গতকালের এই সিরিজের স্ট্যাটাস এ আমার “ফিডার প্রেম”এর কথা বলেছিলাম। শিশুখাদ্যের প্রতি আমার এমন বিটলামি আরও আছে পরে বলা যাবে আরেকদিন। আজকে যে ঘটনা বলব সেটা নানান কারনেই তাৎপর্যপূর্ণ।
সেসময় বয়স কত ঠিক মনে নেই আমরা থাকতাম কোথায় সেটাও ঠিক মনে করতে পারছি না। খুব সম্ভবত চট্টগ্রাম শহরে কিংবা রাঙ্গামাটিতে। ঈদে গিয়েছিলাম গ্রামে। আমার প্রতি গ্রামের সবার এক ধরণের আকর্ষণ আছে[ উনাদের মাথায় সিরিয়াস ক্যাড়া আছে]। তো আমি গেলেই পাড়ার চাচা,চাচী দাদা দাদীদের টানাটানিতে নিঃশ্বাস নেওয়া দায়। আর তখন আরও অনেক ছোট ছিলাম বলে আদরও পেতাম বেশি। গ্রামে গেলে আমাকে ঘরে খুঁজে পাওয়া দায়। সারাদিন চড়ে বেড়ানো। সেবার আব্বুর সাথে করে গেলাম পুকুর পাড়ে। গিয়ে দেখি সাজ সাজ রব। আগে জানতাম গ্রামের মানুষ পুকুরে গোসল করে নতুবা অজু করে। কিন্তু এরা কি যেন অদ্ভুত এক কাজে। অজস্র মাছের লাফালাফি দেখে বুঝতে পারলাম মাছ ধরা হচ্ছে। কিন্তু আমার বিস্ময় তখনো কাটেনি। তারপরই আমি আব্বা কে জিজ্ঞেস করলাম আমার সেই যুগান্তকারী প্রস্ন যা আজও ভুলিনি, আমিও না আব্বুও না। আমি জিজ্ঞেস করলাম “আব্বু, ওর ‘মশারি’(জাল) দিয়ে মাছ ধরতেছে কেন? শুনে আব্বু হেসে হেসে জানাল ওটা মশারি না জাল, মাছ ধরা হয় ঐটা দিয়ে।
আমি শহুরে ছেলে, ঐ কচি বয়সে বাসার খাটে বাধা মশারি চিনতাম গ্রামের “জাল” চিনতাম না।
এই স্ট্যাটাস টা এখানেই শেষ হয়ে যেত যদি না গত কুরবানির ঈদের আমার এক ভাতিজির আরেক বিপ্লবী কথা না শুনতাম। তার নাম রিদিতা, বয়স ৫ কি ৬। আমার উপরের ঘটনার নিজের বয়সের কাছাকাছি। ঢাকা শহরে বড় হওয়া আর দশটা বাচ্চার মত নুডুলস তার প্রিয় খাবার। তা কুরবানিতে সে তার বাবার সাথে গেল নিজেদের গরু দেখতে। ভাল করে খেয়াল করছিল। তারপর তার বাবা[আমার ভাই] কে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা বাবা, অগুলো কি গরুর নুডুলস?” [বুঝতে নিশ্চয় কষ্ট হচ্ছে না যে গরু খড় খাচ্ছিল]
Comments (5)
মন আজ দুরন্ত
দৃষ্টি ও সীমাহীন,
তুমি আমি আমি তুমি
দুই জনই উদাসীন!
আজ প্রেমিক হৃদয় ভালবাসায় পূর্ণ ।
সাদাত ভাই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনার গভীর অনুধাবনের জন্য।
মন আজ দুরন্ত
দৃষ্টি ও সীমাহীন,
তুমি আমি আমি তুমি
দুই জনই উদাসীন!
আজ প্রেমিক হৃদয় ভালবাসায় পূর্ণ ।
কবিতা বেশ হয়েছে
একুশের শুভেচ্ছা
আর ভোট দানে আমন্ত্রিত
একুশের শুভেচ্ছা আপনাকেও