*খাবার খুব দ্রুত খেলে এবং ভালো মত চিবিয়ে না খেলে খাবারের সাথে বাতাসও পেটে প্রবেশ করে। এতে করে আপনার পেট বাড়ে অর্থাৎ ভুঁড়ি হয়। তাই খাবার অতি দ্রুত খাবেন না, ভালো মতো চিবিয়ে খান। মনে রাখবেন খাবার হজম হওয়ার প্রকিয়াটি মুখের থেকেই শুরু হয়। আপনি যত চিবিয়ে খাবেন তত হজমের সুবিধা হবে ও আপনার পেটে ফ্যাট কম জমা হবে।
*অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করবেন। ব্যায়াম করতে পারলে ভালো হয়। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করবেন।
*সফট ড্রিংকস বা কোমল পানীয়ের কার্বন-ডাইঅক্সাইড পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে ও পেটেই রয়ে যায়। এই গ্যাস না বের হবার ফলে ভুঁড়ি হয়। যতটা সম্ভব কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। তার পরিবর্তে লেবুর সরবত খান।
*কয়েকমাস নিয়মিত পুদিনা চা পান করুন।
*চিনি এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব। চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। সুতরাং চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। চিনির পরিবর্তে খাবারে অন্য উপায়ে মিষ্টি খাবেন। যেমন মধু কিংবা ডায়েট চিনি। কিংবা সুগার ফ্রি খাবার খাবার চেষ্টা করুন।
*ভুঁড়ি হওয়ার জন্য যে কাজটি সবচাইতে বেশি দায়ী তা হল একবারে বেশি খাওয়া। একবারে বেশি খেলে খাবার হজম হতে বেশি দেরি হয় এবং এতে করে পেটে বেশি ফ্যাট জমা হয়। যার ফলশ্রুতিতে ভুঁড়ি হয়। চেষ্টা করুন খেতে বসলে অল্প খেতে। দিনে ৪/৫ বার খান কিন্তু অল্প পরিমাণে। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে ও পেটে ফ্যাট জমবে না।
*খাবারে যদি অনেক কম ফাইবার ও তরল থাকে এবং কম শারীরিক পরিশ্রম হয়, তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। যার ফলাফল পেটে ভুঁড়ি হওয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই শরীরে ভুঁড়ি দেখতে না চাইলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন। দিনে মহিলাদের জন্য ২৫ গ্রাম ও পুরুষদের জন্য ৩৮গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত। আঁশযুক্ত ফল, শাকসবজি ও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ৬-৮ গ্লাস তরল জাতীয় খাবার পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।