Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Lifestyle Image

শত ব্যস্ততায় কিছুটা মানসিক শান্তি



আমাদের মানসিক শান্তি দিনে দিনে দূরে চলে যাচ্ছে ব্যস্ততার কারনে। শত ব্যস্ততার মাঝেও মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক করে শান্তি বজায় রাখার কয়েকটি কৌশল নিচে দেয়া হল-

*যে কোনো চাপের মুহূর্তে মানুষের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলো ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া। তবে এটি তারা না বুঝেই করে। একটি ঝামেলাপূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার পর মানুষ দীর্ঘশ্বাস নেয়। একে বলা হয় ‘হাফ ছেড়ে বাঁচা।’ আর এ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার বিষয়টি মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে। কয়েকবার দীর্ঘশ্বাস ফেললে তা সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।

*একের পর এক অক্ষর সাজিয়ে সুন্দরভাবে হাতের লেখার অনুশীলন করুন। আর এজন্য প্রতি মুহূর্তে সচেতনতার চর্চাও হয়। এ ধরনের আরও সৃজনশীল অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে বাগান তৈরি ও সঙ্গীতচর্চা।
তবে এসব কাজ করতে হবে একমনে। এ ধরনের সৃজনশীল কাজ করার সময় যদি আপনি কম্পিউটার, ইন্টারনেট কিংবা টিভি চালু রাখেন তাহলে এসব উদ্দেশ্য পূরণ হবার সুযোগ নেই বললেই চলে।

*থালাবাসন ধোয়ার মতো কাজ অনেকেরই খুব বিরক্তিকর মনে হতে পারে। কিন্তু এ বিষয়টি আপনার অনুভূতি ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য দারুণ একটি সুযোগ হতে পারে। আপনার হাতের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পানি কিংবা আঙুলের মাঝে সাবানের বুদবুদ অনুভব করুন।

*আমরা অনেকেই সকাল এবং রাতের বেলায় কয়েকটি নির্দিষ্ট ও অতি প্রয়োজনীয় কাজ করতে অভ্যস্ত। এর বাইরে কোনো কাজ করতে আমরা আগ্রহী হই না। ফলে সকালের সুন্দর সম্ভাবনা নষ্ট হয়। কিন্তু আমরা যদি সকালটি এভাবে নষ্ট না করে তার সম্ভাবনা কাজে লাগাই তাহলে তা অনেক উপকারে আসবে। এজন্য সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে একটু সময় বের করে মেডিটেশন বা ধ্যান করা যেতে পারে। এ সময় সারাদিনের কার্যক্রম বিষয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করা যেতে পারে।

*কাজের সময় উপভোগ করা কিংবা মনোযোগ ফিরিয়ে আনার একটি অন্যতম উপায় হতে পারে মেঝেতে পা রাখা। ধরুন একটি দীর্ঘ মিটিংয়ে আপনার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য মেঝেতে আপনার দুই পা রেখে তা অনুভব করার চেষ্টা করুন। কয়েক মুহূর্ত এ কাজ করলেই তা আপনার দেহ ও মনের উন্নতিতে সহায়ক হবে।

*কাজের বিরতিতে মানসিক শান্তি ও মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য একটু হেঁটে নেওয়া খুবই কার্যকর হতে পারে। একটু সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কিংবা খোলা বাতাসে হেঁটে নিন। এ সময় অনুভব করুন আপনার পায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ, বাতাসের তাপমাত্রা ও আপনার ত্বকে লাগা বহমান বায়ুর অনুভূতি।