আন্ডার আর্মের বেশ কালচে আর রুক্ষ্ম হয়ে থাকে অধিকাংশ ব্যক্তিরই, যা তার দেহের সামগ্রিক সৌন্দর্যকেই ব্যাহত করে। এটা আবার কারও কারও জন্মগতভাবেই হয়ে থাকে, আবার কারও কারও বিশেষ কিছু কারণে হয়ে থাকে। সমগ্র শরীরের অন্যান্য অংশের ন্যায় এই অংশটিরও যথার্থ পরিচর্যা নিলে এই বিচ্ছিরি দাগের সমস্যা হতে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেই-
কারণঃ
• শেভিং করার কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। আমরা অনেক সময়ে কিছু শেভিং ক্রিম বা ভিট জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করে থাকি যা ত্বকটিকে পুড়িয়ে কালচে দাগ করে ফেলে।
• সবসময় লুকিয়ে রাখা এই ত্বকটির কোষ আলো বাতাসের অভাবে মরে গিয়ে এই কালো দাগ তৈরি হতে পারে।
• ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলেও এই সমস্যাটি তৈরি হয়।
• ত্বকের সাথে ঘর্ষণের ফলেও এই কালোদাগ হতে পারে।
• বংশগত হরমোনের কারণেও হতে পারে এই সমস্যা।
• যাদের ডায়বেটিস রোগ আছে তাদের এই সমস্যাটি প্রকট আকারে হেয়। কেননা শরীরের ইনসুলিন এই সমস্যাটি তৈরি করতে সহায়ক।
প্রতিকারঃ
* বগলে কালো দাগ হওয়ার মূল কারণ হল বিভিন্ন হেয়ার রিমুভার ক্রিম। এর পরিবর্তে আপনি যদি প্রাকৃতিক কিছু উপকরণ যেমন চিনি, লেবু ইত্যাদি দিয়ে ওয়াক্সিং করেন তাহলে এই দাগ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
* বগলের নিচের ত্বকটিকে উজ্জ্বল করে তোলার আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হল লেবুর রস ঘষা। লেবুর রস কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
* এই সমস্যাটি দূরীকরণে বাসায় তৈরি একটি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য লেবুর রস, হলুদের গুঁড়া, ময়দার গুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ব্যবহার করুন।
* আলু এবং শসা এই সমস্যায় উপকারে আসে। ১৫ মিনিট এই আলু বা শসা বগলের ত্বকে ব্যবহারে কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
* জাফরানের গুঁড়াও এই সমস্যাটির সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এরজন্য জাফরানের গুঁড়ার সাথে ২ টেবিলচামচ দুধ মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বগলের ত্বকে ব্যবহার করুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রাকৃতিকভাবে কালো দাগ দূর করে।
* প্রয়োজনে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন কেননা এটি ত্বকে বিভিন্ন ফাংগাস তৈরির মাধ্যমে ত্বক কালো করে ফেলে। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক কোনো উপাদান যেমন বেকিং সোডা, অ্যান্টি ফাংগাল পাউডার এবং ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন।
* চন্দনের গুঁড়া বা গোলাপজল ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে কালচে ভাব থেকে দূরে রাখে।