Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সেলিনা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

অবগুণ্ঠন ছায়া তলে

আজকাল ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষের মনের অনেক কথায় জনসম্মুখে চলে আসে। আমি প্রায় দেখি অনেকেই বলেন "ধীরে ধীরে সবাই অনেক মানুষের মাঝে থেকেও একা হয়ে যাচ্ছেন!” কথাটা প্রবাসের জন্য সঠিক মনে হলেও,দেশের জন্য  আমার কাছে তেমন বিশ্বাস যোগ্য মনে হত না। কারণ দেশে মা বাবা ভাইবোন কত আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধব ওখানে কীভাবে সবাই একাকীত্ব অনুভব করে!? কিন্তু আমার সেই বিশ্বাস ভেঙ্গে গেছে যখন সত্যিই দেখি খুব কাছের কেউ ফোন দিলে বলে- “বড় একা লাগে। কাউকেই আর কাছে পাই না। সবাই যার যার মত করে ব্যস্ত। মরলাম না বেঁচে থাকলাম কেউ আমার খোঁজও নেয় না!” তাঁর দীর্ঘশ্বাসটা আমার বুকের ভীতরে বড় একটা ক্ষতের সৃষ্টি করে। হাজার হোক সে আমার অতি আপনজন। তাঁর বলা সুখের কথা যেমন আমাকে আনন্দ দেয়। তেমনি তাঁর বলা কষ্টের কথা আমাকে আহত করে প্রতিনিয়ত। আমি সান্ত্বনা দেই সব ঠিক হয়ে যাবে ভাবিস না কিছু! কিন্তু না কিছুই ঠিক হবার নয়। কারণ আমরা নিজেরাই চাইছি কিছু যেন ঠিক না হয়।
 
ইদানীং দেখছি মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা,ভালবাসা একেবারেই নেই বললে চলে। আমরা যেন সবাই এখন অনেক বেশি স্বার্থপর হয়ে গেছি! স্বার্থপরতা দেখাই কারণে,কখনো বা অকারণে। আমি আমার কথাই বলি- দীর্ঘ প্রবাস জীবনে এতটা একাকীত্ব আমি কোনদিন অনুভব করিনি। যতটা মাঝে মাঝে কিছু মুহূর্তে অনুভব করি...। একাকীত্ব অনুভব করি আপন ভাইবোন আত্মীয়দের কথা ভেবে। মাঝে মাঝে ভীষণ দুশ্চিন্তা করি,ভাবি আমার যদি কিছু হয়ে যায় আমার সন্তান দুটি(যতই বড় হোক না কেন) বড় একা হয়ে যাবে। এমন কেউ নেই যে এসে ওদের একটু সান্ত্বনা দিবে,খবর নেবে।

অথচ কত বন্ধু(!) চারিদিকে। তারপরও মনের অনুভূতি বড় নিঃসঙ্গ। বারবার নিজেকে ভাঙি আবার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - মাসুম বাদল

    ভাললাগা জানালাম...

সেলিনা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

বিমোহিত সরোবরে (সৃজনশীল-ব্লগিং-প্রতিযোগিতা-২০১৬-৪র্থ পর্বঃ-ক্যাটাগরী-২)

জানালার কাছে বসে চাঁদের সাথে কথা বলতে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে। আসলে ঠিক যেন কথা না! অনেক দিনের জমানো ব্যথার যে আলোড়ন মনে আজ। ঐ আকাশ আর চাঁদই যেন জীবনে ঘটে যাওয়া সবকিছুর একমাত্র সাক্ষী। মৌ এই জানালায় কত রাত জেগে জেগে কাটিয়েছে! কত কথা বলেছে আনমনে ঐ দূরের পাণে চেয়ে। কত হিসাব নিকাশ আর পাওয়া না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাটিয়েছে,এক একটা নিঃসঙ্গ দীর্ঘ রাত। যদি আগে একটু কঠিনভাবে ভাবতে পারত সবকিছু? তাহলে কী আজ দুঃখ ভুলাতে মধ্যরাতে গুনগুন করে তাকে গান গেয়ে,মনের তৃষ্ণা মেটাতে হত!? খুব ইচ্ছে জাগে...। ইচ্ছে জাগে জানালা খুলে বাতাসে নাম না জানা,কোন ফুলের সুবাসে নিঃশ্বাস নিতে। পরমুহুর্তেই মনে হয়-এখানকার সবকিছুতে যেমন একটা সুখ সুখ ভাব আছে কিন্তু সুখ নেই। ঠিক তেমনি ফুলের সৌন্দর্য আছে কিন্তু কোন সুগন্ধ নেই! মায়াভরা সবার মনে কিন্তু আদৌতে তার ছিটেফোঁটাও মনের গহীনে আছে কিনা সন্দেহ! কেমন আদর করে করে জন্তুগুলোকে আগলে রাখছে বুকে! অথচ সন্তানরা একটু বুঝতে শিখলেই হয়ে পড়ছে ঘরছাড়া! মৌ'য়ের কাছে সবকিছুই কেমন যেন মেকি মনে হয়।
-"নাহ এত ঠাণ্ডা পড়েছে আজ!"মৌ কথাটা বলেই মুখ বাড়িয়ে জানালার কাঁচে মাথা রাখে। চোখ মেলে দেখে চারিদিকে সাদা পেঁজা পেঁজা মেঘের মত স্নো ভাসছে। কতদিন স্নো ধরে দেখেনি সে! বুক চীরে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। আজ কোনভাবেই মন বসাতে পারছে না তার মনের রাজ্যে। পাশের ঘর থেকে টুং টাং গ্লাসের শব্দ আর হাসির সাথে,ইংরেজি গানের সূর ভীষণভাবে মনে জ্বালা ধরাচ্ছে। কানে হাত দিয়েও নিজেকে এসব কিছু শোনা থেকে বিরত রাখতে পারছে না। রাগে গলা ছেড়ে যত জোরে সম্ভব সে এবার গান গায়তে চেষ্টা করল। কিন্তু তা কেবল চিৎকারই মনে হল।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

সেলিনা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

নকশীকাঁথা প্রাণ (সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতা ২০১৬ ৪র্থ পর্ব ক্যাটাগরি -১)

রাজা রানী সেনাপতি ধনী গরিব রোষ
কৃষাণ কৃষাণী কুলি কামার জেলে ঘোষ
সুঁই সুতো কারুকাজে নকশীকাঁথা প্রাণ
ঐতিহ্য ধরে রাখা যুগের নিশান ।
যাত্রাপালা পুতুল নাচ আছে চর্কি ঘোরা
আলতা চুড়ি ফিতা আর শাড়ি ছাপা ডোরা
বায়োস্কোপ সাপুড়ে ডুগডুগি বানর খেলা
নাটাই ঘুড়ি শিশুর হাঁট সম্প্রীতির মেলা
সুঁই সুতো কারুকাজে নকশীকাঁথা প্রাণ
ঐতিহ্য ধরে রাখা যুগের নিশান ।
ফুল পাখি গাছ আর নদীনালা খাল
মেঠো পথ একতারা পুঁথি কবিয়াল
পালতোলা নৌকা মাঝি কবি ভাটিয়াল
হাডুডু নৌকা বাইচ কুস্তি লাঠিয়াল
সুঁই সুতো কারুকাজে নকশীকাঁথা প্রাণ
ঐতিহ্য ধরে রাখা যুগের নিশান ।
সবুজ সোনালী ক্ষেত রব রব সাঁজ
চতুর্দোলায় দোলে বঁধু সলাজ
নীল মেঘ ডানা মেলে রাখালের বাঁশি
কলসি কাঁখে চলে বালিকা শশী
সুঁই সুতো কারুকাজে নকশীকাঁথা প্রাণ
ঐতিহ্য ধরে রাখা যুগের নিশান ।
ছবি-গুগুল থেকে নেয়া।
  
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মেঘা নওশীন

    emoticons

সেলিনা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

শুকনো গোলাপের প্রেম (সৃজনশীল-ব্লগিং-প্রতিযোগিতা-২০১৬-৩য়-পর্বঃ-ক্যাটাগরী-২)

এক

রাজু বিষণ্ণ মনে জানালার কাছে বসে,অঝরে বৃষ্টি ঝরে যাওয়া দেখছে। মাঝে মাঝে হাতটা জানালার বাইরে বাড়িয়ে দিয়ে দেখছে বৃষ্টি কতটা জোরে পড়ছে। বৃষ্টিটা যে এত দীর্ঘ সময় ধরে হবে তা সে ভাবেনি! সময় যত যাচ্ছে হার্টবিট তত যেন দ্রুত হচ্ছে! মাঝে মাঝে ভীষণ কান্নাও পাচ্ছে। কিন্তু কী করবে বা কী তার করা উচিৎ কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। একবার ভাবছে বৃষ্টি হয়ে ভালোই হল। অন্তত একটা অজুহাত দেখান যাবে...! আবার ভাবছে না গেলে কী ভালো দেখাবে? মনের দোলাচলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না রাজু...। সে ভাবতেই থাকে। এমন সময়  ফোনটা বেজে উঠে। বিরক্তি নিয়ে ফোনটা ধরে। বলে-
-হ্যালো
- "কিরে তুই এখনও বাসায় ?"অন্যপ্রান্ত থেকে ধমকের সুরে বলে রিয়া। "আমিতো ভেবেছি তুই আমাদের বাসায় পৌঁছে গেছিস "
- মানে!? তুই এখন কোথায়? রাজু জিজ্ঞাসা করে
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - মাসুম বাদল

    চমৎকার ... emoticonsemoticons

    - চারু মান্নান

    বাহ দারুন  কবি,,,,,,,,,,,,,

সেলিনা ইসলাম

৯ বছর আগে লিখেছেন

অন্ধকার আগামী...দায়ী তুমি আমি (২)

 
 

 আদু,মধু যদু আর লাবু ওরা ৪জন খুব ভাল বন্ধু । আদু বোমা বানায়, মধু মিছিলে থেকে বোমাগুলোর সদ্ব্যাবহার করে। লাবুকে কেউ এক প্যাকেট বিরিয়ানি দিলেই তার হয়ে কয়েকজনকেই খুন করে রক্ত দিয়ে গোসল করতে পারে ! আর যদু এ সব কিছুতে নেই । সে দিন মজুর হয়ে পরিবারকে নিয়ে দু'মুঠো খেয়ে সুখ নিদ্রা দিতে চায়।
 
এদের ৪জনের পরিচয় কোন অলৌকিক ঘটনার মধ্য দিয়ে নয়। এদের পরিচয় এবং বন্ধুত্ব পেটের দায়ে একমুঠো খাবার সংগ্রহ করতে জীবন যুদ্ধে নেমে। এদের মধ্যে কেউ অল্প শিক্ষিত আবার কেউ খুব বেশীই শিক্ষিত। অক্ষর জ্ঞ্যানের সাথে ওদের সবার পরিচয় আছে। ওরাও আর দশজন সাধারণ মানুষের মত গুন গুন করে গান গায়,মনখুলে হাসে আর আড্ডা তামাশায় মেতে উঠে। কেবল যদু ছাড়া অন্যদের মাঝে একটাই ব্যতিক্রম-ওরা সুখ নিদ্রা কী এবং এর পরিতৃপ্তি কেমন হতে পারে তা অনুভব করতে পারে না! তবে মাঝে মাঝে সবার অগোচরে,নিজেদের অজান্তেই ইচ্ছেরা জেগে ওঠে ঠিক সেই কৈশোর বেলার মত করে মায়ের কোলে মাথা রেখে একটুখানি ঘুম নিতে।কিন্তু ধীরে ধীরে একদিন পৈশাচিকতার চাঁদরে সব অনুভুতিকে ঢেকে রক্ত নেশায় মায়ের কোলটাও মন থেকে মুছে যায়!
 
একদিন আদু বোমা বানাতে গিয়ে নিজের হাত পা উড়িয়ে দিল। মধু আর লাবু মিলে তাকে হাসপাতালের সামনে ফেলে দিয়ে ছুটে পালালো !  আদুর খবর কেউ নেয়নি কোনদিন! সে এখন কারো কাছে  হাত পেতে ভিক্ষা করবে সে উপায়ও নেই । তবে সন্তানকে এক মুঠো খাবার দেবার তাগিদে বুড়ো অসুস্থ্য বাবা ভিক্ষা করে যায়  … আদু যাদের জন্য বোমা বানাতো তারা কেউ একবারের জন্যও তার ও  তার  পরিবারের  কোন খোঁজ কোনদিন  নেয়নি ! 
 
একদিন মধু মিছিলের সামনে।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - ওয়াহিদ মামুন

    তাৎপর্যপূর্ণ, আশা জাগানিয়া ও অনুপ্রেরণামূলক অসাধারণ একটি লেখা।

    শ্রদ্ধা জানবেন। 

     

    • - কেতন শেখ

      অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ওযাহিদ ভাই। শ্রদ্ধা রইলো

    - মুন জারিন আলম

    আমাদের গড়া গোলকধাঁধায়

    সামলে রেখেছি নিত্য তোমায়,

    পাখির ডানার ভালোবাসায়

    আগলে রেখেছি যত্নে তোমায়,

    চমৎকার একটা কবিতা লিখেছেন কেতন দা।অভিভূত হয়ে গেছি।ধনবাদ চমৎকার কবিতাটি লেখার জন্য।শুভেচ্ছা রইল।

    • - কেতন শেখ

      অনেক ধন্যবাদ মুন। তোমার ভালো লাগা আমার প্রেরণা।

    - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    অনন্য প্রতিটি চরণ, অসাধারণ প্রতিটি কথা; শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম শ্রদ্ধাভাজনের শ্রী চরণে

     

    • - কেতন শেখ

      অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয়কবি মাইদুল। জীবন হোক মঙ্গলময়।

    Load more comments...
Load more writings...