তিল চিংড়ি
ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যাবহার করুন ৮ টি দারুণ ফর্মুলা
ভাবছেন আরও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়া যায় না? তার জন্য দরকার অনেক টাকা এবং টাকা খরচ করে ফেয়ারনেস ক্রিম কেনা এবং পার্লারে যাওয়া। এসব কিছু করতে গেলে রয়েছে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়।
কী দরকার অত ঝামেলায় যাওয়ার। আপনার চারপাশেই রয়েছে অজস্র প্রাকৃতিক উপাদান যা নামমাত্র খরচে , বিনা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আপনাকে করে তুলতে পারে আরও বেশি ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী। ভাবছেন কীভাবে? চলুন জেনে নিই।
১.ত্বকের রঙ আরও ফর্সা করার জন্য দই লাগান মুখে। মিনিট কুড়ি রাখুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এরকম লাগাতে হবে।
২.সারা গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে বেসন, দই আর সামান্য হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলের সময় সাবানের বদলে এটি ব্যবহার করুন নিয়মিত।
৩.যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা মুগের ডাল গুঁড়ো করে সামান্য পানিতে মিশিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে মুখে স্ক্রাব করুন। কারণ ত্বকের ওপরে মরা কোষের পরত জমে মুখের ত্বক কালো দেখায়।
৪.আধা টুকরো পাকা কলা নিন। ভালোভাবে চটকে নিয়ে এতেকয়েক ফোঁটা শসার রস মেশান, মুখে গলায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫.সারা গায়ের ত্বক উজ্জ্বল করতে বেসন ও খাঁটি সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে গোসলের আগে সারা গায়ে মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৬.শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্য দারুণ একটি টিপস হল ৫০ গ্রাম আমন্ড গুঁড়ো, ২ চামচ দুধের মাঠা, গোটা একটা লেবুর রস, ২ চামচ চায়না ক্লে তারপর সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৭.স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারীরা আরও একটি উপায়ে ফর্সা হতে পারেন। ১ চামচ চন্দনবাটা , ১ চামচ পাকা পেঁপের শাঁস একসঙ্গে মিশিয়ে সারা মুখে মেখে নিন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে...
রূপচর্চায় ব্যবহৃত প্রাচীন পদ্ধতিগুলো
প্রাচীন রূপচর্চা যা আপনার দাদী হয়ত করত কিন্তু আজও সমানভাবে কার্যকরী এমন কিছু শক্তিশালী ভেজজের কথা আজকে আমার বলবো । কখনও কি আপনার দাদীর সাথে গল্প করেছেন, কী দিয়ে তিনি তার রূপ কে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। তখনতো এসময়ের মত এত গ্লামারাস রূপচর্চা সামগ্রী ছিল না আর যা ছিল তা হয়ত তার নাগাল সীমার মধ্যেও ছিলনা । তাই বলে কি তিনি রূপচর্চা করতেন না! অবশ্যই করতেন। তার ব্যবহৃত সেসব প্রাকৃতিক ভেষজ আজও আপনার রূপকে ধরে রাখেত সমান কার্যকর। প্রাচীন সেই রূপচর্চার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল সব কিছুই ন্যাচারাল আর সস্তা । আসুন দাদীর ডাইরী থেকে জেনে নিই রূপচর্চার সেই বহুল ব্যবহৃত প্রাচীন পদ্ধতিগুলো-
কাঁচা হলুদ
হলুদে আছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল এন্টিসেপটিক এবং এন্টিঅক্সিডেন্টাল উপাদান যা একত্রে মুখের দাগ দূর করে এবং একনে প্রতিহত করে। হলুদের ক্রমাগত ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাচা হলুদ আজকাল সারাবছর বাজারে পাওয়া যায়।
লেবু আর শসার ব্লিচ
প্রাচীন আমলে লেবু আর শসার রস একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করা হতো মুখের ময়লা আর ট্যান দূর করার জন্য । লেবু আর শসা দুটোর মধ্যেই আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান ।
লেবু দিয়ে একনে দূর
এখনকার দিনে একনে একটি নিয়মিত সমস্যা । প্রাচীন যুগে সমপরিমান লেবুর রস আর পানি একত্রে মিশিয়ে একনের উপরে লাগিয়ে রাখা হতো । আর তাতেই হতো একনে দূর । এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কার্যকর বলে বয়স্করা বলে থাকেন ।
চোখের কালো দাগ দূর করতে আলু
দাদীরা বলেন যে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে আলু তুলুনাহীন। এটি চোখের নিচের ফোলাভাবও দূর করে। শুধু যা করতে হবে তা হল আলু পাতলা করে কেটে এটিকে ধুয়ে চোখের উপরে ৫-১০ মিনিট রেখে দিতে...
এক্সট্রা গ্লোয়িং ত্বক পেতে গাজরের ফেসমাস্ক ও ফেসপ্যাক
শুধু মাত্র শীতকালীন সবজি বললে ভুল হবে গাজর এমন একটি সবজি যেটা প্রায় সারা বছর জুড়েই পাওয়া যাই। আকর্ষনীয় রঙ ও স্বাদের জন্য ছোট বড় সবার কাছেই এই সবজিটি জনপ্রিয়। গাজরের প্রচুর পুষ্টিগুণ আছে যা আমাদের শরীর ও ত্বক দুটির জন্যই খুবই উপকারী। গাজরে প্রচুর পরিমণে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গাজরে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-এ ব্রণ হওয়া এবং চামড়া ঝুলে পড়া রোধ করে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-এ ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর করে সেই সঙ্গে ত্বকের অযাচিত ভাঁজ, কালো দাগ, ত্বকের রঙের অসামাঞ্জস্যতা দূর করে সুন্দর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
আমার আজকের আর্টিকেল কেবল গাজর খেলে ত্বকের কী কী সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এই নিয়ে নয়, আজ আমি আপনাদের গাজরের এমন কিছু ঘরোয়া মাস্ক ও প্যাকের কথা নিয়ে বলবো যা আপনার এক্সট্রা গ্লোয়িং ত্বকের স্বপ্ন বাস্তব করতে সাহায্য করবে। নীচের ফেসমাস্ক ও প্যাকগুলো থেকে আপনি চাইলে যেকোন একটা রেসিপি ফলো করেই পেতে পারেন এক্সট্রা গ্লোয়িং।
এক্সট্রা গ্লোয়িং ত্বকের জন্য গাজরের ফেসমাস্ক ও ফেসপ্যাক:
০১. গাজর, লেবু, মধু ও অলিভ অয়েল ফেসমাস্ক
যা যা লাগবেঃ
-২ টা ভালোভাবে ছিলে সিদ্ধ করে চটকানো গাজর।
-১ চা চামচ ফ্রেস লেবুর জুস।
-২ টেবিল চামচ মধু।
-১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল(যদি আপনার স্কিন অয়েলি হয় তাহলে অলিভ অয়েল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন)
সব উপাদান একসাথে সুন্দর মসৃণ পেস্ট বানিয়ে আপনার পরিষ্কার করে ধোয়া মুখের ত্বকে অ্যাপ্লাই করুন। ৩০ মিনিট এভাবে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার এই ফেসমাস্ক ইউজ করেই দেখুন আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।
০২. গাজর,...
অ্যালোভেরা স্ক্রাব
স্কিনের ব্রাইটনেস নিয়ে যারা দীর্ঘদিন বিষণ্ণতায় ভুগছেন, যারা বিভিন্ন স্কিন ব্রাইট করা প্রসাধনী ব্যবহার করেও ফল পান নাই বরং স্কিনের আরও ক্ষতি করে ফেলেছেন তাদের জন্য আজ এমন একটি ন্যাচারাল স্কিন ব্রাইটেনিং স্ক্রাব নিয়ে বলবো যা আপনার স্কিনের কোন ক্ষতি না করেই স্কিন ব্রাইট করবে।
অ্যালোভেরার গুণের কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। অ্যালোভেরা হল আমাদের জন্য বিধাতার দেওয়া অনন্য এক উপাদান। আসুন দেখি কী করে আপনার স্কিনের ব্রাইটনেস বাড়িয়ে তুলতে অ্যালোভেরা স্ক্রাব বানাবেন ও ব্যবহার করবেন।
যা যা লাগবেঃ
-১ কাপ চিনি
-হাফ কাপ অ্যালোভেরা জেল
-২ টেবিল চামচ লেবুর রস
রেসিপিঃ
কাঁচের জারে সব উপাদান একসাথে নিয়ে আলতো করে মিশান। খেয়াল রাখুন মিশ্রণটি খুব বেশি নেড়ে চিনি অন্যান্য উপাদান মিলেমিশে গলিয়ে ফেলবেন না। পারফেক্ট স্ক্রাব রেডি করতে আপনি চাইলে উপাদানের পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে নিতে পারেন।
ব্যবহারঃ
স্ক্রাব রেডি হয়ে গেলে আপনি আপনার মুখের স্কিন ও বডিতে খুব হালকা করে এই হোমমেড স্ক্রাব দিয়ে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ এভাবে ম্যাসাজ করে এই স্ক্রাব মুখে অল্প সময় রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কতবার ব্যবহার করবেনঃ
এই স্ক্রাব আপনি সপ্তাহে ২৩ দিন ব্যবহার করুন। নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অল্পদিনে আপনি ফলাফল দেখতে পাবেন।
এই স্ক্রাবের উপাদনের উপকারিতাঃ
চিনি-
চিনি আপনার স্কিনে ডেডসেল রিমুভ করে স্কিন ব্রাইট করবে ও ক্লিন লুক দেবে।
অ্যালোভেরা-
অ্যালোভেরা স্কিন ডিপক্লিন করবে, স্কিন মশ্চারাইজ করবে ও এটির সৌন্দর্য বর্ধক উপাদানসমূহ স্কিনের কমনীয়তা বাড়িয়ে তুলবে।
লেবুর রস-
লেবুর রস আপনার স্কিনের স্পট রিমুভ করবে, স্কিন টোন লাইট করবে ও ক্লিন ন্যাচারালই ক্লিন করবে।
টিপসঃ
* চেষ্টা করুন আপনার স্কিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে, সারাদিন যদি বাইরে থাকেন ঘরে ফিরে অবশ্যই স্কিন ক্লিন করুন।
* স্কিন হেলদি রাখতে নিয়মিত...
শত গুণের ঘৃতকুমারী
স্বাস্থ্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার হয়ে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই। আয়ুর্বেদ বলুন আর ইউনানি – ভেষজ উদ্ভিদের জয়জয়কার সর্বত্র! আমাদের খুব পরিচিত ঘৃতকুমারী এমনই একটি গুণী উদ্ভিদ। রাস্তার পাশে প্রায়ই কিছু লোককে দেখা যায় ঘৃতকুমারীর পাতা বিক্রি করতে।
ঘৃতকুমারীর শরবতও বেশ বিক্রি হয় গরমের সময়। কর্মজীবী মানুষদের দেখা যায় এই শরবত পান করে শরীর জুড়াতে।
ঘৃতকুমারী একটি বহুজীবি ভেষজ উদ্ভদ। দেখতে ফণিমনসা ক্যাকটাসের মতো হলেও এটা ক্যাকটাস নয়। আরো ভালো করে বললে ঘৃতকুমারী দেখতে ঠিক আনারসের গাছের মতো।
পাতাগুলো চওড়া, পুরু ও গাঢ় সবুজ। পাতার দুপাশে করাতের মতো কাঁটা রয়েছে। পাতার ভেতরে লালার মতো পিচ্ছিল শাঁস থাকে।
ঘৃতকুমারী লিলিজাতীয় গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Aloe Vera। এটি Asphdelaceae (Aloe family) পরিবারের উদ্ভিদ। সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ ধরনের ঘৃতকুমারীর গাছ পাওয়া যায়।
ঘৃতকুমারীর অ্যালোভেরা নামটি এসেছে সৌন্দর্যবর্ধনের দেবীর লাতিন নাম অ্যালোভেরা থেকে। সুদূর অতীতেও ঘৃতকুমারীর ব্যবহারের বেশ প্রমাণ পাওয়া যায়। রানি ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যের মূল রহস্য নাকি ছিল এই অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী! সম্রাট আলেকজান্ডার, বাদশাহ্ সোলায়মান, নেপোলিয়ন, ক্রিস্টোফার কলম্বাস ও মহাত্মা গান্ধী ঘৃতকুমারী ব্যবহার ও এর রস পান করতেন বলে জানা যায়।
ঘৃতকুমারীর রয়েছে নানান গুণ যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যেমন –
*নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পান করলে পরিপাকতন্ত্রের কার্যাবলি ভালো ভাবে হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ঘৃতকুমারীর রস পানে ডায়রিয়াও সেরে যায়।
*পরিশ্রমের ফলে যেসব এনজাইম কাজ করে শরীরকে ক্লান্ত ও শ্রান্ত করে তোলে, ঘৃতকুমারীর রস তাদের ভারসাম্য রক্ষা করে শরীরের ক্লান্তি ও শ্রান্তি দূর করে।
*নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পান শরীরে শক্তি যোগায় ও ওজন ঠিক রাখে। কারণ এতে চর্বি কমানোর উপাদান রয়েছে।
*ঘৃতকুমারী শরীরে সাদা রক্তকণিকা গঠনে...
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে
ব্রণের সমস্যা নিয়ে কম-বেশি চিন্তিত নন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখন গরমকাল আসি আসি করছে। তাই ব্রণের সমস্যা এই সময়েও শুরু হতে পারে। আজ আমরা জানবো খুব সহজেই কীভাবে আপনি ব্রণ থেকে নিজের ত্বক সুস্থ এবং উজ্জ্বল রাখতে পারবেন।
ব্রণের নানান রকম চিকিৎসা রয়েছে। তবে সকল চিকিৎসা করানোর পরেও কিন্তু ব্রণ সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয় না। কিংবা কিছুদিন পর আবার ব্রণ দেখা দেয়।
অনেকের ত্বক খুব বেশি সেনসেটিভ হয়ে থাকে। ফলে ব্রণ হয়ে মুখের ত্বক ফেটে গিয়ে রক্ত এবং পুঁজ নির্গত হয়। সাথে যন্ত্রণা হয় অসহ্য। আপনি ওষুধ প্রয়োগে সাময়িক ভাবে ব্রণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ঠিকই; তবে ব্রণ যেহেতু একটি এলারজি সম্পর্কিত রোগ তাই আপনার লাইফ স্টাইলের ওপর নির্ভর করে ব্রণ কমা বা বাড়া।
ব্রণ কমিয়ে আনতে আপনাকে কিছু সাধারণ কাজ করতে হবে, যা ব্রণ কমার পাশাপাশি আপনার লাইফ স্টাইলেও ভালো প্রভাব ফেলবে। চলুন জেনে নিই আপনাকে যা যা করতে হবে।
রাত জাগা পরিহার
আপনাকে অবশ্যই ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে বেশি রাত জাগা যাবে না। রাত জাগলে আপনার ত্বকে ব্রণ বৃদ্ধি পাবেই। আপনি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাবেন এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠে যাবেন। এভাবে নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ঘুম আপনার ত্বকে ব্রণ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
খাবারের অভ্যাস
ত্বকে ব্রণ ওঠার সাথে আপনার খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই সম্পর্কিত। আপনি যদি ব্রণ থেকে নিস্তার পেতে চান, তবে অবশ্যই তৈলাক্ত খাবার, অর্থাৎ ভাজা পোড়া খাবার, অধিক তেলযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এছাড়া চকলেট খাওয়া কমিয়ে দিন। মনে রাখবেন চকলেট আপনার ব্রণ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
অপ্রয়োজনে মুখে হাত দেবেন না
মুখে সব সময় হাত দিয়ে খুঁটাখুঁটি অনেকের স্বভাব। আপনার যদি ব্রণ থাকে তবে আপনাকে মুখে হাত লাগানো এবং...
এলসা হেয়ারস্টাইল
ফ্রোজেন (Frozen) একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যানিমেশন মুভি। এর অন্যতম প্রধান চরিত্র এলসা (Elsa) এর হেয়ারস্টাইলটি আমাদের অনেকেরই পছন্দের একটি হেয়ারস্টাইল। তাহলে শিখে ফেলা যাক, প্রিয় এলসা এর হেয়ারস্টাইলটি।
যা যা প্রয়োজনঃ
হেয়ার ব্রাশ
কার্লিং ওয়ান্ড (curling wand)
হেয়ার পাউডার
হেয়ার স্প্রে
হেয়ার প্যাডিং (যদি থাকে)
হেয়ার ব্যান্ড
লং হেয়ার
ধাপসমূহঃ
১। চুল শ্যাম্পু করে শুকিয়ে ভালভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। একটু গ্লসি দেখানোর জন্য হাল্কা একটু তেল দিয়ে নেয়া যেতে পারে। চুল স্ট্রেইট হলে কার্লিং ওয়ান্ড এর মাধ্যমে চুল কার্ল করে নিতে হবে।
২। এবার হেয়ার পাউডার লাগিয়ে ভালভাবে হেয়ার টিজিং(hair-teasing) করে নিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পুরো চুলের গোঁড়া টিজিং (চুলের গোঁড়ার দিকে আঁচড়ে চুলকে একটু ফুলিয়ে নেয়া) করা হয়।এটিকে হেয়ার স্প্রে দিয়ে সেট করে নিতে হবে।
যদি হেয়ার প্যাডিং থাকে তাহলে এটি লাগিয়ে চুলের ভলিউম বাড়িয়ে নেয়া যায়।
৩। এবার নিচের ছবিতে দেখানো নিয়মে চুল আঁটকে সাধারন বেণী শুরু করতে হবে।
৪। এবার ফ্রেঞ্চ বেনীর ন্যায় পাশে থেকে চুল নিয়ে বেনীতে লাগাতে হবে।
প্রথম সেকশনে, ডানপাশ থেকে কিছু চুল নিয়ে বেনীর ডানপাশের চুলের সাথে লাগাতে হবে এবং পরে তা বেনীর মাঝের অংশের চুলের সাথে বদল করতে হবে।
২য় সেকশনে, বামপাশ থেকে চুল নিয়ে তা বেনীর বামের অংশের সাথে দিতে হবে এবং তা মাঝের অংশের সাথে বদল করে নিতে হবে।
৫। এভাবে শেষ পর্যন্ত করতে হবে।
৬। চুলের বেণীর শেষ প্রান্তে হেয়ার ব্যান্ড দিতে আঁটকে দিতে হবে। এবার বেনীর চুল একটু করে টেনে দিতে হবে এটকে মোটা দেখানোর জন্য।
চুলকে খুশকিমুক্ত করার সহজ কিছু উপায়
আহ, এত সুন্দর চুল! কি ঝলমলে! একথা তা শুনতে কার না ভাল লাগে।কিন্তু এই সুন্দুর চুলে যদি খুশকি থাকে, নিমিষেই আপনার আনন্দ মাটিতে পরিনত হবে।সাধারনত আমাদের মাথার ত্বকের শুষ্কতার কারণেই চুলে খুশকি হয় ।এছাড়া মাথার ত্বকে একজিমা বা ফাংগাস আক্রমনের ফলেও খুশকি হতে পারে।আমাদের শহুরে জীবনে অতি মাত্রা্র ধুলাবালি আর ময়লা থেকেও আমাদের মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে আর তা থেকেই খুশকি জন্ম নিতে পারে।বাজারে অনেক ধরনের Anti -dandruff শ্যাম্পু রয়েছে ।সব শ্যাম্পু যে কার্যকরী তা নয়।বিজ্ঞাপনে খুশকিকে যত দ্রুত তাড়ানো যায়, আসলে কিন্তু খুশকি আমাদের মাথা থেকে তত তাড়াতাড়ি যায় না ।আর আসলেই যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয় । তাই আসুন না, নিজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকিকে দূর করি ।জেনে নেই ঘরোয়া সেই পন্থাগুলিঃ
এস্পিরিন
এস্পিরিনে রয়েছেএকইউপাদান(সালসায়লিক এসিড)যাAnti -dandruff শ্যাম্পুতেব্যবহারকরাহয় ।তাই দুটো এস্পিরিন গুড়া করে প্রতিবার মাথা শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন ।এস্পিরিন মিশানো শ্যাম্পু মাথায় ১-২ মিনিট রাখতে হবে এবং এরপর ধুয়ে ফেলে পুনরায় এস্পিরিন ছাড়া শ্যাম্পু করতে হবে ।
টি ট্রি অয়েল
গবেষণায় দেখা গেছে যে, শ্যাম্পুর সাথে ৫% টি ট্রি অয়েল এর ব্যবহার খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকর ।এজন্য আপনার নরমাল শ্যাম্পুর সাথে কয়েক ফোটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত মাথা শ্যাম্পু করবেন ।
বেকিং সোডা
খুশকি দূর করার মুল মন্ত্র আপনার কিচেনেই রয়েছে। ভিজা হাতে বেকিং সোডা নিয়ে মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করবেন না ।মাথা ধুয়ে ফেলবেন। বেকিং সোডা মাথার ত্বকের ফাঙ্গাসকে বাড়তে দেবে না, তবে আপনার চুল কিছুদিনের জন্য রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তবে,চিন্তার কিছু নেই ।কয়েক সপ্তাহের ভিতরেই আপনার মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ওয়েল আপনার চুলকে...
স্থায়ীভাবে ফর্সা হউন খুব সহজে।
পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষ সুন্দরের পূজারী। ফর্সা বা উজ্জ্বল ত্বক সুন্দরের অন্যতম উপাদান। ফর্সা ত্বক ছাড়াও মানুষ সুন্দর হয় । ফর্সা ত্বক হলে গুরুত্বটা একটু বেশী পাওয়া যায়। বিশেষ করে মেয়েরা সবাই চায় নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। এ জন্য রুপচর্যার কোন কমতি রাখতে চায় না। ফর্সা বা সুন্দর হবার জন্য সাত সমুদ্র পাড়ি দিতেও রাজি তারা।এখন যে কথাটা বলব সেটা শুনে হয়ত অনেক মেয়ে এখটা লাফ দিয়ে উঠবে। কেননা মাত্র ২ টা জ্বি হ্যা মাত্র ২ টা সহজ নিয়ম মানলেই আপনি পেতে পারেন স্থায়ীভাবে ফর্সা ত্বক।
১. এতদিন আপনরা শুনেছেন কাচা দুধ ও হলুদ ত্বকে মাখলে মানুষ ফর্সা হয়। কিন্তু আজকে বলব অন্য কথা আপনি গরম দুধের সাথে কাচা হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খেলে আপনার ত্বক ফর্সা হবে । কেননা হলুদ মেশানো দুধ আপনার ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে। চাইলে দুধ ও হলুদ একসাথে মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে খেতে পারেন। খেতে কষ্ট হলে মধুু মিশিয়েও নিতে পারেন।
২. প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। যেমন লেবুর রস, কাচা হলুদ, দুধ, ও মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করে নিয়ম করে ত্বকে মাখুন। আশা করি দ্রুত ফল পাবেন। কেননা সেই আদি সময় থেকে রুপচর্যার জন্য কাচা হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই নিয়ম করে হলুদ, দুুধ, লেবুর রস ব্যবহার করে লাবণ্যময়ী ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হউন।
যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক জিনিস দিয়েই রুপচর্যা করার ট্রাই করবেন কেননা এত সাইড ইফেক্ট হওয়ার সম্ভবন্ কম থাকে। অনেকেই রাতারাতি ফল পাওয়ার জন্য বাজারে প্রাপ্ত অনেক দামি দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিছু সময়ের জন্য ভালো ফল পেলেও পরে ত্বকের ১২ টা বেজে যায়। নানা ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হয় এমন...