আনারস দিয়ে ডিম কষা
Lifestyle
বন্ধুত্বের সম্পর্ক এমন একটি সম্পর্ক যা রক্তের বন্ধনে তৈরি হয় না। অন্য কেউ আমাদের জন্য বন্ধু নির্বাচন করে দেন না, আমরা নিজেরাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে নিই। জীবনের সকল ধরণের বিষয় নিয়েই আমরা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে থাকি। এমন সব বিষয় নিয়ে কথা বলি যা হয় পরিবার বা নিজের পছন্দের মানুষটির সাথেও শেয়ার করতে পারি না। যার অন্তত একজন ভালো বন্ধু নেই তার মতো একাকী মানুষ আসলেই পৃথিবীতে দ্বিতীয়জন নেই। কিন্তু আপনি যাকে সবচাইতে ভালো বন্ধু হিসেবে চেনেন তিনি কি সত্যিই আপনার ভালো বন্ধু, নাকি তিনি ভালো বন্ধুর মুখোশে সুসময়ের বন্ধু মাত্র? চিন্তায় পড়ে গেলেন? তাহলে জেনে নিন এমন কিছু ব্যাপার যা নকল বন্ধুদের মুখোশ খুলে দেবে আপনার সামনে।
১) আপনার হ্যাঁ এর সাথে হ্যাঁ মেলানো বন্ধু কিন্তু আপনার সত্যিকারের বন্ধু নয়। আপনি যা কিছুই বলেন...
Lifestyle
আমরা অনেকেই রোজা রাখার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানি। রোজা রাখার ফলে ওজন কমা, পরিকাপতন্ত্রের সুস্থতা, দেহের টক্সিন দূর হওয়া, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর হওয়া সহ নানা খারাপ অভ্যাস দূর...
শিশুকে করে তুলুন খাবারের প্রতি আগ্রহী
দুধ বা শাকসবজি বেশিরভাগ শিশুরই মুখে রোচে না। পুষ্টিকর খাবারে প্রতি তারা যেন রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে থাকে। জোর জবরদস্তি করে খাওয়ানোর ফলে খাবারের প্রতি বিতৃষ্ণা ও অনাগ্রহ তাদের প্রতিনিয়ত বেড়েই চলতে থাকে। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার না খেলে আপনার সন্তান সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠবে কীভাবে? হোন একটুখানি কৌশলী আর আপনার শিশুকে করে তুলুন খাবারের প্রতি আগ্রহী।
মেন্যু তৈরি
সপ্তাহের শেষে সন্তানকে নিয়ে বসে পুরো সপ্তাহের মেন্যু পরিকল্পনা করুন। পরিকল্পনা করতে বসে গল্প করে বুঝিয়ে দিন সুষম খাদ্যতালিকায় কী ধরনের খাবার থাকা উচিত, সেগুলো খেলে ওর কী উপকার হবে ইত্যাদি। স্বাস্থ্যকর খাবার সংক্রান্ত বই, পত্রপত্রিকা বা ওয়েবসাইটও ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারেন একসঙ্গে। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার কথাগুলো যেন পড়ার বইয়ের মতো না শোনায়। নিত্যদিনের খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবার যেমন ফ্রুট সালাদ, মিল্ক শেক, ভেজিটেবল পরোটা অবশ্যই রাখবেন। শিশুকে বাদ দিয়ে নিজেরা বাইরের খাবার খাবেন না। বুঝতে পারলে সে নিজেকে প্রতারিত বোধ করবে এবং অবাধ্য হবে। বাড়ির সবাই একসঙ্গে খেতে বসুন এবং একই খাবার খান। সপ্তাহে একদিন ওকে ওর পছন্দমতো জাঙ্কফুড খেতে দিন।
কেনাকাটায় সাথে নিন
ছুটির দিনে বাড়ির বাজার করার সময় আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে যান। বাজার করার সময় নানা ধরনের সবজি, ফল, মাছ ইত্যাদি চেনাতে থাকুন। বিভিন্ন খাবারের রং, আকার, গন্ধ, স্পর্শ বুঝতে সাহায্য করুন। বিভিন্ন রঙের সবজি, ফল একসঙ্গে বেছে কিনে নিয়ে আসুন। রান্না করার সময় ওর সাহায্য নিন তা যত সামান্যই হোক। দেখবেন নিজের পছন্দ করা খাবার সে বেশ আনন্দ নিয়েই খাচ্ছে। যারা একটু বড় হয়েছে, তাদের কয়েকটি সহজ অথচ পুষ্টিকর রেসিপি শিখিয়ে দিন। সবাই মিলে খেতে বেশ মজাই লাগবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার
– ঠাণ্ডা দুধে শিশুর পছন্দমতো ফ্লেভার...[…]
দৈনন্দিন ৮ টি সমস্যার সমাধান করুন শুধুমাত্র টুথপেস্ট দিয়ে
টুথপেস্ট দিয়ে আপনি কি কি করতে পারেন? প্রশ্নটি শুনলে অনেকেই হয়তো ভ্রু কুঁচকে উত্তর দেবেন, টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা ছাড়া আর কিই বা করার আছে? কিন্তু শুধুমাত্র এই টুথপেস্ট দিয়েই দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করে নিতে পারেন খুব সহজেই। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন টুথপেস্ট দিয়ে কি করা যাবে? তাহলে জেনে নিন টুথপেস্টের দারুণ কিছু ব্যবহার যা দূর করবে দৈনন্দিন কিছু সমস্যা।
১) কাঠের আসবাব থেকে পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ তুলতে
পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ তোলার মতো কঠিন কিছুই নেই। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত দাগ লেগে গেলে তা তোলা অনেক ঝামেলার। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে টুথপেস্ট ভালো করে লাগিয়ে ঘষে নিন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড দিয়ে ঘষে তুলে নিন এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।
২) হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাত দুর্গন্ধ হয়ে যায়। ভালো করে সাবান দিয়ে ধুলেও গন্ধ যায় না। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হাতে টুথপেস্ট মাখিয়ে নিন ভালো করে। এবং সাবানের মতোই ব্যবহার করে হাত ধুয়ে নিন। দেখবেন ম্যাজিকের মতো হাতের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
৩) কাপড়ের দাগ তুলতে
অনেক সময় কাপড়ের দাগ জেদি হয়ে বসে যায় যা কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে তোলা যায় না। এই সমস্যার সমাধানও করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে পুরু করে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ভেজা একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে নিন। এরপর কাপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দাগ গায়েব।
৪) সাদা জুতো চকচকে করতে
অনেকেই শখ করে সাদা জুতো পরেন, আবার অনেকের পছন্দ সাদা লাইনিং দেয়া স্নিকার্স। কিন্তু সমস্যা অচ্ছে সাদা জুতো বা স্নিকার্সের লাইনিং কিছুদিনের মধ্যেই ময়লায় কালচে হয়ে যায়। এক কাজ...[…]
ঘরে রাখবেন কেমন গাছ
ঘরে গাছের সবুজ ছোঁয়া রাখার উপকারিতা সবাই জানেন। অনেকেই ছোটখাটো বাগানই বানিয়ে ফেলেছেন ঘরে, ছাদে অথবা বারান্দায় এক টুকরো বাগানের সজীবতা। কিন্তু বারান্দায় নয়, বাসার ছাদেও নয়, একদম ঘরের ভেতরের বাসিন্দা বানিয়ে রাখার পক্ষে উপযোগী গাছদের নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে। যেসকল গাছ আপনাদের সাথেই থাকবে, প্রশান্তি দেবে চোখ এবং মনকে আর একই সাথে তাদের বায়ু পরিশোধনের অসাধারন ক্ষমতা আপনার ঘরের ভেতর স্বাস্থ্যকর পরিবেশের নিশ্চয়তা দেবে।
মানিপ্ল্যান্ট:
মানে টাকার গাছ- নামের এমন বাংলা অর্থ করতে যাবেন না! এই ছোট্ট গাছটি আপনাকে টাকা দেবে না ঠিক, তবে যা উপকার দেবে তাও নেহাৎ কম না। এই গাছের আছে যেকোন পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা। বেশি আলো প্রয়োজন হয় না তার, কম আলোতেই রাখুন। যত্নআত্তি নিয়েও অনেক ঝামেলা পোহানো লাগে না। ঝুড়িতে বা একটু পেটমোটা বোতলে ভরে রেখে দিন টেবিলেই। জানালার তাক, বেসিনের আয়নার তাক বা চাইলে কোথাও ঝুলিয়ে রেখে দিতে পারেন এই চমৎকার গৃহবান্ধব মেহমানকে।
চাইনিজ এভারগ্রীন:
এই গাছটি দেশীয় কচু গাছের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অল্প আলো পছন্দ করে তাই সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। অনেক বেশি বা খুব অল্প পানি কোনটাই এর পক্ষে ভালো নয়।
স্নেকপ্ল্যান্ট:
সাপগাছ, এমন নামকরণের সার্থকতা খুঁজে পাবেন প্রথম দর্শনেই। তার আকৃতির সাথে সাপের মিল পাওয়া যায় যথেষ্টই। ইংরেজিতে এই গাছের একটি ভীষন মজার নাম রয়েছে- "মাদার ইন ল'স টাঙ্গ", অর্থাৎ শ্বাশুড়ি মায়ের জিহ্বা! বিবাহিত ব্যক্তিরা নিজেদের শ্বাশুড়ি মায়ের জন্য নির্দ্বিধায় এই গাছ উপহার হিসেবে নিতে পারেন! বায়ুশোধক ক্ষমতা এই গাছের বেশ ভালো। আলো-অন্ধকার মেশানো পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। খাবার ঘরে বা শোবার ঘরেও একে রাখতে পারেন অনায়াসে। পানি দেবেন বুঝেশুনে, মাটি শুকনো হয়ে এলে পরে।
ক্যাকটাস:
ক্যাকটাস আপনার ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য...[…]
ঈদ ফ্যাশনে অবিচ্ছেদ্য টুপি
ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান এবং ভাবগাম্ভীর্য্যে অনন্য অনুসঙ্গ টুপি। সাধারণত যেকোন পোশাকের সঙ্গেই টুপি পরেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। তবে পাঞ্জাবী ও টুপি যেন একে অন্যের পরিপূরক। সারা বছর পুরানো টুপি দিয়ে কাজ চালালেও ঈদ মৌসুমে নতুন পাঞ্জাবীর সঙ্গে চাই নতুন টুপি। তাও অবার সাধারণ মান ও দামের নয়- বিভিন্ন রং, ডিজাইন, দাম, কাপড় ও রকমের শৌখিন টুপির কদর বাড়ে উৎসবে।
ফ্যাশনের অংশ হিসেবে টুপিও এখন আর পিছিয়ে নেই। বয়স্ক মানুষের মাথাব্যাথা না থাকলেও সাজ পোশাকের সঙ্গে মানানসই টুপির খোঁজে থাকে তরুণরা। পাঞ্জাবীর সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের টুপির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই দেশিও ফ্যাশন হাউজে বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের টুপি পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে। সাধারণভাবে নামাজ বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় রং মিলিয়ে কিংবা সাদা এক ধরনের ক্যাজুয়াল টুপি পরে সকলে। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন মিলাদ বা ঈদের দাওয়াতে একটু গর্জিয়াস, ভারী কাজ, রংদার টুপির ব্যবহার ফ্যাশনে যোগ করে নতুন মাত্রা।
টুপিতে মূলত হাতের কাজ, ব্লক এবং এম্রয়ডারির কাজগুলোকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এছাড়াও নানা ধরনের টুপি বাজারে পাওয়া যায়। আজকাল বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ টুপি তৈরি করে। আড়ং ও যাত্রা এদের মধ্যে অন্যতম। দেশীয় কাপড়, রঙ, সুতার কাজে এ টুপি পাঞ্জাবীর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কিংবা আলাদা ব্যবহারেই ঈদ বা যেকোন উৎসবে আলাদা মাত্রা যোগ করে।
আড়ংয়ের ডিজাইনার মাধুরি সঞ্চিতা স্মৃতি জানান, 'পাঞ্জাবীর সঙ্গে টুপি বেশ মানায়। তরুণরা বিভিন্ন কাপড়ের উপর ব্লকের কাজ করা টুপি ও বয়স্করা হাতের কাজের টুপি পরতে পারেন। আড়ং হাতের কাজকেই প্রাধান্য দেয়। সাদার উপর বিভিন্ন রঙ্গের সুতার কাজের টুপি এখানে পাওয়া যায়। ঈদের জন্য আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন টুপি তৈরি করেছি।'
এতােদনি পর্যন্ত দেশে তৈরি টুপিই বাজার দখল করে...[…]
যে খাবারগুলো দিয়েই পরিষ্কার করতে পারেন ঘরের জিনিসপত্র
ঈদের আগে ঘরদোর পরিষ্কার নিয়ে নিশ্চয়ই কাজে নেমে গিয়েছেন গৃহিণীরা। একেবারে ঝকঝকে পরিষ্কার না করলে ঈদের আনন্দই যেনো আনন্দ নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন ঘরের ফেলনা বা টুকটাক খাবার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন ঘরের নানা জিনিস। খুব অবাক হচ্ছেন? তাহলে আজকে শিখে নিন খাবার দিয়ে ঘরের জিনিসপত্র ঝকঝকে পরিষ্কার করার দারুণ উপায়গুলো।
১) মরিচা দূর করতে টমেটো কেচাপ
শখের ধাতব জিনিসপত্রে মরিচা পড়েছে? ঝটপট পরিষ্কার করে নিতে চাইলে আপনার সবচাইতে উপকারী বন্ধু হবে টমেটো কেচাপ। খানিকটা টমেটো কেচাপ লাগিয়ে রাখুন জিনিসের উপরে ৫-১০ মিনিট। এরপর একটি কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে নিন। ব্যস, মরিচা দূর হয়ে যাবে।
২) কাঁচের বোতল বা জগ পরিষ্কার করতে চাল
বোতল বা চাপা ধরণের কাঁচের জগ পরিষ্কার করা অনেক যন্ত্রণা তা সকলেই জানেন। কিন্তু চালের মাধ্যমে এই যন্ত্রণাদায়ক কাজটি খুব সহজেই সেরে ফেলতে পারবেন। অর্ধেকটা বোতল বা জগ ভর্তি করুন কুসুম গরম পানিতে। এরপর এতে ১ কাপ চাল দিয়ে দিন। এবারে মুখ আটকে ঝাকিয়ে নিন বোতল বেশ ভালো করে। ব্যস, নতুনের মতো চকচকে হয়ে যাবে।
৩) কাঠের আসবাবপত্র পরিষ্কারে চা-পাতা
কাঠের আসবাবপত্রে ধুলো পড়ে একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় এবং চকচকে ভাব নষ্ট হয়ে যায়। এই চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে ১ টি কাপড়ের পুঁটলিতে চা পাতা নিন। এরপর এই চা পাতায় সামান্য সরিষার তেল দিয়ে কাঠের আসবাব পলিশ করুন। দেখবেন একেবারে নতুনের মতো পলিশড হয়ে গিয়েছে।
৪) জানালার কাঁচ পরিষ্কার করতে ভিনেগার
জানাল্র কাঁচ এবং বাথরুমের আয়না নিশ্চয়ই ঘোলাটে দেখাচ্ছে? এক কাজ করুন সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে স্প্রে করুন। এরপর একটি পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ঘোলাটে ভাব একেবারেই দূর হয়ে যাবে।[…]
ঘর থেকে দূর করুন ইঁদুরের উপদ্রব
ঘরে ইঁদুর হলে কি পরিমাণে যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার সৃষ্টি হয় তা কেবল ভুক্তভুগিরাই জানেন। কাপড়চোপড়, বইপত্র কেটে একাকার করাই ইঁদুরের একমাত্র কাজ। ইঁদুরের উপদ্রব একবার হলে একেবারে নির্মূল না করা পর্যন্ত এই যন্ত্রণা চলতেই থাকে। এছাড়াও ইঁদুরের কারণে নানা রোগ বালাই ঘরে লেগেই থাকে। ইঁদুরের বিষ দিলেও অনেক সময় কাজ হয় না। এছাড়াও অনেকের ঘরে শিশু থাকে বলে বিষ দেয়া নিরাপদও নয়। এরচাইতে বরং আরও সহজ কিছু উপায় জেনে নিন। ঘরের সামান্য টুকটাক জিনিস দিয়েই ইঁদুরের উপদ্রব থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো।
১) গোল মরিচের ব্যবহার
গোলমরিচের গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। গোলমরিচের পানজেন্ট ধরণের ঘ্রাণ অর্থাৎ ঝাঁজ পূর্ণ ঘ্রাণ ইঁদুরের ফুসফুসে গেলে শ্বাস নিতে পারে না ইঁদুর। আর একারণে খুব সহজেই মারা পড়ে। যে সকল স্থানে ইঁদুরের উপদ্রব বেশী বা ইঁদুরের আবাস রয়েছে মনে করছেন সেসকল স্থানে গোলমরিচ গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখুন। ইঁদুরের বন্ধ নির্বংশ করতে পারেবন খুজ সহজেই।
২) তেজপাতার ব্যবহার
তেজপাতা খুবই উপকারী একটি মসলা যা প্রত্যেকের ঘরেই রয়েছে। এই উপকারী মসলাটিও ইঁদুর থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন অনায়েসেই। তেজপাতাকে ইঁদুরেরা নিজেদের খাবার মনে করে। কিন্তু তেজপাতা খাওয়ার পর তারা এটি হজম করতে পারে না একেবারেই। তেজপাতা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখুন উপদ্রবের স্থানগুলোতে কিছুদিনের মধ্যেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩) পেঁয়াজের ব্যবহার
পেঁয়াজের অনেক গুনের মধ্যে আরও একটি অসাধারণ গুন হচ্ছে পেঁয়াজ দিয়ে খুব সহজেই ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পেঁয়াজের উপাদান ইঁদুর হজম করতে পারে না। কিন্তু ইঁদুর খুব সহজেই পেঁয়াজে কামড় দিয়ে বসে। ইঁদুর যেখানে রয়েছে বলে মনে করছেন সে সকল স্থানে পেঁয়াজ টুকরো করে রেখে দিন।...[…]