*ঘরের কাঠের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আসবাব মোছার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পরিষ্কার ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। যেমন কাঠের চেয়ার, টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, শোকেস, ওয়ারড্রোব—এগুলো মোছার জন্য অবশ্যই শুকনো ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। ভেজা ন্যাপকিন ব্যবহার করা যাবে না।
*খাবার টেবিলের ওপরের কাচটা মোছার জন্য আলাদা ন্যাপকিন রাখতে হবে। যতবারই খাওয়া হবে, খাবার পরপরই ডাইনিং টেবিলের কাচ মুছে ফেলতে হবে। তা না হলে দাগ পড়ে যাবে। পারটেক্সের টেবিল শুকনো পরিষ্কার ন্যাপকিন দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
*আয়না পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন কাচ পরিষ্কারক তরল। সে ক্ষেত্রে প্রথমে কাচের ওপর কাচ পরিষ্কারক তরল দিয়ে তারপর টিস্যু দিয়ে মুছে ফেললে কিংবা পরিষ্কার ন্যাপকিন দিয়ে মুছে ফেললে নতুনের মতো লাগবে কাচের আয়না।
*দেয়ালে টানানো ছবির ফ্রেম কিংবা দেয়াল সাজানোর সামগ্রীগুলো মোছার জন্য আলাদা পরিষ্কার শুকনো ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে।
*ঘরের ঝুল ঝাড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঝাড়ন পাওয়া যায়, সেসব ব্যবহার করতে পারেন।
*বেসিনের পাশে সব সময় হাত মোছার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে রাখতে হবে।
*রান্নাঘরে যেহেতু আঠালো ভাব থাকে, তাই রান্নাঘরের চুলা, কেবিনেট এসব পরিষ্কারের জন্য আলাদা ন্যাপকিন রাখতে হবে। কখনোই চুলা কিংবা চুলার আশপাশে মোছার ন্যাপকিন দিয়ে কেবিনেট মোছা যাবে না, তাহলে আঠালো ভাব কিংবা কালো দাগ হয়ে যাবে।
*রান্নাঘরে রান্নার সময় হাত মোছার জন্য আলাদা পরিষ্কার তোয়ালে রাখতে হবে।
*থালাবাসন ধোয়ার পরে সেগুলো শুকনো ন্যাপকিন কিংবা নরম পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে তারপর র্যা কে রাখতে হবে, তা না হলে পানি জমে দাগ বসে যাবে।
*রান্নাঘরের চুলা, চুলার আশপাশ মোছার ন্যাপকিন সপ্তাহে তিন-চার দিন পরপরই ধুয়ে রোদে শুকাতে দিতে হবে। আর রান্নাঘরের কেবিনেট পরিষ্কারের ন্যাপকিন সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে রাখতে হবে।
*প্লাস্টিকের আসবাব মোছার জন্য শুকনো ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে।
*জানালার গ্রিল শুকনো ন্যাপকিন দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
*থাই গ্লাস পরিষ্কারের জন্য সাবান-পানিতে ন্যাপকিন ভিজিয়ে তারপর মুছে ফেলতে হবে। পরে আরেকবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুছে নিতে পারেন।
*অনেক সময় ঘরের মেঝে মুছতে আমরা পুরোনো অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করি। কিন্তু এটা ব্যবহার করা ঠিক নয়; বরং পরিষ্কার ন্যাপকিন ভিজিয়ে ঘর পরিষ্কার করা উচিত। ঘরের মেঝে মোছা হয়ে গেলে ন্যাপকিন সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে রাখতে হবে, তা না হলে গন্ধ হয়ে যাবে কিংবা দাগ পড়ে যাবে।
*ঘরের মেঝ পরিষ্কারের জন্য মপ, নাইলনের সুতা বাঁধা ঝাড়নগুলো ব্যবহার করতে পারেন। মপের মাথায় যে ফ্লানেলের কাপড় থাকে, সেটা ঘর পরিষ্কারের পরপরই ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে।
*ঘরের আসবাব পরিষ্কারের ন্যাপকিন সপ্তাহে এক দিন পরিষ্কার করতে হবে।
...আপনার বাসায় অবশ্যই থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতার ছাপ। ঘরের কোনায় কোনায় জমতে দেওয়া যাবে না ঝুল কিংবা মাকড়সার বসতি। ঘরের প্রতিটি সামগ্রী পরিষ্কারের জন্য ন্যাপকিন, ডাস্টার, তোয়ালে যা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন, ঘর পরিচ্ছন্নের জন্য সেটিকেও সাবান কিংবা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে-মুছে রোদে শুকিয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই ঘর হবে জীবাণুমুক্ত।