শরীর কী অবস্থায় আছে তা যদি বুঝতে চান অর্থাৎ শরীর পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে কিনা তাহলে নিয়মিত ভাবে কিছু লক্ষনের দিকে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে। খাদ্যের মাধ্যমে ও নিশ্বাসের প্রতিদিন আমাদের শরীর যে বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে মাধ্যমে তা সাধারণত লিভারের মাধ্যমে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু কিছু সময় সঠিক খাবার এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যক্রমের জন্য বিষাক্ত পদার্থ বের না হয়ে দেহের মাঝে থেকে যায় এবং সেটা জমা হতে থাকে।
তাই এখানে ৪টি সাধারণ সতর্কীকরণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো যা দেহে দূষণের উপস্থিতি প্রকাশ করে-
শারীরবৃত্তীয় চাহিদা
ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া হচ্ছে একটি পরিষ্কার লক্ষণ যে দেহ বিষাক্ততায় পরিপূর্ণ। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এইভাবেই বিষাক্ততা দেহ থেকে বের হয়ে যাবে তা না হলে সেটা রক্ত স্রোতে ফিরে আসবে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করবে। যদি এই ধরনের সমস্যা কারো হয় তাহলে প্রচুর পরিমানে তরল পানীয়, চা, প্রোবায়োটিক (দই থেকে সেটা পেতে পারেন) গ্রহন করতে হবে যার ফলে দেহের আভ্যন্তরীণ অন্ত্রের মাইক্রোফ্লোরার কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং দ্রুত দেহের বিষাক্ততা দূর হয়।
মুখে অপ্রীতিকর দুর্গন্ধ
দাঁত বা মাড়ির কোন সমস্যা ছাড়া যদি মুখের ভেতরে থেকে অপ্রীতিকর দুর্গন্ধ আসে তা দেহের বিষাক্ততার পরিষ্কার লক্ষণ প্রকাশ করে। এর প্রথম কারন হলো মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া অথবা পাকস্থলী ও লিভার যখন সব বিষাক্ততা দেহে থেকে বের করে দিতে পারেনা সেই অবস্থাটা প্রকাশ করে। তাই মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেটে নিয়মিত ভাবে জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে এবং পার্সলে বা পুদিনা পাতা খেতে হবে এগুলো প্রাকৃতিক ডেটক্সিফাইয়ার।
বিশেষ কোন গন্ধে অস্বস্থিবোধ
যদি দেখা যায় কারো বিশেষ কোন গন্ধের জন্য অস্বস্থিবোধ হচ্ছে বিশেষ করে কোন পারফিউম বা সিগারেটের গন্ধ তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেই প্রতিক্রিয়াটি হয় দেহের বিষক্রিয়ার জন্যই। যদি লিভার ঠিকমতো দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে না পারে তখন অনেক সময় অনেক গন্ধের ক্ষেত্রে অনেকেই অত্যাধিক সংবেদনশীল হয়ে যায়। দূষণের জন্য বায়ু চলাচল বাধা প্রাপ্ত হয়ে তখন বিশেষ গন্ধ তীব্রভাবে অনুভূত হয় এবং যার প্রতিক্রিয়াতে অনেক সময় বমি বমি ভাব ও মাথা ব্যাথার সৃষ্টি হতে পারে।এই ক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী ক্যাস্টর অয়েল বেশ উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
ক্রমাগত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
অনেক সময়ই দেখা যায় দেহের ওজন সহজে কমে না। এর বিভিন্ন কারন থাকতে পারে যেমন হরমোনের সমস্যা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সেই সাথে অবশ্যই রক্তের মাঝে বিষাক্ত পদার্থ থাকা। কিছু ধরনের বিষাক্ত পদার্থ যেমন ডাইঅক্সিন, বিভিন্ন জীবাণু ইত্যাদি দেহের সাথে চর্বিকে আটকে রাখে এবং এগুলোকে দেহ থেকে বের হতে বাধা দেয়।
এসব বিষাক্ততা থেকে রেহাই পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। একটি সুস্থ জীবনধারা মেনে চলতে হবে, নিয়মিত ভাবে শরীর পরিষ্কার রাখতে হবে এবং অবশ্যই সঠিক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যদি এসব নিয়ম গুলো মেনে চলা যায় তাহলে বিষাক্ততা থেকে মুক্ত থাকার পাশাপাশি শরীরের বাড়তি ওজনও কমানো সম্ভব হবে।