্ষণীয় স্থান। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এখানে ২২ ঘন্টা সূর্যের দেখা পাওয়া যায় বলেই অন্যসব স্থানের তুলনায় এখান সবার ভিড়টাও থাকে বেশিই। তবে এখানে যাওয়ার জন্যে পানিপথ ব্যবহার করার পাশাপাশি পাহাড়ই...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.