বাবু পিচ্চি হলেও তার এক একটা স্বপ্ন ইয়া বড় বড়। একবার তার খুব জ্বর হয়েছিলো আর ডাক্তার তাকে দিয়ে গেলো বিদঘুটে তেতো এক ঔষুধ। সেই থেকে তার স্বপ্ন দাড়ায় সে বড় হয়ে সব ঔষুধকে দই বানিয়ে ফেলবে। কারণ বাবুর কাছে দইটাই হচ্ছে প্রিয় খাবার।
আরেকবার স্কুলে বজলুর রহমান স্যার ওকে পড়া না পাড়ায় পুরো ক্লাস কানে ধরিয়ে হাইবেঞ্চে দাড় করিয়ে রেখেছিলো। সেদিন বাবু ভাবে সে বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে এমন নিয়ম চালু করবে যে , ছাত্ররা পড়া না পারলে স্যারেরা কান ধরে হাইবেঞ্চে দাড়িয়ে থাকবে। তখন দেখবে মজা।
সামনের রোববার উত্তরপাড়ার স্কুলের সাথে বাবুদের স্কুলের ফুটবল খেলা। প্লেয়ার বাছাই করবেন ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর রহমান। বাবুও ইচ্ছুকদের সাথে বুক ফুলিয়ে লাইনে দাঁড়াল। একে একে স্যার প্লেয়ার বাছাই করে নিলেন। গেঁজো দাঁতের রতন ,মুটকো নুরু ,হ্যাংলা কার্তিক পর্যন্ত নির্বাচিত হলো। বাবুর দিকে স্যার কিনা তাকালেনইনা ?
গেঁজো দেঁতো রতনটা আবার আঁকাবাঁকা দাঁতে হেসে হেসে ওকে সান্ত্বনা দিয়ে গেলো । বলল , তুই খাটো কিনা তাই বাছাই হসনি । বাড়ি গিয়ে আম গাছে ঝুলে থাক দু বেলা করে ।দেখবি তরতরিয়ে আমার মত লম্বা হয়ে যাবি।
বাবুর ইচ্ছা করে এক ঘুসিতে রতনের গেঁজো দাঁত গুলো ফেলে দেয়।
সেদিন রাতে সব স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ফেলে বাবু ভাবে ,সে বড় হয়ে ক্রীড়া শিক্ষকই হবে ।আর বাবুর মত খাটো খাটোদেরকেই শুধু টিমের জন্য বাছাই করবে ।
Comments (12)
চমৎকার কবিতা। ধন্যবাদ, বোন সেলিনা ইসলাম।
ভাল লাগা রইল উপমা ও পঙক্তিমালায় ৷
কবিতা ভাল লাগল। ধন্যবাদ