Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ফেরদৌসা রুহি

১০ বছর আগে লিখেছেন

একটা ভোট দিলে কি এমন ক্ষতি

নক্ষত্র ব্লগে চলছে ‘’সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতা’’। সম্মানিত বিচারকগণের নির্বাচিত লেখাগুলো ব্লগারদের ভোটের মাধ্যমে ১ম, ২য় ও ৩য় বলে গন্য হবে।
কিন্তু যে বিষয়টা আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লাগে তা হচ্ছে, নির্বাচিত পোস্ট গুলোতে ব্লগারদের ভোট দানে অনীহা। এটা ঠিক অনীহা নাকি আমাদের হীনমন্যতা বুঝতে পারছিনা।যেখানে সব সময় ব্লগে ৭০/৮০জন ব্লগার নিয়মিত অনলাইনে থাকেন সেখানে ২০ বা ২৫ টা ভোট পেয়েই একজন ব্লগারকে ১ম স্থানে আসতে হচ্ছে।
যারা নিয়মিত ব্লগে পোস্ট দিচ্ছেন বা অনিয়মিত ভাবেই ব্লগে বিচরণ করেন, অন্য ব্লগারের পোস্টে গিয়ে একটা ভোট দিলে কি এমন ক্ষতি হয়। অবস্থা দেখে মনে হয় , আমার পোস্ট নির্বাচিত হয়নি আমি আরেকজনের পোস্টে ভোট কেন দিব। অথবা আমার ভোট পেয়ে আরেকজন নির্বাচিত হয়ে যাবে থাক ভোট দিবই না।
আমি ব্যস্ততার কারনে ব্লগে এখন নিয়মিত হতে পারছিনা কিন্তু সময়ে সময়ে এসে ঠিকই ৩টা ক্যাটাগরির ৯টা পোস্টে ভোট দিয়ে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম অনেক কিছুই লিখব কিন্তু যেকথা গুলো মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল শুধু তাই বললাম। বাকি কথা অন্যকোন দিন।
continue reading
Likes ৪৩ Comments
০ Shares

Comments (43)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    দারুন!!! 

    লাইনের স্টাইলটা খুব পছন্দ হলো।

    • - আযহা সুলতান

      অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন, ভাল আছেন? ......

ফেরদৌসা রুহি

১০ বছর আগে লিখেছেন

নক্ষত্র ব্লগ কার্যালয়ে একদিন

আমি রাস্তাঘাট এত ভাল চিনিনা। ভাবছিলাম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাব কি যাবনা। নক্ষত্র অফিস কোথায় তাও জানিনা।আবার সময়েরও অভাব। পাশা ভাই ফোন দিয়ে বলল অনুষ্ঠানে যেন সময়মত হাজির হয়ে যাই। ঠিক করলাম রাস্তাঘাট চিনি আর নাই চিনি যাবই, মোবাইল তো আছেই। আমার পাশের বাসার এক ভাবীকে রাজি করালাম আমার সাথে যাওয়ার জন্য। দুইকাজ একসাথে করার পরিকল্পনা নিয়ে বের হলাম। নক্ষত্র অফিস আর বই মেলা।
 
পান্থপথে গেলাম কিন্তু অফিস তো চিনিনা। ফোন দিলাম নীলদাকে, ফোন ধরলেন ভাবী। উনি বলে দিলেন কিভাবে অফিসে যেতে হবে।গেলাম কিন্তু তাও পেলাম না। আবার ফোন দিলাম, নীলদা ফোন ধরে বলে দিলেন।৬ তলায় অফিস, উঠতে উঠতে হাঁপিয়ে গেলাম।অফিসে দেখি ৩/৪ বসে আছেন। জিজ্ঞেস করলাম ‘’ আপনারা কি ব্লগার’’? বলল হ্যা । পরিচিত হলাম, একজন সুমন আহমেদ আরেকজন কে এম রাকিব। দুজনেই খুব ভাল লিখেন। অনেক সময় বসে আছি কার কারো পাত্তা নেই। ফোন দিলাম পাশা ভাইকে, নীলদাকে। অনেক সময় পর উনারা আসলেন।প্রামাণিক ভাইয়ের ছেলে এলেন, আলমগীর সরকার এলেন, রব্বানী ভাই, নীল ভাবী এবং ব্লগের সি ই ও।
 

 
অনুষ্ঠান শুরু হল। সবাই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করল। ফটোসেশন হল। তারপর সবাই বই মেলার দিকে ছুটল।
সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু হাল্কা চা নাস্তার আয়োজন থাকলে আরও একটু বেশি ভাল লাগত। প্রতিযোগিতার ৩টা পর্বের সব বিজয়ীদের নিয়ে যদি একসাথে বড় করে অনুষ্ঠান করা হত তাহলে অনেক ভাল হত।তারপরও নতুন ব্লগ হিসেবে নক্ষত্র ব্লগ কর্তিপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই আয়োজনের জন্য।
 

 
continue reading
Likes ১৬ Comments
০ Shares

Comments (16)

  • - ওয়াহিদ মামুন

    অসাধারণ চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব ভাল লাগলো। শ্রদ্ধা জানবেন।

    - তাপস কিরণ রায়

    লেখা পড়ার জন্যে ও সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জানাই। 

    - ঘাস ফুল

    গল্পটা বেশ ভালো লাগলো। ঝরঝরে লেখা। আমাদের সমাজে ধর্ষিতা নারীর ইজ্জত যায়, কিন্তু যারা ধর্ষণ করে তাদের ইজ্জত যায় না। আফসোস! ঝুমির তো কোন দোষ ছিল না। তবে কেন এই অন্যায় অবিচার। লবুন হতে পারে একজন টোকাই কিন্তু সে ব্যাপারটা ঠিকই বুঝে। সে বুঝে নিয়েছে ঝুমি নির্দোষ। ওর ইজত জোড় করে নেয়া হয়েছিল। ওর কোন দোষ ছিল না। তাই তো সে ঝুমিকে ভালোবাসতে পেড়েছিল। ঝুমিও যখন দেখল লুবন তার ধর্ষণের ব্যাপারটা বুঝে নিয়েছে, তখন মনে হয় সেও লুবনকে ভালোবেসে আলোর পথে দু'জন মিলে পা বাড়িয়েছে। 

    গল্পের বার্তাটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। লিখেছেনও বেশ সাবলীল ভাষায়। ধন্যবাদ তাপস দা। 

    • - তাপস কিরণ রায়

      গল্প ভাল লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 

    Load more comments...

ফেরদৌসা রুহি

১০ বছর আগে লিখেছেন

জাদুর কাঁচি (অনুবাদ )

অনেক অনেক বছর আগের কথা। তিনদিকে উঁচু উঁচু পাহাড়ে ঘেরা আর একপাশে নীল রঙের একটা হ্রদ, সেখানে একটি ছোট্ট চায়না ছেলে ছিল, তার নাম ছিল ‘’লিউ চিউ’’। সে তার বাবা মায়ের সাথে বাঁশের তৈরি একটা ছোট ঘরে থাকতো। তারা ছিল অনেক সুখি। সারাদিন লিউ চিউ বালি নিয়ে খেলা করত, সূর্যের নিচে বসেথাকত ,পাখি এবং ফুলের দিকে তাকিয়ে থাকত। আর তার যখন খিদা লাগত তখন তার মা বড় একটা বাটিতে তাকে ভাত খেতে দিত।সে হাত দিয়েই তার খাবার খেত, কাঠি ব্যবহার করত না, কিন্তু কেউ কিছুই মনে করত না।
একদিন তার মা বলল ‘’লিউ চিউ, ঘরে যথেষ্ট চাল নেই। যাও হ্রদ থেকে রাতের খাবারের জন্য কিছু মাছ ধরে নিয়ে আস’’।
লিউ চিউ ঘরের পেছন থেকে মাছ ধরার জাল নিয়ে মাছ ধরতে চলে গেল।
তখন ছিল অনেক গরম কিন্তু সে গরমে অভ্যস্থ তাই তার কোন সমস্যা হয়না। সে শিস দিতে দিতে হ্রদের পাড়ে চলে গেল। সে তার জাল পানিতে ছড়িয়ে দিল। যখন সে জাল টেনে তুলল তখন দেখল যে তার জালে লাল, নীল ও রূপালি রঙের অনেক সুন্দর ও বড় বড় মাছ ধরা পড়েছে। লিউ চিউ অনেক খুশি হল কিন্তু এই লাল,নীল আর রূপালি মাছেরা বলল ‘’লিউ চিউ, দয়া করে আমাদের যেতে দাও, আমরা ওয়াদা করছি যদি তুমি আমাদের যেতে দাও তাহলে আমরা তোমাকে দুইটি জাদুর কাঁচি দিব, আর এই কাঁচি দিয়ে তুমি যা কিছুই কাটবে তাই প্রাণ ফিরে পাবে।‘’
একথা শুনে লিউ চিউ লাল, নীল আর রূপালি মাছেদের ছেড়ে দিল এবং বিনিময়ে এক জোড়া যাদুর কাঁচি পেল।সে একটি সোনালি কাগজ নিয়ে তা কাঁচি দিয়ে রাজার বাড়ির মত করে কাটল। আর অমনি লিউ চিউ অবাক হয়ে... continue reading
Likes ২৮ Comments
০ Shares

Comments (28)

  • - চারু মান্নান

    ,,,,,,,,,,,,,,,,

    - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    বিজ্ঞানের সব আবিষ্কারই মানুষের শুধু কল্যান করেনি, ক্ষতিও করেছে। তাই আবিষ্কৃত প্রযুক্তি ইতিবাচক ভাবে ব্যবহারের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে ওঠা উচিৎ।

    চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় কালের পুতুল।

    • - ঘাস ফুল

      হেনা ভাইয়ের সাথে একমত। ধন্যবাদ কালের পুতুল। 

ফেরদৌসা রুহি

১০ বছর আগে লিখেছেন

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল

গতকাল আমার চোখে সামান্য আঘাত লেগেছিল। কিন্তু সেই আঘাতের কারনে চোখের ডাক্তার আমার এক চোখে ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্যান্ডেজ করে দিল। ব্যান্ডেজ করার পর আরেক চোখে সব কিছুই ঝাপসা দেখতে লাগলাম। ডাক্তারকে বললাম ‘’ডাক্তার ভাই আমি তো এক চোখে ভালমতো দেখতে পাচ্ছি না’’। ডাক্তার ভাই বললেন, ‘’আপা এক চোখে যদি সব দেখা যেত তাহলে তো দুই চোখের কোন দরকার ছিল না’’।
 
ডাক্তারের এখান থেকে বের হয়ে এলাম আমার ছেলের কোচিং সেন্টারে। সেখানে ভাবিদের প্রশ্ন ‘’আপা কি হয়েছে, কিভাবে হল, আরও কত কি’’। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে পরিচিত যেই দেখে তাদেরও এই একই কথা।সবার উত্তর দিয়ে বাসায় এসে আপনজনদের ফোনে জানালাম আমার অবস্থা। তারপর একের পর এক ফোন আসতেই লাগলো। কিভাবে আঘাত পেলাম, ডাক্তার কি বলল, কতদিন লাগবে ভাল হতে, আরও কত কথা।সবার কথার উত্তর দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
 
ঘুম থেকে উঠলাম দুপুরের খাবার খেতে। কিন্তু এক চোখে দেখতে যে কি কষ্টকর তা তীব্রভাবে অনুভব করলাম।শুধু মনে মনে ভাবছি কখন ২৪ ঘণ্টা শেষ হবে আর ডাক্তার আমার ব্যান্ডেজ খুলে দিবে।
 
সকালে ঘুম থেকে উঠেই রেডি হয়ে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আরও আধা ঘণ্টা আগেই হাসপাতালে চলে গেলাম। আমার সিরিয়াল আর আসেনা। অপেক্ষা করছি তো করছি। এর মাঝে এক সাংবাদিক চাচার সাথে পরিচয় হল। চাচার কত কথা। চাচা আসছে চোখে লেন্স লাগাতে।এর মাঝেই আমার সিরিয়াল চলে এসেছে। ভাবলাম যাক অবশেষে ব্যান্ডেজ থেকে মুক্তি পাব। আগের মত সব কিছুই আবার দেখতে পাব। নিজেকে সিনেমার নায়িকা নায়িকা মনে হচ্ছিল। ডাক্তারের কাছে গিয়ে বসার পর একজন নার্স চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দিলেন। খুলে সাথে সাথে চোখে কি জানি একটা ড্রপ দিয়ে দিল।
 
চোখ খুলার সাথে... continue reading
Likes ২১ Comments
০ Shares

Comments (21)

  • - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    ভাল লাগল

    - সকাল রয়

    দারুন লাগলো

    - ইকবাল মাহমুদ ইকু

    বাহ কি সুন্দর পাখি 

    Load more comments...

ফেরদৌসা রুহি

১০ বছর আগে লিখেছেন

শীতের উপহার

 
হরতাল অবরোধে জীবনের আনন্দ উল্লাস একেবারে শেষ। শীতের সময়টাকে খুব ভাল করে কাজে লাগানোর জন্য কত কি পরিকল্পনা করেছিলাম কিন্তু দেশের এই অস্থির পরিবেশে কোন পরিকল্পনাই আলোর মুখ দেখেনি।
আজ সকাল থেকেই ভাবছি কোথায় যাওয়া যায়, কি করা যায়। নাস্তা করে গেলাম বাইরে।অনেকদিন বাইরে খাওয়া হয়না তাই ভাবলাম বাইরে খাব আজ। অবরোধে ঘরে অবরুদ্ধ থাকার কারনে বেশ কিছু টাকাও হাতে জমা হয়ে আছে।আমার আবার স্বভাব খারাপ, বাইরে গেলে যা দেখি তাই কিনি। এখন আর বাইরেও যাওয়া হয়না তাই বাড়তি টাকাও খরচ হয় না। বাইরে যাই খাই না কেন বিল ও আসবে মোটা অংকের।
হঠাৎ খাওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। শীতের কাপড় অনেক দিয়েছি শ্বশুর বাড়ির আশেপাশে। সবই অন্যদের মাধ্যমে। ভাবলাম বেশ কিছু টাকা যখন হাতে জমেই আছে তা দিয়ে আরও কিছু শীতের কাপড় কিনি।হাতে পড়ে থাকা টাকা আর দুপুরে বাইরে খাওয়ার যে পরিকল্পনা, সেই টাকা একসাথে করে বেশ কিছু কাপড় কেনা যাবে। বাইরে আজ না হয় নাই খেলাম।আকিফ মানে আমার ছেলে সে নিজের হাতে কিছু মানুষকে দিবে শীতের কাপড়, বাইরে খাওয়ার চেয়ে সে সব দরিদ্র মানুষের আনন্দটাই বড়। একটা কাপড় পেয়ে গরিব মানুষেরা কত খুশি হয়। তাই আকিফকে বললাম ‘’ বাবা আজ আমরা বাইরে খাব না, চল আমাদের বাসার আশে পাশের কয়েকজনের জন্য শীতের কাপড় কিনি, তোমার কত শীতের কাপড় আর তাদের কোন কাপড় নেই, তাই তারা সারারাত অনেক কষ্ট করে’’। ছেলেও রাজি হয়ে গেল।
দোকানে গেলাম শীতের কম্বল কিনতে। দোকানদার বলে ‘’আপা আত্মীয় স্বজনের জন্য কিনবেন নাকি গরিব মানুষকে দেওয়ার জন্য কিনবেন’’। বললাম ভাল মানের কিনব।পাঁচটা কম্বলের দামে একটা নিব কিন্তু ভাল জিনিস হওয়া লাগবে। বেশ কয়েকটা কম্বল কিনে বাসায় চলে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - গোলাম মোস্তফা

    দারুন ভাবে সাজিয়েছিস 

    দারুন মন খারাপ হল 

     

    কন ফান করলাম না 

    • - ঘাস ফুল

      তোর আর কামাল ভাইয়ের মন খারাপ আবার ক্যাম্নে হয়? 

    - কামাল উদ্দিন

     সত্যিই চোখে পানি চলে আসছে, ধন্যবাদ আপনাকে 

    • - ঘাস ফুল

      আসলেই পানি আসার মতো কতগুলো ছবি। আপনাকে আমাদের চাইতে বেশীই ছুঁয়ে যাওয়ার কথা। ধন্যবাদ কামাল ভাই। 

    - সুলতানা সাদিয়া

    কিছু মিষ্টি শব্দরাশি নিয়ে পিসি’র সামনে বসেছিলাম। কোথায় হারিয়ে গেল........

    • - ঘাস ফুল

      আমি দুঃখিত সাদিয়া  আপনার সুন্দর সময়টাকে নষ্ট করে দিয়েছি বলে। মন খারাপ করার মতোই ছবিগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে। 

    Load more comments...
Load more writings...