Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

robin iqram

৯ বছর আগে

অসংজ্ঞায়িত

একটা সময় অন্যের লেখা পড়ে আর নতুন লেখার আয়োজন করতে করতেই ফেসবুকেই সারা রাত কেটে যেত সুষমের। বিষন্নতাকে অক্ষরের মুদ্রায় ছাপাতে ছাপাতেই তার পরিচয় হয় লোপার সাথে,সারা রাত চ্যাট করে ভোরের দিকে দুজনের একই সাথে ঘুমাতে যাওয়া দিয়েই এ সর্ম্পকের গোড়াপত্তন হয়।

তারপর একটা সময় তাদের দেখা হলো,সেখানে লোপার বান্ধবি ইরার সাথে সুষমের পরিচয়,এভাবেই আস্তে আস্তে টুকটাক ফোনে কথাও চলতে থাকে লোপার সাথে,পুরো কথায় দুজনের বিভৎস অতীত গুলোকে নিয়ে,অজস্র দুঃখবোধ ঝরানো পর তারা দুজনই দুজনকে এগিয়ে চলার সাহস দিতে থাকে প্রতিদিন।

এর মাঝে সুষম হুট করেই আনিকা নামে একটা মেয়ের সাথে সর্ম্পকে জড়িয়ে যায়,কিন্তু ব্যপারটা লোপা মেনে নেয়ার ভান করলেও আসলেই কি মেনে নিয়েছিল,হয়ত না। তবু তাদের সর্ম্পকটা তারা চালিয়ে নিয়ে গেছে এক রকম প্রবল বোঝাপড়ার কারনেই।এর মাঝেই একদিন ইরা লোপাকে বলে বসে তুই কিন্তু সুষমের সাথে নিজেকে ভেবে দেখতে পারিস,লোপা উত্তর দেইনি।এভাবেই লোপা ইর্ষা চেপেই সুষমের সাথে এগিয়ে যায়,একদিন হুট করেই সুষম লোপাকে জানায় আনিকা চলে গেছে,সে বিয়ে করছে তার অন্য আরেক পছন্দের মানুষকে।তারপর সুষমের প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে,লোপা প্রবল মমতা নিয়ে সুষম কে একটু একটু করে টেনে তোলে,সুষম কিছুটা সুস্থ হয়।

এবার শুরু হয় ঝগড়ার অধ্যায়, শুধুই দীর্ঘ হওয়ার সে প্রতিফলনে মাসের পর মাস দুজন কথা বন্ধ করে বসে থাকে,কেউ কারোর ফেবু ওয়ালে যাওয়াও একরকম বন্ধ করে দেয়।হঠাৎ একদিন লোপার টেক্সস, টুকটাক করে কথায় পুরাতন মাণ অভিমান গুলো ভাঙ্গতে থাকে,লোপা জানায় সে সুষম কে এ কয় মাস অনেক মিস করেছে।লোপার ফাইনাল টার্ম শুরু হয়,সারারাত পড়া বাদ দিয়ে লোপা যেন সুষমের সাথে কথা বলেই শান্তি পায়।সুষম বকে আবার প্রচন্ড স্নেহও করে,আর সুষমের কথার কনফিডেন্সেই লোপা কিভাবে জানি পরীক্ষা গুলোতে উতরে যায়।লোপার দিনের বেশি ভাগ এখন সুষমের সাথে থাকা,মাঝে মাঝে ক্লাস বাদ দিয়েই দুজন বসে থাকে। এটা নিয়া ইরা আর ক্লাসমেট দের সাথে লোপার ঝগড়া চলতেই থাকে,তাদের একসাথে রিকসা চড়া নিয়েও বহু মানুষ প্রশ্ন আকতে থাকে,তবু সুষম কে ছারা হয় না।একদিন লোপা হঠাৎ করেই সুষমকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় কেন সে লোপাকে স্পর্শ করে না,সুষম বিপরীতে অধিকার বোধের গল্প ফাদে।ঠিক তারপর দিনই লোপা সুষমের পিঠে হাত রাখে,আবার দ্রুত সরি বলে নিজেকে গুটিয়েও নেয়,সুষম হাসে।লোপার বিয়ে ঠিক হয় তবু সুষম পিতি কমে না,এগুলা নিয়ে দুজনের ঝগড়াও হয়,সুষম প্রশ্নের উত্তরে লোপা প্রচন্ড পছন্দের পর রিস্ক নেবার সাহসহীনতার কথা বলে।সুষম বুঝে ফেলে ব্যবধান স্পষ্ট।

বিয়ের টিক ৩দিন আগে লোপা সুষমকে ফোন দেয়, জানায় সে নাকি একটা খারাপ মেয়ে কেবল নিজের প্রয়োজনে সুষম কে সে ব্যবহার করেছে।লোপার সরি শব্দটা তখন সুষমের কাছে নিছক তামাশা ছাড়া কিছুই না,সুষম হাসে।আর এভাবে হাসতে হাসতেই হয়ত বহু সুষম জীবণের লাইফ সাইকেল থেকেই হারিয়ে যায়।হেডফোনে বাজতে থাকে

"এই একলা থাকার মরসুম এই শেষ না হওয়া রাত
কত কথা মনে পড়ছে কত বার
সব ছেড়ে যাবার রাস্তা ঘিরে হালকা তুষারপাত
শুধু ঘরে ফেরা হলো নায় আমার।"

০ Likes ০ Comments ০ Share ৩৮৭ Views

Comments (0)

  • - আখতারুজ্জামান সোহাগ

    সত্যিই! এভাবেই কি ফিঙে পাখিদের রাজা হয়েছিল? দারুণ মজার ছড়া। শুভকামনা ছড়াকার। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

    - সুমন সাহা

    খুব সুন্দর লাগলো প্রিয়।

    আমার তো যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগীতার কথা মনে পড়ছে।

    শুভেচ্ছা রইলো।emoticons

    ভালো থাকুন।