Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রোদেলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

আমার ভীষন জ্বর করেছে ...

আমার ভীষন জ্বর করেছে
হাড় কাঁপানো জ্বর ;
আমার ভীষন জ্বর করেছে
মাতাল করা জ্বর ।

শেষ রাত্তিরে কন্ঠ ক্রমশ শুকিয়ে আসে ,
চোখ মেলতেই হাজার রঙের ঘুড়ি নাচন তোলে ঘরের কোনায় কোনায় ।
বাঁ হাতের অগ্রভাগ ছুঁয়ে থাকে পাশ টেবিলের চীনা মগ খানা -
নাহ এক ফোঁটা জলও অবশিষ্ঠ নেই ।
বালিশের কোমলতা ছেঁড়ে মাথাটা তুলতে গিয়ে বুঝি-বিশাল পাহাড়
বুড়ো হতে হতে কুঁজো হয়ে গ্যাছে । কুজো পাহাড়টি আরো একটু এগিয়ে
নত হয়ে দ্যাখে জলাধার শূণ্য পড়ে আছে ।
পেছন থেকে বলিষ্ঠ কন্ঠে কেউ একজন বলে -''আয় মা ,তোর মাথায় একটু
পানি ঢেলে দেই ।''
মুখ ঘোরাতেই সেই অন্ধকার -এলোমেলো ঘূর্ণন ;
মাথায় হাত রেখে জলপট্টি নেবার দুঃসাহস হয়নি কখনো ।
ঘরের শোভা বর্ধন যার কাজ তাকে কি মানায় বিছানায় পড়ে থাকা !
হীরা যদি উজ্জ্বলতা না ছড়ায় তবে কী বা মূল্য আছে তার ।
জ্বর শুয়ে থাকে ঘরে ,শুয়ে থাকে ব্যবস্হাপনা ;
বার বার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে -''আমার মাথায় একটু হাত রাখো মা ,
দেখে যাও তোমার মেয়ের কেমন কষ্ট !''
সংশয় এসে বাঁধা পড়ে থাকে অস্হি -মজ্জায় ,কিছুই বলা হয় না আর ।
কেবল প্যারাসিটামল আর নাপার নার্সিং-এ অভুক্ত পাকস্হলী ফুলে ফেপে ওঠে ;
কেউ কি এসে বলবে -''সব কাজ পড়ে থাক ,এসো তোমায় গরম গরম ভাত খাইয়ে দেই ।''
সুস্হ হবার ইচ্ছেরা শ্রাবণ ঝরা বর্ষায় আরো বেশী আড়ষ্ট করে তোলে ।

আমার ভীষন জ্বর করেছে
নেশায় লাগা জ্বর ;
আমার ভীষন জ্বর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - প্রজ্ঞা মৌসুমী

    'ছনুর ছানুর হৈ ছনুর ছানুর' শব্দটা দারুণ বললেনতো। একটা সুরের আবেশ আছে কবিতায়। ক্ষর শব্দের মানেটা মনে করতে পারছি না এই মুহুর্তে তবে শব্দের প্রয়োগটা ভালো লেগেছে। ছিমছাম কবিতা- শুভ কামনা 

রোদেলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

যন্ত্রনার বীষবাষ্প //

সুখের বাক্সটাকে একটু আলগা করতে গিয়েই ধরা দেয় এক রাশ যন্ত্রনা ;
যন্ত্রনার সাগরে ডুব সাঁতার কাটতে কাটতেই কেটে যায় দীর্ঘ সাদা রাত্রি।
দিনের ঘোর লাগা অন্ধকারে ডুবে যেতে ইচ্ছে করে-
ইচ্ছে করে দু’হাতে তুলে নেই প্রতিশোধের আগুন।
ইথারের চলন্ত ফটোগ্রাফ মোড়ানো বীভৎসতা আমাকে কাঁপায়-প্রতি মুহূর্তে ;
আমি নির্বাক  চেয়ে থাকি , যেন চেয়ে থাকাটাই এখন অনেক বড় একটা কাজের মধ্যে পড়ে।
এই যে এতো প্রতিবাদ সভা –মিছিল-সমাবেশ কোন কিছুতেই খুঁজে পাইনা দিনের তপ্ত আলো।
কেবল ডুবে যেতে থাকি-এপার থেকে ওপাড়ে,
পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে –
যেখানে আমার বোন থাকে ,
যেখানে আমার ভাই থাকে ,
যেখানে বসবাস করে আমার কোলের সন্তান।
আমি তাদের হাহাকার শুনি, দু’হাতে বন্ধ করে রাখি কর্ন গ্রন্থি ;
তাদের বিদীর্ন চিৎকার আমার অস্থিমজ্জাকে ভেদ করে লোহিত কনিকায় নাড়া দেয়।
তবু আমি কিছুই করতে পারিনা-কিছুই না।
বিধাতা-আমাকে একটু অশ্রু দাও,
যন্ত্রনার মহা সমুদ্রে আমি চিৎকার করে কাঁদতে চাই।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - শাহ আলম বাদশা

    ভালো লাগলো 

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      জ্বি দাদা ভাল রাগার জন্য

      অসংখ্যা ধন্যবাদ

      ভাল থাকুন

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    শুভ কামনা

    - আলমগীর সরকার লিটন

    জ্বি দাদা

    শুভ কামনা

    ভাল থাকুন

    Load more comments...

রোদেলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

জম্পেশ ইফতার পার্টি ...নক্ষত্রে

প্রতিবারের মতো এবারো নক্ষত্র আয়োজন করেছিলো আরো একটি অনুষ্ঠানের।আসছে পবিত্র রমজানের ঈদকে সামনে রেখে এবার আয়োজন করা হয়েছিল ইফতার মাহফিলের ।সম্মানিত ব্লগার ও পন্য সরবরাহকারী সকলের উপস্তিতিতে ইফতার পার্টি বেশ জমে উঠেছিল গত ১১ই জুলাই।সারা দিন রোযার পর খুব জম্পেশ খাওয়া হয়েছিল ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে।
আয়োজক এবং অংশগ্রহন কারী সকলকে ধন্যবাদ।
continue reading
Likes ১১ Comments
০ Shares

রোদেলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

অন্তঃপুরের গল্প //

বয়সের কারনে কিংবা সময়ের কারনেই হোক রাহেলা বেগমের চোখের নীচে কালিটা অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ছে। ঠিক কতোগুলো দিন তিনি দু চোখ ভরে ঘুমান নি তা একমাত্র তিনিই বলতে পারেন। প্রাইমারী স্কুলে পড়ুয়া ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা দের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া তার কাছ অনেক সহজ হলেও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চতুর উকিলের জেরা জীবনে এই প্রথম।
-আপনি জানেন,এই ছেলেটিই আপনার মেয়েকে রেপ করেছিলো তাও আপনি এর সাথে মেয়েকে বিয়ে দিলেন?
আচমকা এমন প্রশ্নের জন্যে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না রাহেলা বেগম,কেবল ফ্যাল ফ্যাল করে উকিলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন আর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো বিন্দু বিন্দু জল।
-মেয়েটা রেপ হবার পর সমস্ত আলামত ,মেডিকেল সার্টিফিকেট তো আপনার হাতেই ছিলো, তাহলে মামলা না করে বিয়ে দিলেন কেন? আপনিতো েকজন প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা।
এবার রাহেলা বেগমের মাথার উপোর যেন ভোঁ ভোঁ করে কিছু একটা ঘুড়তে লাগলো । চারপাশটা কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে,দূর থেকে ভেসে আসতে লাগলো মিনির বাবার চিৎকার—ঐ হারামী মাগী,গতর খাকী। মাইয়া রেইপ হইসে তাও তুই ওরে কলেজে পাঠাস। মাইয়া দিয়া বিজিনেস করবি নাকি?
বলেই রাহেলা বেগবের পিঠের উপর পড়লো দুই চারটা বেল্টের বাড়ি ।
রাহেলা বহু কষ্টে উঠে বসে বললো-এতে আমার মেয়ের কি দোষ,ও তো কিছু করে নাই।
কথা শেষ না হতেই আবার চুলের মুঠী ধরে দিলো টান।
-এত্তো বড় কথা। তোর মাইয়া শরীল দুলায় হাটবো,আর পুলারা নজর দিলেই দুষ।
এলাকায় আর কি কোন মাইয়া ছিলো না,আমার মাইয়ারে ধরলো ক্যান? নিশ্চয় অর কুনো মতলব ছিল। আইজ থেইকা ওর কলেজ যাওয়া বন্ধ।
স্বামীর মুখের উপর কিছু বলবে এই শিক্ষা নিয়ে রাহেলা সংসার করছেন না,তাই মার খেয়ে দমে রইলেন। সে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    নিয়মিত লিখে যান। গুরুত্ব পুর্ন যে কোন সাবলীল আলোচনা চলতে পারে

    • - ম. গ. রেজওয়ান

      ধন্যবাদ ভাই।

রোদেলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

তবুও তুমি আমায় চেন নি ;

শেষ বিকেলে সোনা রোদ এসে পড়লো আমার গালে ;
কেউ কেউ বলতো, হাসলে নাকি ওখানে ঘন একখানা টোল পড়ে ।
ছোট বেলায় শুনেছিলাম গালে টোল পড়া মেয়েরা নাকি স্বামী সোহাগী হয় ,
সত্যি বলছি -আমার বেলায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি ;
আমাকে তুমি অনেক আদর করতে -কথায় কথায় ডাকতে ময়না ।
খিল খিল হাসিতে লুটিয়ে পোড়তাম -"আমি কি ওই পাখীটার মতো কালো নাকি ?"
তখন তুমি ডাকতে "জান" -এটা কোন পাখীর নাম নয় ;
তবু শব্দটা আমার কর্ন ভেদ করে মস্তিষ্কের সপ্তচূড়ায় ভীষন আন্দোলন ঘটাতো -
মনে হতো সাত সমুদ্রের পারে বসে কেও হয়তো কেবল আমারি অপেক্ষায় আছে ।
বাড়ন্ত বয়সে চুরি করে যখন পান খেতাম ,বান্ধবীরা মুখ টিপে হাসতো --
"দেখিস, তোর জামাই তোরে কত্তো ভালোবাসবে । "
ভালোবাসা বলতে আসলে ওরা কি বোঝাতে চেয়েছিল ;
সারাক্ষন শরীরের সাথে লেপ্টে থাকা ,
হরহামেশাই আলিঙ্গনে সিক্ত হওয়া ।
হয়তো বলতে চেয়েছিল --স্বামী আমাকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে রাখবে ,
কথায় কথায় ঘুরতে নিয়ে যাবে ইউরোপ থেকে আমেরিকা ।
হুম ওই বয়সে ভালোবাসার যথার্থ মানে খুঁজতে গেলে তাই দাঁড়ায় ।
না ,আমার ঘরে দীনতার কোন ছায়া নেই ;
ভালো- বাসারো কোন অভাব ঘটেনি একদিনও ।
কেবল দক্ষিনের ঐ খোলা বারান্দাটায় ঝুল পড়ে গ্যাছে -
মানি প্ল্যান্টের পাতাগুলো বিষন্ন -যেন ঝড়ে পড়তে পারলেই বাঁচে ।
এখন তুমি আমাকে কি নামে ডাকো ,কখনও খেয়াল করে শোনা হয় না ;
দাবার গুটির মতো চলছে জীবন -প্রজার চালটা ভুল হয়ে গেলেই সব শেষ !
কড়ে আঙ্গুল দিয়ে গুনে দেখলাম--দশটি বছর ; সেতো কম সময় নয় ।
আজ যদি প্রশ্ন করি --বলতো আমার প্রিয় রঙ কি ?
তুমি গড় গড় করে চারটা নাম বলবে -যে কোন একটাতো লেগেই যাবে তাই না... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা


    যেদিকে তাকাই তোমার চোখের আলো !
    অন্ধকারেও আমায় জ্বালিয়ে রাখে;
    তোমার হাসিতে ঐ বর্ণচ্ছটা--
    দিনরাত শুধু দু চোখে জড়িয়ে থাকে।

     

    সরল স্বীকারোক্তি

    • - দেবী প্রসাদ দাশ

      কঠিন জিনিস সহজ করে বলতে চেয়েছি। শুভেচ্ছা আপনাকে।

    - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভালোলাগা জানালাম!!!

    • - দেবী প্রসাদ দাশ

      emoticonsemoticonsemoticons

Load more writings...