Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"শিশুতোষ গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

জাবেদ ভুঁইয়া

১০ বছর আগে লিখেছেন

তেনারা

 
 
স্কুলে ছুটি পড়ায় ফুকলো দাদুর ঘরে রোজ টুকলোরা গল্প শুনতে যায়। দাদুর একটা দাঁতও নেই। কথাও কেমন ফুকফুকে ফুস !ফুস ! করে বেরোয়। তাই দাদু যখন রাজকুমার আর রাজকন্যার গল্প বলতে থাকেন ,তখন টুকলো মন সেখানে বসে না। তাও ও রোজ ছেলেদের সাথে দলবেঁধে আসে। আসারও কারণ আছে। দাদুর ঘরে রাজ্যের যত পুরনো জিনিস ! কারুকাজ করা জমিদারী খাট, পুরনো ইয়া পুরু নানা রঙের কাঁচের শিশি আর একটা মস্ত আলমারি ঘরে একপাশটায় কাই হয়ে দাড়িয়ে আছে। কালো কুচকুচে ,তেল চিটচিটে আলমারিটায় কি আছে কে জানে ? প্রায়ই খুকু কোমরে দু হাত দিয়ে আলমারিটায় সামনে গিয়ে দাড়ায়। আবছা... continue reading

৬৮০

জাবেদ ভুঁইয়া

১০ বছর আগে লিখেছেন

ক্ষুদ্র গল্পঃ বাবুর স্বপ্নসমূহ

 
 
বাবু পিচ্চি হলেও তার এক একটা স্বপ্ন ইয়া বড় বড়। একবার তার খুব জ্বর হয়েছিলো আর ডাক্তার তাকে দিয়ে গেলো বিদঘুটে তেতো এক ঔষুধ। সেই থেকে তার স্বপ্ন দাড়ায় সে বড় হয়ে সব ঔষুধকে দই বানিয়ে ফেলবে। কারণ বাবুর কাছে দইটাই হচ্ছে প্রিয় খাবার।
আরেকবার স্কুলে বজলুর রহমান স্যার ওকে পড়া না পাড়ায় পুরো ক্লাস কানে ধরিয়ে হাইবেঞ্চে দাড় করিয়ে রেখেছিলো। সেদিন বাবু ভাবে সে বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে এমন নিয়ম চালু করবে যে , ছাত্ররা পড়া না পারলে স্যারেরা কান ধরে হাইবেঞ্চে দাড়িয়ে থাকবে। তখন দেখবে মজা।
সামনের রোববার উত্তরপাড়ার স্কুলের সাথে বাবুদের স্কুলের... continue reading

১২ ৫৯৭

ফেরদৌসী বেগম ( শিল্পী )

১০ বছর আগে লিখেছেন

গাছের শিকড়ের মতই যেন মানুষের জীবনটা !!

 
আমার ছোট ছেলে অসি, পাঁচ বছর বয়স তখন, মাত্র প্রি-কিন্ডারগার্টেনে দিয়েছি।  অসি এবং আমার মেঝু ছেলে শাওন দুজনকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে সোফায় একটু বসতেই দরজায় কলিং বেল বেজে উঠে। অসি তখন "ভাইয়া এসেছে, ভাইয়া এসেছে" বলতে বলতে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলতেই আমার বড় ছেলে অণি এসে ঢুকলো। অণিকে ঘেমে একাকার অবস্থা দেখে, আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম--
আমিঃ  কিরে বাবা, তোর এই অবস্থা কেন?
অণি-   বাহিরে খুব গরম আম্মু !!      
আমিঃ   কেন, স্কুল বাসে কি এসি ছিলনা?
অণি-   ছিলো তো। বাস থেকে নেমে বাসায় আসতে, এইটুকুতেই এক্কেবারে ঘেমে গিয়েছি। অনেক অনেক গরম বাহিরে।
আমিঃ  এই জন্যইতো আমি গাড়ি দিয়ে নিয়ে আসতে চাই তোকে, কিন্তু তুই... continue reading

২৬ ৯৪৭

Milan Banik

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনাথ রাজা

অনাথ রাজা
মিলন বনিক
আজ রাজার মন খারাপ।
সকাল থেকে গোঁ ধরে বসে আছে। কিছুই বলছে না। তিন নম্বর বেডের রোগী কত করে ডাকছে। কাকুতি মিনতি করছে। বার বার বলছে, আইজ আমাগো রাজার কি হইলো। গোস্ সা করছে ক্যান। অ রাজা, ভাই আমার, আমারে একটু ধইর‌ রইদে বসাইয়া দে। বেলা দশটা বাজে। পোলাডা আইজও আইল না। বয়স হইছে। পোলার সংসার বাড়ছে। অহন আর বুড়া মায়ের খবর কেডা লয়। অ নানু ভাই, আমার রাজা। তরে এখকান আপেল খাইতে দিমু। আমারে একটু ধইর‌ খালি রইদে বসাইয়া দিবি।
 
রাজা তেমনি নিশ্চুপ। দুই নাম্বার ওয়ার্ডের গেইটম্যানের ছোট কাঠের টুলে বসে আছে... continue reading

১৩ ৬৬৭

সি এম সাইয়েদুল আবরার

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমার বাচ্চাবেলা.........(বিরল প্রজাতির ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার)

প্রথমবারের মত র‍্যাকেট হাতে নিয়েছিলাম কোন কোর্টে দাড়িয়ে নয় বিছানায় শুয়ে শুয়ে। আজকে সেই গল্পটাই বলব।
 
 
২০০৫ সালের কোন এক সময়ের কথা। চট্টগ্রামের ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ক্লাস ওয়ানে পড়তাম তখন। চতুর্থবারে মত ডাক্তারের ছুড়ি কাঁচির নিচে  শুয়েছিলাম অপারেশন থিয়েটারের বেড। হার্নিয়ার অপারেশন।[আগের তিনবার ছিল রেক্টাল পলিভের।খুবই অদ্ভুটরোগ]
অপারশন থিয়েটারের সব ডাক্তারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বেশ কয়েকবার ঐ ঘরে যাওয়ার ফলে। তাই খুব একটা ভীতি কাজ করেনি তখন।
সফল অস্ত্রপচারের পর একমাসের বেড রেস্ট দিল। পুরাই শুয়ে শুয়ে এতদিন কাটান আমার জন্য ছিল যন্ত্রনাদায়ক। প্রথম কয়েকদিন বেশ খুশিই ছিলাম স্কুলে যাওয়া লাগবে না... continue reading

৭৩৬

তাপস কিরণ রায়

১০ বছর আগে লিখেছেন

মধু,আমাদের বাঁদর

ছোটবেলার কথা। মধুকে আমি দেখেছি। মধু আমাদের পোষা বাঁদরের নাম। ওর কথা আমার ভাল ভাবে মনে নেই। তবু যেটুকু মনে আছে আর ঠাকুমা,মা,বাবা,কাকাদের কাছে যেটুকু গল্প শুনেছি সব মিলিয়ে আজ মধুর কথা লিখতে পারলাম। 
সেবার ঢাকার খিদিরপুর গ্রামে গিয়ে ছিলাম। আমাদের পৈত্রিক বাড়ি। মধু সেখানেই থাকত। মধুকে কি ভাবে কোথায় পাওয়া গিয়ে ছিল তা আজ আর মনে নেই। 
মধু আমাদের পোষমানা বাঁদর। বাঁধা থাকলে কারু কোন ক্ষতি করে না। তবে জাতে বান্দর তো ! কখনোসখনো খোলা থাকলে কেউ ভয়ে তার কাছে যেতে চায় না। কখন কি করে বসবে তার ঠিক আছে ?
তবে দেখেছি যে আমার ঠাকুমা আর আমাদের... continue reading

৬৩৯

সি এম সাইয়েদুল আবরার

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমার বাচ্চাবেলা......

গতকালের এই সিরিজের স্ট্যাটাস এ আমার “ফিডার প্রেম”এর কথা বলেছিলাম। শিশুখাদ্যের প্রতি আমার এমন বিটলামি আরও আছে পরে বলা যাবে আরেকদিন। আজকে যে ঘটনা বলব সেটা নানান কারনেই তাৎপর্যপূর্ণ।
সেসময় বয়স কত ঠিক মনে নেই আমরা থাকতাম কোথায় সেটাও ঠিক মনে করতে পারছি না। খুব সম্ভবত চট্টগ্রাম শহরে কিংবা রাঙ্গামাটিতে। ঈদে গিয়েছিলাম গ্রামে। আমার প্রতি গ্রামের সবার এক ধরণের আকর্ষণ আছে[ উনাদের মাথায় সিরিয়াস ক্যাড়া আছে]। তো আমি গেলেই পাড়ার চাচা,চাচী দাদা দাদীদের টানাটানিতে নিঃশ্বাস নেওয়া দায়। আর তখন আরও অনেক ছোট ছিলাম বলে আদরও পেতাম বেশি। গ্রামে গেলে আমাকে ঘরে খুঁজে পাওয়া দায়। সারাদিন চড়ে বেড়ানো। সেবার আব্বুর সাথে... continue reading

৬৮৩

ফেরদৌসা রুহি

১০ বছর আগে লিখেছেন

জাদুর কাঁচি (অনুবাদ )

অনেক অনেক বছর আগের কথা। তিনদিকে উঁচু উঁচু পাহাড়ে ঘেরা আর একপাশে নীল রঙের একটা হ্রদ, সেখানে একটি ছোট্ট চায়না ছেলে ছিল, তার নাম ছিল ‘’লিউ চিউ’’। সে তার বাবা মায়ের সাথে বাঁশের তৈরি একটা ছোট ঘরে থাকতো। তারা ছিল অনেক সুখি। সারাদিন লিউ চিউ বালি নিয়ে খেলা করত, সূর্যের নিচে বসেথাকত ,পাখি এবং ফুলের দিকে তাকিয়ে থাকত। আর তার যখন খিদা লাগত তখন তার মা বড় একটা বাটিতে তাকে ভাত খেতে দিত।সে হাত দিয়েই তার খাবার খেত, কাঠি ব্যবহার করত না, কিন্তু কেউ কিছুই মনে করত না।
একদিন তার মা বলল ‘’লিউ চিউ, ঘরে যথেষ্ট চাল নেই। যাও হ্রদ থেকে... continue reading

২৮ ৮৩০

জাবেদ ভুঁইয়া

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঘাসফড়িংয়ের দেশে

 
 
কুয়াশা ঢাকা সকালে বারান্দার দুটো সিঁড়ি টপকে যেই খুকু একটা লম্বা লাফ ফেলেছে অমনি যেন সে কুয়াশার মধ্যে হারিয়ে গেল।
ওর মনে হল ও বাতাসে ভাসছে। সামনে কুয়াশা ,পেছনে কুয়াশা , ডানে বায়ে সব দিকে কুয়াশা। সাদা ফকফকে কোন মখমলের চাদরে তাকে জড়িয়ে যেন কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ওকে।
খুকু কিন্তু ভয় পেলনা। ও ভারি সাহসী। বাবা , মা রোজ দেড়ি করে অফিস থেকে ফিরে। কোনদিন রাত দশটা আবার কোনদিন এগারোটা। বুয়া হা হয়ে টিভিতে সিরিয়াল দেখে। খুকু তখন রুমে একা বসে পড়ে। পড়া শেষ হলে বাতি নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। একটুও ভয় পায়না।
মখমলের মত সাদা... continue reading

৪৮০

ঘাস ফুল

১০ বছর আগে লিখেছেন

শিশুতোষ গল্প

প্রতি বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের ময়লার গাড়ি এসে সবার বাসার সামনে রাখা ময়লা ভরা পলিথিন ব্যাগগুলো তুলে নিয়ে যায়। যত্রতত্র ময়লা ফেললে জরিমানা গুণতে হয়। তাই এই ব্যাপারে সবাই বেশ সতর্ক এবং আন্তরিক। সপ্তাহ জুড়ে অনেক গৃহস্থালি ময়লা আবর্জনা জমা হয়। তাই দেখা যায় কয়েকটা কালো পলিথিন ব্যাগ দরকার হয়। বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত শফিক এগুলোকে বাসার ব্যাক গার্ডেনে রেখে দেয়। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত একটা উটকো ঝামেলায় ময়লা নিয়ে তাকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। কে বা কারা জানি ময়লা ভরা ব্যাগগুলো ছিঁড়ে ভিতর থেকে ময়লা বের করে গার্ডেনের বারোটা বাজিয়ে দেয়।  পুনরায় ময়লাগুলোকে ব্যাগে ভরতে হয়। অনেক ভেবে চিন্তেও এর কোন রহস্য... continue reading

৫১ ৭৫০