ঘরোয়া টক দই রেসিপি
Lifestyle
সব বয়সের নারী-পুরুষের জীবনেই একটা বিভীষিকার নাম এই পেটের মেদ। শত চেষ্টা করে, ডায়েট করে, ব্যায়াম করেও একে কমানো যেন খুবই কঠিন। কম ঝামেলায় অল্প সময়ে পেটের মেদ ঝরাতে রোজকার রুটিনে যোগ করুন এই কাজগুলো।
(১) নাস্তায় ওটমিল- সকালের নাস্তায় রোজকার খাবারের বাদ দিয়ে খাওয়া শুরু করুন ওটমিল, সাথে যোগ করুন তাজা কোন ফল। ওটমিলে আছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার যা পেটের মেদ কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই সকাল শুরু করুন এই ভালো খাবারটি দিয়ে।
(২) প্রতিদিন গ্রিন টি- দিনে কমপক্ষে দুই কাপ বা তার বেশী গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টি চর্বি পোড়াতে ও পেটের মেদ কমাতে খুবই সহায়ক।
(৩) কয়েকটি বিশেষ উপাদান খাদ্য তালিকায় যোগ করুন- Monounsaturated fatty acids (MUFAs) ও polyunsaturated fatty acids (PUFAs) সমৃদ্ধ খাবার। যেমন, এক মুঠো কাঠ বাদাম...
Lifestyle
দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গরমে থাকার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিটস্ট্রোক হয়। এ অবস্থায় শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক সময় মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পেটের মেদ কমাতে ব্যায়াম
শরীরকে ফিট রাখার ক্ষেত্রে পেটের মেদ বা ভুঁড়ি একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় শরীরের অন্যান্য অংশে তেমন মেদ নেই, কিন্তু পেটের মেদ আপনার ফিটনেস নষ্ট করছে আর আপনাকে দেখতেও ভীষণ খারাপ লাগছে। এমতাবস্থায় খাবার-দাবার নিয়ন্ত্রণ করেও ভালো কাজ হয় না। আসলে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রতিদিন এমন কিছু ব্যায়াম করা দরকার যেগুলো সরাসরি পেটের মেদ ঝরানোর জন্য উপকারী।
*বাইসাইকেল ব্যায়াম-
• প্রথমে মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে পরুন।
• দুটো হাত মাথার পেছনে রাখুন। দুটো পা সোজা করে একটু ওপরে ওঠান।
• এবার বাম পা সোজা রেখে ডান পা ভেঙে বুকের কাছে নিয়ে আসুন।
• এই সময় আপনার কোমর থেকে ওপরের অংশে বাম দিকে একটু কাত করুন।
• একইভাবে ডান পা সোজা রেখে বাম পা ভেঙে আবার করুন, যেন মনে হয় আপনি শুয়ে শুয়ে সাইকেল চালাচ্ছেন।
...এই ব্যায়ামটি এক মিনিট করে প্রতিদিন তিন বার করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার পেটের পেশীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যা মেদ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
*বোটিংয়ের মতো ব্যায়াম করুন-
এই ব্যায়ামের ভঙ্গিমাটা অনেকটা নৌকা চালানোর মতো।
• প্রথমে মেঝেতে বসুন।
• পা দুটো সোজা করে ওপর দিকে ওঠান।
• হাত দুটো সোজা করে হাঁটু বরাবর রাখুন।
• কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ সোজা করে এমনভাবে রাখুন যেন তা আপনার পায়ের সাথে সমকোণ তৈরি করে।
• এরপর পাঁচবার জোরে জোরে শ্বাস নিন এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
... এই ব্যায়ামটি দৈনিক পাঁচবার করার চেষ্টা করুন।[…]
দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে কাজের বেলায় সচেতনতা
যদি প্রতিদিন অফিসে বা বাড়িতে বসে কম্পিউটারে করার মতো কাজ হয়, তাহলে এখনই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ধরুন আপনাকে প্রতিদিন লম্বা সময় ধরে ডেস্কটপের সামনে বসে কাজ করতে হয়। আর তা করতে গিয়ে আপনি চোখ, কাঁধ, গলা, পিঠ বা হাতের ব্যথায় ভুগতে শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে করণীয়-
*কাঁধের জন্য- ডেস্কটপে বসে কাজ করার ক্ষেত্রে টেবিল-চেয়ারটা মাপমতো হওয়া খুবই জরুরি। আপনার উচ্চতা অনুযায়ী চেয়ারের সিটারটা উঁচু বা নিচু করে এমনভাবে বসুন, যাতে সোজাসুজি তাকালে আপনার চোখ মনিটরের ওপরের সীমানা বরাবর থাকে। কনুই দুটোকে চেয়ারের হাতলের বিশ্রামে রেখে কাজ করুন। ডেস্কটপের কিবোর্ড-মাউস যদি আলাদা ট্রেতে থাকে তাহলে কবজিটা সেখানে রাখুন আর তা যদি টেবিলের ওপর থাকে, তাহলে কবজি সেখানে রেখে কাজ করুন। খেয়াল রাখতে হবে চেয়ারের হাতলের চেয়ে কিবোর্ড-ট্রে কিংবা টেবিল-টপ যেন বেশি উঁচু না হয়ে যায়। এভাবে বসে কাজ করলে আপনার কাঁধে চাপ পড়বে না।
*চোখের বিশ্রাম- দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে থেকে কাজ করলে চোখে ব্যথাসহ নানা সমস্যা হতে পারে। তাই কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ পর পর একটু বিরতি নিতে চোখ বন্ধ করুন, খানিক অন্যদিকে তাকান, দূরে কোনো কিছুর দিকে একটু চোখ স্থির করুন। অফিস, ঘর বা বাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকানোর সুযোগ থাকলে একটু সেদিকে তাকান। সম্ভব হলে সবুজে তাকান, চোখ স্নিগ্ধ হবে। আর চোখে ক্লান্তি এলে একটু চোখ পিট পিট করে বারবার চোখের পাপড়ি বন্ধ করুন, মেলুন, বন্ধ করুন। এতে চোখের ভেতরের তরল সঞ্চারিত হয়, চোখকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া কাজ করতে করতে চোখ ব্যথা হয়ে গেলে চোখের পাপড়িতে হাতের তালু বা আঙুলে হালকা চাপ দিন, কিছুটা আরাম পাবেন। আর অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন আপনার মনিটরের সেটিংস...[…]
সেহে্রীতে সঠিক খাদ্য নির্বাচন এবং কিছু বিষয় মেনে চলুন
*গরমকালে সবচাইতে সমস্যা হয়ে যায় পানির অভাবে। প্রচন্ড রোদ এবং গরমে দেহ পানিশূন্য হয়ে যায়, তাই সাহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে নিন। প্রায় আধা লিটারের মতো পানি পান করবেন। প্রয়োজনে আরও বেশি পান করুন, কিন্তু এর চাইতে কম করবেন না।
*দেহ পানিশূন্য হয়ে গেলে এমনিতেই এনার্জি কমে যায়, তাই এমন খাবার খেতে হবে যা দেহে এনার্জি ধরে রাখতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খাবেন পরিমাণ মতো। এতে ক্ষুধার উদ্রেকও কম হবে এবং এনার্জিও থাকবে অনেক।
*আরও একটি উপায়ে সারাদিন দেহকে পানিশূন্যতার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন, আর তা হলো পানিসমৃদ্ধ ফল রাখা সাহরির তালিকায়। আনারস, কমলা, তরমুজ ইত্যাদি ধরণের ফল খান প্রতিদিনের সেহে্রীতে এতে করেও পুরো দিন সুস্থ থাকতে পারবেন।
*অনেকেরই সকালে চা-কফি পানের অভ্যাস রয়েছে, তারা রোজা রাখার কারণে সকালে চা-কফি পানের অভ্যাসটি সেহে্রীতেই নিয়ে আসেন। কিন্তু এই কাজটি করতে যাবেন না। চা-কফির ক্যাফেইন দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে, তাই সাহরিতে চা-কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
*অনেকেই পাউরুটি বা শুকনো খাবার খেয়ে রোজা রাখেন যা গরমের এই রোজার সময়ে একেবারেই করবেন না। বিশেষ করে প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট খাবার, এটি স্বাভাবিকভাবে আপনার দেহে শক্তি সরবরাহ করবে কিন্তু খুব অল্প সময়ের জন্য। তারপর আপনার দেহকে পানিশূন্য করে একেবারেই এনার্জিবিহীন করে তুলবে। সুতরাং শুকনো ও প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকুন।
*মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মিষ্টি খাবার আপনার দেহের এনার্জি লেভেল একেবারেই নষ্ট করে দেবে দিনের বেলায় যার কারণে আপনি দুর্বলতা অনুভব করবেন পুরো দিন।
*ভারী খাবার এবং অতিরিক্ত তেল চর্বি ধরণের খাবার খাবেন না একেবারেই সেহে্রীতে। বিশেষ করে খিচুড়ি, পোলাও বা বিরিয়ানি...[…]
পিঁয়াজের গুণাগুণ
*পিঁয়াজের রস চুলে দিলে তা উকুন নাশক হিসেবে কাজ করবে পাশাপাশি চুল পরা কমাতেও সাহায্য করবে।
*দৈনিক পিঁয়াজ খেলে তা আপনার যৌন সমস্যাগুলো দূর করবে।
*লাল পেঁয়াজ মেয়েলী রোগ সংশোধন করতে সাহায্য করে। পিরিয়ড শুরু হবার কিছু দিন আগে লাল পেয়াজ খান।
*কারো নাক দিয়ে রক্ত পরলে কাঁচা পিঁয়াজ কেটে তার ঘ্রাণ নিতে দিন।
*প্রতিদিন একটা পেঁয়াজ আপনার ঘুমের অভাব দূর করবে।
*পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন।
*সাদা পিঁয়াজ piles থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ করবার জন্যেও সুপারিশ করা হয়।
* পিঁয়াজ হজম শক্তি বাড়ায়।
*শরীর থেকে অবাঞ্ছিত কলেস্টেরল সরিয়ে সাহায্য করে।
*দৈনিক একটি লাল পেঁয়াজ করোনারি হার্ট রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।
*পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
*জয়েন্ট পেইন দূর করে।
*হলুদের সাথে পিঁয়াজের রস মিশ্রিত করে শরীরে কোন কাল দাগ থাকলে সেখানে ব্যবহার
করুন।
*দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
*আপনার শিশুর কৃমি সমস্যা থাকলে এক চামচ পেঁয়াজের রস খেতে দিন।
*মেয়াজ মেমরি ও স্নায়ুর উন্নতি ঘটায়।
*কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
*প্রতিদিন চিনি দিয়ে পেঁয়াজ খেলে তা শিশুদের উচ্চতা লাভ করতে সাহায্য করে।[…]
দাম্পত্য জীবনে সন্তান না আসলে করণীয়
সন্তান জন্ম না দিতে পারা একটি দুঃখের বিষয়। কিন্তু তাই বলে নিজের জীবন এইজন্য ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার মানে নেই। নিজেকে শক্ত করুন, আত্মবিশ্বাস আনুন। সঙ্গীর সাথে সুখী জীবনযাপন করুন।
*আপনার অনুভূতি গুলো ব্যক্ত করুন-
যখন আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনাদের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান আসছে না, তাহলে সবার আগে যে কাজটি করণীয় সেটা হচ্ছে আপনার ভেতরে যদি কোন হতাশা, ক্রোধ, দুঃখ থেকে থাকে সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, এই কাজটি একবারই করবেন। বার বার যেন আপনার জীবনে চলার পথে এসব জিনিস বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে। দরকারে আপনার সঙ্গীর সাহায্য নিন। তার সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন।
*বাস্তবতাকে মেনে নিন-
যখন ভেতরের সব হতাশা, ক্রোধ, দুঃখ নিঃশেষ হয়ে যাবে তখন মাথা ঠান্ডা করুন। তারপর ব্যাপারটির গভীরতা চিন্তা করুন। তারপর বাস্তবতা মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। কি হতে পারতো কিংবা কি হয় নি সেগুলো চিন্তা না করে বর্তমানে কি হচ্ছে সেদিকে নজর দিন। তারপর সন্তান ছাড়া আপনার ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে সেটা ভাবুন এবং ঠিক সেইভাবে প্রস্তুতি নিন। আর একটা ব্যাপার, যদি সন্তানের জন্য কোন ধরণের খেলনা বা অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে থাকেন সেগুলো প্যাক করে দূরে সরিয়ে দিন। সবচাইতে ভালো হয় যদি জিনিসগুলো এমন কাউকে দিয়ে দিন যার কাজে লাগতে পারে।
*আপনার শরীরের খেয়াল রাখুন-
যেটা হয়েছে সেটা হয়েছেই। তার জন্য নিজের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দেয়ার মানে নেই কোন। আর মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য সুস্থ শরীর প্রয়োজন। তাই এইসময়ে নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুমান, ঘুম না আসলে হালকা ডোজের ঘুমের ওষুধ নিন। তার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া করুন, মানসিক চাপ কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
*নেতিবাচক আবেগ থেকে...[…]
ইফতারিতে খেঁজুর এর উপকারিতা
*খেঁজুর সহজ পাচ্য। সারাদিন অভুক্ত থাকার পর খেঁজুর খেলে পাকস্থলির ওপর কোন চাপ পড়ে না।
*খেঁজুরে যে শর্করা থাকে তা দ্রুত শোষিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শরীর দ্রুততার সঙ্গে শক্তি পায়। সারাদিনের ক্লান্তি, কষ্ট লাঘব হয় নিমিষেই।
*এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। রোজা রাখলে পানি কম পান করা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। কিন্তু খেঁজুর খেলে এ সম্ভবনা কমে যায়।
*সারাদিন অভুক্ত থাকার পর মন চায় খাই আর খাই। এতে কিন্তু রোজার আদর্শ ঠিকমত পালিত হয় না। আবার এতে পাকস্থলির ওপর চাপ পড়ে। রোজা রাখলে যেসব উপকার পাওয়া যায় তাও ব্যাহত হয়। ইফতারিতে খেঁজুর খেলে ক্ষুধা ভাব কমায়। ফলে কমে যায় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা।
*খাবার ডাইজেস্ট বা পরিপাকের জন্য পাকস্থলি থেকে নি:সৃত রস গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। খেঁজুর পাকস্থলি থেকে রস নি:সরণ হার বাড়িয়ে খাবার পরিপাকে সহায়তা করে।
*রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য রাখে।
...রমযান মাস আসলে খেঁজুর ছাড়া আমাদের চলে না। অনেকেই জানেন না ইফতারিতে এটি খেলে উপকারিতা কি? কিন্তু মহানবী (স.) দেড় হাজার বছর আগেই জানিয়েছেন এর উপকারিতা। হাদীসে আছে, রসূল (স.) বলেছেন, “খেঁজুর দ্বারা ইফতার করলে এর উপকারিতা অনেক।“ অন্য একটি হাদীসে আছে, “তোমরা খেঁজুর দিয়ে ইফতার কর না পারলে পানি দ্বারা, এতেই কল্যান নিহিত।“[…]