Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Riad Al Sahaf

৮ বছর আগে লিখেছেন

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

প্রায় মধ্যরাতে রিকসায় হলে ফিরছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। রিমঝিম বৃষ্টি না, একেবারে মুষলধারে বৃষ্টি।
রিকসাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম পলিথিন আছে কিনা। মানা করলো। সাথে মোবাইল, মানিব্যাগ আছে তাই বৃষ্টিতে না ভিজে দৌড়ে রাস্তার পাশে এক যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিলাম। রিকসাওয়ালাও আমার পাশেই বসলো।
বাড়ি কোথায়, ঢাকায় কোথায় থাকে এইসব টুকটাক কথা বলছিলাম। বললো যে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই থাকে। রিকসাটা তালা দিয়ে পাশেই বিছানা করে শুয়ে ঘুমায়। এরকম অবশ্য অনেককেই ক্যাম্পাসে থাকতে দেখি।
এমন সময় উনার ফোন এলো। বৃষ্টির কারণে কথা শোনা যাচ্ছিলো না তাই লাউড্স্পীকার অন্ করলেন তিনি। অপাশ থেকে কথা বলছেন উনার স্ত্রী।
কথোপকথনের সারমর্ম এই যে, উনাদের গ্রামে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য ফোন করেছেন। বৃষ্টির সময় খবরদার যেন রিকসা নিয়ে বাইরে না থাকেন। এখন যেন বাসাতেই থাকা হয়। বেশী কষ্ট করে টাকা পাঠানোর দরকার নেই। উনারা ভালোই আছেন।
রিকসাওয়ালা মামাও উনার স্ত্রীকে আশ্বস্ত করলেন যাতে টেনশন না করে। তিনি এখন বাসাতেই আছেন। সকালবেলা রিকসা নিয়ে বের হবেন। এখন ঘুমাবেন।
ততক্ষণে বৃষ্টি শেষ। রিকসাওয়ালা মামা আমাকে রিকসায় উঠতে বললেন। তারপর তিনি নিজেই কথা শুরু করলেন।
আমাকে বললেন যে, উনার স্ত্রী আর এক মেয়ে গ্রামে থাকে। মেয়েটা ছোট। ক্লাস ফাইভে। এবার পিএসসি পরীক্ষা দেবে। খুব ভালো ছাত্রী। রোল নং এক।
ঢাকায় কামরাঙ্গীরচড়ে কয়েকজনের সাথে এক বাসায় ভাড়া থাকতেন। মাসে এক হাজার টাকা ভাড়া। মেয়েটাকেও প্রাইভেট পড়াতে হবে। তাই বাসা ছেড়ে এখন রাস্তায় থাকছেন কয়েক মাস থেকে।
বাসা ছেড়ে দিয়েছেন এটা পরিবারের কেউ জানে না। উনিও জানাতে চান না। জানালে বউ খুব কষ্ট পাবে। রাতে রিকসা চালান, এটাও... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Riad Al Sahaf

৮ বছর আগে লিখেছেন

ব্যাচেলর লাইফ

লেটস হ্যাভ এডিসকাসন এ্যাবাউট ব্যাচেলর লাইফ।
শীতের সকালে এক বড় ভাইকে ডেকে তোলার দায়িত্ব ছিলো আমার উপর। ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখি ভাই বিছানার উপর চিৎপটাং শুয়ে ঘুমাচ্ছেন। পায়ে স্নিকার্স পড়া। কম্বল দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। শুধু জুতা সমেত পা দুটো কম্বল আর বিছানার বাইরে উকি মারছে।
ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, জুতা পড়ে ঘুমান কেন?
বললো, অনেক টায়ার্ড ছিলাম। তাইবাইরে থেকে এসেই শুয়ে পড়েছি।
-জুতা খোলারও টাইম পাইলেন না?
-আরেহ, জুতা খুললেই তো গন্ধ বের হবে। পা ধুইতে হবে। শীতের রাতে ওইটা ক্যামনে সম্ভব? গত চারদিন থেকে জুতা পড়েই ঘুমাচ্ছি।
-চারদিন? গোসল করেন না?
-না।
অবাক হয়ে মুন্নি সাহার মতো ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি জানতে চাইলাম।
বললেন, আসলে তেমন সমস্যা হয় না। তবে জুতার ভেতর মোজাটা পিচ্ছিল হয়ে গেছে। হাটতে হাটতে হঠাৎ ব্রেক করে দাড়ালে স্লিপ খাই।
অবাক হলাম না। তা-ই হবার কথা। ভাইকে দুইটা পরামর্শ দিলাম।
পরামর্শঃ ১. যখন জুতা মোজা খুলবেন তখন নাক মুখ কাপড় দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নিয়েন। না হলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
পরামর্শঃ ২. মাছ কাটার সময় মানুষ যেমন ছাই ব্যবহার করে, মোজা খোলার সময় আপনিও ছাই ব্যবহার কইরেন। না হলে খুলতে সমস্যা হবে।
পরামর্শ দিয়েই ফিরে এসেছিলাম। পরে তিনি কিভাবে কি করেছিলেন আমার আর জানা নেই।
আরেক দিন রাতেরবেলা রুমে ফিরলাম। দেখি এক রুমমেট সারা কম্বল জুড়ে বডি স্প্রে দিচ্ছে। ওর ৪০০টাকা দামের বডিস্প্রের ২০০টাকা মনে হয়ে কম্বলেই গেলো।
জিজ্ঞেস করলাম, ঘটনা কি?
বললো, পুরো মাস ব্যবহার করার পর কম্বলটায় গন্ধ হয়ে গেছে। তাই বডি স্প্রে দিচ্ছি। continue reading
Likes Comments
০ Shares

Riad Al Sahaf

৯ বছর আগে লিখেছেন

সোনালী ব্যাংক এ এখন লেনদেন হচ্ছে জাল টাকা।

সোনালী ব্যাংকের বহুত জালিয়াতির কথা মনে হয় সবাই জানেন। সে ক্ষতি সামাল দিতেই কিনা জানিনা তারা এখন নতুন পদ্ধতি উদ্বোধন করেছেন। সর্ষের মধ্যে ভূত আমদানি করছেন আর কি? Rab যেমন তাদের আসল কাজ না করে, সাধারন মানুষের নিরাপত্তা না দিয়ে গুম করে দিচ্ছে, সোনালী ব্যাংক তেমনি আসল নয়, ছড়িয়ে দিচ্ছে জাল টাকা।
আমি Western Union এর টাকা তোলার জন্য গতকাল ০৫.০৫.২০১৪ তারিখে “সোনালী ব্যাংক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস” (রেজিস্টার ভবন) শাখায় যাই এবং ৭,৭৩১.১৫ টাকা রেমিটেন্স তুলে পরীক্ষা দিতে যাই। পরীক্ষা শেষে যখন মোবাইল কিনতে যাই তখন একটি ১,০০০ টাকার নোট একটু ছেড়া ধরা পড়ে। আজ যখন বদলাতে গেলাম তখন তারা বলল, “এই নোটতো জাল” এবং ৭ নং কাউন্টারের যে কর্মকর্তা নিজে আমাকে সেই জাল নোট দিয়েছেন তিনি আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। তারপর, আমি ম্যানেজার এর সাথে দেখা করলে তিনি এই ব্যাপারে পুরোপুরি নির্লিপ্ত থাকেন।
সোনালি ব্যাংকের হর্তাকর্তাদের বলতে চাই, হলমার্কের ডাকাতি কিংবা আপনাদের নিজেদের কর্মকর্তাদের চুরির বোঝা আমাদের কাঁধে চাপাবেন না। আমরা ছাত্ররা নীলক্ষেতে বই কিনতে গেলেও হেঁটে যাই ১০ টাকা রিকসা ভাড়া বাঁচানোর জন্য। ১০০ টাকা আমাদের কাছে অনেক টাকা। তাহলে বোঝেন, ১,০০০ টাকার আপেক্ষিক মূল্যটা আমাদের কাছে কত বেশী?????
ভাবছি, মে মাসটা যদি ৩১ দিন না হয়ে ২০ দিনেই শেষ হত!!!
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    বাহ! দারুণ।

     

    • - মোঃ আরিফুর রহমান (ডিজিটাল কবি )

      অসংখ্য ধন্যবাদ  সিদ্দিকী ভাই।