একটি কবিতা লিখব তোমার জন্য
কিছু ঘাসফুল আর জোছনার আলো
ছড়িয়ে দিব তাতে,
আরো লিখব, আমার চোখের পাতা
তোমার জন্য ঠিক কতখানি ব্যকুল।
তুমি পড়বে আর হাসবে,
বলবে, এই ছেলে
কেন এত ভালোবাস আমায়?
continue reading
একটি কবিতা লিখব তোমার জন্য
কিছু ঘাসফুল আর জোছনার আলো
ছড়িয়ে দিব তাতে,
আরো লিখব, আমার চোখের পাতা
তোমার জন্য ঠিক কতখানি ব্যকুল।
তুমি পড়বে আর হাসবে,
বলবে, এই ছেলে
কেন এত ভালোবাস আমায়?
continue reading
উত্থান নেই, পতনের ভীতি ব্যাকুল করেনি কখনোই
শুধু তোমার জন্য উৎকণ্ঠিত ছিলাম-এই এলে বুঝি!
এই বুঝি শ্রাবণের মেঘে সূর্যকে আড়াল করে
তোমার ছায়া হেসে উঠবে ধান ক্ষেতে!
অথচ তুমি আসোনি, তাই দাবানলে পোড়ে অস্তিত্ব
ইচ্ছের পায়রা মুখ থুবড়ে পড়ে লজ্জায়-দীনতায়।
বিবাগী মানুষের সংসার মরুভূমিতে পথ হারানো-
ঘুমের ঘোরে দু:স্বপ্নের পদাবলি,
মাতালের প্রেম, তীরহারা নাবিকের
আলেয়ার পথ দেখানো!
আমার সংসার নেই, বৈরাগ্য নেই কিছুতেই,
আমার আছো তুমি-শুধুই তুমি।
আকাঙ্ক্ষার স্বচ্ছ দর্পণে তোমার ছায়া দেখে
বেঁচে থাকার ইচ্ছে প্রবল জোয়ারের জলে
ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমাকে রূপকথার দেশে,
অথচ সেখানে...
continue reading
এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পএ দিও
এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালীর তাল পাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পএ দিও।
ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পএ দিও।
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পএ দিও, পএ দিও।
আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেও, আপত্তি নেই।
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালবাসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কি আসে যায়?
এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা বা কষ্ট দেবে!
...
continue reading
এমন যদি হত
এলোমেলো দুষ্ট মেঘ,মিষ্টি বৃষ্টি ঝরে,
ভিজিয়ে দেয়, তোমার অভিমানের মত
গোল্লাছুট খেলার তাড়ায়, মেঘ পালালে হেসে হেসে।
সেই দিন থেকে উদাস আকাশ
মুচকি হাসি বিলিয়ে বেড়ায়, দিগন্তের গায় রংতুলিতে
কত কি যে আঁকিয়ে বেড়ায়!!!!
উদল মাঠ সবুজ মাখে
অভিমানের সেই যে হাওয়া,
পুকুর জলে ঢেউ খেলে।
লাল ফড়িং তার মুক্ত ডানায়, ঘাস ফুলে সব চুমিয়ে বেড়ায়
তবু সেই অভিমানই, কাঠবিড়ালির চঞ্চলতা।
======
continue reading
পরিনামে পরিনত শাশ্বত জীবন অবারিত
যবে পতিত পল্লব মণ্ডিত নিস্পলক আঁখি গহীনে,
যেন শত বর্ষের অদম্য পিপাসায় পিপাসার্ত
সলিলে সমাহিত করে অবধারিত নিয়তি,
যেন পূরণ করে আকূতি যত মানসপটে
সবিনয়ে নিবেদন আজ শুধু বিরানে বিলীন।
কন্টক দুর্ভেদ্য চিন্তামালার খোলা জানালা
কেবলই খুলে দেয়া দুর্গ্রহের ধোয়ার্ত চিমনি।
প্রতীয়মান আজ অপেক্ষার প্রহর গুলোর নিশ্চুপতা
কোন মোহে বিচ্যুত তায় কক্ষপথ হতে কক্ষমাত্রায়।
নির্লোভ কামুক চাহুনির তীব্র থেকে তীব্রতর জ্বালা
আজ কেবলই পর্যবাসিত শীৎকারের উল্লাসিতায়।
উদ্ভট উশৃঙ্খল কথামালা, অনিয়মিত শব্দক্ষরণ,
সাগর মন্থনে যেন সর্পরাজ বাসুকির দু'পাশে
দেব আর অসুরের পরিমিত সঞ্চালনের ছোঁয়া।
মন্থন রস যেথা এক একটি উপপাদ্যের প্রতিপাদন।
প্রতিপাদিত প্রতি উপপাদ্য অন্তঃস্থকরন সাপেক্ষে
নিঃসৃত যেন অমৃত, যেখানেও আছে...
continue reading
বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করছি কুরবানী ঈদ আসলেই বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বেশ কয়েকজন চিন্তাশীল মানুষ কুরবানীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা বুঝানোর চেস্টা করেন কুরবানী এবং হজের মাধ্যমে অনেক টাকার অপচয় হয়। যা দিয়ে দেশের অনেক ভালো করা যেত। দেশী বিদেশী অনেক বুদ্ধিজীবি সহ এন বি আর এর সাবেক চ্যায়ারম্যনও বাদ যান নি। আমি ধরে নিচ্ছি ধর্মকে হেয় করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তারা হয়ত বিষয়টি জানেন না। অথবা নিছকই মতামত তুল ধরছেন। একটু আলোচনা করলেই কুরবানী প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব পাওয়া যাবে আশাকরছি। আসলে কুরবানীর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝার জন্য ধর্মের খুব গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা কুরবানীর... continue reading
এই ব্লগ এর অনেককিছু নতুন যা অন্য ব্লগে নেই আবার অনেক জরুরী ফিচার এখনও চালু করতে পারেনি। যারা ব্যাবহার করছেন সবাই হয়ত এরমধ্যেই অবগত হয়েছেন। যেহেতু একেবারে নতুন যাত্রা সময় লাগবে সবকিছু ঠিক করতে। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম। আশাকরি পরিচালকবৃন্দ একটি সুন্দর কারিগরি বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ব্লগ আমাদের উপহার দিতে পারবেন। আর ব্লগাররা তাদের ক্ষুরধার লেখনী দিয়ে নিজেকে, সমাজকে, দেশকে বিশ্বায়নের ধারায় সংযুক্ত করতে পারবেন। ব্লগ পরিচালকদের অসংখ্য ধন্যবাদ (যদিও তাদের পরিচয় জানি না)।
continue reading
নেতা গোছের মানুষ আমি
হনহনিয়ে রাস্তা চলি
সাঙ্গ-পাঙ্গসব থাকে পিছে
তেল মারে দিনে রাতে,
মানুষ আমায় সালাম করে
আষ্টহাত দূরে থেকে
কথা দিয়ে কথা রাখি না
প্রতিশ্রুতি যাই ভুলে।
পুলিশ আমায় সমীহ্ করে
যতোই মামলা থাক থানাতে
টাকার কাছে নত তারা
চোখের ইশারা ভালই বোঝে।
ক্ষমতা যখন বুক পকেটে
কার কি বা করার থাকে,
বুক ফুলিয়ে রাস্তা চলি
অসহায়কে দেই গালি
এমন এক নেতা আমি
নিজের ভাল আগে বুঝি।
continue reading
পরীরা কাঁদে না, পরিপাটি চুল বাঁধে,
পরীদের আঁখিপল্লবে যা থাকে তা হলো শিশির।
সফেদ ঘোড়ায় চেপে আসে রাজারকুমার
এপথ যেখানে শেষ হলো, অদূরে দুয়ার খোলা
ব্যপক পৌষের অনুদানঃ শিশির জমানো দীঘি নিয়ে
প্রতীক্ষায় থাকে পরী অনিবার্য পৌরুষের......।
একাকী রাজকুমার নেমে আসে
নেমে আসে পরীর চোখে, শিশিরে লুটোপুটি খায়
যেনো শৈশব ফিরে পেয়েছে তার
টলটলে বোধের পুকুরে পুণ্যস্নানের আস্বাদ......।
তারপর, দরোজার ওপাশে অন্য আকাশ
অন্য মাটিতে সৃষ্টি থেমে নেই, নেই নশ্বরতা
ঘোড়া নেই, ঘড়ি নেই, তবু নেই স্থবিরতা
দলবেঁধে ওড়ে জীবন্ত ঘুড়িরা, ওরা দিগন্তে ঝরায় বৃষ্টি
সে কী বৃষ্টি! উৎসব! সে কী উৎসব!
পরীর সঙ্গে রাজকুমার অথবা রাজপুত্রের সঙ্গে পরী......।
পরীরা কাঁদে না, কাঁদতে জানে না
continue reading
খুব করে বলে দিয়েছি নিজেকে,
বিপ্লবে আদৌ মুক্তি নেই ।
যারা স্বাধীনতা পেয়েছে তারা জানে না
নতুন শাসকের শক্ত শেকল পড়েছে পায়ে তারা ।
প্রাতঃ ভোরে রোজ বলি নিজেকে,
চাকরি কর, পয়সা কামাও
সুন্দরী দেখে বিয়ে কর
জীবন এর চেয়ে বেশি সুন্দর নয় ।
কেননা আমি দেখেছি,
ভাল খারাপ দুজন লোকেরই গড় আয়ু সমান ।
মাননীয় রাষ্ট্রপ্রধান,
এই শহরে কবিতা নিষিদ্ধ হোক
কবিদের ফাঁসি হোক মিথ্যের জন্য
কিংবা সত্যের ।
তারা টেবিলে বুলি ছোঁড়েন বুলেট ক্ষিপ্রতায়
মধ্যরাতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলে শান্তির বাণী খপছান কবি ।
কবিতায় সত্য কথা চলে আসে
...
continue reading
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ
বাংলা প্রানের সুর
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় কথা কই
আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই ।।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে
করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার
বাংলাই আমার দৃপ্ত স্লোগান
ক্ষিপ্ত তীর ধনুক
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় ভালবাসি
আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর...
continue reading
একটু ভূমিকা দিয়েই শুরু করতে চাইঃ “আমার এই লেখাটিকে শিরোনাম দেখে স্রেফ প্রেমের গল্প ভেবে ভুল করার কোন কারন নেই। কারন Never judge a book by it’s cover.” বাকিটুকু পড়ার আমন্ত্রন জানাই।
আমাকে কিছুদিন আগে একজন প্রশ্ন করেছিল, “মানুষ কি পা দিয়ে হাঁটে না মাথা দিয়ে হাঁটে?” আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্নটি অবান্তর মনে হলেও একটু গভীরে গেলে এর চমৎকার কিছু বাস্তবতা পাওয়া যাবে। আসুন একটু গভীরে যাই।
## আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে আছে স্নায়ুতন্ত্র(Nervous System)। যার ক্ষুদ্রতম একক হল নিউরন। অনেকেই ভাবতে পারেন যে নিউরন কেবল আমাদের ব্রেইনে থাকে। কিন্তু আমাদের সারা শরীরেই ছড়িয়ে আছে এই নিউরন (neuron)। অর্থাৎ নিউরন হচ্ছে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষুদ্রতম একক।
continue reading
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি এই ব্লগে একদম নতুন। এখানে অনেক পরিচিতজন কে দেখতে পাচ্ছি। আশা করি অন্যান্য ব্লগের মতোই এখানেও সবার ভালোবাসা পাব, পাব উৎসাহ।।
আপনাদের উৎসাহ পেলেই আমি নিয়মিত লিখতে পারব ইনশাল্লাহ্। সবার দোয়া চাচ্ছি।
continue reading
অবলম্বন
আমাকে একটু ভালবাসা দিতে পারো!
আমি জানি এতোটা কাঙাল তুমি নও, ইচ্ছে করলেই দিতে পারো।
হৃদয়ের ভাঁজে ভাঁজে হয়তো গোলাপের পাপড়ি নেই,
কাঁধে নেই চটের ব্যাগ, তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখবো
এমন কবিও হয়ে উঠিনি। চিঠি লিখে ভালবাসার কথা জানাবো
অতটা সহজাত প্রেমিক হয়ে উঠতে পারিনি;
তবুও ভিক্ষাবৃত্তির এই দেশে সবকিছুই মুখ ফুটে চাইতে হয়।
বিপণনের বাজারে ভালবাসা মূল্যহীন, অনেকেই একথা বলে-
অথচ এই মূল্যহীন কিছুই আমি চাই তোমার কাছে,
এতে ভাববার কী আছে!
নীতিকথা বলবেতো, বলতেই পারো-
চাইলেই কী আর ভালবাসা পাওয়া যায়!
এমনটা বললেও আমি পিছু হটতে নারাজ,
দেহে...
continue reading
রূপাইয়ের সাকিন নেই, কী জানি কোথায় ঘুরে বেড়ায়!
সংসারী হয়েছিল, নাকি চিরটাকাল বিবাগী থেকে গেলো,
এতোসব রূপাই জানে; তবু মাঝে-মধ্যে খবর আসে
রূপাই সংসারী গোছানো সংসারে। ওর আঙিনায় এখন
যুঁই-চামেলী ফোটে, শরতে শিউলি ঝরে শিশির সিক্ত হয়ে!
শ্যাওলা জমা পুরানো ঘাটে রূপাই কোন কোন রাতে
আকাশে তারার মাঝে একটি মুখ খুঁজে খুঁজে খুব ক্লান্ত হয়ে
অনিন্দ্যকে নিন্দার কাঁটায় জীর্ণ করে- ‘তুই খুব নিষ্ঠুর,
তোকে ঈশ্বর কোনদিনই ক্ষমা করবেন না অনিন্দ্য।’
রাত বাড়ে, দুঃখের বোঝা খুব ভারি মনে হয় রূপাইয়ের।
কত কথা মনে পড়ে; স্মৃতির ধূলো থেকে অনিন্দ্যকে তুলে
দক্ষিণা বাতাসে বিন্যস্ত চুলে আঙুল...
continue reading