Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Technology Image

ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি কোয়াবের



আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে ৬ দফা দাবি না মানলে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ঘেরাও এবং আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি বন্ধ ও দ্রুত ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স প্রদান না করলে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কোয়াবের আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি এস এম জুলফিকার হায়দার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ এম কামাল উদ্দীন আহমদ সেলিম, সিনিয়র সহ সভাপতি নেয়ামুল হক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জুলফিকার হায়দার বলেন, ঢাকায় ১৭৫টি এবং ঢাকার বাইরে ৭০টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ এর ১৮ নং আইনের ৩৬ এর ২ (খ) ধারা অনুসারে আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু দেশজুড়ে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য আরও পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আইএসপির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও বিটিআরসি অদৃশ্য কারণে লাইসেন্স দিচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানে র‌্যাব, পুলিশের অভিযান বন্ধ, গোয়েন্দা প্রতিবেদন জটিলতা নিরসন এবং কোয়াব’র সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণসহ সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬ দফা তুলে ধরেন তিনি।

২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে ২৮ অক্টোবর বিটিআরসি ঘেরাও এবং ডিজিটাল হরতালের (সারাদেশে একদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা) হুমকি দেন সভাপতি। ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হলে এর দায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসিকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এ নেতা।

জুলফিকার হায়দার বলেন, কোয়াব ১৯৯৮ সালে এ দেশে ইন্টারনেট ব্যবসা শুরু করে। ২০০০ সাল থেকে কম মূল্যে গ্রাহক পর্যায়ে (বাসা-বাড়ি) ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে আসছে সংগঠনের সদস্যরা। দেশে প্রায় ৪ হাজার সাইবার ক্যাফে ও লোকাল ইন্টারনেট সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান গত ১৫ বছর সাধারণ মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে কাজ করছে। এ খাতের সাথে সারাদেশে প্রায় লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২শ’ কোটি টাকা। এ সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব লাভ করে আসছে।

বিটিআরসি ২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে এ সব ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে। নিয়ম মেনে ব্যবসায়ীরা এরপর থেকে আইএসপি লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করে। কিন্তু বিটিআরসি কোন কারণ না দেখিয়ে ২০১২ সালের ১৭ মার্চ থেকে লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে তিনি জানান।