আমাদের মঞ্চের যত রঙ...
সন্ধ্যাবাতি, মহড়া, শো, গ্রীন রুম,মেকআপ, লাইট-প্রপস-কস্টিউম, অভিনয়- এসমস্ত শব্দ হামলে পড়বে থিয়েটার শব্দটা মাথায় এলেই। আর দর্শক। আমাদের মঞ্চের জগত নিয়ে কিছু কথা যা ঘুরপাক খায় মনে কিংবা আড্ডায় সেসমস্ত কিছুই জানার ছিল।
‘থিয়েট্রেক্স’ নাট্যদলের প্রধান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সুদীপ চক্রবর্তী এবং ঢাকা থিয়েটার-এর নাট্যকর্মী ও কথাসাহিত্যিক রুবাইয়াৎ আহমেদ, ‘লেইমা’ আর ‘কহে বীরাঙ্গনা’-র মাধ্যমে আলোচিত মুখ মণিপুরী থিয়েটারের সভাপতি শুভাশিস সিনহা এবং চট্টগ্রামের ‘নান্দীমুখ’ নাট্যদলের প্রধান অভিজিৎ সেনগুপ্ত।
অনেক কথা। কিছু আনন্দ-প্রাপ্তি আর অনেক অপ্রিয় সত্যও। মঞ্চের আলো-অন্ধকারের গল্প নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
বাঁ থেকে অভিজিৎ সেনগুপ্ত, সুদীপ চক্রবর্তী, রুবাইয়াৎ আহমেদ, শুভাশিস সিনহা
আন্তর্জাতিক অঙ্গন আর আমাদের রঙ্গমঞ্চ:
কতটা আমাদের নাটক পৌঁছোলো বিশ্ব-দরবারে। সে প্রশ্ন করার আগে সম্ভবত এ প্রশ্নও করতে হয় যোগ্যতা কতটা অর্জন করতে পেরেছি আমরা? বলছিলেন সুদীপ চক্রবর্তী – ‘পেশাদারিত্ব না থাকলে হবে না আসলে। দক্ষতা অর্জনের জন্য যে শ্রম দেওয়া দরকার তার জন্য পেশাদারিত্ব খুব জরুরী। হচ্ছে, দু-তিনটি ভালো নাটক মিসর, ভারত, কায়রো, ইংল্যাণ্ডে যাচ্ছে কিন্তু সামগ্রিক চিত্রটি আশাব্যঞ্জক নয়।’
নাট্য-নির্দেশক রুবাইয়াৎ আহমেদ-এর কন্ঠেও ছিল হতাশা – 'ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কাজই তো করছি আমরা। একেবারেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেই তা বলবো না, ঢাকা থিয়েটারের ‘দ্য টেম্পেস্ট’ দেশের বাইরে বেশ কয়েকবার মঞ্চস্থ হয়েছে, থিয়েট্রেক্স এর ‘দক্ষিণা সুন্দরী’, কমনওয়েলথ গেমসের সাংস্কৃতিক আসরে মঞ্চস্থ হয়েছে। বাইরে প্রশংসিতও হয়েছে বেশ। কিন্তু কোন বহুজাতিক কোম্পানী কিংবা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা তবুও পাওয়া যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে টিকে থাকাটাই হুমকির মুখে বলতে হবে। ’
কথা উঠেছিল অভিনয় দক্ষতা নিয়েও। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের যখন রুটি-রুজির জন্য সরে পড়তে বাধ্য হতে হয় তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেখানে থিয়েটারে পেশাদারিত্ব প্রবল সেখানে মুখ থুবড়ে পড়ে বৈকি বাংলাদেশের থিয়েটার। চট্টগ্রামের...[…]