Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

নাসির আহমেদ কাবুল

১০ বছর আগে লিখেছেন

রূপাইয়ের প্রতি অনিন্দ্য’র অভিযোগ

রূপাইয়ের সাকিন নেই, কী জানি কোথায় ঘুরে বেড়ায়!
সংসারী হয়েছিল, নাকি চিরটাকাল বিবাগী থেকে গেলো,
এতোসব রূপাই জানে; তবু মাঝে-মধ্যে খবর আসে
রূপাই সংসারী গোছানো সংসারে। ওর আঙিনায় এখন
যুঁই-চামেলী ফোটে, শরতে শিউলি ঝরে শিশির সিক্ত হয়ে!
শ্যাওলা জমা পুরানো ঘাটে রূপাই কোন কোন রাতে
আকাশে তারার মাঝে একটি মুখ খুঁজে খুঁজে খুব ক্লান্ত হয়ে
অনিন্দ্যকে নিন্দার কাঁটায় জীর্ণ করে- ‘তুই খুব নিষ্ঠুর,
তোকে ঈশ্বর কোনদিনই ক্ষমা করবেন না অনিন্দ্য।’
রাত বাড়ে, দুঃখের বোঝা খুব ভারি মনে হয় রূপাইয়ের।
কত কথা মনে পড়ে; স্মৃতির ধূলো থেকে অনিন্দ্যকে তুলে
দক্ষিণা বাতাসে বিন্যস্ত চুলে আঙুল... continue reading

১৭ ৬০৯

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

হাওয়া জলে জীবন গেল

হাওয়ায় উড়ে মেঘের যৌবন
বীজ বুনে সাগড় যে তার, অঙ্গ লীলায় অমীয় সাঁজ
ক্ষণে ক্ষণে রুপ বদলের, আচমকা বাহারি রঙ্গ রণে
ধরা যেন তারই সাজে সাজিয়ে সঙ্গ।
এমনি খেলায় জন্ম মৃত্যু
কালে কালে শুধু প্রজন্ম বদল, ছাপ চিত্রে তার সাক্ষ্য মিলে
চিতায় পুড়া নিথর অঙ্গ, সাগর জলের সেই সেই নুন ছাকনি
হাওয়ার জলের সেই হারিয়ে খেলা।
সেই খেলাতেই ডুবছি মজে
আহার নিদ্রা সব গো গ্রাসে, চেতন ফিরলে আবার সেই মেলা
অঙ্গ লুকাই কোন কোন সে আঁধারে, যে আঁধারে অঙ্গ হারায়
হাওয়া জলের না পাই দেখা।
1420@ 20 আশ্বিন, শরত্কাল।
continue reading

৬১৪

কাজী মেহেদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

যৌথ দীর্ঘশ্বাস

যদি তুমি দুঃস্বপ্নই হও
তবে এসো
এ বেলায় আমি আর জাগবো না!
নতুবা তোমাকেই বলতাম
কারো প্রতীক্ষায় বিনিদ্র কাটিয়ে দেয়া সহস্র রজনীর গল্প!
চর্যার চেয়েও প্রাচীন এক রূপকথা।
সোনার কাঠির ছোঁয়ায় সে কেমন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।
 
যদি তুমি কলঙ্ক দাও
তবে দিও
যক্ষের ধন করেই বুকে রেখে দেবো সে কৃষ্ণগাঁথা!
অথচ, তোমাকেই দেখানোর ছিল বুকের যত গোপন আলোকচিত্র
সময়ের ধুলোয় কত বিবর্ন অপেক্ষা আর রিক্ততার জলছবি।
 
জানি, তুমিও চোখের পাতায় ধরে রেখেছো সেই সোনারঙ্গা দিনগুলো
তোমার মনের সেই দূর্বোধ্য শিলালিপি
তার যথার্থ অনুবাদক তো আমিই ছিলাম
আমিই তো... continue reading

৫৫৩

আলভিনা চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

তোমাকে, প্রিয় অপরাজিতা

 
আমি জানতাম না,
এক অপরাজিতা ফুল রোজ নীল লজ্জার আড়াল থেকে আমাকে দেখে !
আমি হাসলে ওর চোখ মুগ্ধতায় ভেজে,
আমি গাইলে ও সুর মেলাতে ব্যাস্ত,
রঙ জ্বলা দুপুরেও ও অপরাজিতা টা আমাকে রাঙ্গাতে চায়!
অকারণেই যখন আমার চোখে অভিমানের জ্বালা;
চুপিচুপি সে আমার আকাশে এক বর্ষার সমস্ত মেঘ পাঠিয়ে দেয় !
স্বার্থপর ভালোবাসায় বেদনাহত আমি যখন   কেঁদে উঠি,
সে আমাকে চিঠি পাঠায়,
 “  অতন্দ্রিলা, তোমার চোখ আজ তেপ্পান্ন ফোঁটা  অশ্রু ঝরিয়েছে “ !
 
 
continue reading

৬৮৮

ইকবাল মাহমুদ ইকু

১০ বছর আগে লিখেছেন

"উদ্যেশ্যহীন অসম্পূর্ন টুকরো ভাবনা"

১ #
আমার ফাঁসি হবে আগামি কাল
আমার অপরাধ?
আমি পৃথিবীর সর্বশেষ
দুটি বৃক্ষের একটিকে
মনের ভুলে হত্যা করেছি,
অপরটিকে কালো ধোয়ায়
আবদ্ধ করে রেখেছি অনেকটা সময় ধরে।
 
 
২ #
 
 
তোমার চোখেও কি নামে বিস্তির্ন ঘুম?
অনেকটি কাল ধরে এ মাঠের প্রান্তে
বাঁশ বাগানের চূড়োয় চাঁদটাকে
অবহেলা করে তার ঠিক নিচেই
অপেক্ষায় রয়েছি বহুদিন।
 
 
৩ #
ভূলে যাওয়া সবুজ স্তব্ধ হয়ে আসে
নিভে যাওয়া আলোয়
গা ঠেকিয়ে দাড়ায়
নগরীর শেষ দেয়ালটি জূড়ে।
 
৪ # 
ভালোবাসলে ভালোবাসা পেতে হবে
এমন তো কোন কথা... continue reading

৬২২

অনিন্দ্য অন্তর অপু

১০ বছর আগে লিখেছেন

অস্ফূট অভিশাপ

এই ছেলে দুই টাকার বাদাম দাও।
ফেরিওয়ালা কাগজ ভাজ করে ঠোঙ্গা করে,
এরই মধ্যে আমাদের তস্কর হাত তুলে নেয়
কয়েকটা ছোলা, কয়েকটা মটর, কয়েকটা শিম বিচি।
দাম মাত্র দুই টাকা। বাকি সব, সবই ফাও।
ফেরিওয়ালা কিছুই বলেনা।
ওর চোখ বলে, ওর চোখে শুধুই অস্ফূট অভিশাপ দৃষ্টি।
আমরা তা কেউ দেখি, কেউ দেখিনা।
আমরা কি ওর চোখে চোর, ডাকাত, নাকি ছিনতাইকারী???
 
 
---- অনিন্দ্য অন্তর অপু
continue reading

১৪ ৭৬৭

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা

১০ বছর আগে লিখেছেন

যুগলবন্দী এপিটাফ

কোন এক বিকেলে বটবৃক্ষের ছায়ায়
নতুন পল্লব লহরীতে সবুজের হাতছানি
সেদিন বসন্ত এসেছিল হাঁটি হাঁটি পায়ে
লাজুকতা নকশীকাঁথায় আবরণে ঢাকা
নিটোল দু হাতে একমুঠো কাঁচের চুড়ি
খয়েরি ফ্রেমে বাধা মায়াবী চোখ
চঞ্চলতা আর প্রাণবন্ত হাসির ঝিলিক।

চেনা-অচেনার হাত ধরেই তোমাকে প্রথম দেখা
মনের চৌকাঠে তোমার কুহকীয় পদার্পণ
ঠোঁটে চেপে ধরে রাখি সকল দ্বিধা
হৃদয় কোটায় পুরে রেখেছি প্রণয়ের কথা,
ভাষার ক্যানভাসে তোমায় সাজাব বলে
দিগন্ত ছোঁয়া ফ্রেমে সন্তর্পণে এঁকে যাই
বর্ণালি চিত্রের পট।

বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি তোমার কথা বলা
কোরাসের মত স্পন্দিত... continue reading

১৪ ৯২৪

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনুগল্পঃ গোলাপ কাহিনী

  সে এক অচিন দেশের গল্প। রাজকুমারী বনলতার সাথে বনরাজের দারুন সখ্যতা। যতদুর দৃষ্টি যায়, ঘন সন্নিবেশী দৃষ্টি ভিভ্রম বন। সুঠাম সবুজ সরু কিংবা চিড়ল পাতায় ছেয়ে আছে কোথাওবা হরিন শিকারী লতাগুল্মের দল। সেখানে ছায়া আছে। বৃষ্টি এলে নিরাপদে ধরে রাখার মায়া আছে। এই মায়াতেই ভুলে আছে রাজ কুমারী। মনে তার যত কষ্টই জমা হোক বনরাজের সান্নিধ্যে এলে মন ভালো হয়ে যায়। বনরাজ তাকে নিয়ে দোল খায় বৃক্ষ শাখে, স্বাদ উপভোগে নিমিত্ত করে বনের যত সুস্বাদু ফলের ভান্ডার। রাজকুমারীর স্মৃতির ভান্ডারে নিত্য জমা হয় হাজারো বৃক্ষের হাজারো রকমের ছায়ার মায়া।

বিজন বনের এক মাথে যেখায় জল মিশে গেছে... continue reading

৮৩১

নীল সাধু

১০ বছর আগে লিখেছেন

সন্ধ্যা নামতেই ঘাটে স্নান শেষ করে কুর্চি; মুছে ফেলে দোহালার সকল স্পর্শ!

১।
আশ্বিনের দুপুরে জল-ধোয়া নদীর নির্লিপ্ত জলে
উদভ্রান্ত আবেগে
কুর্চির যে ছায়া ভেসেছিল
তার সবটুকুই মায়া ছিল! আকুল সায়রে ভেসে যায় ভিনদেশী দোহালা ফুল!!

সন্ধ্যা নামতেই ঘাটে স্নান শেষ করে কুর্চি; মুছে ফেলে দোহালার সকল স্পর্শ!

২।
নদীর কাছে যাবে?
কেন!! নদীর জল দেখতে ইচ্ছে করছে?
নাহ!
তবে?
আশ্বিনের নদী তোমাকে দেখতে চেয়েছে!

কুর্চি আমার হাত ছুঁয়ে বসে থাকে! আমাদের মাঝে খুব নীরবে নদীটি কুলকুল করে বয়ে যায়! ফিসফিস স্বরে কাশফুলেরা আমাদের কথা কইতে থাকে।

আমি নদীকে কথা... continue reading

৭৩৬