লেটস হ্যাভ এডিসকাসন এ্যাবাউট ব্যাচেলর লাইফ।
শীতের সকালে এক বড় ভাইকে ডেকে তোলার দায়িত্ব ছিলো আমার উপর। ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখি ভাই বিছানার উপর চিৎপটাং শুয়ে ঘুমাচ্ছেন। পায়ে স্নিকার্স পড়া। কম্বল দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। শুধু জুতা সমেত পা দুটো কম্বল আর বিছানার বাইরে উকি মারছে।
ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, জুতা পড়ে ঘুমান কেন?
বললো, অনেক টায়ার্ড ছিলাম। তাইবাইরে থেকে এসেই শুয়ে পড়েছি।
-জুতা খোলারও টাইম পাইলেন না?
-আরেহ, জুতা খুললেই তো গন্ধ বের হবে। পা ধুইতে হবে। শীতের রাতে ওইটা ক্যামনে সম্ভব? গত চারদিন থেকে জুতা পড়েই ঘুমাচ্ছি।
-চারদিন? গোসল করেন না?
-না।
অবাক হয়ে মুন্নি সাহার মতো ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি জানতে চাইলাম।
বললেন, আসলে তেমন সমস্যা হয় না। তবে জুতার ভেতর মোজাটা পিচ্ছিল হয়ে গেছে। হাটতে হাটতে হঠাৎ ব্রেক করে দাড়ালে স্লিপ খাই।
অবাক হলাম না। তা-ই হবার কথা। ভাইকে দুইটা পরামর্শ দিলাম।
পরামর্শঃ ১. যখন জুতা মোজা খুলবেন তখন নাক মুখ কাপড় দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নিয়েন। না হলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
পরামর্শঃ ২. মাছ কাটার সময় মানুষ যেমন ছাই ব্যবহার করে, মোজা খোলার সময় আপনিও ছাই ব্যবহার কইরেন। না হলে খুলতে সমস্যা হবে।
পরামর্শ দিয়েই ফিরে এসেছিলাম। পরে তিনি কিভাবে কি করেছিলেন আমার আর জানা নেই।
আরেক দিন রাতেরবেলা রুমে ফিরলাম। দেখি এক রুমমেট সারা কম্বল জুড়ে বডি স্প্রে দিচ্ছে। ওর ৪০০টাকা দামের বডিস্প্রের ২০০টাকা মনে হয়ে কম্বলেই গেলো।
জিজ্ঞেস করলাম, ঘটনা কি?
বললো, পুরো মাস ব্যবহার করার পর কম্বলটায় গন্ধ হয়ে গেছে। তাই বডি স্প্রে দিচ্ছি।