আমার ভীষন জ্বর করেছে
হাড় কাঁপানো জ্বর ;
আমার ভীষন জ্বর করেছে
মাতাল করা জ্বর ।
শেষ রাত্তিরে কন্ঠ ক্রমশ শুকিয়ে আসে ,
চোখ মেলতেই হাজার রঙের ঘুড়ি নাচন তোলে ঘরের কোনায় কোনায় ।
বাঁ হাতের অগ্রভাগ ছুঁয়ে থাকে পাশ টেবিলের চীনা মগ খানা -
নাহ এক ফোঁটা জলও অবশিষ্ঠ নেই ।
বালিশের কোমলতা ছেঁড়ে মাথাটা তুলতে গিয়ে বুঝি-বিশাল পাহাড়
বুড়ো হতে হতে কুঁজো হয়ে গ্যাছে । কুজো পাহাড়টি আরো একটু এগিয়ে
নত হয়ে দ্যাখে জলাধার শূণ্য পড়ে আছে ।
পেছন থেকে বলিষ্ঠ কন্ঠে কেউ একজন বলে -''আয় মা ,তোর মাথায় একটু
পানি ঢেলে দেই ।''
মুখ ঘোরাতেই সেই অন্ধকার -এলোমেলো ঘূর্ণন ;
মাথায় হাত রেখে জলপট্টি নেবার দুঃসাহস হয়নি কখনো ।
ঘরের শোভা বর্ধন যার কাজ তাকে কি মানায় বিছানায় পড়ে থাকা !
হীরা যদি উজ্জ্বলতা না ছড়ায় তবে কী বা মূল্য আছে তার ।
জ্বর শুয়ে থাকে ঘরে ,শুয়ে থাকে ব্যবস্হাপনা ;
বার বার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে -''আমার মাথায় একটু হাত রাখো মা ,
দেখে যাও তোমার মেয়ের কেমন কষ্ট !''
সংশয় এসে বাঁধা পড়ে থাকে অস্হি -মজ্জায় ,কিছুই বলা হয় না আর ।
কেবল প্যারাসিটামল আর নাপার নার্সিং-এ অভুক্ত পাকস্হলী ফুলে ফেপে ওঠে ;
কেউ কি এসে বলবে -''সব কাজ পড়ে থাক ,এসো তোমায় গরম গরম ভাত খাইয়ে দেই ।''
সুস্হ হবার ইচ্ছেরা শ্রাবণ ঝরা বর্ষায় আরো বেশী আড়ষ্ট করে তোলে ।
আমার ভীষন জ্বর করেছে
নেশায় লাগা জ্বর ;
আমার ভীষন জ্বর... continue reading
হাড় কাঁপানো জ্বর ;
আমার ভীষন জ্বর করেছে
মাতাল করা জ্বর ।
শেষ রাত্তিরে কন্ঠ ক্রমশ শুকিয়ে আসে ,
চোখ মেলতেই হাজার রঙের ঘুড়ি নাচন তোলে ঘরের কোনায় কোনায় ।
বাঁ হাতের অগ্রভাগ ছুঁয়ে থাকে পাশ টেবিলের চীনা মগ খানা -
নাহ এক ফোঁটা জলও অবশিষ্ঠ নেই ।
বালিশের কোমলতা ছেঁড়ে মাথাটা তুলতে গিয়ে বুঝি-বিশাল পাহাড়
বুড়ো হতে হতে কুঁজো হয়ে গ্যাছে । কুজো পাহাড়টি আরো একটু এগিয়ে
নত হয়ে দ্যাখে জলাধার শূণ্য পড়ে আছে ।
পেছন থেকে বলিষ্ঠ কন্ঠে কেউ একজন বলে -''আয় মা ,তোর মাথায় একটু
পানি ঢেলে দেই ।''
মুখ ঘোরাতেই সেই অন্ধকার -এলোমেলো ঘূর্ণন ;
মাথায় হাত রেখে জলপট্টি নেবার দুঃসাহস হয়নি কখনো ।
ঘরের শোভা বর্ধন যার কাজ তাকে কি মানায় বিছানায় পড়ে থাকা !
হীরা যদি উজ্জ্বলতা না ছড়ায় তবে কী বা মূল্য আছে তার ।
জ্বর শুয়ে থাকে ঘরে ,শুয়ে থাকে ব্যবস্হাপনা ;
বার বার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে -''আমার মাথায় একটু হাত রাখো মা ,
দেখে যাও তোমার মেয়ের কেমন কষ্ট !''
সংশয় এসে বাঁধা পড়ে থাকে অস্হি -মজ্জায় ,কিছুই বলা হয় না আর ।
কেবল প্যারাসিটামল আর নাপার নার্সিং-এ অভুক্ত পাকস্হলী ফুলে ফেপে ওঠে ;
কেউ কি এসে বলবে -''সব কাজ পড়ে থাক ,এসো তোমায় গরম গরম ভাত খাইয়ে দেই ।''
সুস্হ হবার ইচ্ছেরা শ্রাবণ ঝরা বর্ষায় আরো বেশী আড়ষ্ট করে তোলে ।
আমার ভীষন জ্বর করেছে
নেশায় লাগা জ্বর ;
আমার ভীষন জ্বর... continue reading
Comments (4)
'ছনুর ছানুর হৈ ছনুর ছানুর' শব্দটা দারুণ বললেনতো। একটা সুরের আবেশ আছে কবিতায়। ক্ষর শব্দের মানেটা মনে করতে পারছি না এই মুহুর্তে তবে শব্দের প্রয়োগটা ভালো লেগেছে। ছিমছাম কবিতা- শুভ কামনা