Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

পথের বাঁকে

পথের বাঁকে 
ঋতু বদলের বিচিত্র খেলা 
রং সাজানো রাত্রি দিন; কোথায় তুমি রইলে পরে? 
জানি, ফিরবে না কোন দিন? 
সবাই ফিরে দিনের শেষে 
উড়ে উড়ে পাখিরা ঘরে; হিজল বনে ডাহুক ডাকে 
যেন শরৎ আকাশে মেঘফুল হাসে। 
জল কেলিতে বুনো হাঁস 
রং লাগা ঐ ঠোঁট পালকে; পদ্মপাতায় জলমাকড়ষা 
মৃদু হাওয়ায় শান্তজলে ঢেউয়ের কাঁপন। 
গেরুয়া সাজে সাঁঝের মায়া 
পথের খেলা আলো ছায়া; ডুব সাঁতারে পানকৌড়ি 
পেটের ক্ষুধা ভুলিয়েছে আলো খানিক। 
ফিরবে যখন দেখবে শুধু 
পথে পথে বাঁকের খেলা; সেই বাঁকটি চিনতে হলে! 
মিইয়ে যাওয়া দিন রাত্রির গোলক ধাঁ ধাঁ। 
১৪২৩/ ০৬, ভাদ্র/ শরৎকাল। continue reading

২৮৪

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

এইতো যাচ্ছে বেশ

এইতো যাচ্ছে বেশ 
এইতো যাচ্ছে বেশ 
অফিস, বাসা, বাজার, রাস্তায় যানজট 
প্রত্যহ সদাই পাতি; 
অফিস পাড়ায় 
কপি পেষ্ট, বসের তারা, লাঞ্চ পেরিয়ে বিকেল 
অভিযোগ ফোন ধর না কেন? 
অভিযোগ আর কত? 
কাজে ফাঁকি, টু্ইটার, ফেইসবুক, ব্লগ নিয়ে মাতি 
এই তো অফিসের গতি। 
আর কত? বসের হুক্কার 
এইতো যাচ্ছে বেশ, 
কাজের জন্য গ্যনোর গ্যনোর 
যেন আষাঢ়ে ব্যঙের ঘ্যগড় ঘ্যগড় ডাক। 
১৪২৩/৮, ভাদ্র/শরৎকাল। continue reading

২৪৫

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

খন্ডিত চাওয়া

খন্ডিত চাওয়া 
দুপুর রাত কুকুরগুলো নিদ্রাহীন ছুটাছুটি 
আঁধার রন্ধ্রে রন্ধ্রে অগোচাল বিদ্রুপ যেন 
চাওয়া তো ছিল তার; অমোঘ জোছনা ভাসা 
রন্ধ্রের কালো টুটবে এবার। 
অথচ আঁধার ভাবতেই পারে না, এমনি 
চাওয়ার বাসনা মিলবে আচমকা। 
আধেক আকাশ দিগন্তে ঢাকে; চাইলে তা 
পিছে সরে যায় পথের দুরত্ব সম্ভার। 
এমনি পথে পথে ফুরায় পথিকের চাওয়া 
খন্ডিত বেলায় খন্ডিত বাসনা পোড়ায় চিতার মহিমা। 
চেনা অচেনা পথে আধেক চাওয়ার চিহ্ন আঁকে 
যা চাই তা আকাশে আকাশে বাসনার ঐশ্বর্য্য ভাসে। 
সে তো নিঃস্ব এখন বিন্দুতে ঠেকেছে 
খন্ডিত বিবর রাত দিনের মতো আধেক স্বম্বল 
ভাগাভাগির যুতসই লড়াই যুগ যুগ ধরে সরব 
ক্ষয়িঞ্চুকালে এমনি বিভক্তির আকড়। 
১৪২৩/০৯, ভাদ্র/শরৎকাল। continue reading

২১৪

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

যাতনা নেশা ধরায় গভীর রাত

যাতনা নেশা ধরায় গভীর রাত 
কে যানে? 
চমুকে চমুকে  নেশা ধরা 
শরাব পানে একি স্বপ্নঘোর দিশা? 
যাতনা গিলে চমুকে চমুকে যাতনা ত্যাজে 
চোখে ঘোর আঁধার তবুও অতীত ভাসে 
এ  কোন জলছবি ভাসে টলটলে স্থীর জলে। 
বিরহী কাঞ্চনজঙ্ঘার শরীর জুড়ে, 
এ কি পোড়া চিতা ভস্ম? অঙ্গারে জৌলুস 
এ যে জনমের প্রেম! 
জনম পিঞ্জরে শরাব চমুকে জাগে। 
এমনি শরাব গিলে 
পথিক তার পথভুলে ধুলিমাখা পথে 
ধুলার ঝালড় উড়ে পথে পথে; 
একি কাঞ্চনজঙ্ঘার জৌসুল পোড়ায়? 
যাতনা নেশা ধরায় গভীর রাত। 
১৪২৩/১২, ভাদ্র/শরৎকাল। continue reading

২৬৯

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

চারিদিক এখন শুধু স্বপ্নপোড়া গন্ধ

চারিদিক এখন শুধু স্বপ্নপোড়া গন্ধ 
চারিদিক এখন শুধু স্বপ্নপোড়া গন্ধ 
যার আকাশ ছিল, 
স্বপ্ন দিঘল তেপান্তর; 
তর তাজা ক্ষয়ে যাওয়া মেঘের মতো ছন্নছাড়া 
যেন পৌষে শিশির ভেজা 
ধানের ক্ষেতে নাড়া পোড়ানো; পাঁচ গাঁও জুড়ে 
ধূসর বিবর্ণ ধুঁয়া ছড়ানো কুন্ডলী দিগন্তে 
যানান দেয়, নিঃশেষ আজ 
ধীবর জালে গরিয়ে পরা জল। 
নিত্য পরছে খসে ঐ যে, 
ঐ তারাটার পাশে 
ছিল যে, জ্বলজ্বলে নক্ষত্র 
আধেক আলোয় নিভু নিভু; সে ছিল পরম প্রিয় 
আদরে ভালোবাসার! 
ভার্চুয়াল ছিল বটে, ছোঁয়া যায়না মোটে 
তবুও নেশা ছিল পরম পাওয়া; কবিতা 
আর কবিতায় যত সামন্য স্বপ্ন বেঁচে রাখা। 
১৪২৩/১৫, ভাদ্র/ শরৎকাল। continue reading

২৯২

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

যন্ত্রণার গোলাপ

তার ছবি আর মনে ভাসে না
মেঘ হয়ে উড়ে গেছে কোন অচেনা শহরে
ফাগুনের মৌনতায় লুকিয়ে
বসন্তের আগমনে প্রাপ্তি আমার
একরাশ নিঃশব্দ যন্ত্রণার গোলাপ
অভিশপ্ত হলুদে ছেয়ে আছে দুচোখের পরিসীমা ।
সে বেশ সুখেই আছে
প্রজাপতির স্বপ্নে বিভোর হয়ে
উদ্যানে উদ্যানে রচনা করে নিমগ্ন উল্লাস
দাঁড়কাকের সখ্যভাব তার ভালো লাগে প্রচন্ড
আমি তো কোকিলশাবক
অবরুদ্ধতার নষ্টামি বরদাশত্ হয় না আমার
বিচ্ছেদের কাতারে তাই নাম লেখাই স্বেচ্ছায়।
উড়োচিঠি বলে যায় সাঁঝের বাসরে,
অবিরাম খুশির জোয়ারে
নতুন বসন্তের উদয়লগ্নে তার জীবনপ্রভাত
আমিও তাকে বাসন্তী দেবো দুহাতের হলুদে
নিষ্পাপ ভালবাসাকে গলা টিপে হত্যা করে। continue reading

২০৫

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

তোর ইচ্ছে সাজাবো

প্রেমের সপ্তম নৌ বহর নিয়ে
দাড়িয়ে আছি তোর প্রতিশ্রুতির আশায়
তুই শুধু এক টুকরো ভালবাসা দিয়ে দেখ
আমি তোর চোখে সারা পৃথিবী এনে দেবো।
ছোট্ট একটি ঘর বুনেছি হৃদয়ে
সবুজের ছাউনি দিয়ে তোর জন্যে
একান্ত কিছু অনুভূতির বিন্যাসে
তোর আগমনের প্রারম্ভিক খুশিতে
জ্বালিয়েছি অগ্নিপ্রদীপ মন-মন্দিরে
তুই শুধু একপলক তাকিয়ে যা সলাজে
আমি তোর কষ্ট তাড়াবো রাজ্যের সীমানার বাইরে।
অগোছালো কিছু স্বপ্ন এঁকেছি চোখে
অধরা রঙধনুর নির্লিপ্ততায়
নিমজ্জমান জোসনার স্নিগ্ধ আদরে
তোর ফিরে চাওয়ার অনুরাগে
ভিজেছি একপশলা প্রসন্ন অনুরণনে
তুই শুধু একবার ছুঁয়ে যা আনমনে
আমি তোর ইচ্ছে সাজাবো জীবনের বিনিময়ে। continue reading

২২০

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

স্রষ্টার সেরা উপহার

অনেক দিন পর প্রিয় মানুষটির সাথে 
সরাসরি চোখাচোখি হলো
একেবারেই অনভিপ্রেত ছিলো
ক্ষণিকের জন্যে তাই বিশ্বাস হচ্ছিলো না।
সটানভাবে দাড়িয়ে ছিলো সে জানলা ধরে
পরনে তার হলুদ শাড়ি 
শাদা বল ছাপের লাল ব্লাউজ
গলায় রুপোর নেকলেস আর কানে দুল
হালকা সাজুগুজুতে 
গোলাপের কোমলতা যেনো
লেপ্টে ছিলো তার সারা অঙ্গে
জোসনার ডালি হয়ে
যদিও সদ্য কৈশোর পার করেছে সে,
তবুও যেনো লাগছিলো পূর্ণ নারীর প্রতিচ্ছবি।
অনেক ক্ষণ নিষ্পলক তাকিয়ে ছিলো সে 
মাসকারার পরশে তার
চোখের পাঁপড়িগুলো হয়ে উঠেছিলো
রঙধনুর ছোঁয়া লাগা ময়ূরের পেখম
ঠোঁটে ধরে রেখেছিলো কষ্ট ভোলানো 
সেই শান্ত হাসির ধারা continue reading

১৫৬

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

পথের কাঁটা হবো না

নিশ্চিন্তে থাকো প্রিয়তমা
তোমার পথের কাঁটা হবো না কখনোই
কষ্টের পাথর চেপে রাখার রোগ আমার জন্মগত
আমার ভালবাসা এতোটা সঙ্কীর্ণমনা,
অসহিষ্ণু আর কদাকার নয় যে, তোমার
সুখের সংসার দেখে হিংসের
বহ্নিশিখায় জ্বলে পুড়ে মরবে
জীবনকে নিজের মতো সাজানোর অধিকার
পরমেশ্বরই তোমাকে প্রদান করেছেন অন্তর দিয়ে,
আমি তো কেবল সঙ্গ দিতে চেয়েছি তোমায়
মানুষ তো কত কিছুই চায়
তুমি তো আর ঈশ্বর নও যে, সবার
চাওয়াগুলো পূরণ করে দেবে।
বিশ্বাস করো একটুও ব্যথা নেই মনের ভেতর
মন থাকলে তো ব্যথা অনুভব হবে
হৃদয় নেই বলেই হয়তো তোমাকে হারিয়েছি
পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছি দর্শক রূপে
কী আর করার-
এই নাটকের বিশ্বমঞ্চে সবাই অভিনয় করলে
দর্শক সারিতে থাকবে কারা? continue reading

১৫৬

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

হবো দুর্ধর্ষ যমদূত

ভালবাসার নদীতে আর ঝাপ দিতে চাই না
মরীচিকার হাতছানিতে ভরপুর পৃথিবী
যান্ত্রিক নগরের চারদেয়ালে
বিমূর্ত পাথরের রূপধারণ সময়ের দাবি
ছলনার করিডোর বন্ধ করে দাও রাধিকা
নয়তো রূপান্তরেই হবো তোমার
চোখের মায়া হরণকারী দুর্ধর্ষ যমদূত। continue reading

২০১