Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

পিরামিড

ধু ধু মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। পথিক পথ চলে আর ভাবে কারা নির্মাণ করেছিল এই অট্টালিকা! কীভাবে নির্মাণ করেছিল! এটি কি মানুষের তৈরি নাকি অন্য কোন গ্রহ-নক্ষত্রের বুদ্ধিমান প্রাণী নির্মাণ করেছে এ পরম রহস্যময় কীর্তি! এ প্রশ্নের কোন শেষ খুঁজে পায়নি পথিক।
যা নিয়ে কালে কালে রচিত হয়েছে অজস কথা উপকথা। অবাক কৌতূহল নিয়ে মানুষ বারে বারে ছুটে গেছে তার পানে, তার নির্মাণ কাঠামো আর বিশালত্বের কাছে মাথা নুইয়ে এসেছে। তবুও বিস্ময়ের শেষ হয়নি। এটি আর অন্য কিছু নয় মিসরের পিরামিড। পিরামিড এমন এক স্থাপনা যার বিস্ময়ের বুঝি শেষ নেই।
পিরামিড শব্দটি প্রাচীন গ্রিকদের দেয়া নাম। গ্রিক ভাষায় পিরামিড শব্দের অর্থ হল খুব উঁচু। পিরামিড হল পাথরের তৈরি বিশাল সমাধি সৌধ। এ পর্যন্ত মিসরের প্রায় ৮০টি পিরামিড বা তার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং প্রায় ৭০টি কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। মিসরের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ ও আকর্ষণীয় পিরামিডগুলোর মধ্যে হচ্ছে ফারাও খুফুর পিরামিড, চেপরেনের পিরামিড, খাপরার পিরামিড, মেন কাউরার পিরামিড, তুতেন খামেনের পিরামিড। এসব বিখ্যাত পিরামিড মিসরের প্রাচীন রাজবংশের আমলে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ থেকে ২৫০০ অব্দের মধ্যে স্থাপিত।
পিরামিডগুলোর মধ্যে যেটি সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে উঁচু সেটি মিসরের প্রাচীন রাজবংশের আমলে তৈরি হয়েছিল। এটি বর্তমান কায়রো শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুময় গিজা অঞ্চলে অবস্থিত, বিখ্যাত ফারাও খুফুর পিরামিড নামে পরিচিত। ফারাও খুফুর পিরামিডটি নির্মাণ করেছিল বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হল কীভাবে নির্মাণ কাজ সমাধা করা হয়েছিল। কত লোক লেগেছিল! তারা কত বছরের পরিশ্রমে এরকম একটি স্থাপত্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল!
গ্রিক দার্শনিক হেরোডোটাস মনে করেন, এ কাজে বিপুল সংখ্যক দাসকে নিয়োগ করেছিল ফারাওরা। তিনি এ সংখ্যাকে ১ লাখ বলে উল্লেখ করেন।...[…]

Travel Image

পাতাইয়া সি বিচ

সমুদ্র সৈকত,শপিং,রেস্তরাঁ আর মন্দিরের বিনোদনে সজ্জিত হয়ে আপনাকে আহবান করছে থাইল্যাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শহর পাতাইয়া। ব্যাংককের দক্ষিণে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে এশিয়ার অন্যতম এই সি বিচ রিসোর্ট-পাতাইয়া। এখানে সমস্ত সৈকত জুড়েই আনন্দ বিনোদনের এক উপাখ্যান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আপনার জন্য। পাতাইয়া শহরটা যেন ছবির মত। নানান রকম বর্ণিল বাতির কল্যাণে সারা রাত জেগে থাকে এই শহর। অন্ধকার নামতেই প্রাণ ফিরে পায় শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অজস্র ক্লাব,বার,রেস্তরাঁ প্রভৃতি। অনেক রেস্তরাঁয় ঢুকে সেখানকার সত্যিকারের একুয়ারিয়ামে রাখা বিবিধ প্রকারের মাছের ক্রীড়া দর্শনে মুগ্ধ হতে পারবেন।
যেতে পারেন পাতাইয়ার বিচ রোডে। সেখান থেকে স্পিডবোটে সমুদ্রেস মাঝখানে ঘুরে বেড়াতে পারবেন ঝামেলা ছাড়াই। ডুবুরীর পোশাক পরে নেমে যেতে চাইলে নামতে পারবেন জলে। আর জলের তলে আপনার আবিস্কারের অপেক্ষায় রয়েছে অবারিত সৌন্দর্য।
এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত সৌন্দর্যের নগরী হওয়ার কারণে সারা বছরই অসংখ্য নারী পুরুষের ভীড়ে মুখরিত থাকে পাতাইয়া। আর এই সব দর্শনার্থীকে মুগ্ধ করতে স্থানীয়দেরও রয়েছে নানা আয়োজন আর সেবা। এক কথায় পুরো পাতাইয়া জুড়েই যেন রয়েছে ভালোলাগার অজস্র কাব্য লেখা। একবার গেলে পুনরায় আপনাকে টানবে।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে থাই এয়ারওয়েজ,এয়ার ইণ্ডিয়ার প্লেনে চড়ে সরাসরি ব্যাঙ্কক চলে যাবেন। সেখান থেকে দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে পাতাইয়া যাওয়ার জন্য রয়েছে ট্যাক্সি,এসি বাস প্রভৃতি।
কোথায় থাকবেন
আপনার বিলাসিতার জন্য রয়েছে সমস্ত পাতাইয়া জুড়ে অসংখ্য হোটেল,রেস্তরাঁ। এদের মধ্যে ডিসকভারী রিসোর্ট,এলকে রয়্যাল স্যুট,বেওয়াস রেসিডেন্স অন্যতম।
সিটি ট্যুর
শহর ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে আলকাজার শো,থাই সবমেরিন ট্যুর,এলিফ্যণ্ট ভিলেজ ট্যুর,শ্রীরাছা টাইগার জু ট্যুর,ষ্টোন পার্ক এণ্ড কোকোডাইল ফার্ম ট্যুর,মিউজিয়াম আর্ট সেন্টার ট্যুর প্রভৃতি।
খাওয়াদাওয়া
ইটালিয়ান পিৎজা,জার্মান,সুইস,ফ্রেঞ্চসহ নানান পদের আমেরিকান খাবারও যখন তখন হাতের নাগালে পাবেন। এছাড়াও রয়েছে এ অঞ্চলের বিশেষ ডিশ।
শপিং করতে
আপনার শপিং...[…]

Travel Image

ভ্রমণের স্বর্গ মালয়েশিয়া

একসময় ইউরোপ-আমেরিকার মানুষের কাছে অবকাশ যাপনের জায়গা বলতে ছিল শুধু ক্যারিবীয় আর প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলো। তাদের কাছে পুরো এশিয়ায় বিনোদন-অবকাশের আরেক নাম ছিল থাইল্যান্ড। এখন অবস্থা পাল্টেছে। ধনী দেশের পর্যটকদের কাছে এখন শীর্ষস্থানীয় গন্তব্যগুলোর একটি মালয়েশিয়া।
কুয়ালালামপুর থেকে একটু উপকণ্ঠের দিকে গেলেই চোখে পড়বে পাহাড়ের কোলে কিংবা উপত্যকায় সেখানকার ‘ভূমিপুত্র’ খ্যাত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিচিত্র জীবনযাপন।
রাজধানী কুয়ালালামপুর কিংবা প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়া থেকে খানিকটা বাইরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখান থেকে রাজধানীর অভিমুখে যাত্রা করলে রাস্তার দুপাশে সারি সারি পামগাছের দৃশ্যই বলে দেয় পাম তেল রফতানিতে দেশটি কেন এতটা এগিয়ে।
সুউচ্চ অট্টালিকা শোভিত কুয়ালালামপুর শহর পুরোটাই ট্রেনে করে ঘুরা যায়। অত্যাধুনিক বিপণিবিতানের পাশাপাশি ঐতিহাসিক স্থাপত্য, বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দিরের মতো স্থানগুলোতে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় লেগেই আছে। আছে উদ্দাম আনন্দে বিশ্বাসী পর্যটকদের জন্য গেন্টিং হাইল্যান্ড। তবে ইউরোপ-আমেরিকার পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মালয়েশিয়ার কয়েকটি দ্বীপ। যারা কোলাহল থেকে একটু দূরে শান্ত-নিরিবিলি-নির্জন পরিবেশে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এসব দ্বীপে রয়েছে অসাধারণ সব আয়োজন।
এমনই এক দ্বীপ মাবুল। মালয়েশিয়ার দ্বীপমালার রাজ্য সাবাহের একটি ছোট্ট দ্বীপ মাবুল এখন সারা বিশ্বের সাগরতলার সৌন্দর্যপিয়াসী ডুবুরিদের কাছে অতিপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দ্বীপের চারপাশের স্বচ্ছ পানির নিচে ডুব দিয়ে দেখা যায় সাগরতলের বিচিত্র সব প্রাণী। এই দ্বীপেই গড়ে উঠেছে অনুপম সুন্দর ‘ওয়াটার বাংলো’। এ যেন পানিতেই বসবাস।
এছাড়াও পর্যটকদের কাছে আরেকটি প্রিয় দ্বীপ লঙ্কাউই। অবশ্য এখানে নির্জনতা কম, সারা বছরই পর্যটকে গিজগিজ করে, হোটেল-রিসর্ট-শপিংমলে হৈ-হুল্লোড় লেগে থাকে সারা দিন।
বাংলাদেশিদের কাছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পর সবচেয়ে বেশি পরিচিত নাম পেনাং। সাগর সৈকতের এই শহরে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক সব বিনোদন ব্যবস্থা। এখানেই আছে দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতির এক ফার্ম, যা পৃথিবীর সবচেয়ে বড়। আছে বোটানিক্যাল গার্ডেন,...[…]

Travel Image

ভূটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

দক্ষিণ এশিয়া ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রাকৃতিক নৈসর্গের অন্যতম পুণ্যভূমি হলো আমাদের পাশ্ববর্তী অঞ্চলের দেশ ভূটান। সুবিশাল হিমালয়ের কল্যাণে উঁচু পর্বতমালা,ঘন বনজঙ্গল,সবুজ ভ্যালি ভূটানের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অর্ন্তগত। প্রকৃতির অকৃত্রিম মমতা এবং সবুজে ছাওয়া বিস্তৃত অঞ্চল পর্যটকদের কাছে মনোহরী। ভূটানের ‘ল্যাণ্ড অব দ্য পিসফুল থাণ্ডার ড্রাগনস’ শান্তিময় ভ্রমণের স্বর্গরাজ্য।
সনাতন সংস্কৃতিই হলো ভূটানের ঐতিহ্য। ভূটানই পৃথিবীর একমাত্র ধর্মরাষ্ট্র যেখানে সকল আইনকেই ঈশ্বরের আইন বলে ধরে নেওয়া হয়।
ভূটানের মোহময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ট্যুরিষ্ট অ্যাট্রাকশন যারা ভ্রমণ ভালোবাসেন-তারা কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারেন না। সব মিলিয়ে সার্কভূক্ত ক্ষুদ্র এই রাষ্ট্র ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য বয়ে আনতে পারে সুখকর এবং নতুন এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

থিম্পু
প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের রাজধানীকে সে দেশের সরকার দর্শনীয় স্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্য করে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ভূটানের রাজধানী থিম্পুও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বরং বলা যায় সমস্ত ভূটানের সবথেকে আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক সৌন্দর্যের অবস্থানই হলো এই থিম্পুতে। থিম্পু নদীর তীরে সিলভান ভ্যালিতে অবস্থিত এথনিক ভূটানিজ কলা,স্থাপত্যশিল্প,সংস্কৃতির পীঠস্থান। থিম্পুতে আছে ইউনিক ফ্লেভার যা আপনাকে এখানে আসতে বারবার বাধ্য করবে।
থিম্পুতে কী দেখবেন
সিমতোখা জং ১৬২৭ সালে তৈরি এই জং থিম্পু ভ্যালির গেটওয়ে। থিম্পুর সবথেকে পুরনো এই জঙয়ে আছে রিগনে স্কুল ফর জঙঘা এ্যাণ্ড মোনাষ্টিক ষ্টাডিস। ফ্রেশকো এবং স্লেট কার্ভিংস সিমতোখার বিশেষ আকর্ষণ।
থিম্পু জং - (ফোট্রেস অব দ্য গ্লোরিয়াস রিলিজিয়ন)- থিম্পু জং হলো ভূটানের রাজধানী থিম্পু শহরের প্রাণকেন্দ্র। ১৬৬১ সালে এটি তৈরি। এখানে আছে সরকারি ডিপার্টমেণ্ট,দ্যা ন্যাশনাল এসেম্বলি,রাজার থ্রোন রুম এবং সেন্ট্রাণ মনাষ্টিক বডির গ্রীস্মকালীন হেডকোয়ার্টাস।
মেমোরিয়াল কর্টেন - এটি মূলত স্মৃতিস্তম্ভ। ভূটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙচুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৪ সালে এই স্তুপ তৈরি হয়েছিলো। এর ভেতরের বিভিন্ন পেইণ্টিং এবং স্ট্যাচু বৌদ্ধ...[…]

Travel Image

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুরুজ খলিফা

বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপত্য বুরুজ খলিফা আকাশ ছুঁই ছুঁই করে দাঁড়িয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে। এটিকে বুরুজ দুবাই নামেও ডাকা হয়। ২ হাজার ৭১৭ ফুট উঁচু এ ভবন নির্মাণ শুরু হয় ২০০৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এবং তা শেষ হয় ২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর। ১৬০ তলা এ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি। বাণিজ্যিক এ ভবনের আওতায় রয়েছে ২ বর্গকিলোমিটার বা ৪৯০ একর জায়গা। এতে এমন কিছু বিচিত্র প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো বিশ্বের ১৯৬ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। আর এই প্রতীকগুলোকে ঘিরে রেখেছে যে বর্ডারÑ তা নির্মিত হয়েছে ১৮ ক্যারেটের সোনা দিয়ে।
এটি নির্মাণে জড়িত হয়েছিল ২ কোটি ২০ লাখ লোক। ভবনের মোট পরিসর ৫৬ লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট। ১২ হাজার লোক এই ভবনের ওপর জীবিকা নির্বাহ করেন। আর ১৯২টি পাইলের ওপর স্থাপিত হয়েছে এর ভিত্তিপ্রস্তর।
ভবনটি নির্মাণে খরচ হয়েছিল দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো এলাকাটির শোভা বর্ধন ও উন্নয়নে খরচ গিয়ে পৌঁছেছিল ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ভবনটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইমার প্রপার্টিজ কড়ায়-গণ্ডায় পুষিয়ে নিয়েছিল তাদের খরচ। এমনকি লাভ দেখেছিল দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি বর্গফুট বাণিজ্যিক ফ্লোর তারা বিক্রি করেছিল ৪ হাজার মার্কিন ডলার এবং প্রতি বর্গফুট আবাসিক ফ্লোর বিক্রি হয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার মার্কিন ডলারে।
এর ৩৯ তলা পর্যন্ত রয়েছে আরমানি হোটেল। ৪৩ ও ৭৬তম তলায় রয়েছে চমৎকার সুইমিং পুল। এ ছাড়া ৪০ থেকে ১০৮ তলা পর্যন্ত রয়েছে আবাসিক ফ্লোর। ১২২, ১২৩ ও ১২৪ তলা বাদ দিয়ে বাকি অন্য ফ্লোরগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। আর এই তিনটি তলায় রেস্টুরেন্ট, স্কাই লবি এবং ইনডোর আউটডোর অবজারভেশন ডেক। টিকিট ছাড়া এই অবজারভেশন ডেকে ঢোকা যায় না। এতে...[…]

Travel Image

আলতাদীঘি

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’ কবি জীবনানন্দ দাশের এ উক্তি নিছক কবি-বন্দনা নয়। এদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বিদেশীরা বারবার এদেশের ধন-সম্পদ লুট করে নিলেও নিয়ে যেতে পারেনি এর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তাই তো এদেশের মানুষের কণ্ঠে শোনা যায় ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।’ আর এ দেশ কেন এত সেরা তা উপলব্ধি করতে হলে নিজের চোখে সে সৌন্দর্যকে দেখতে হবে। সে সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে হবে।
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তর দিকে আলতাদীঘির অবস্থান। ধামইরহাট উপজেলা পার হয়ে পূর্ব দিকে একটি ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা পাকা, বাকিটা কাঁচা রাস্তা। রাস্তা দিয়ে হাঁটতেই দু’পাশে বাঁশঝাড় আর গাছগাছালি আপনাকে মুগ্ধ করবে। কিছুদূর গেলে দেখা যাবে রাস্তার দুই পাশে শালবন। এখানে দেখা যাবে বরেন্দ্রভূমির লালমাটির সৌন্দর্য। পাহাড়ি এলাকার মতো উঁচু-নিচু রাস্তা। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ শালবন বর্তমানে সরকারিভাবে সংরক্ষিত। বনের মধ্যে হাঁটলে দেখা যাবে, সূর্যের আলো সরাসরি মাটিতে পড়তে না পেরে গাছের পাতা ভেদ করে বনের ভেতর চাঁদের আলোর মতো রূপ নিয়েছে। যা সত্যিই খুব আনন্দঘন। বনের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে কখনও যদি উইপোকার তৈরি বড় ঢিবি দেখা যায় তবেই বোঝা যাবে বাংলার রূপ সত্যিই কত সুন্দর। বাংলার রূপ কি বিচিত্র। বছরের পর বছর মাটি দিয়ে উইপোকা তৈরি করেছে এসব ঢিবি। প্রকৃতির তৈরি এ বনের মধ্যে এরকম নিখুঁত শিল্প দেখে যে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারবে না। আলতাদীঘির নামেই গ্রামের নাম দেয়া হয়েছে আলতাদীঘি। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি মাটির তৈরি। আবার অনেকে মাটি দিয়েই দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। গ্রাম পার হয়ে...[…]

Travel Image

ভ্রমণ খরচ বাঁচাতে মজার উপায়

আমরা নিজের শহর বা দেশের বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ করি। আর এর বেশিরভাগটাই খরচ হয় বাসস্থান আর খাওয়া-দাওয়ার পেছনে। কিন্তু ভাবুন তো, কেমন হবে যদি আপনার ভ্রমণের খরচের তালিকা থেকে বাদ হয়ে যায় এই বিশাল দুটি ব্যাপারই? সত্যিই কি এমনটা সম্ভব? হ্যাঁ! সম্ভব। কিন্তু কী করে? জেনে নিন ভ্রমণে গিয়ে অল্প খরচে থাকা-খাওয়ার পাট চুকিয়ে ফেলার মজার কিছু উপায়।
১. স্থানীয়দের সাথে থাকা
যে দেশে ঘুরতে যাচ্ছেন সেখানে এমন অনেকেই থাকবেন যারা বিদেশীদের নিজ বাড়িতে রাখতে আগ্রহী সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে। অর্থাৎ পেয়িং গেস্ট। খোঁজার চেষ্টা করুন এমন স্থানীয় পরিবারকে। এক্ষেত্রে কেবল খুবই কম খরচে থাকতে বা খেতে পারাই নয়, আপনি পাবেন স্থানীয় সংস্কৃতি ও তাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোঁয়া। প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইন আপনাকে সাহায্য করতে পারে এক্ষেত্রে অনেকটা। এক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারেন- কাউচ সার্ফিং ( couch surfing ), ট্রাম্পোলিন ( Trampolinn ) বা হসপিটালিটি ক্লাবের ( Hospitality club ) মতন সাইটগুলো।
২. ঘর খেয়াল রাখা
বেড়াতে গিয়ে বিনামূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করার আরেকটি ভালো মাধ্যম হচ্ছে হাউজ সিটিং বা বাড়ি দেখে শুনে রাখা। এক্ষেত্রে আপনি তেমন একজন মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে থাকতে পারেন যে কিনা নিজে বাড়ির বাইরে যাচ্ছে আর কাউকে রাখার দরকার পড়ছে ঘরে সবকিছুর খেয়াল রাখার জন্যে। এক্ষেত্রে আপনি নিতে পারেন বেশ কিছু সাইটের সাহায্য। যেগুলো আপনাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে হাউজ সিটার চাচ্ছে এমন কাউকে। আর এমন কিছু সাইট হচ্ছে- ট্রাস্টেড হাউজ সিটার ( Trusted house sitters ), মাইন্ড মাই হাউজ (Mind My House ) ও হাউজ কেয়ারারস (HouseCarers )।
৩. ঘর বিনিময়
অপ খরচে দেশের বাইরে কোথাও গিয়ে বেড়িয়ে আসবার আরেকটি খুব কার্যকরী উপায় হচ্ছে...[…]

Travel Image

বাংলাদেশের সর্বাধিক দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা

ঢাকা বিভাগ
ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, আহছান মঞ্জিল, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, রাস্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা/মেঘনা, ঢাকেশ্বরী মন্দির, কাজী নজরুল ইসলামের মাজার, বিমানবন্দর, সোনারগাঁও, বিজয় সরণি ফোয়ারা, বসুন্ধরা সিটি, বাকল্যান্ড বাঁধ, বলধা গার্ডেন, অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, শাহআলী বোগদাদির মাজার, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘর, ক্রিসেন্ট লেক, শিশুপার্ক, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-১, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-২, বাংলাদেশ-জাপান সেতু, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, হোটেল সোনারগাঁও, কবিভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহী মসজিদ, জয়কালী মন্দির, আসাদ গেট, বড় কাটারা, শাপলা চত্বর ফোয়ারা, ঢাকা শহররক্ষা বাঁধ, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য, পল্টন ময়দান, অস্ত্র তৈরির কারখানা, শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন, লোকশিল্প জাদুঘর, গুলশান লেক, ওসমানী উদ্যান, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম, হোটেল শেরাটন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, ধানমন্ডি ঈদগাহ, কমলাপুর বৌদ্ধবিহার- কমলাপুর, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ঢাকা তোরণ, বাংলা একাডেমী গ্রন্থাগার, ছোট কাটারা-চকবাজারের দক্ষিণে, কদম ফোয়ারা, বিমাবন্দর রক্ষাবাঁধ, জাগ্রত মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য, স্বাধীনতা জাতীয় স্কোয়ার, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জাদুঘর, রমনা লেক-রমনা পার্ক, যমুনা ভবন, তিন নেতার স্মৃতিসৌধ, মিরপুর স্টেডিয়াম, হোটেল পূর্বাণী-মতিঝিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান পার্ক, বিনত বিবির মসজিদ, শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার, খ্রিস্টান কবরস্থান, বিমানবাহিনীর সদর দফতর গেট, আওরঙ্গবাদ দুর্গ-লালবাগ, সার্ক ফোয়ারা, দুরন্ত ভাস্কর্য-শিশু একাডেমী, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান-টঙ্গী, ধানমন্ডি লেক-ধানমন্ডি, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, চক মসজিদ, গুরুদুয়ারা নানক শাহী, হোসনি দালান, বলাকা ভাস্কর্য, মহানগর নাট্যমঞ্চ, সামরিক জাদুঘর, রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ, শিখা অনির্বাণ, সাত গম্বুজ মসজিদ, কাকরাইল চার্চ, দোয়েলচত্বর ভাস্কর্য, মহিলা সমিতি মঞ্চ, হাইকোর্ট ভবন, মহাকাশবিজ্ঞান ভবন, নভোথিয়েটার, তারা মসজিদ, লালবাগ দুর্গ, বাহাদুর শাহ পার্ক, পুলিশ মিউজিয়াম, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাতীয় আর্কাইভস, রাজউক, ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক, ওয়ান্ডারল্যান্ড, শিশুপার্ক, শ্যামলী শিশুমেলা।
ফরিদপুর
গেরদা মসজিদ,...[…]

Travel Image

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম পানতুমাই

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম হচ্ছে “পানতুমাই” । নয়নাভিরাম, নান্দনিক, অপূর্ব, হৃদয়স্পর্শী সবগুলো শব্দই এই নামের সঙ্গে লাগালেও এর সৌন্দর্যের বিশ্লেষণ শেষ হবে না । বাংলাদেশেই যে এত চমৎকার একটি গ্রাম আছে তা অনেকেরই অজানা । রূপের শহর, রূপের নগরী বলে অনেক শহরেরই খেতাব আছে । কিন্তু বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশের ছোট্ট একটি অনিন্দ্য সুন্দর গ্রামের কোন খেতাব নেই ।

বাংলাদেশের কোল ঘেঁষে প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোলে বাংলাদেশের বুকে নেমে এসেছে অপরূপ এক ঝর্ণাধারা, যার কুল কুল ধ্বনি মনকে দুলিয়ে দিয়ে যায় । ঝর্ণাটির স্থানীয় নাম ফাটাছড়ির ঝর্ণা, কেউ কেউ একে ডাকেন বড়হিল ঝরনা বলে । ঝর্ণাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের মধ্যে পড়লেও পিয়াইন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে উপভোগ করা যায় ঝর্ণাটির অপূর্ব রূপ সুধা । পাশেই বিএসএফের ক্যাম্প, বরইগাছের সারি দিয়ে এখানে দুই দেশের সীমানা ভাগ করা । এখানে বিজিবির কোনো চৌকি নেই, তাই সীমানার কাছাকাছি যাওয়া বিপদজনক । কাছাকাছি না গিয়েও ঝর্ণাটির মোহনীয় সৌন্দর্য্য রস উপভোগ করতে পারবেন প্রাণভরে ।

পানতুমাই সিলেট জেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম যা ভারত সীমান্তের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত । পানতুমাই গ্রামকে যদিও অনেকে “পাংথুমাই” বলে ডাকে কিন্তু এর সঠিক উচ্চারণ “পানতুমাই” । পথের শেষ নেই, পাহাড় ঘেঁষা আঁকাবাঁকা রাস্তাই পানতুমাই গ্রামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে সহজেই হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির মাঝে ।
গ্রামের শেষে পাহাড়ি গুহা থেকে হরিণীর মতোই লীলায়িত উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলেছে সঠিক নাম না জানা ঝরনার জলরাশি । ছিটকে পড়ে মেলে ধরেছে তার রূপের মাধুরী । ভ্রমন প্রিয়াসু মানুষদের ঝর্ণার কাছাকাছি যাওয়া নিষেধ । অনেক আগে ঝর্ণার কাছে যাওয়াও যেত, ঝর্ণার পানিতে নেমে...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.