Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

Riad Al Sahaf

৮ বছর আগে লিখেছেন

ব্যাচেলর লাইফ

লেটস হ্যাভ এডিসকাসন এ্যাবাউট ব্যাচেলর লাইফ।
শীতের সকালে এক বড় ভাইকে ডেকে তোলার দায়িত্ব ছিলো আমার উপর। ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখি ভাই বিছানার উপর চিৎপটাং শুয়ে ঘুমাচ্ছেন। পায়ে স্নিকার্স পড়া। কম্বল দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। শুধু জুতা সমেত পা দুটো কম্বল আর বিছানার বাইরে উকি মারছে।
ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, জুতা পড়ে ঘুমান কেন?
বললো, অনেক টায়ার্ড ছিলাম। তাইবাইরে থেকে এসেই শুয়ে পড়েছি।
-জুতা খোলারও টাইম পাইলেন না?
-আরেহ, জুতা খুললেই তো গন্ধ বের হবে। পা ধুইতে হবে। শীতের রাতে ওইটা ক্যামনে সম্ভব? গত চারদিন থেকে জুতা পড়েই ঘুমাচ্ছি।
-চারদিন? গোসল করেন না?
-না।
অবাক হয়ে মুন্নি সাহার মতো ভাইয়ের অভিজ্ঞতা... continue reading

৫৮৩

মফিজুল ইসলাম খান

৮ বছর আগে লিখেছেন

মায়ের অনুমতি

২০১১ এর প্রথম দিকে আমার মা অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন । বছরের শেষ দিকে তাঁর অবস্থা যখন মরণাপন্ন তখন আমার বড় ভাই মারা যান । তারপর থেকে কখনো একটু সুস্থ, কখনো একটু অসুস্থ এভাবেই মায়ের দিন কাটছিলো । এ অবস্থায়, ২০১৩ এর প্রথম দিকে আমি মায়ের কাছে হজ্বে যাবার অনুমতি চাইলাম । মা খুশি মনে আমাকে অনুমতি দিলেন । আমি তাঁর অনুমতি পেয়ে হজ্বে যাবার সকল ব্যবন্থা  চুড়ান্ত করে যাবার দিন গুনছি ।     
 
যখন আমার হজ্বে যাবার সময় এলো তখন আমার মমতাময়ী মা শয্যাশায়ী, মরণাপন্ন । তাঁর জবান বন্ধ । সব কিছু শুনেন । কিন্তু কিছু বলতে পারেন না... continue reading

৩৭৪

মুদ্রা

৮ বছর আগে লিখেছেন

অসংজ্ঞায়িত

একটা সময় অন্যের লেখা পড়ে আর নতুন লেখার আয়োজন করতে করতেই ফেসবুকেই সারা রাত কেটে যেত সুষমের। বিষন্নতাকে অক্ষরের মুদ্রায় ছাপাতে ছাপাতেই তার পরিচয় হয় লোপার সাথে,সারা রাত চ্যাট করে ভোরের দিকে দুজনের একই সাথে ঘুমাতে যাওয়া দিয়েই এ সর্ম্পকের গোড়াপত্তন হয়।
তারপর একটা সময় তাদের দেখা হলো,সেখানে লোপার বান্ধবি ইরার সাথে সুষমের পরিচয়,এভাবেই আস্তে আস্তে টুকটাক ফোনে কথাও চলতে থাকে লোপার সাথে,পুরো কথায় দুজনের বিভৎস অতীত গুলোকে নিয়ে,অজস্র দুঃখবোধ ঝরানো পর তারা দুজনই দুজনকে এগিয়ে চলার সাহস দিতে থাকে প্রতিদিন।
এর মাঝে সুষম হুট করেই আনিকা নামে একটা মেয়ের সাথে সর্ম্পকে জড়িয়ে যায়,কিন্তু ব্যপারটা লোপা মেনে নেয়ার... continue reading

৩৮৭

ওয়াহিদ মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ইটের বৃত্ত

সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বুয়া জানালো যে তার স্বামীর মানসিক অসুখটা বেড়েছে, ঔষধ কিনতে হবে। তাই তার স্বামীর জন্য ঔষধ কেনার টাকা দিলাম। কৃতজ্ঞতায় তার চোখে পানি এসে গেল।
অসুস্থ স্বামী এবং ছোট তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। কিছুদিন আগে সে আমাকে বলেছিল, “আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা করে না।”
শুনে আমি চমকে উঠেছিলাম।
মিরপুর বারো নাম্বার বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে ম্যাক্সি-তে চড়লাম। একটা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ-এ চাকরি করি। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ট্রাক স্ট্যান্ডের উত্তরে অফিস। সকাল আটটায় অফিসে গিয়ে বাসায় ফিরতে রাত প্রায় দশটা বেজে যায়।
স্কুল জীবনের বন্ধু জাহাঙ্গীর এবং শফিকের সঙ্গে মেসে থাকি। এতো... continue reading

৪১০

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

রমাকান্ত নামা—জীবন ধারাপাত

জীবনে কটা ফাগুন দেখেছেন রমাকান্ত ? তাঁর বয়েস যদি ষাটের কাছাকাছি হয়, তবে বলতে হয় ষাটের কাছাকাছি হবে তাঁর ফাগুন দর্শন। তবে চোখে দেখা আর মনে উপভোগ করা অন্য কথা। মনের ফাগুনের কোন গোনাগুনতি নেই, নেই তার ধরে রাখার ক্ষণ মুহূর্ত। যখন তখন মন পারে রং ধরতে--বয়সের সীমানা সেখানে নেই...
রমাকান্ত অকসর দুপুর বেলায় জানলার ধারের চেয়ারটায় এসে বসেন। পথ চলতি মানুষদের দেখেন। তার মাঝেই মানবীর আনাগোনাও তাঁর চোখে পড়ে। এটা চরিত্রের খুঁত নয়, একটা পুরুষালী ধর্ম বলা যেতে পারে--মনের ধর্মও বটে। মানব-মানবীর পরস্পরের প্রতি টান হল আত্মগত টান। 
রমাকান্ত মাঝে মাঝে ভাবেন, কত বড় চতুর আমাদের এই সৃষ্টি কর্তা !... continue reading

৪৪৪

টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

৯ বছর আগে লিখেছেন

"মুক্তির মুক্তি" (প্রতিযোগিতার জন্য)

১৯৭১ সাল । শহরের কাছাকাছি একটি গ্রাম, নাম মুক্তগ্রাম । এই গ্রামেই বাস করে মুক্তি ও তার পরিবার । সতেরো পেরিয়ে কেবলই আঠারোতে পা রাখা মুক্তির বিয়ে নিয়ে তার পরিবারের তোড়জোড় বেশ ভালোই ভাবাচ্ছিল মুক্তিকে । শ্যামবর্ণের হলেও দেখতে বেশ সুন্দর আর ছিপছিপে গড়নের মুক্তি পড়ালেখায়ও বেশ ভাল । মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হলেও তার যুগের মেয়ে হিসেবে মুক্তি ছিল যথেষ্ট আধুনিক, পাশাপাশি চঞ্চলও বটে ! সে তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল আরো কিছুদিন । অন্তত উচ্চ মাধ্যমিকটা শেষ করে তবেই বিয়ে করতে চেয়েছিল সে । কিন্তু গ্রাম এলাকায় এই বয়সের মেয়েকে কিছুতেই বাবা-মা বিয়ে দেয়া ছাড়া ঘরে রেখে স্বস্তিতে... continue reading

৩৮৬

সোহেল আহমেদ পরান

৯ বছর আগে লিখেছেন

দহন

~এক~
একাত্তর বয়স চলছে তাঁর। সুঠাম দেহ টানটান ভাব হারালেও তেমন দুর্বল হয়ে যাননি তিনি। ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে যান ঠিক আযানের সময়। কোনো  এলার্ম দরকার হয় না। রুটিন করে ঠিক ঘুম ভেঙ্গে যায়। স্ত্রী রাফিজা বেগম মারা গেছেন দশ বছর আগে। এরপর অনেকদিন ঘুম না আসার রোগ গেছে তাঁর। তারপর ক্রমেই এ অভ্যাস হয়ে গেছে তাঁর। যখন ইচ্ছে ঘুম থেকে ওঠে যেতে পারেন তিনি এখন। অথচ স্ত্রী  বেঁচে থাকতে ছিলো ঠিক উল্টো। স্ত্রীর ক্রমাগত ডাকে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ঘুম থেকে ওঠতে হতো।
তিনি কাদের সিদ্দিকী। মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী। একই নামে একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা থাকায় খুব গর্ব হয় তাঁর। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তবে গাজীপুরের ধনুয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এই কাদের সিদ্দিকী।... continue reading

৪১৪

দীপঙ্কর বেরা

৯ বছর আগে লিখেছেন

বিজয় হাসি ( প্রতিযোগিতা )

 
 
স্কুলে যাওয়ার পথে ক’দিন ধরে দেখছি এক বয়স্ক মানুষ সূর্যের দিকে তাকিয়ে কেমন হা- হুতাশ করে নিজের মনে একা একাই কি সব যেন বলেই চলেছেন । রোজ দেখতে দেখতে কেমন যেন মনে হল । কেউ এভাবে এই সবুজ মাঠ আর লাল টকটকে সূর্যের সামনে দাঁড়িয়ে দিনের পর দিন কি সব বলেই চলেছেন । মনে তো হয় সুস্থ সবল মানুষ । আর চোখে মুখে কিসের জন্য যেন আক্ষেপের সুর ।
বাধ্য হয়ে কৌতূহল নিবারণ করার জন্য একদিন এগিয়ে গেলাম – আপনি সামনে দু হাত বাড়িয়ে কি করেন ?
কথা শুনতে পেল কি না বুঝতে পারলাম না ; সাড়া না পেয়ে... continue reading

৪৪৬

মফিজুল ইসলাম খান

৯ বছর আগে লিখেছেন

মনের দুঃখ কারে বলি

১৯৮৭ এর ৩১ অক্টোবর ফজরের আযানের আগে আমার বাবা সবাইকে কাঁদিয়ে তাঁর মালিকের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান পরপারে এক অজানা অচেনা দেশে।
বাবা মা থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। সাথে থাকতো কম বয়সী ছোট ভাই বোন। আমি চাকুরী সূত্রে স্ত্রী পুত্রসহ ঢাকায়। আমার আর্থিক অবস্থা ছিল নুন আনতে পান্তা পুরায়। তাই তাদেরকে সাথে নিয়ে থাকার সামর্থ আমার ছিল না।
তখন দেশে মোবাইল ফোনের প্রচলন ছিল না। ল্যান্ড ফোনের এন. ডব্লিউ. ডি. সার্ভিসও ছিল না। ছিল ঝক্কর ঝক্কর ট্রাংকল সার্ভিস। তাও ঘন্টার পর ঘন্টা চেষ্টা করেও লাইন পাওয়া যেতো না।
চাকুরী সূত্রে আমার বড় ভাই থাকতেন চট্টগ্রামে। আমার এক... continue reading

৪২৯

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

কফিল একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল (প্রতিযোগিতা : ক্যাটেগরি-১)

আসরের আজান একটু আগেই দিয়েছে। মুসল্লীরা একে একে মসজিদে আসছেন। কেউ কেউ অজুখানায় গিয়ে ঢুকছেন। অন্যরা বাসা থেকে ওজু করে আসাতে সরাসরি মসজিদের ভেতরে চলে যাচ্ছেন। এতে অনেক সওয়াব। অজু থাকলে বাসা থেকে আসার পথে প্রতি কদমে কদমে সওয়াব।
সুদৃশ্য মসজিদ। শহরের অভিজাত এলাকার অভিজাত মানুষেরা এখানে নামাজ আদায় করেন। এদের ভেতরে সাধারণ এবং অতি-সাধারণ মানুষজনও আসে। তবে এদের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। যদিও ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী আল্লাহর ঘরে মানুষের ভিতর ভেদ ভেদাভেদ নেই। তারপরও এই অতি-সাধারণ মুসল্লিরা আগে এসেও সামনের প্রথম সারিতে বসতে কেন জানি কুন্ঠাবোধ করে। ঐ সারিতে গুলশানের এই এলাকার বাড়িওয়ালারা নিয়মিত বসেন। এদের ভিতরে রাজনীতিবিদ, সরকারি আমলা,... continue reading

৩৫ ৪৪৮