প্রায় মধ্যরাতে রিকসায় হলে ফিরছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। রিমঝিম বৃষ্টি না, একেবারে মুষলধারে বৃষ্টি।
রিকসাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম পলিথিন আছে কিনা। মানা করলো। সাথে মোবাইল, মানিব্যাগ আছে তাই বৃষ্টিতে না ভিজে দৌড়ে রাস্তার পাশে এক যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিলাম। রিকসাওয়ালাও আমার পাশেই বসলো।
বাড়ি কোথায়, ঢাকায় কোথায় থাকে এইসব টুকটাক কথা বলছিলাম। বললো যে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই থাকে। রিকসাটা তালা দিয়ে পাশেই বিছানা করে শুয়ে ঘুমায়। এরকম অবশ্য অনেককেই ক্যাম্পাসে থাকতে দেখি।
এমন সময় উনার ফোন এলো। বৃষ্টির কারণে কথা শোনা যাচ্ছিলো না তাই লাউড্স্পীকার অন্ করলেন তিনি। অপাশ থেকে কথা বলছেন উনার স্ত্রী।
কথোপকথনের সারমর্ম এই যে, উনাদের গ্রামে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য ফোন করেছেন। বৃষ্টির সময় খবরদার যেন রিকসা নিয়ে বাইরে না থাকেন। এখন যেন বাসাতেই থাকা হয়। বেশী কষ্ট করে টাকা পাঠানোর দরকার নেই। উনারা ভালোই আছেন।
রিকসাওয়ালা মামাও উনার স্ত্রীকে আশ্বস্ত করলেন যাতে টেনশন না করে। তিনি এখন বাসাতেই আছেন। সকালবেলা রিকসা নিয়ে বের হবেন। এখন ঘুমাবেন।
ততক্ষণে বৃষ্টি শেষ। রিকসাওয়ালা মামা আমাকে রিকসায় উঠতে বললেন। তারপর তিনি নিজেই কথা শুরু করলেন।
আমাকে বললেন যে, উনার স্ত্রী আর এক মেয়ে গ্রামে থাকে। মেয়েটা ছোট। ক্লাস ফাইভে। এবার পিএসসি পরীক্ষা দেবে। খুব ভালো ছাত্রী। রোল নং এক।
ঢাকায় কামরাঙ্গীরচড়ে কয়েকজনের সাথে এক বাসায় ভাড়া থাকতেন। মাসে এক হাজার টাকা ভাড়া। মেয়েটাকেও প্রাইভেট পড়াতে হবে। তাই বাসা ছেড়ে এখন রাস্তায় থাকছেন কয়েক মাস থেকে।
বাসা ছেড়ে দিয়েছেন এটা পরিবারের কেউ জানে না। উনিও জানাতে চান না। জানালে বউ খুব কষ্ট পাবে। রাতে রিকসা চালান, এটাও... continue reading
রিকসাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম পলিথিন আছে কিনা। মানা করলো। সাথে মোবাইল, মানিব্যাগ আছে তাই বৃষ্টিতে না ভিজে দৌড়ে রাস্তার পাশে এক যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিলাম। রিকসাওয়ালাও আমার পাশেই বসলো।
বাড়ি কোথায়, ঢাকায় কোথায় থাকে এইসব টুকটাক কথা বলছিলাম। বললো যে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই থাকে। রিকসাটা তালা দিয়ে পাশেই বিছানা করে শুয়ে ঘুমায়। এরকম অবশ্য অনেককেই ক্যাম্পাসে থাকতে দেখি।
এমন সময় উনার ফোন এলো। বৃষ্টির কারণে কথা শোনা যাচ্ছিলো না তাই লাউড্স্পীকার অন্ করলেন তিনি। অপাশ থেকে কথা বলছেন উনার স্ত্রী।
কথোপকথনের সারমর্ম এই যে, উনাদের গ্রামে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য ফোন করেছেন। বৃষ্টির সময় খবরদার যেন রিকসা নিয়ে বাইরে না থাকেন। এখন যেন বাসাতেই থাকা হয়। বেশী কষ্ট করে টাকা পাঠানোর দরকার নেই। উনারা ভালোই আছেন।
রিকসাওয়ালা মামাও উনার স্ত্রীকে আশ্বস্ত করলেন যাতে টেনশন না করে। তিনি এখন বাসাতেই আছেন। সকালবেলা রিকসা নিয়ে বের হবেন। এখন ঘুমাবেন।
ততক্ষণে বৃষ্টি শেষ। রিকসাওয়ালা মামা আমাকে রিকসায় উঠতে বললেন। তারপর তিনি নিজেই কথা শুরু করলেন।
আমাকে বললেন যে, উনার স্ত্রী আর এক মেয়ে গ্রামে থাকে। মেয়েটা ছোট। ক্লাস ফাইভে। এবার পিএসসি পরীক্ষা দেবে। খুব ভালো ছাত্রী। রোল নং এক।
ঢাকায় কামরাঙ্গীরচড়ে কয়েকজনের সাথে এক বাসায় ভাড়া থাকতেন। মাসে এক হাজার টাকা ভাড়া। মেয়েটাকেও প্রাইভেট পড়াতে হবে। তাই বাসা ছেড়ে এখন রাস্তায় থাকছেন কয়েক মাস থেকে।
বাসা ছেড়ে দিয়েছেন এটা পরিবারের কেউ জানে না। উনিও জানাতে চান না। জানালে বউ খুব কষ্ট পাবে। রাতে রিকসা চালান, এটাও... continue reading
Comments (1)
বাহ! দারুণ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সিদ্দিকী ভাই।