প্রিয়তম আমার
আমি ঠিক জানিনা এই চিঠি তোমার হাতে পৌছাবে কিনা। যতটা অনিশ্চিত হয়ে তোমাকে লিখছি তারে চেয়ে বেশী ভয় আর উতকণ্ঠা কাজ করছে। আজ কতদিন তোমাকে দেখিনা। জানিনা কবে দেখতে পারবো। তবোও অপেক্ষায় আছি একদিন তুমি ফিরে আসবেই।
সব শেষ খবর পেয়েছিলাম তোমার সাথে যুদ্ধে যাওয়া আর কেউ ফিরে আসেনি যাদের সবাই সমুখ যুদ্ধো শহীদ হয়েছে, তারা শহীদ হয়েছে পাকিস্থাণী বর্বরদের হাতে, তখন আমি তোমার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে এইটুকু ভরসা ছিল তুমি তোমার সন্তানের জন্য দেশ শত্রু মুক্ত করতে গিয়েছো এবং তুমি তা করে তবে ফিরবে। আমি তো তোমাকে জানি তুমি তোমার সন্তানকে দেয়া কথা ফেলতে পারবেনা। আজ বারেক ভাইয়ের জানলাম তুমি বেচে আচো। তিনি আবার কাল ভোরের আলো ফুটে উঠার আগে চলে যাবেন।
এমন এক জায়গায় বসে লিখছি যেখানে হাজার হাজার মানুষের বাস। কেউ বলে শরনার্থী শিবির। এখানে সবাই সবাইকে কতনা আপন করে ধরে রেখেছে। হাজার যুবক বৃদ্ধ তাদের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধে যাচ্ছে। আমি তাদের দেখি। ওরা যতবার জয় বাংলা বলে শ্লোগান দিয়ে উঠে, আমিও তাদের সাথে গলা মেলাই তত বারই আমার গর্ভের সন্তান হাত পা ছুড়া ছুড়ি করে। আমি স্পস্ট বুঝতে পারি সে আমার সাথে বজ্র মুষ্ঠী তোলে। পাঁচ মাস গত হয়েছে তোমাকে দেখিনা। অনেক মানুষ দেখি আর সেই মানুষের ভীড়ে আমি তোমাকেই খুজে ফিরি। কেউ কারো খবর নিয়ে এলেই ছুটে যাই তুমি কবে আসবে।
আর কয়েক মাসের মধ্যেই আমাদের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে। তুমি বলেছিলে মেয়ে হবে। আমি বলেছিলাম ছেলে হবে। ইদানিং নিজের ভেতরে বড় সাড়া পাই। কেবলই মনে হয় আমি তোমার সুর্য... continue reading
Comments (6)
কবিতারা আজকাল বড় বেয়ারা হয়ে গেছে।
কবে যে ঘরে ফিরবে
তা তো জানি ভাই।
সুন্দর
ধন্যবাদ
খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ