Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

অরুন্ধতী

অরুন্ধতী
শ্যামল গাঁয়ের কালো বর্ণের একটা মেয়ে
রোদের আঁচলে জড়িয়ে থাকে সারাদিন
দু'মুঠো বেচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে
মারবেলের মতো চোখ দুটোয় তার
স্বপ্ন দেখার কোন জড়তা নেই।
প্রতিদিন ভোরে
ঊষা দিদির আগে অরুন্ধতী
জেগে ওঠে জীবনের অবুঝ নেশায়
খালি পেটে ছুটে যায় গাঁয়ের শেষপ্রান্তে
চরের জমিগুলোতে হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরে
তাজা তাজা শামুক আর ঝিনুক
পাশ দিয়ে বয়ে চলে ছোট খেয়া নদী
উদাসী ভাবনার অতলে হারিয়ে অরুন্ধতী
মাঝেমাঝে চেয়ে থাকে নদীর গতিপথে
তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না সে উদাসীনতা
পচা শামুকে চোখ পরতেই নিমগ্নতা ফিরে পায় সে।
রিযিক আহরণের পর অরুন্ধতীর
সেগুলো নিয়ে ছুটতে হয় আরো
পাঁচ মাইল পথ হাট-বাজারের উদ্দেশে
বন-বাঁদাড়ের ভেতর... continue reading

২৫৪

টোকাই

৮ বছর আগে লিখেছেন

পথশিশু

ক্ষুধার্ত পেট
পারিনা তুলে দিতে অন্ন তোর অসহায় মুখে ।
আমিও ক্ষুধার্ত , তোর থেকে অনেক বেশী ;
আরও টাকা ! আরও সম্পদ চাই আমার !
গাড়ি লাগবে দামী , বাড়ি লাগবে সবকিছুতে সাজানো ;
তোর ঘুমানোর মেঝে যত বড় নয়
তার চেয়েও বড় দেয়াল জুড়ে টিভি লাগবে আমার!
এসি লাগবে গরমে , গ্রিজার লাগবে শীতে ।
অথচ তুই খেতে পাস না বিশুদ্ধ জল , আর
ঠাণ্ডায় কাঁপিস সারারাত ভাইরাসে ভাইরাসে মশাদের ভুঁড়িভোজে ।
জন্ম দিয়েছি বলেই তুই পথশিশু ,
জ্বলবে তোর কচি পেট অন্নময় আমি
তুই পথশিশু বলেই আমি হই ক্ষুধার্ত তোর অধিক । continue reading

৪৫৫

শাহআজিজ

৮ বছর আগে লিখেছেন

শিব প্রাতঃ

 
অশোকের ঘুম ভেঙ্গে গেল খুব ভোরে।
সে অনপনে তাকিয়ে রইল তার বালিকা বধুর মুখে। বধু অন্নপূর্ণা বালিকাই বটে।
তার কচি মুখে সিঁদুরের ছোপ ছোপ দাগ।
পূর্ণা তাকে পেঁচিয়ে একটি পা অশোকের কোমরে উঠিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
অশোকের তলপেট ভারী ।
হটাৎ বালিকার ঘুম ভেঙ্গে গেল এবং তার নিজের হাত ও পা’য়ের অবস্থান থেকে ঝটকা মেরে পা সরিয়ে চট করে উঠে বসে নমস্কার করে অশোককে বলল “দেব আপনার শরীরে পা’ লেগেছে--- ছিঃ ছিঃ – এ পাপ আমি কেমনে” , পূর্ণা চট করে অশোকের পা জড়িয়ে ধরল । হাসিমাখা মুখে কৌতুক স্বরে অশোক বলল ‘সারারাত কুরুক্ষেত্রে ওই পা কতবার... continue reading

২৬২

চারু মান্নান

৮ বছর আগে লিখেছেন

আহা মরি মরি কহু যন্ত্রণা-(প্রতিযোগিতা-২০১৬-৪র্থ পর্বঃ-ক্যাটাগরী-২)

আহা মরি মরি কহু যন্ত্রণা
সিপ্রা, বনেদি চৌধুরী বাড়ির বৌ। উপজেলা টাউনে বাসা। আট দশ মাইল দূরের গ্রামের বাড়ি। সেখানেও বেশ বড় দালান বাড়ি। চৌধুরী বাড়ি এক নামে চিনে। গ্রামের বাড়িতে শুধু চৌধুরী সাহেব, আর সিপ্রার শাশুরী থাকে। চৌধুরী সাহেবের দুই ছেলে। বড় ছেলে কানাডিয়ান প্রবাসি। ছোট ছেলে মোছাব্বের চৌধুরি উপজেলা হাইস্কু্লের হেড মাষ্টার। দুই ছেলে সিপ্রা আর মিলুর সংসার। মিলু সিপ্রার দেয়া ডাক নাম, মোছাব্বের চৌধুরীর। সিপ্রার বড় ছেলে কুহক এবার ঢাকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্সে পড়ে। ছোট ছেলে দ্বীপ এবার হাইস্কুলে। সিপ্রা এখন পুরোদস্ত গৃহিনী। শুশুর, শাশুড়ীর দেখা শোনা, এ দিকে মিলুর সংসার সামলানো। সব দিকে তার সুশ্রী... continue reading

২৯৭

সেলিনা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

বিমোহিত সরোবরে (সৃজনশীল-ব্লগিং-প্রতিযোগিতা-২০১৬-৪র্থ পর্বঃ-ক্যাটাগরী-২)

জানালার কাছে বসে চাঁদের সাথে কথা বলতে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে। আসলে ঠিক যেন কথা না! অনেক দিনের জমানো ব্যথার যে আলোড়ন মনে আজ। ঐ আকাশ আর চাঁদই যেন জীবনে ঘটে যাওয়া সবকিছুর একমাত্র সাক্ষী। মৌ এই জানালায় কত রাত জেগে জেগে কাটিয়েছে! কত কথা বলেছে আনমনে ঐ দূরের পাণে চেয়ে। কত হিসাব নিকাশ আর পাওয়া না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাটিয়েছে,এক একটা নিঃসঙ্গ দীর্ঘ রাত। যদি আগে একটু কঠিনভাবে ভাবতে পারত সবকিছু? তাহলে কী আজ দুঃখ ভুলাতে মধ্যরাতে গুনগুন করে তাকে গান গেয়ে,মনের তৃষ্ণা মেটাতে হত!? খুব ইচ্ছে জাগে...। ইচ্ছে জাগে জানালা খুলে বাতাসে নাম না জানা,কোন ফুলের সুবাসে নিঃশ্বাস নিতে।... continue reading

৩১৩

টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

৮ বছর আগে লিখেছেন

এক টুকরো ভুলের শেষে ! (পর্ব-৪, ক্যাটাগরি-২)

মৌমিতা, কয়েক মাস আগে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে অনার্সে ভর্তি হয়েছে ঢাকার এক কলেজে । কলেজের হোস্টেলে থেকেই পড়ালেখা করে সে । পড়ালেখার সূত্র ধরেই এক বান্ধবীর বড় ভাই সাইফের সাথে পরিচয় । বেশ কিছুদিন ধরে সাইফের সাথে তার বন্ধুত্বের রসায়নটাও বেশ চলছে । একজন আরেকজনকে বেশ ভালো বুঝে । একই ডিপার্টমেন্টের শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী সাইফ । আর তাই পড়ালেখায়ও সাইফের কাছ থেকে বেশ সহায়তা পায় মৌমিতা ।আর এভাবেই তাদের দু’জনার দুই পথে হাঁটার রাস্তাটা দিনে দিনে ক্রমশঃ যেন একই পথে এসে ঠেকেছে ।
 
মৌমিতার ভাবনায় সাইফ বেশ ভালো ছেলে । মনটাও বেশ পরিষ্কার । এমন একটা ছেলেকেই যেন... continue reading

৪৭০

মোঃ ইয়াসির ইরফান

৮ বছর আগে লিখেছেন

কষ্ট নেবে কষ্ট


মোবাশ্বেরা খানম কিছুক্ষণ বিমূঢ়ের মতো তাঁর বউমার দিকে চেয়ে থাকলেন । তিনি যেন নিজের কানকে বিশ্বাসকরতে পারছেন না । তিনি ঠিক শুনেছেন তো ! বউমা তাঁর সাথে কখনো এভাবে কথা বলবে, এ যেন তাঁর ভাবনাতীত ।
কিছুক্ষণ চুপ করে শুনে গেলেন বউমার কথা । সবটা ঠিকমতো তাঁর কানে গেল না । তাঁর ছেলের দিকেও তাকালেন, অকর্মার ঢেঁকিটা একপাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব শুনছে । কিচ্ছুটি বলছে না । এও কী সম্ভব ! এ-ই কী তাঁর সেই ছেলে, যে মায়ের এতটুকু কষ্ট সহ্য করতে পারত না বলে, ওইটুকুন বয়সে পাটায় ঘষে মরিচ-পিঁয়াজ পিষে দিত ! মা একটু রাগ করলেই... continue reading

৪১৩

সোহেল আহমেদ পরান

৮ বছর আগে লিখেছেন

কষ্ট কারিগর

নানান রঙের কষ্ট ফেরি করে
কষ্ট বিকিয়ে কিছু কি পেয়েছিলো জলে আগুন জ্বালানো প্রিয়কবি!
ভেজালের ভয়ে ফেরিঅলার ডাকে ক্বচিৎ সাড়া দেয় আজকের স্মার্ট নাগরিক
কষ্টেও যে নেই ভেজাল ~ কে বলবে তা?
 
কষ্ট বিকোতে তাই আমি
হয়েছিলেম কিঞ্চিৎ উত্তরাধুনিক
স্মার্ট সময়ের অনুষঙ্গ নিয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন আমার
বাদ যায়নি -
সুপারস্টোর
চেইন শপ
...কিছুই।
হালের আমাজনেও প্যাকেট চাকচিক্যে বাজারজাত করতে চেয়েছি তাকে।
 
কষ্ট বিকোতে প্রমাণিত ব্যর্থ তকমা ঘুচাতে
কষ্ট কারিগর আজ আমি
কষ্টের নিপুণ বিন্যাসে বানাই প্রাসাদ সুরম্য
তিন তারকা পাঁচ তারকা গড়ি
লাবণি পয়েন্টের... continue reading

৩৬৪

কাফাশ মুনহামাননা

৮ বছর আগে লিখেছেন

এক চিলতে হাসির তেষ্টা

এক চিলতে হাসি দেবে প্রিয়, এক চিলতে হাসি?
হৃদয়ের ভালবাসার অনিন্দ্য ফ্রেমে
বাঁধাই করে রাখার মতো আজীবন
আমার যে এক চিলতে হাসির বড্ড প্রয়োজন।
পাহাড়ের চূড়ায় দাড়িয়ে
প্রখর সূর্যের মুখোমুখি হয়েছি
মেঘবালিকা আশ্বস্ত করেছিলো 
এক চিলতে হাসি দেবে আমাকে লুকিয়ে
অন্ধ আবেগের জোরে গিয়েছিলাম অগোচরে
বিনিময়ে বিশ্বাস গেলো জীবন থেকে চুকিয়ে।
গভীর অরণ্যে হেঁটে হেঁটে
সন্ধ্যে নামার প্রতীক্ষা করেছি 
জোসনা মেয়ে ডেকেছিলো নিরালায়
নৃত্য-ঝংকারে এক চিলতে হাসি দেবে বলে
সাড়া না দিয়ে থাকতে পারি নি আড়ালে
বিনিময়ে ভিজেছি শুধু ছলনার নোনাজলে।
নদীর কিনারে ঘুরে ঘুরে
জোয়ার-ভাটার খেলায় মেতেছি
ফুলপরী... continue reading

৪২২

কাফাশ মুনহামাননা

৮ বছর আগে লিখেছেন

জয় হোক বন্ধুত্বের

আমি ছিলাম ওর ভালো বন্ধু, বেস্ট ফ্রেন্ড
পরিচয়ের প্রথম দিন থেকে
আমার প্রতি ওর ছিল অগাধ বিশ্বাস
আমিও তার বিশ্বাসের অমর্যাদা করি নি।
ক্লাশে ওর পাশের বেঞ্চটি সবসময় 
অঘোষিত ভাবে বরাদ্দ ছিল আমার জন্য
পাশাপাশি বসার সুবাদে
ওর বাহুর সোহবত ছিল আমার নিত্যসঙ্গী
প্রথম প্রথম এ কারণে আমার ভেতর বিদ্যুৎ সঞ্চার হতো
পরে একসময় পানি হয়ে গেছিলো
অবশ্য এতে ওর অবদান পুরোপুরি অনস্বীকার্য।
আমার অদ্ভুত একটা গুণ ছিল
কথার ফাঁকে ফাঁকে মানুষকে হাসানো
ওকেও খুব হাসাতাম
হাসতে হাসতে ওর পেটে খিল ধরে যেতো
মারার ভান ধরে কখনো সখনো 
ও আমার গায়ে ঢুলে... continue reading

২৯৪