Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

সারপ্রাইজ

প্রিয়তমাকে না জানিয়ে
তার সাথে দেখা করতে চলেছি আজ
জন্মদিনের প্রিয় মুহুর্তটি আরো প্রিয় করে তুলতে
সারপ্রাইজের বাহারি চমকে,
অনেক স্টাইলিশ সাজে বের হয়েছি
চোখে সানগ্লাস, চুল স্পাইক করা
এমরিকান ঈগল'র চেকের শার্ট আর
সেলিও'র নীলাভ ন্যারো ডেনিম পরনে
পায়ে এডিডাস'র শাদা কনভার্স সু
বন্ধু-বান্ধবের কাছে খুব বাহবা পেয়ে
মনে সাহসের তুফান বইছে
অজানা শিহরন তো রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছেই।
যেতে যেতে কত কথা সাজিয়েছি
কথার মালায় কত কৌতুক গেঁথেছি
তাকে একটু হাসাবো বলে
মেয়েরা হাস্যরস পছন্দ করে কি না তাই
পৃথিবীটা হঠাৎ রোমান্টিক লাগছিলো
যেদিকে তাকাই শুধু খুশি আর খুশি
দুঃখ বলতে আমার ডিকশনারিতে
সেই সময় কোন শব্দ চোখে পড়ছিলো না
ভালবাসা এতো দ্রুত জীবনকে... continue reading

২৫০

মোঃ ইয়াসির ইরফান

৭ বছর আগে লিখেছেন

আগুনে ফুলের গল্প


ঘুম ভাঙতেই পেটের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল সাঈদের । মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ পড়তেই তড়াক করে লাফিয়ে উঠল সে । সর্বনাশ, আটটা বাজতে মাত্র পনেরো মিনিট বাকী ! হাতে একদম সময় নেই । ভার্সিটির বাস ধরতে গেলে এক্ষুনি বেরোনো দরকার । কোনমতে মুখে পানির ঝামটা দিয়ে, দুই মিনিটের মধ্যে ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল সে ।
রাস্তা দিয়ে কিছুটা আসতেই মাথাটা যেন ঘুরে উঠল তার । একী, ভয়ানক কান্ড ! গাছের মাথায় তো যেন আগুন ধরে গেছে ! পুরো লালচে আভায় যেন ভরে গেছে গাছের মাথাটা । এই দৃশ্যের প্রতি অদ্ভুত এক দূর্বলতা সাঈদের জন্মগত । তার পা... continue reading

৪৬৬

কল্পদেহী সুমন

৭ বছর আগে লিখেছেন

ইতুর বিয়ে

ভালোবাসা কখনো নিশ্চুপ হয়ে যায়। খুব অসহায়ও হয়ে যায়। সমাজ, সংসার, পরিস্থিতি সবকিছুই মিলে কখন যে স্বাভাবিক জীবন চলার গতিকে পাল্টে দেয় তা বুঝাই যায়না। যদি মানুষ আগে থেকেই আঁচ করতে পারতো তার সাথে কি ঘটতে চলেছে তাহলে সে অবশ্যই এমন কিছু করতো যা তার জীবন চলার গতিকে পাল্টে না দেয়, আর যদি সে কোন ভাবেই কিছু করতে না পারতো তাহলে আগে থেকেই সেই পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারতো। কিন্তু আজ ইমন কিংবা ইতুর সাথে এমন কিছুই ঘটতে চলছে যা কখনোই তারা ভাবেনি।
হঠাৎ করেই ইতুর বাড়িতে মানুষজন এসে ভীড় করে। তাকে শাড়ি পরানো হয়েছে পাত্রপক্ষকে দেখানোর... continue reading

৩৪৮

কল্পদেহী সুমন

৭ বছর আগে লিখেছেন

ইতুর বিয়ে

ইতুর বিয়েটা হয়তো এবার হয়েই যাবে । কথা যা ঠিকমতো চলছিলো তা দেখে মনে হচ্ছে এবার আর কে ঠেকাবে তার বিয়ে । এবার বিয়েটা হয়েই ছাড়বে তার । একদিকে মরিয়া তার বাবা তার বিয়ে দেওয়ার জন্য, অন্যদিকে পাড়ার ছেলেদের অতিষ্ঠ যন্ত্রণায় বিয়ে দেওয়াটা এক রকম বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে । বর্তমান যুগের কিছু উঠতি যুবক অল্প বয়সে এতো অশৃঙ্খল হয়ে যায় যে যার জন্য সমাজের কিছু মেয়েরা ঠিকমতো বাহিরে যেতে পারেনা । বের হলেই এসব অভদ্র, নিম্ন মনের ছেলেদের মুখোমুখি হতে হয় । কখনো কখনো এসব ছেলেদের ভয়ে মেয়েরা থুবড়ে পড়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে নতুবা পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে... continue reading

৪২২

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

ওঠো আমার খুকি

ঘুম ভেঙেছে খুকি?
চেয়ে দেখো রঙিন আলো
মুছে ফেলে রাতের কালো
দিচ্ছে উঁকিঝুকি
ওঠো আমার খুকি।
ডালে ডালে ফুল ফুটেছে
মেঘের বহর ঘ্রাণ লুটেছে
পরীর সাথে পুতুল মেয়ে
খেলছে টোকাটুকি
ওঠো আমার খুকি।
ঘাসের মেয়ে বউ সেজেছে
শিশির গলে সুর বেজেছে
গানের দেশে জলের ভেলা
চলছে হাকালুকি
ওঠো আমার খুকি।
continue reading

৪২০

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

দিন শেষে শুধু আমিই ছিলাম আমার

রঙিন নেশায় মত্ত হয়ে পেয়েছি অথই আঁধার
দিন শেষে শুধু আমিই ছিলাম আমার, আমিই ছিলাম আমার।
নেশার ঘোরে যায় কেটে বেলা
চারদিকে বৃথা ফানুশের মেলা
অযথা দু'চোখে স্বপ্নের ভেলা
অনুভূতি নিয়ে করে যায় খেলা
হিশেব কষে পেয়েছি খুশি একরাশ যন্ত্রণার
দিন শেষে শুধু আমিই ছিলাম আমার, আমিই ছিলাম আমার।
যা কিছু ভেবেছি আপন করে
ছলনা দিয়েছে দু'হাত ভরে
চাওয়াপাওয়া থাকে শূন্যের ঘরে
অশ্রুফোয়ারে আশাগুলো ঝরে
বুকের গভীরে জমিয়েছি শুধু কষ্টের ভাণ্ডার
দিন শেষে শুধু আমিই ছিলাম আমার, আমিই ছিলাম আমার।
যেখানে ছিলাম, সেখানেই ফের এসেছি দ্যাখো আবার
দিন শেষে শুধু আমিই ছিলাম আমার, আমিই ছিলাম আমার।
continue reading

৪১৫

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

একদিন বুঝবে প্রিয়

একদিন বুঝবে প্রিয়
কেউ একজন তোমার দৃষ্টির আড়াল হলে
হৃদয়ের যাতনায় ছটফট করতো অব্যক্ত ব্যাকুলতায়
চারপাশে সবই থাকতো, তবুও শূন্য লাগতো তার পৃথিবীটা
হারানোর ভয় যখন তাকে ঘিরে ধরতো অক্টোপাসের মতো
সিঁড়ি ভেঙে ছাদের কোনো এক নিভৃত কোণে দাড়িয়ে
আকাশের নীল জলে শুধু তোমার মুখচ্ছবি খুঁজে বেড়াতো সে।
একদিন বুঝবে প্রিয়
কেউ একজন তোমার কথার অপেক্ষায় থেকে থেকে
হাজারো নির্ঘুম রাত কাটাতো কোনো রূপ ক্লান্তিহীন চোখে
শুধু একটিবার তোমার পবিত্র কন্ঠ থেকে 'তুমি' শোনার জন্য,
আলাপ যদি না হতো তার তোমার সাথে কারণে-অকারণে
ব্যালকনিতে বসে কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাতো সে লোনাজলে
আর চেয়ে থাকতো তোমার হাসিমিশ্রিত কোনো নতুন সূর্যোদয়ে।
একদিন বুঝবে প্রিয়
কেউ একজন... continue reading

৩৩৪

নদী

৭ বছর আগে লিখেছেন

যে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনার নির্ঘুমে বাঁচে...............

পৃথিবীর পথে হাটতে গেলে পায়ের তলায় খানিক অবলম্বন লাগে। আর তাই তুমি যখন ভালবেসে কাছে ডাকলে, হাত বাড়ালে আমিও পারলাম না তোমাকে ফিরিয়ে দিতে। তোমাকে ভালবেসেই জেনেছিলাম, ভালবাসায় কত্ত সুখ তেমনি তোমাকে হারিয়েই জেনেছি ভালবেসে দুঃখ পেলে কতটা পোড়ায় এই মন। তোমার জন্যই জেনেছি ভালবাসা আর বিরহের কত্ত রং, কতটা পুড়লে সোনা খাঁটি হয় জানি না কিন্তু তোমার দেয়া দুঃখের অনলে পুড়ে আমার আকুলতা বেড়েছিল বাঁচার আর তোমাকে একান্ত করে কাছে পাবার। আগুনে পুড়লে কষ্ট হয় কিন্তু ভালবাসার অনলে না পুড়লে জানা যায় না তাতেও যে কত সুখ আর তাই পুড়ব জেনেও অনলেই ঝাপ দিয়েছিলাম,পুড়তেও যে ভাল লেগেছিল।
মাঝে মাঝে... continue reading

৫০৭

ইফ্ফাত রুপন

৮ বছর আগে লিখেছেন

একটি মৃত্যুবরণ

সবকিছু ঠিক ঠাক মতো গুছিয়েছো তো?
হ্যাঁ বাবা গুছিয়েছি।
গরম কাপড়, সুয়েটার নিয়েছো তো? সিলেটে কিন্তু এখন অনেক ঠাণ্ডা পরছে।
আরে হ্যাঁ সবকিছুই নিয়েছি।
আর কিছু লাগবে তোমার? লাগলে বল আমি এনে দিচ্ছি। মোবাইলের চার্জার নিয়েছ তো? পরে আবার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাবে তোমাকে আমি আর খুঁজে পাব না।
আরে বাবা সব কিছুই নিয়েছি। কিছুই বাদ রাখি নি। আর আমার কিছু লাগবে না । চল তো বের হই।
তুমি শিওর তো?
হ্যাঁ আমি শিওর। চল বের হই।
এই বলে নাদিয়া রাতুলের হাত ধরে টান দেয় বের হবার জন্য। নাদিয়া জানে রাতুলকে এভাবে বের না... continue reading

৪৬১

নুরউদ্দীন রিয়াজ

৮ বছর আগে লিখেছেন

স্মৃতিকুঠীর

হাতুড়ির ঝংকার চলে সারাদিন,
রাতের বেলায়,
এক পাল কুকুরের হুংকার।
মধ্যরাতে,
ব্যালকনিতে ঢুলি।
তিনতলা দালান;
সামনে সরু গলি
নিচ তলায় আটজন,
মিলেমিশে থাকে সব,
করে গাদাগাদি।
দোতলাতে বাড়িওয়ালার বাস,
তেতলাতে থাকি শুধু,
আমি আর,
হরিজন দাস।
আমাদের ঘরটি ঠিক সিঁড়ির পাশে।
দরজার ওপাশে আধখানা ছাদ।
একঘরে দুজনার
দিনগুলি আঁটা।
তিনতলা বলি, তবে;
আসলে, চিলেকোঠা।
নোনা ধরা দেয়ালের,
ঘেমে ওঠা স্বভাব।
হতশ্রী দেয়ালের-
আলগা সব চুন সূড়কি সরিয়ে,
রক্ষে যে করেছি;
খবরের কাগজে মুড়িয়ে।
একই থালা, একই বাটি,
একই কড়াই, একই বটি।
ভাগাভাগি করি দুজনাতে,
ভ্রাতৃত্ব একাকার-
দারিদ্রের হুমকির ধ্বনিতে।
ধুলোজমা চশমার কাঁচ,
শার্টের কোনা দিয়ে বুলিয়ে;
পৃথিবীকে দেখি রোজ,
কথা বলি... continue reading

৩৯০