Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

দক্ষিণ কোরিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই যে ব্যাপারগুলো জানা উচিত



ছুটিতে ঘুরে আসতে চাইছেন কোরিয়ায়? তাই যদি আপনার পরিকল্পনা হয় সেটা তবে এই লেখাটি আপনারই জন্যে। দেখে নিন ঠিক কোন কোন বিষয় সম্পর্কে কোরিয়ায় যাওয়ার আগেই জানা উচিত আপনার।

১. কোরিয়ান ভাষা
কোরিয়ায় যাওয়ার আগে একটা জিনিস অবশ্যই খানিকটা হলেও শিখুন। আর সেটা হল কোরিয়ান ভাষা। ভাবছেন বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি কে না জানে! কিন্তু অবাক করার মতন ব্যাপার হলেও সত্যি যে কোরিয়ার বাচ্চারা বেশ ভালো ইংরেজি জ্ঞান রাখলেও বয়স্করা কিন্তু একেবারেই তাতে অভ্যস্ত না।

২. ভিসা
দক্ষিণ কোরিয়ায় তিন মাসের বেশি প্রবেশ ও ঘোরার জন্যে ভিসা দেওয়া হয়না। কাজের জন্যে যেতে হলে আপনার দরকার হবে ই-২ ভিসা আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

৩. প্রতিষেধক
দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের জন্যে ঢুকতে চাইলে প্রথমেই তারা আপনার শারীরিক কোন সমস্যা আছে কিনা সবকিছু দেখে-শুনে তবে ছাড়পত্র দেবে তারা। আর তাই এই ক্ষেত্রে থাকুন সাবধান। তবে কোরিয়ায় কোন ঔষুধের জন্যে ডাক্তারের কাছে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। ভ্রমণের জন্যে গেলে নিজের সাথেই যতটা দরকার বহন করুন। কারন এখানকার ঔষধগুলো যথেষ্টরকম কার্যকরী হয়। যেমন ধরুন, ডায়রিয়ার জন্যে ডাক্তারের দেওয়া অষুধ খেলে পরের কয়দিন হয়তো বাথরুমেই যেতে হবেনা আপনাকে আর!

৪. টিপস দেওয়া
সাধারনত মাঝে মাঝেই রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খানিকটা টিপস দিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি এখন আমরা। এছাড়াও নানা কাজে মানুষকে সম্মান হিসেবেই টাকা দিয়ে থাকি আমরা। এতে তারা খুশিও হয়ে ওঠে। আর বিদেশে যে ট্যাক্সিতে চড়লে, হোটেলে উঠলে কিংবা রেষ্টুরেন্টে খেলে খানিকটা টিপস দিতেই হবে যেটা জানা ব্যাপার। কিন্তু কোরিয়াতে সেটা একেবারেই আলাদা। এখানে আরো টিপস দেওয়ার ব্যাপারটাকে অনেক বেশি অপমানজনক হিসেবে নেওয়া হয়।

৫. খাবার
কোরিয়ায় গেলে না জেনে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে অপরিচিত কোন খাবার। নিজেদের পৌরুষকে শানিয়ে তুলতে ও আরো নানারকম কারণে এমন অনেক খাবার খায় তারা যেটা আদতেও মুখে দেবার মতন নয়। আপনারই বা আর দোষ কি? কি করে বুঝবেন যে বন-ডেয়াগি নামের খাবারটি আসলে পোকা দিয়ে তৈরি একটি পদ? আর তাই আগে থাকতেই এড়িয়ে চলুন।

৬. যানবাহন
কোরিয়ায় রয়েছে বাস, প্লেন, ট্যাক্সির ভালো বন্দোবস্ত। তবে দ্রুত ও সহজে চলাচল করতে হলে উঠে পড়ুন রেলে। এখানে তিন ধরনের রেল রয়েছে। আর সেগুলো হচ্ছে কেটিএক্স, সেয়ামুল ও মুগাঙঘুয়া। ব্যস্ততা থাকলে উঠে পড়ুন কেটিএক্সে।