চুল ধোয়ার টুকিটাকি
Lifestyle
অনেকগুলো খালি প্লাস্টিকের বোতল জমে আছে ঘরে, ভাবছেন ফেলে দেবেন? এই ফেলনা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কিন্তু তৈরি করা যায় দারুণ সব কাজের জিনিস। যেমন ধরুন, ফেলনা বোতল দিয়ে খুব সহজেই কিন্তু আপনি তৈরি করে ফেলতে পারবেন আকর্ষণীয় ফ্লাওয়ার পট। দেখতে এত চমৎকার হবে যে কেউ বুঝতেই পারবেন না এটা আসলে ফেলনা প্লাস্টিক বোতল। কীভাবে করবেন? চলুন, জেনে নিই।
যা যা লাগবে:
প্লাস্টিক এর বোতল,
কালার প্রিন্ট পেপার বা কাগজ
সাজাবার জন্য ফিতা, পুঁতি, গাম ইত্যাদি
আইকা বা ভালো আঠা
রশি
পদ্ধতি :
-বোতলটি কেটে নিন মাঝ বরাবর। এক্ষেত্রে কাঁচি বেশ ভালো কাজে আসবে। সমান করে কাটুন। দুপাশে রসি ঝোলানোর জন্য দুটি ফুটো করতে পারেন।
-এরপর একটি ব্রাশ দিয়ে বোতলের গায়ে ভালো করে আঠা মাখান।
-এবার কাগজ বা কাপড়টি সাইজ মত কেটে খুব সাবধানে বোতলের গায়ে জড়িয়ে নিন। নিচের অংশ...
Lifestyle
*অতীত স্মৃতি, নাম ডাক, শব্দের অপব্যবহার এবং মর্যাদাহানি প্রভৃতি বিষয়গুলো সাধারণত একটি সমস্যা হিসেবে দুই জনের সামনে আসতে পারে। এ বিষয়গুলোকে পরিহার করুন।
*সামান্য বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু...
লিচুর রঙ অটুট রাখার টিপস
*লিচু বাজার থেকে যেভাবে কিনে এনেছেন, ঠিক সেভাবেই রাখুন।
*পানি লাগাবেন না কিংবা পাতা ছিঁড়ে ফেলবেন না। পাতা লিচুকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
*পাতা সহ লিচুগুলো কাগজের ব্যাগে ভরে ফেলুন এবং ফ্রিজে রেখে দিন। ঠিক যেভাবে সবজি বা অন্যান্য ফল ফ্রিজে রাখেন, সেভাবে।
*তবে খেয়াল রাখবেন, ফ্রিজের গায়ের সাথে লাগিয়ে রাখবেন না লিচুগুলোকে। এবং ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না।
*এরপর দেখতে পাবেন, বাজার থেকে যেমন লিচু কিনে এনেছেন, একদম তেমনই থাকবে বেশ কয়েকদিন। কালচে হবে না, খোসা শুকিয়ে যাবেন না, স্বাদে কোন পরিবর্তন তো একেবারেই হবে না।
*যদি ঠাণ্ডা লিচু খেতে না চান, তাহলে খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে বের করে রাখবেন। রুম তাপমাত্রায় এলে তারপর খাবেন।
...লিচু যারা ভালোবাসেন, তাঁরা সকলেই জানেন যে কেনার একদিন পরই লিচুর রঙ হয়ে যায় কালচে। খোসা শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায় আর স্বাদটাও কেমন বদলে যেতে থাকে। এত মজার ও বেশ দামী এই ফলটি ২/১ দিন ঘরে রেখে খাওয়া যায় না বলে বিষয়টি নিয়ে আফসোস করেন সবাই। উপরের কৌশল অনুসরণ করলে আপনার কেনা লিচু কালচে তো হবেই না, সাথে স্বাদ-গন্ধ সব থাকবে অটুট। যার মাধ্যমে লিচুকে বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত তাজা রাখতে পারবেন আপনি।[…]
বেশি ঘুমানোর অপকারিতা
প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের ক্ষেত্রে রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। কিন্তু এর বেশি ঘুম বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী। এমনকি মৃত্যুকেই ত্বরান্বিত করতে পারে। আবার এর মানসিক সমস্যাও কম নয়। মনে করার চেষ্টা করুন বেশি ঘুমালে আপনার কেমন লাগে। এবার বেশি ঘুমানোর কয়েকটি কুফল জেনে নেন—
*বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ায়- ২০১৪ সালে প্রাপ্তবয়স্ক যমজদের উপর একটি গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায় দীর্ঘ সময় ঘুমালে বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ে। ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের ২৭ ভাগের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা গেছে। আর যারা ৯ ঘণ্টা বা বেশি ঘুমিয়েছেন তাদের ৪৯ ভাগে বিষণ্নতার লক্ষণ পাওয়া গেছে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে বয়স্ক নারীদের মধ্যে যারা কম বা বেশি ঘুমান, তাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
*সন্তান ধারণে সমস্যা- ২০১৩ সালে প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের উপর কোরিয়ায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে সাড়ে ৬শ’ নারী অংশগ্রহণ করেন। ফলাফলে দেখা যায় যারা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে সন্তানধারণের সক্ষমতা বেশি। অন্যদিকে যারা ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের ক্ষেত্রে উল্টো। তবে এর কার্যকারণ সম্পর্ক নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত নয়।
তবে বেশি ঘুমানোর সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, যারা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমান ৬ বছরের মধ্যে তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে যারা ৭-৮ ঘণ্টার মতো ঘুমান তাদের শরীর কম ঝুঁকিতে থাকে।
*ওজন বাড়িয়ে দেয়- একই গবেষণায় দেখা গেছে বেশি ঘুমানোর কারণ ৬ বছরের মধ্যে ওজন বেড়ে যেতে পারে। যারা ৯-১০ ঘণ্টা ঘুমান তাদের ২৫ ভাগের ওজন বেড়েছে। এমনকি খাবার গ্রহণে সতর্কতা ও শারীরিক কসরত সত্ত্বেও স্থূলতা রোধ করা যায়নি।
*হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করে- ২০১২ সালে আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির মিটিংয়ে জানানো হয়, ঘুমের সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে ৩ হাজার...[…]
লবণে ঘরোয়া সমস্যার সমাধান
*কাপড়ের দাগ দূর করতে- কাপড়ে মাঝে মাঝে কঠিন দাগ পড়ে বা গন্ধ হয়ে যায়, বিশেষ করে তোয়ালে তে। লেবু আর লবণ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। দাগের ওপর দিন। রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে।
*ডিশ ওয়াশিং পাউডার বানাতে- যদি দেখেন ঘরে ডিশ ওয়াশার শেষ হয়ে গেছে, চিন্তায় পড়ে যাবেন না। নিজেই বানিয়ে নিন লবণ দিয়ে। বেকিং সোডার সঙ্গে লবণ আর সঙ্গে ডিশ ওয়াশিং সোপ বা যেকোনো তরল সাবানের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ব্যস হয়ে গেল। দেখবেন ব্যবহারের পর আপনার থালা বাসন চক চক করছে।
*ময়লা স্পঞ্জ পরিষ্কার করতে- দুই কাপ পানি নিন আর কোয়ার্টার কাপ লবণ একটি বাটিতে নিন। সারা রাত ময়লা স্পঞ্জ ভিজিয়ে রাখুন। সকালেই দেখবেন সব ময়লা গায়েব হয়ে গেছে।
*কড়াইয়ের পোড়া দাগ তুলতে- পোড়া জায়গায় লবণের একটি আস্তরণ দিন। তারপর একটু পানি যোগ করে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর মেজে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন পোড়া চলে গেছে।
*কাটিং বোর্ড পরিষ্কার করতে- কাটিং বোর্ড ডিশ ওয়াশার দিয়ে বা একের পর এক কিচেন টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করতে না পারলে, শুধু লবণ আর লেবু দেওয়া পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। দেখুন একদম পরিষ্কার আর জীবাণুমুক্ত হয়ে গেছে।
*মেঝ থেকে ভাঙা ডিম তুলতে- ডিম ভেঙে মেঝেতে পড়ে গেলে, এর ওপর লবণের পরত দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। দেখবেন ডিম বালুর মতো ঝুরঝুরে হয়ে গেছে। এরপর সহজেই তুলে ফেলতে পারবেন।
*আটকে যাওয়া চুল পরিষ্কার করতে- বিভিন্ন সময় আমাদের চুল আটকে যায় কল বা পাইপের লাইনে। যতটা সম্ভব হাত দিয়ে চুল উঠিয়ে আনুন। এরপর ১/৪ ভাগ বেকিং সোডা এবং ১/৪ ভাগ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর সেখানে এই মিশ্রণ...[…]
গরমে প্রয়োজনীয় রুটিন
*খাদ্য-
• শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখুন। তৃষ্ণাই বুঝিয়ে দেবে আপানার শরীরে কি পরিমাণ পানির ঘাটতি আছে। সারাদিন পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার খেতে থাকুন।
• ঠান্ডা লেবু জলের মত পানীয়, যেমন, নারকেলের পানি, কোল্ড চা, কোল্ড কফি, ঘোল, ছানার পানি ইত্যাদি। শরীরে শর্করা যোগ করতে চাইলে এগুলোর সাথে চিনি মিশাতে পারেন।
• ঠান্ডা সূপ, ঠান্ডা স্যালাড এবং কম চর্বি যুক্ত দই খেতে পারেন।
• নিয়মিত কিছু ভালো ফল গ্রহন করুণ, যেমন, বাঙ্গি ও টক জাতীয় যে কোনো ফল। এতে আপনার শরীরের পানির ঘটতি অনেকটাই কম্বে।
*ব্যায়াম-
• গরমে পর্যাপ্ত পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীর এমনিতেই যথেষ্ট সুস্থ থাকে। আর এ সময় একটু হালকা ব্যায়াম আপনাকে দেনে সুখময় অনুভূতি। দূর হবে স্ট্রেস ও খাদ্য হবে যথযথ পরিপাক। এ সময় অধিক গরম থাকে বলে অনেকেই ব্যায়াম করতে চান না। কিন্তু ব্যায়াম করাটা যথেষ্ট জরুরী।
• ভোর ৬টা বা সকাল ৭টার দিকে তেমন গরম থাকে না। তাই ব্যায়াম করার জন্য এ সময়টাকেই বেছে নিতে পারেন।
• ব্যায়াম করার সময় আঁটসাঁট পোশাক পরে ব্যায়াম করলে বেশি গরম লাগবে। এ কারণে ব্যায়াম করার সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। সানস্ক্রিন লাগান। এটা গরমের সময় আপনার ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
• গরমে স্ট্রেচিং ধরনের ব্যায়াম বাদ দেবেন না। স্ট্রেচিং হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ইয়োগা, যোগব্যায়াম করতে পারেন। এটি রক্তের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।[…]
বেশি কফি পানে ঝুঁকি
পানীয় হিসেবে কফি খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই চাঙা থাকতে কিংবা ঘুম কাটাতে নিয়মিত কফি খেয়ে থাকেন। তবে বেশি কফিতে বিপদ অনিবার্য।
*বিজ্ঞানীদের মতে দিনে চার কাপের বেশি কফি খাওয়া শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
*স্থুল ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বিশেষ করে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
*ইউরোপের দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, দিনে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি খাওয়াই উচিত নয়। মেশিনে তৈরি বড় কাপের এক কাপ কফিতে সাধারণত ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে।
*বড় কাপে সারা দিনে দুইকাপ কফি যথেষ্ট। তার বেশি খেলে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বাড়ে।[…]
সুস্বাদু খাবারে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি
*সফট ড্রিংকস- গরমে ছোটোবড় সকলের হাতেই সফট ড্রিংকসের বোতল দেখা যায়। তেষ্টা মেটাতে অনেক পানি নয় সফট ড্রিংকস কিনে পান করেন। কিন্তু এই সফট ড্রিংকস পান করতে ভালো লাগলেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ এতে রয়েছে শুধুমাত্র ক্যালরি এবং অতিরিক্ত চিনি যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক খারাপ। এছাড়াও দ্রুত ওজন বাড়াতে এবং উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে এর জুড়ি নেই। আর এতেই বাড়ে মৃত্যু ঝুঁকি।
*ফ্রাইড ফুড- তেলে ভাজা জিনিস আমাদের কাছে অনেক সুস্বাদু খাবার নিঃসন্দেহে। কিন্তু এই তেলে ভাজা খাবার প্রতিনিয়ত আপনাকে অসুস্থ করে তুলছে। কারণ এইসকল ফ্রাইড ফুড কুড়মুড়ে করে তোলার কাজে ব্যবহার করা হয় হাইড্রোজেনেটেড কটনসিড অয়েল অর্থাৎ ট্র্যান্স ফ্যাট। আর এই ট্র্যান্স ফ্যাট ক্যান্সারের জন্য দায়ী। সুতরাং সাবধান।
*ফাস্ট ফুড- বার্গার, পিৎজা খেতে অনেক ভালো লাগে অবশ্যই, কারণ এগুলো অনেক সুস্বাদু খাবার। কিন্তু এই খাবার খেয়ে নিজেকে মেরে ফেলছেন না তো? যদি আপনার মনে না হয় তাহলে জেনে রাখুন ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারে সিজনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট অর্থাৎ এমএসজি যা ক্যান্সার, টিউমার, নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারের জন্য দায়ী।
*বেকড ফুড- কেক, পেস্ট্রি, পাই সহ নানা ধরণের বেকড ফুড আমাদের সকলের কাছেই বেশ প্রিয়। কিন্তু জেনে রাখুন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যখন অতিরিক্ত হিটে বেক করা হয় তখন তা আমাদের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও বেকড ফুডে যে পরিমাণ বাটার এবং চিনি ব্যবহার করা হয় তা নিঃসন্দেহে আপনার ওজন বৃদ্ধি এবং কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেম নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।[…]