ক্রিকেটারের জীবনে একটি বিভীষিকার নাম। আর ইঞ্জুরীর কবলে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় পেসারদের।
এমনটাই ঘটে এক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের জীবনে।
কি ভাবছেন ?? ‘কে সে ? ব্রেটলী, ম্যাকাগ্রা নাজনসন ???’না, এদের মতই এক
সংগ্রামী ক্রিকেটার।
নিয়মিত ১৫৫+ কিমি গতিতে যিনি বল করেন। বিংগার (ব্রেটলী) সাথে বোলিং জুটি করত বলে দলের সবাই ডাকত ‘টিংগা’ বলে। আসল নাম শন টেইট।
১৯৮৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী সাউথ অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডের প্রত্যন্ত অঞ্চল নাইরনেতে জন্মগ্রহন করেন টেইট।
ফাস্টক্লাস ক্রিকেটে দারুন পারফরমেনস করার সুবাদে জাতীয় দলে ডাক পান টেইট।
বয়স যখন ১৯, তখনই ফাস্টক্লাস ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ২০০৩-০৪ বৎসরে নির্বাচিত হন ‘Bradman Young Cricketer Of The Year’ হিসেবে। বেন হিলফেনাস ও লিউক রঞ্চি তার সাথেই ক্রিকেটাংগনে আসেন। নিয়মিত গতিতে বল করত
বিধায় নজর কাড়েন তৎকালীন অজি কোচের। সুযোগ পান অ্যাশেজে।
২০০৫ সালে টেস্টে অভিষেক হয়। টেস্ট ক্রিকেটে তেমন কিছু করতে না পারায়, নিজেকে বেছে নেন সল্প পরিসরের ক্রিকেটে।
পারফরমেনস নিয়ে যতটুকু না কথা উঠেছে, তার চেয়ে বেশি জড়িয়েছিলেন সমালোচনায়। ঝড়ের গতিতে বল করলে ও শন টেইটের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বোলিংয়ে লাইন-লেন্থ বজায় না রাখা।
বারবার যখন ইঞ্জুরী থেকে ফিরে আসতেন, কোথায় যেন নিজের লাইন-লেন্থ হারিয়ে ফেলতেন। তারপরও তিনি ছিলেন দলের নির্ভরযোগ্য বোলারদের একজন।
২০০৭ বিশ্বকাপ !! টেইটের সপ্নের বিশ্বকাপ !!!
তখন ফর্মের তুঙ্গে থাকা ব্রেটলী দল থেকে বাদ পরেন। সেই সুবাদে দলে ডাক পান শন টেইট। নিজেকে ভিন্নভাবে তৈরী করেন। পন্টিংয়ের ভরসা হয়ে
উঠছিলেন টেইট। সেই বিশ্বকাপে শন টেইট ব্রেটলীর অভাব বুঝতে দেননি অজি সমর্থকদের। এরপর আর ফিরে তাকানো নয়। অনেকগুলো সিরিজ খেলেছেন
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।
২০১০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৬০.৭ কিমি বেগে নিজের সর্বোচ্চ গতির বলটি উপহার দেন দর্শকদের।
২০১১ সালের ২৮ মার্চ, নিজেকে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নেবার ঘোষনা দেন
তিনি।
শন টেইট সুদর্শন ক্রিকেটার হিসেবেও বিখ্যাত ছিলেন।
টেইট এর বল অনেক বড় মাপের ব্যাটসম্যানরাও খেলতে ভয়পেতেন।
ইঞ্জুরীর কারণে লী, ম্যাকাগ্রা, জনসনের মত নিয়মিত হতে
পারেননি টেইট। তাহলে হয়তো তার বোলিং পরিসংখ্যানটা অন্যরকম হতে পারত।