Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সুমন দাশ

১০ বছর আগে লিখেছেন

প্রতিদিন যোগ্য হয়ে উঠি মৃত্যুর

আমি বহুবার মারা যাচ্ছিলাম পৃথিবীতে এসে । 
একবার আমি সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিলাম
সমুদ্রে আর কত জল !
কত আর গভীরে গেছে তল, তুমি বীণে !!
আমাকে একবার একটা উজবুক ট্রাক রিক্সা ছাপা দিয়ে ফিরে গেছিল 
আহত আমি তোমাকে দেখছিলাম সেখানেও 
প্রজাপতির মত উড়তে
আরও একটি কবিতার মুখোমুখি দাড়িয়ে সেদিন ।
একবার ঘাতকের বুলেট এসে বিঁধেছিল আমার বুকের ঠিক বাম পাশে 
তুমি ছিলে না পাশে 
আমার মৃত্যুতে রুচি জাগেনি সেদিনও ।
আরও কতবার প্রাত্যাহিক সংঘাতে আমি রোজ
ধ্বংস হয়ে গেছি
টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলাম ধুলোয়
মাঠে
বনে 
ঘাসে
আমি নিজেকে কুড়িয়ে প্রতিদিন জোড়া লাগিয়ে ফেলেছিলাম বরাবর
কেননা আমি চেয়েছি, 
প্রতিদিন চেয়েছি
তোমার হাতে আমার মৃত্যু হোক ! 
আমি প্রতিদিন নিজেকে যোগ্য করে তুলেছি মৃত্যুর ।
আমি মরতে মরতে দেখছি তোমাকে
এই দৃশ্য
এই মৃত্যু
দুটোই স্বর্গের চেয়ে বেশি মধুরতর
অথচ, লোকে ভাবে স্বর্গ কতদূর !
১৬ মার্চ ২০১৪
০২ চৈত্র ১৪২০
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - মাসুম বাদল

    অশেষ ধন্যবাদ পরিবর্তিত ও বর্ধিত সময়ের জন্য।

    আশাকরি, প্রতিযোগিতা আরো জমে উঠবে...

    - গোলাম মোস্তফা

    অনেক শুভ কামনা রইলো। 

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    সময় সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় লেখার প্রেশারটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এখন সময় সীমা বাড়িয়ে ফেললেন তো ফ্যাসাদে! এখন আবার লেখার প্রেশারে চেপে বসলো যে!! নতুন করে কি লিখবো এখন?? 

    Load more comments...

সুমন দাশ

১০ বছর আগে লিখেছেন

পৃথিবীটা সুন্দর ঘুমের ভেতর

আমার বেঁচে থাকতে ভাল লাগে ঘুমিয়ে
আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ঘুম !
ঈশ্বরেরও ঘুম ভাল লাগে 
আমি মনুষ্যত্বের সকল দিকপাল হারিয়েও থাকতে চাই তার প্রিয়তায় ।
প্রতিবার প্রেমে পড়লে মানুষ প্রতিবারই পবিত্র ভাবে সেই প্রেমকে 
এমন ভাল সে আর কখন বাসে নাই !!! 
আমি প্রতিবারই ঘুমের প্রেমে পড়ি কেবল
প্রতিদিন আত্মাহুতি দিই অমরত্বের লোভে
কারণ আমি দেখেছি, প্রেমিক প্রেমিকেরা সব বাঁধা ডিঙিয়ে একদিন
সংসার পাতে 
আর কিছুদিন পর একদিন তেল-নুন জায়গা পেয়ে বসে তাদের বিবাদে
লাইলি-মজনুর প্রেম আদতে বিরহতেই বাঁচে !!!
আমি তাই নামতা পড়ি কেবল ঘুমের
‘ঘুম একে ঘুম
ঘুম দু গুণে ঘুম’ ।।
পাহাড়ের পা ধোয়া জল একদিন সমুদ্রে পৌঁছে বিদ্রোহী হয়ে উঠে
উজবুক মানুষের মত লাগামহীন হয়ে উঠে একদিন স্রোত 
একদিন আগুন হয়ে উঠে অধীনস্ত মানুষ
প্রেমিকার কাছেও
অথচ মানুষ একদিন অমরত্ব পেতে চেয়েছিল ! 
স্বর্গে যেমন মানুষ হাঁফিয়ে উঠে
নরকেও লাগামহীন ।।
আমি তাই শীতের মধ্যান্হ রাতে নেশাগ্রস্তের মত জল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি 
ঘুমের ভেতর পৃথিবীটা বেশি উপলব্ধিকর ।। 
২৮ জানুয়ারি ২০১৪
১৫ মাঘ ১৪২০
continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    বা সুন্দর লাগল

    ভোট দানে আমন্ত্রিত

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      লিটন ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ । ভোট অবশ্যই দিবো চিন্তার কোনো কারন নেই ।

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    সবাই এক রকম।
    লজ্জাহীন,
    অর্থহীন,
    আস্থাহীন
    অসুস্থতা,
    মৌনতা,
    বিষণ্ণতা,
    অপরাধপ্রবনতা

    ''''''''''''অসাধারণ

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      ধন্যবাদ জাহান ভাই ।

সুমন দাশ

১০ বছর আগে লিখেছেন

নির্বাচিত বেদনা

তোমার বাবাও এক অষ্টাদশীর প্রেমে পড়েছিলেন একদিন
একদিন জয়নুলের দুর্ভিক্ষের ছবি দেখে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন 
তিনি রবীন্দ্র শুনতেন একদিন 
পাহাড় সমুদ্র দেখলে দু হাত তুলে পাখির মত
বালক হয়ে যেতেন 
তিনি বড় হয়ে কবি হতে চেয়েছিলেন 
বহুদিন আগের সেসব নস্টালজিয়া এখন ফোঁড়ন কাটে অসময়ের
এখন সময়ের হাতে মার খাচ্ছে লাঞ্ছিত মানবতা !!!
মেয়ে, নোটিশ বোর্ড দেখেছ ?
সেখানে ঝুলে আছে আমার ব্যাক্তিগত দর্জির যাবতীয় সেলাই
নির্বাচিত গোপন বেদনা সকল,
সব নদীর বর্ষপূর্তি স্রোত তোমার পায়ে লুঠে পড়েছে
তুমি এক জন্মান্ধ ঘোড়ার মত 
আমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছ হাওয়াবেগে 
ভোর থেকে রাত্রি
বেকসুর খালাস দিয়ে সময়কে চম্পট !
শিউলি জুঁই যতটা ঝরে বিভক্ত শীতে 
তার চে বেশি ঘাম জমেছে জবুথবু ফ্রকে তোমার !
প্রেম ত হয় মনে মনে
সেখানে কেন বাবার ভয়, মেয়ে? 
মায়া কেঁদো না সোনা
নার্সের হাতে যদি চুকে যেত দৌদুল্যমান জ্বর
আমার সমুদ্রসম নিখিল বেদনার জন্য তোমাকে কেন গিলব রোজ ?
তোমার বাবাকে বলবে, 
‘প্রেমিকের নাম মহাসয় 
যত বেদনা সহাবেন পেটে
গরিবের পেটে সবি সয়’ !!!
_______________________
নির্বাচিত বেদনা 
১৯ জানুয়ারি ২০১৪
০৬ মাঘ ১৪২০ 
continue reading
Likes ১৪ Comments
০ Shares

সুমন দাশ

১০ বছর আগে লিখেছেন

বাৎসল্য জীবনের রোজনামচা

দখিনা হাওয়ার তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাচ্ছে চুপ জল 
সকল নাচের মুদ্রা জানা জলহাসি 
তোমার চুলের মত, 
তোমার খোঁপা ভেঙে পালায় চুলগুলো সব
গোপন প্রশ্রয়ে তোমার 
আমার পলায়নপর পঙতির মত
তোমাকে ছুঁয়ে মহীরুহ হয়ে উঠে আমার ভেতরকার কবিতা ।
তুমি আমার সবটা জুড়ে আছ যেহেতু
আমি বহুদিন আগে একদিন বহুবার তোমাকে ছেড়ে আসতে 
কোন খেলায় বাকি রাখিনি নিজের সাথে
হেরে হেরে তো আজ নিজেকেও আয়নায় দেখতে ভাল লাগে না নিজেকে । 
তাই আমার সমস্ত পৌরষদীপ্ত সমুদ্র পতন
আমি বোকা মেকি হাসিতে নির্লজ্জ হই রোজ !
তোমার হাওয়া মাতাল উড়না যেমন আগ্রাসী 
সোনা রৌদ্দুরের আলো কেড়ে নেয় 
কেড়ে নেয় চোখের আয়ু সবার 
তোমার উড়না আমার প্রার্থনার ভাষা জানে ! 
তোমার অবলা দুটো চোখ 
মুহূর্তেই আমাকে পড়ে ফেলতে পারে আদ্যোপান্ত । 
পুরনো ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে শীতের কাপড়গুলো উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে 
তোমার গন্ধ পেয়ে 
তোমার গন্ধ পেয়ে আমার ভেতরে যাবতীয় পদ্য 
ভুলভাল উঁকি দিয়ে মিশে যাচ্ছে মেঘে
তুমি আরেকটু থাক বাঁ পাশ জুড়ে, 
আরেকটু ভুল হয়ে স্মৃতিজুড়ে ।
তুমি সকল ভুল নিয়ে থাক আর কিছু সময়
ভুলভাল কবিতা হয়ে ।। 
বহুদিন পর কানে আসলে পুরনো দিনের গান
হটাত বুকের গহীনে মোছড় দিয়ে উঠে শৈশব
তুমিত তার চেয়ে দ্বিগুণ ছাইমৃত আগুন ! 
তুমি আমার রক্তে নেশা তুমুল তেমন ।
ভোরবেলা মিষ্টি রোদ থেকে ফিরে শাওয়ারের নিচে ধুয়ে ফেলা যেত যদি ভেতরটাকে
পৃথিবীর দীর্ঘ সুন্দর দিনগুলো গোগ্রাসে গিলে ফেলতাম বাৎসল্য জীবনের 
অথচ আমি স্নান করি তোমার রোদে ! 
আমার যাবতীয় অভুক্ত কবিতার ক্ষুরধার পংতিবলি 
বেহুদা, পরাজিত লোকটার মত মূর্ছাগত
দেবালয়ে মাথা ঠুকে !! 
আমার ভাল চেহেরা যা, সে কেবল ঈশ্বরের
আমার ক্ষত বিচ্ছুত যা কিছু, সেসব তোমার ।
১৩ জানুয়ারি ২০১৪
৩০ পৌষ ১৪২০
continue reading
Likes Comments
০ Shares

সুমন দাশ

১০ বছর আগে লিখেছেন

সংখ্যালঘু কবিতা

আর কতবার বলতে হবে এ দেশ তোমার নয়
তোমার মেয়ে আর কতবার ধর্ষিত হলে জানবে,
তুমি ছিলে মালাউন !
যখন তোমার মেয়ে পূর্ণিমা ধর্ষিত হচ্ছিল তুমি ধর্ষকদের পায়ে পড়ে মিনতি করেছিলে,
‘বাবারা আমার মেয়েটা ত ছোট, আপনারা একজন একজন করে আসেন’।
মাগো, তুমি প্রভুর কাছেও কি এভাবেই প্রার্থনা করতে না ?
তোমার সেই প্রভুর ভাঙ্গা মস্তকও আজ ধুলো লুণ্ঠিত !!
রাষ্ট্র তোমাকে সংখ্যালঘু নামে ডাকে
রাষ্ট্রের মহার্ঘ উদারতা,
তোমার জন্য এখনো এক পৃষ্টার সরকারি আহা উঁহু বিবৃতি পাঠ হয়,
মানববন্ধন হয় !!!
আমিও এর চেয়ে বেশি সুশীল হতে পারিনি মা
ঠাকুর ঘরের সব কলা খেয়ে !
ঈশ্বর জানেন অতিভোজনে বদহজম হয় তারও
নিরীহের সকাল বিকেল প্রার্থনায় কত আর জেগে বসা যায় হরহামেশা !!
মা তুমি পালিয়ে যাও
এই দেশ তোমার নয়
একাত্তরেও তোমার বুড়ো বাবা মাথায় সাদা টুপি পড়ে পালিয়ে যাবার সময়
কেঁদেছিলেন দেশের জন্য
বাপদাদার ভিটার জন্য
বাংলার মাটি, জল, ঘাসের জন্য
শেষতক দেশটা আর কখনোই তোমার হয়ে উঠেনি মা ।
‘বাংলার হিন্দু/বাংলার বৌদ্দ/বাংলার খ্রিষ্টান/ বাংলার মুসলমান’
এই গান আজ মুহমুহ প্রচারিত হোক রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে
মনে রেখ, এ কেবল বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে যেন তোমার ভুল হয়ে না যায় মা।
তুমি ফিরে যাও
শেষ বয়সে তুমি সয়তে পারবে না এ ধকল
একাত্তরের পর থেকে তোমার পূর্বপুরুষেরা এভাবেই কেঁদে কেঁদে ফিরে গেছেন মা,
দুঃখিনী মা ।
০৮ জানুয়ারি ২০১৪
২৫ পৌষ ১৪২০
continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - মেজদা

    জীবনের এই লড়াই, আমাদের সকলকেই করতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর কবিতা। ভাল লাগলো।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ মেজদা। ভাল থাকবেন

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    আসলেই। এভাবেই আমাদের মতো মধ্যবিত্তের জীবন কেটে যায় বছরের পরে বছর। 

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ আপু

Load more writings...