Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

নদী

৭ বছর আগে লিখেছেন

শুধু, তুমি, একবার ভালবাস....

শুধু একবার ভালবাসো.........
একবার তুমি ভালোবাসো
দেখবে, মরুভূমি কেমন সবুজ বাগান হয়,
কেমন করে চরের বুকে জাগে নতুন বসত
চৈত্রের আকাশ রংধনুর আভা ছড়ায়।
একবার তুমি ভালোবাসো
সমস্ত মৌনতা ভেঙে বেজে উঠবে চৌরাশিয়ার বাঁশি,
কাল বৈশাখীর ঝড়ো আকাশ ছড়াবে নীল দ্যুতি
কঠিন পাহাড়ের বুক চিড়ে জন্ম নিবে ঝরনা রাশি রাশি।
একবার তুমি ভালোবাসো
দেখবে,সবুজ বৃক্ষের মত উজ্জল আর প্রাণবন্ত হয় উঠবে
এই নির্জীব রুগ্ন হাত আমার,
শুভ্র ভোরের মত উৎফুল্ল আর সজীব হয়ে উঠবে এই নির্ঘুম ক্লান্ত দু'চোখ আবার।
শুধু একবার, তুমি ভালোবাসো
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - সোহেল আহমেদ পরান

    "দু:খী মানুষ ঘুমাও এবার, শান্তি সব ফিরুক মনে
    গুচিয়ে দাও সন্ন্যাসি পর্ব, থেকো না আর একা নির্জনে।">>> তাই যেনো হয়।

    ভালো লাগলো।

    শুভেচ্ছা

    - টোকাই

    খুব সুন্দর । ভালো লাগলো । সাথে ভোট ।

    - মুদ্রা

    শেষ লাইনের প্রথম শব্দটা সম্ভবত গুচিয়ে না ঘুঁচিয়ে

    Load more comments...

নদী

৭ বছর আগে লিখেছেন

পায়ের শব্দে অপেক্ষা জেগে উঠে....

সে আসেনি,
সে আসবে না,
তবুও কেন পায়ের আওয়াজ পাই ?
তবু কেন মন খারাপ হয়?
যে-কোনো শব্দ শুনেই
বাইরে উঠে যাই কেন ?
মনে হয় এই সে এলো বুঝি
নাহ, কেউ নেই।
নাহ, কোন অপেক্ষা বা অভিশাপ নয় শুধু,
অদ্ভুত নির্জন এক পৃথিবীতে জীবন্ত ফসিল হয়ে আছি... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    অভিনন্দন শুভ কামনা

নদী

৭ বছর আগে লিখেছেন

নিম পাখি ডাকে


সোহাগী বোকা লাজুক, মুখচোরা মেয়ে মিয়া বাড়ির একমাত্র ছেলে মানিকের বউ।

বিয়ের ২ দিন পরই মানিক ঢাকায় কাজে চলে গেল। যাবার আগে এত চেষ্টা করল নতুন বউয়ের মুখটা ভালো করে দেখতেই পেল না।

সেই সোহাগী একদিন শাশুড়ির পাকা চুল বেছে দিচ্ছে, তখনই নিম পাখি ডেকে উঠল, শাশুড়ি বলে উঠলেন, বউ আজ বোধহয় মানিক বাড়ি আইব। সোহাগী শুনে ,কিছু বলে না। আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকে আর মুচকি হাসি দেয়!

কিছুক্ষন পর পাখিটা আবার ডেকে উঠলে, শাশুড়ি আবার বললেন, এবার জোর দিয়ে, ও বউ মানিক মনে হয় সত্যি আজ বাড়ি আইয়া পড়ব। সোহাগীর হাসি আরেকটু বিস্তৃত হয়।

আরও কিছুক্ষন পর পাখিটা কয়েকবার একটানা ডেকে উঠলে শাশুড়ি উত্তেজিত হয়ে বললেন, ও বউ দেখতো ঘাটলায় গিয়া, মানিক মনে হয়, আইয়াই পড়ছে।

সোহাগী পায়ে পায়ে হেটে ঘাটলায় গিয়ে দেখে না মানিক আসেনি।

কিন্তু ওর কেবলই মনে হচ্ছিল নিম পাখিটা ওর বুকের মধ্যে অনবরত ডেকে যাচ্ছে। continue reading
Likes Comments
০ Shares

নদী

৭ বছর আগে লিখেছেন

প্রজাপতি প্রেম.....

হাজেরা বেগম সেই সকাল থেকে অস্থির হয়ে আছেন, কি রান্না করবেন না করবেন, মানুষটা আবার এই গনগনে রোদ্দুরের মধ্যে কই গেল।
ঘরে তেমন কিছু নেইও, সকাল বেলা পাশের বাসার ছেলেটা দিয়ে একটা মোরগ আনিয়েছেন। মোরগ পোলাও রান্না করবেন। মানুষটা খেতে খুব পছন্দ করত, বিশেষ করে হাজেরা বেগমের হাতের মোরগ পোলাও। আগের অবস্থা থাকলে এই দিনটাতে একটু পায়েসও রান্না করতেন। কিন্তু মাসের শেষ এই সামান্য খরচটুকুও তাদের জন্য এখন অনেক। আয় বলতে এখন শুধু বুড়ো মানুষটার পেনশনের টাকা
রান্না প্রায় শেষ মানুষটা গেল কই? সেই যে বলে গেল একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি, আর কোন খবর নাই। ৫০ বছর আগে এদিনে উনি মানুষটার সংসারে বউ হয়ে আসেন। কতই বা বয়স ১৫/১৬। শশুর, শাশুড়ি, ননদ দেবর ভাসুর, ঘর ভরতি মানুষ ছিল। দিনশেষে মানুষটার সাথে দেখা হত সেই রাত্রিবেলা। চুপচাপ স্বভাবের আব্দুর রহমান মিয়া অপেক্ষায় থাকতেন। প্রায়ই সবার চক্ষু এড়িয়ে নিয়ে আসতেন কাঁচের, চুড়ি, লাল ফিতে, আচার। আস্তে আস্তে সেটা ভাটা পড়ল ছেলে মেয়ে আসার পর। খরচ গেল বেড়ে, বড় ভাই শহরেই স্থায়ী হলেন। বোনদের বিয়ে দিতে দিতে একে একে জমি জমা বিক্রি করে যা ছিল ছোট ভাই তার প্রায় সবটুকুই দখলে নিল শুধু বাবা মার ভাগটা দিয়ে গেল রহমানকে।
আজ হাজেরা বেগম আর আব্দুর রহমান দুজনেই নি:স্ব আর নিসংগ , শশুর, শাশুড়ি চলে গেছেন অনেক বছর হল। ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া করাতে গিয়ে ভিটে, জমি সব কিছুর মায়া ছাড়তে হল। মিয়া বাড়ির ছেলে এখন পাশের শহরে টিনশেড ভাড়া নিয়ে থাকেন। ছেলে মেয়েরাও আর গেয়ো অশিক্ষিত বাবা মাকে শহরে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। ৫০টা বছর, মানুষটার কি আদৌ মনে আছে, সেই দিনটির কথা। কি... continue reading
Likes Comments
০ Shares

নদী

৭ বছর আগে লিখেছেন

ভালবাসার সমীকরণ........

বেশ কদিন প্রচন্ড দাবদাহের পর হঠাৎ বৃষ্টি, সব্বাই ভীষন খুশী। বাবা নিশ্চয়ই রাতের খাবারে খিচুড়ির প্ল্যান করছেন। বাসায় গিয়ে দেখবে বাবা হয় রবীন্দ্র সংগীত বা ইন্দ্রাণীর গান শুনছেন। কিন্তু ব্যাগ গোছাতে গোছাতে আয়েশার যখন মনে পড়ল বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফিরতে হবে, সেই রোজকার মত বাসের ভীড় ধাক্কাধাক্কি করতে হবে ভেবেই বেশ মেজাজ খারাপ হল।
ভিআইপি রোডে অফিস বলে রিক্সাও চলে না। মনে মনে বাবাকে ধন্যবাদ দেয় জোর করে ছাতা ব্যবহার করার অভ্যেস করিয়েছেন বলে। ছাতাটা ব্যাগে আছে বলে একটু স্বস্তি পাচ্ছে। ঝটপট পিসি অফ করে দ্রুত বের হয়ে পড়ে অফিস থেকে।
যা ভেবেছিল তাই, হঠাৎ বৃষ্টিতে সবাই এলোমেলো হয়ে গেছে, যে যা পাচ্ছে বাস বা সিএনজি তাতেই উঠে পড়ছে। পর পর কটা বাস মিস করল আয়েশা, ভিড়ে কারণে উঠতেই পারল না। মন মেজাজ খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে চৌরাস্তার মোড়ে বড় গাছটার নীচে। হঠাৎই দেখল একটা লোক গাড়ী থেকে নেমে ড্রাইভার বিদায় দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজছে। আয়েশা তো পুরো হতবাক, লোকটা পাগল নাকি। কি সুন্দর গাড়ীর মধ্যে ছিল, সুখে থাকলে ভুতে কিলায়।
ধ্রুব, সদ্য বিলেত ফেরত এক বৃষ্টি পাগল তরুণ। আহা কি শান্তি, কি অপার সুখ এই দেশের মাটি, আলো বাতাস আর বৃষ্টি। কত অধীর অপেক্ষায় ছিল এই বৃষ্টির জন্য। লন্ডনেও বৃষ্টি হত কিন্তু ধ্রুবর ওই প্যাচপেচে বৃষ্টি কখনই ভাল লাগত না। দেশের ঝুমঝুম বৃষ্টির মজাই আলাদা। বৃষ্টির পড়ে চারপাশের গাছপালা কেমন সদ্যস্নাত কোন তরুণীর স্নিগ্ধ আর সজীব হয়ে উঠে। প্রাণ ভরে আজ সে স্নান করবে বৃষ্টিজলে। ভাবতে ভাবতেই সামনের দিকে একটু এগোতেই দেখে এক বৃষ্টি ভেজা তরুণী এক রাশ বিস্ময় নিয়ে তাকে দেখছে। ধ্রুব এমন ভরা বৃষ্টিতে, এই রাত্রিতে একা একটা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    Concept-গুলো বেশ ভালো ।

    শুভেচ্ছা ।

Load more writings...