ধরবেন না কেউ এরশাদ চাচার
শুদ্ধ কিংবা ভুলটা,
বলেন যাহা করেন তিনি
ঠিক তাহারি উল্টা।
'হ্যাঁ' বলিলে 'না' ধরিবেন
'না' হবে তার 'হ্যাঁ'তে,
বিপরীত তার রূপটা নিয়ে
রাজনীতি রয় মেতে।
continue reading
ধরবেন না কেউ এরশাদ চাচার
শুদ্ধ কিংবা ভুলটা,
বলেন যাহা করেন তিনি
ঠিক তাহারি উল্টা।
'হ্যাঁ' বলিলে 'না' ধরিবেন
'না' হবে তার 'হ্যাঁ'তে,
বিপরীত তার রূপটা নিয়ে
রাজনীতি রয় মেতে।
continue reading
রুপের বাঁধন ছিড়তে গেলে
সময় কথা কয়;
হিয়ার বাঁধন ছিড়লে কবি
রক্তক্ষরন হয়।
সময় ঘোড়া পাল্লা দিয়ে
ছুটছে অবিরত ;
বাঁধন খুলে পালাও দূরে
কাছে ছিলে যতো।
continue reading
ভুলুন্ঠিত মানবতা
রামু থেকে সাথিঁয়া,
হৃদয়ের এ রক্তক্ষরণ
রবে মনে গাঁথিয়া।
ধর্মের বাণী কেঁদে মরে
এ রূপ তার দেখিয়া,
কলম কালি ও লজ্জা পায়
কাহিনী তার লেখিয়া।
ধর্মের লেবাসে জ্ঞানপাপী
বলে উঠে নাচিয়া,
ও সবি তো নিজেদের কাজ
'যাই মোরা ফাঁসিয়া'।
ধর্মের রূপ দেখে বিধাতা
বলতেন হয়তো এই যা_
তোদের জন্য ধর্ম?
বুঝিস কি তার মর্ম ?
জ্বালাও পোড়াও খুনাখুনি,
কোন ধর্মেতে আছে শুনি ?
'কেড়ে নিলাম ধর্ম তোর,
পরিচয় হোক কর্ম তোর'।
শুনোরে কান পাতিয়া,
রক্ষা হয়তো পেয়েই যেতো
রামু এবং সাথিঁয়া।
continue reading
শিবলী সুহান লিপু'র ছড়া/
লাথি মারে/
নিজেদের গর্তে নিজেরাই পড়ে/
ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করে/
তারা নাকি জনগণের পক্ষে নড়ে /
পরিবারের জন্য সম্পদ গড়ে। /
ভুলে ভুলের পাহাড় গড়ে/
পাবলিক এখন বুঝতে পারে/
কারা দেশকে লাথি মারে/
সদাই বক্তৃতার রেকর্ড ছাড়ে।
continue reading
মাগো তুমি কোথায় গেলে
ঐ নীল পরীর দেশে?
খুকি তোমায় ডাকছে মাগো
সারা দাও এসে।
একা করে কেন গেলে
কোন যে অপরাধে,
আমি তোমায় ভাসবভাল
দুঃখ কেন করো।
খুকি সোনা এমন করে
আমায় ডেকো না,
চলে গেছি অনেক দূরে
ফিরে আসবনা।
লাল পরী কমলা পরী
এনে দিবে বাবা,
সারা দিন খেলা করে
অনেক মজা পাবা।
খালা মণি ফুফু মণি
কত আদর করে,
মাগো, তুমি ছাড়া কেমন করে
এই অবুজ মন ভরে।
continue reading
শিবলী সুহান লিপুর ছড়া/
জন- প্রতিনিধি /
ওরা সবাই জনপ্রতিনিধি/
লুটেপুটে গড়ে দেশের সমাধি /
মানে না ওরা কোন আইন /
দেখতে তারা লেবাসি ফাইন । /
দুর্নীতির চাদর গায়ে পড়া/
মিডিয়া ভাষণে শীর্ষে তারা/
বসে আছে নেতা সংসদ চেম্বারে/
প্রাইমারি পাশে আইনের বই নাড়ে ।
continue reading
ঘুষ নিয়ে কেউ মন্দিরে যায়
নাকে দেয় সে খত রে,
বলেন ‘ঠাকুর ক্ষমা করো
আমি বড়ো সৎ রে’।
কেউবা আবার মসজিদে যায়
নামাজ রোজা রাখে,
ঘুষের টাকা সযতনে
পকেট ভরা থাকে।
গীর্জায় যান প্যাগোডায় যান
ডাকেন তো ঈশ্বরে,
এমনি কতো সৎ মানুষের
রোজ দেখি দৃশ্যরে !
------------------
continue reading
তুই যে আমার বন্ধু ছিলি
পারবি নারে পারবিনা
ভুলতে আমায় পারবিনা,
যত দূরেই যাসনে কেন
ছিঁড়তে বাঁধন পারবিনা।
গলায় গলায় ভাবখানি
ঘর পালানোর হাতছানি,
ভর দুপুরে তাল পুকুরে
কে দেবে আর ডুবখানি?
গোল্লাছুটের দিনগুলি
লুকিয়ে খেলা ডাংগুলি,
পাখীর বাসায় চুপি চুপি
ধরতে যাওয়া বুলবুলি।
গুলতি মেরে হাত নিশানা
গাঁয়ের বধুর কলসি কানা,
পিছন ফিরে দেখলেই কী!
কার সাহস দেয় ঠিকানা!
মোল্লা চাচার বাগান বাড়ি
খেজুর গাছে রসের হাঁড়ি,
ভোর না হতেই দফা-রফা
অমন রস পেলে কী ছাড়ি?
ফিরলে বাড়ি মায়ের বকা
বাপ থাকলে নিষেধ...
continue reading
অন্তরে তো অনেক কথাই আনাগোনা করে
মনের মাঝেই ঘুরপাক খেয়ে মাথা ঠুকে মরে।
শোনার মানুষ যদিও আছে বিশ্বাসী কেউ নয়
বলতে গেলে মনের কথা আছে অনেক ভয়।
হতেই পারে সুখের কথা, কিংবা কোন দুঃখ;
হতেই পারে ক্ষোভের কথা কঠিন কিংবা রুক্ষ।
এই জীবনের সকল কথাই ভাল এবং মন্দ
বললে আবার কে জানে ভাই কোথায় লাগে দ্বন্দ্ব।
নিন্দাকারী অনেক মানুষ চারপাশটায় লেগেই আছে
তাই কথা বলার হয় না সাহস কারুর কাছে।
কান্না-হাসির সকল কথাই দুঃখ এবং সুখে
তাই, রক্ত দিয়ে যাচ্ছি লিখে শ্বেত কাগজের বুকে।
continue reading
আবার ফিরে আসবে ফাগুন
আগুন বনে লাগবে
মন মাতানো রঙিন শোভায়
ফুল পাখিরা জাগবে।
আবার জানি গাইবে পাখি
ফুলকলিরাও ফুটবে
চড়ুইভাতির বন্ধুরা সব
দলে দলে জুটবে।
নেচে গেয়ে আবার বাউল
বাংলার মেঠোপথে
একতারাতে তুলবে যে সুর
পূর্ণ মনোরথে।
সবুজের ওই হাতছানিতে
আবার কাছে ডাকবে
মাঠের বুকে জাগবে সাড়া
প্রাণে দোলা লাগবে।
বটতলা আর হাটখোলাতে
বসবে মেলা ওই
শিশু কিশোর বৃদ্ধ যুবা
করবে রে হইচই।
নবান্নেরই নূতন রুপে
ভরবে গোলা ধানে
মুখরিত হবে জীবন
মাটির গানে গানে।
আবার সুদিন...
continue reading