রোজার ৩ টি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার কার্যকরী ঘরোয়া সমাধান
চুল ঘন ও লম্বা করতে ৫টি কার্যকরী ফল ও সবজির রস
লম্বা,ঘন, আকর্ষণীয় চুল প্রতিটি মেয়ের কাম্য। রোদ, ধুলাবালি, দূষণ বিভিন্ন কারণে চুলের অনেক ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। চুল পড়া বেড়ে যায় এই কারণগুলোর জন্যই। চুল পড়া রোধ করে চুল ঘন করার জন্য আমরা বিভিন্ন প্যাক ব্যবহার করে থাকি। আমরা জানি কিছু খাবার আছে যা চুলের পুষ্টি জুগিয়ে ভিতর থেকে চুলের গোঁড়া মজবুত করে থাকে। ঠিক তেমনি এমন কিছু ফল ও সবজির রস আছে যা নিয়মিত পান করলে চুল পড়া রোধ করে চুল ঘন ও সিল্কি হয়ে উঠবে। healthiack.com থেকে জানা যায় সবজি এবং ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান আছে, যা রান্না করলে অনেকখানি কমে যায়। কিন্তু রসে এর পুষ্টি উপাদানগুলো সম্পূর্ণভাবে পাওয়া সম্ভব। স্ট্যাইলিসওয়াক্স.কম, বোল্ডস্কাই.কম, হেলেদিহ্যাক.কম এবং ফিটনেসব্লেন্ডার.কম এমন কিছু ফল ও সবজির রসের কথা বলেছেন যা চুল পড়া রোধ করবে তার সাথে চুল করবে ঘন, কালো স্বাস্থ্যোজ্বল।
১। গাজরের রস
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলে সমৃদ্ধ একটি সবজি গাজর। চুল ঘন ও লম্বা করতে গাজর রস অনেক বেশি কার্যকরী। আপনি চাইলে শুধু গাজর রস না খেয়ে এর সাথে আরও কিছু উপাদান যোগ করতে পারেন। গাজর, টমেটো, চেরী, আপলের টুকরা দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন এক গ্লাস গাজরের রস। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস আপনার দেহে বিটা ক্যরটিনের চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে চুল ঘন ও লম্বা করে তোলে।
২। শসার রস
শসাতে রয়েছে স্যালিক এবং মিনারেল যা দেহের প্রতিটি কোষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং হিমোগ্লোবিন আপনার চুলের প্রতিটি কোষে প্রবাহিত হয়। শসার সাথে গাজর, আপেল বা টমেটো বা বিট বা লেবু রস যোগ করে...
অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন সহজ ৩ উপায়ে
নারীদের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে মুখের সৌন্দর্যের ওপর। অনেকের মুখে অবাঞ্ছিত লোম দেখা দেয়। ছেলে মেয়ে উভয়ে এই সমস্যার সম্মুখিন হয়ে থাকে। কপালে, গালে, নাকের নিচে সাধারণত অবাঞ্ছিত লোম দেখা যায়। মুখের লোম শেভ করাও সম্ভব হয় না। অনেক আবার লেজার ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকেন। কিন্তু এটি ব্যয়বহুল হওয়ায় সবাই লেজার ট্রিটমেন্ট করাতে পারে না। অবাঞ্ছিত লোম কেন উঠে? এর কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় thehealthsite.com থেকে।
জাতিগত কারণে
বংশগত কারণে
ওভারি সমস্যার কারণে
শরীরে কোথাও টিউমার দেখা দিলে
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি
অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় আছে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এমন কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা জানা যায় myhealthtips.in, newhealthguide.org এবং .indiatimes.com থেকে। আসুন তাহলে জেনে নিই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার প্রাকৃতিক উপায়গুলো।
১। চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব
চিনি ও লেবুর রস এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং মুখের লোম দূর করে এর ঘনত্ব কমিয়ে থাকে।
২ টেবিল চামচ চিনি
১০ টেবিল চামচ পানি
২ চা চামচ লেবুর রস
প্রথমে চিনি এবং পানি ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে লেবুর রস দিয়ে দিন। এবার মুখে ভাল করে লাগান। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। মুখ ধোয়ার সময় ভাল করে স্ক্রাবিং করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন।
২। লেবু এবং বেসন
অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ একটি উপায় হল বেসন। প্রথমে লেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে নিন। এবার এতে বেসন মেশান। এই প্যাকটি ভাল করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুই বার করুন।
৩। ডিমের প্যাক
ডিমের সাদা অংশ মধু, চিনির...
দাড়ি যেভাবে আপনাকে সুস্থ রাখে
রুপচর্চা কী শুধু নারীর জন্য? পুরুষের সৌন্দর্যও একই রকম দরকারি। আর পুরুষের সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো তার শ্মশ্রু, বা দাড়ি। ক্লিন শেভড হোক অথবা ঘন এলোমেলো দাড়ি, মুখের এই জায়গাটা একজন পুরুষ কীভাবে সাজান সেটা তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ একটি সিদ্ধান্ত। আর এই মাসে তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই মাসটি হলো No-Shave November।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাসটি পালন করতে পুরুষেরা নিজেদের দাড়ি বাড়তে দিচ্ছেন। এটা নিছকই খেয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং পুরুষের ক্যান্সারের ব্যাপারে সতর্কতা সৃষ্টি করতে এই কাজটি করা হয়। ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেক পুরুষ তাদের চুল-দাড়ি হারান। এ কারণেই সুস্থ পুরুষেরাও এই মাসে নিজের দাড়ি বাড়তে দেন ইচ্ছেমত। শেভিং এর পেছনে যে টাকাটা বেঁচে যায় সেটা এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আপনি দান করতে পারেন। এই টাকা ব্যয় হবে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে শক্তিশালী করতে।
ক্যান্সারের জন্য লড়াই ছাড়াও, দাড়ি রাখাটা শুধুই পুরুষের ফ্যশন স্টেটমেন্ট নয়। বরং এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ভালো বটে। Huffington Post এবং Mirror থেকে নেওয়া কিছু তথ্য থেকে জেনে নিন দাড়ি রাখার দারুণ কিছু উপকারিতা।
১) বয়স কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে
অকালেই ত্বকের বার্ধক্য নিয়ে আসতে পারে রৌদ্রের আলট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতি। কিন্তু Radiation Protection Dosimetry জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায়, আপনার দাড়ি এই রশ্মির ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই আটকে দিতে পারে, কমাতে পারে স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি। আর দাড়ির কারণে ব্রণের ঝুঁকিও কমে যায় অনেকটা।
২) ত্বকের নিচে ঠেলে ওঠা ইনগ্রোন হেয়ার আর নয়
যারা সবসময় শেভ করেন তারাই জানেন ত্বকের নিচে ফুলে ওঠা ইনগ্রোন হেয়ার কি বিরক্তিকর। কিন্তু দাড়ি ইচ্ছেমত বাড়তে দিলে এগুলো দেখা যায় না। এছাড়াও শেভের কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা এড়ানো যায়...
বাজারের সেরা ৫টি নাইট ক্রিম
বেশ কিছুদিন ধরে নাইট ক্রিমের নাম শোনা যাচ্ছে। বাইরের দেশগুলোতে অনেক আগ থেকে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা হলেও, আমাদের দেশে এর প্রচলন খুব বেশি দিন হয়নি। নাইট ক্রিমের ব্যবহার সম্পর্কে এখনও অনেকের ভ্রান্ত কিছু ধারণা রয়েছে। বলা হয়ে থাকে আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের ত্বক বেশি পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। আমাদের ত্বকে নাইট ক্রিম এই পুষ্টি দিয়ে থাকে। নাইট ক্রিম ত্বক কোমল নরম করে তোলে। বিউটি এক্সপার্ট এবং মার্কেটিং হেড Dipikka Topiwala বলেন “যেকোন ধরণের বিউটি ট্রিটমেন্ট থেকে ভাল ফল পাওয়া যায় যখন আপনি স্ট্রেস মুক্ত থাকেন, তখন ত্বক দ্রুত পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। নাইট ক্রিম কাজ করে যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন”।
idiva.com এর মতে নাইট ক্রিম কেনার আগে কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
.বয়স
.ত্বকের ধরণ
.ত্বকের প্রয়োজনীয়তা
.উপাদানের লিস্ট
বাজার ঘুরলে অনেক ব্র্যান্ডের নাইট ক্রিম দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে থেকে সেরা ৫ নাইট ক্রিম সম্পর্কে জেনে নিন।
১। ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট অল ইন ওয়ান ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম (Olay Natural White All in one fairness Night Cream):
ঘন হলেও এই ক্রিমটি খুব দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং ত্বককে খুব ভালভাবে ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। দাম পড়বে প্রায় ৩৮৪ টাকা।
২। হিমালয় রিভিটালিজিং নাইট ক্রিম( Himalaya Revitalizing Night Cream):
হিমালয় গ্রুপের আরেকটি প্রোডাক্ট হল হিমালয় নাইট ক্রিম। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ক্রিমটি অনেক বেশি কার্যকরী। ত্বক ময়োশ্চারাইজ করে অন্যরকম একটা গ্লো নিয়ে আসে ত্বকে। দাম পড়বে আনুমনিক ২০০ টাকা।
৩। লোটাস হারবাল নিউট্রানাইট নাইট ক্রিম (Lotus Herbals Nutranite Night Cream):
এই ক্রিমটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য। যার কারণে ত্বকে তেল চিটচিটে ভাব থাকে না। ত্বকের সাথে ভালভাবে মিশে যেয়ে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।...
শীতকালে ত্বকের যত্ন এবং সুরক্ষায় খুব দরকারি কিছু পরামর্শ
আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত উপাদান শীতকালে জমাট বেধে যাওয়ার কারনে তখন ত্বক বেশ শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই অন্যসময়ের চেয়ে শীতকালেই ত্বকের যত্ন নেয়া একটু বেশি প্রয়োজন হয়। তাই ত্বক শুষ্ক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার আগেই চেষ্টা থাকতে হবে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমেই পারেন ত্বককে পুনর্গঠিত করে ত্বকের কোলাজেনের মাত্রা উন্নত করতে।
- শীতকালে যেহেতু পিপাসা কম থাকে তাই অনেকেই পানি কম খান। যার ফলে শরীর খুব শুষ্ক হয়ে যায়। তাই প্রচুর পানি খেতে হবে এবং ঘরে তৈরি করে ফল ও সবজির জুস খেতে হবে।
- ত্বকে অলিভ অয়েল মাখতে পারেন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে। এছাড়া ত্বকের টান টান ভাব কমাতে গোসলের আগে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- তবে অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল বা অন্য যে কোনো তেল ব্যবহারের আগে দেখে নেবেন সেই তেল আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা। অর্থাৎ ত্বকে কোনো ধরনের সমস্যা করছে কিনা। কারন দেখা যায় একেক জনের ত্বকের ক্ষেত্রে একেক ধরনের তেল ভাল কাজ করে।তবে যাদের ক্ষেত্রে নারিকেল তেল বা অলিভে ওয়েল ত্বকে সমস্যার সৃষ্টি করে তাদের জন্য অ্যাভোকাডো, প্রিমরোজ বা কাঠবাদামের তেল ভাল।
- শীতকাল ত্বকের শুষ্কতা ও পায়ের ফাটা দূর করতে পেট্রোলিয়াম জেলি অতুলনীয়।
- শীতকালে ত্বক পরিস্কারে ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার না করে খুব ভাল হয় যদি বেসন ও টক দই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি সাবান ব্যবহার করতেই হয় তবে প্রাকৃতিক তেল এবং গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করুন।
- শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে এই অভ্যাসটি যদি থাকে বাদ দিতে হবে। গোসল করতে হবে কুসুম গরম পানিতে এবং এর সাথে সামান্য...
মাত্র ২টি উপাদান দিয়ে ঘরেই তৈরি করুন পছন্দের নেইল পলিশ
হাতের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল নখ। মেয়েরা তাদের এই নখ বিভিন্ন ভাবে কাটতে ও বিভিন্ন রঙের নেইলপলিশ দিয়ে সাজাতে ভালবাসেন। কিন্তু এই নেইলপলিশ নিয়ে পড়তে হয় অনেক ঝামেলায়। ভাবছেন কি ঝামেলায়? অনেক সময় নেইলপলিশ লাগাতে গিয়ে দেখা যায় জামার রং এর নেইলপলিশ ঘরে নেই। আবার দোকানে গিয়ে যে কিনবেন তাও সময় নেই। তখন উপায়? উপায় আছে! খুব সহজে ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন পছন্দের নেইলপলিশটি। কি খুব অবাক হয়ছেন? ঘরে নেইলপলিশ তৈরি উপায় বলে দিয়েছে hellonatural.co, wikihow।
যা যা লাগবে
ন্যাচারাল কালার বা রঙ হীন একটি নেইল পলিশ
পছন্দের রঙের আই শ্যাডো
যেভাবে তৈরি করবেন:
- প্রথমে আই শ্যাডোকে গুঁড়ো করে নিন। যদি গুঁড়ো আই শ্যাডো থাকে তবে আর গুঁড়ো করার প্রয়োজন পড়বে না।
- এবার একটি কাগজ দিয়ে কোন বানিয়ে ফেলুন।
- কোনের সাহায্যে আই শ্যাডোর গুঁড়ো আস্তে আস্তে করে নেইল পলিশের বোতলে ঢালুন।
- আপনি যদি আপনার নেইল পলিশে গ্লিটার দিতে চান, তবে এর সাথে গ্লিটার আই শ্যাডো ঢালুন।
- এবার নেইল পলিশের বোতলটি ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতে আই শ্যাডো ভাল করে মিশে যাবে। ৩ থেকে ৫ মিনিট ঝাঁকিয়ে নিলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
- আপনি যদি গাঢ় রং চান তবে বেশি পরিমাণে আই শ্যাডো দিবেন। আর যদি হালকা রং পছন্দ করেন তবে অল্প আই শ্যাডো দিবেন।
- ব্যস তৈরি হয়ে পছন্দ রঙের নেইলপলিশ।
- আপনি চাইলে কোনের পরিবর্তে কটন বাড দিয়ে আই শ্যাডো নেইল পলিশের কোটায় ঢালতে পারেন। তবে এতে আই শ্যাডো চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
- আই শ্যাডো বেশ চকচকে হয়ে থাকলে ম্যাট এফেক্ট তৈরির জন্য সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন একটু কর্ন ফ্লাওয়ার।
মেকআপের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার সহজ ১০ কৌশল
বিয়ের দাওয়াত বা প্রতিদিনকার সাজে মেকআপ মেয়েদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বেশিরভাগ মেয়েরা মেকআপ ছাড়া ঘর থেকে বের হন না। অনেক সময় তাড়াহুড়া করে করতে গিয়ে ভুলভাবে মেকআপ করে ফেলেন। তখন উপায়? আবার প্রথম থেকে মেকআপ করা শুরু করতে হয়। অথচ হাতে তেমন সময়ও থাকে মেকআপ ঠিক করার। তারচেয়ে সহজ কিছু উপায় মাথায় রাখলে মেকাআপে ভুল হবে না এবং দ্রুত মেকআপ করা যাবে। মেকআপের এমন কিছু উপায় আজ নিয়ে এলাম ইন্ডিয়াটিভি.কম, ইন্ডিয়াটাইমস.কম, এবং ত্রিবিঊন.কম.পিকে থেকে।
১। তৈলাক্ত ত্বক বা অতিরিক্ত শাইনি করে ফেললে ম্যাট কমপ্যাক্ট। পাউডারের পাফে ম্যাট কমপ্যাক্ট নিয়ে কিছুক্ষণ মুখে ঘষুন। এতে তেল তেল ভাব অনেকটা কমে যাবে।
২। শুষ্ক হয়ে চামড়া উঠে যাওয়া ঠোঁটে লিপস্টিক ঠিকমত বসে না। এর জন্য লিপস্টিক লাগানোর আগে এক্সফোলিয়েট করে নিন। মধু ও চিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এটি দিয়ে কিছুক্ষণ স্ক্রাবিং করে নিন।
৩। ক্লান্তির ছাপ চেহারায় পড়েছে? খুব বেশি মেকআপ করার সময়ও নেই? চিন্তার কিছু নেই খুব সহজেই এই ক্লান্তির ছাপ দূর করা সম্ভব। লিপিস্টিক এবং তার সাথে কিছু গ্লস ব্যবহার করুন। দেখবেন চেহারার ক্লান্তিভাব অনেক কমে গেছে।
৪। মেকআপ করতে গিয়ে দেখলেন ভ্রু প্লাক করা হয় নি। এখন কী উপায়? আছে এরও সমাধান। ব্রাশে করে খানিকটা বাদামি আইশ্যাডো বা বাদামি আই পেন্সিল ভ্রুর নিচে লাগান। দেখবেন ভ্রু চিকন দেখাছে।
৫। মাস্কারা বেশি হয়ে গেলে অতিরিক্ত মাশকরার উপরে ক্লিয়ার মাস্কারা বুলিয়ে নিন কয়েকবার। দেখবেন মাস্কারা হালকা হয়ে গেছে।
৬। লিপস্টিক দীর্ঘ সময় স্থায়ী করতে চাইলে লিপস্টিক লাগানোর আগে হালকা ফাউন্ডেশন বা কমপ্যাক্ট পাউডার ছিটিয়ে দিন।
৭। মেকআপের সময় ত্বকে ফাউন্ডেশন বেশি পড়ে গেলে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে চেপে দিন ত্বকের সাথে।
বিয়ের আগে ত্বকের যত্নে কিছু বিশেষ টিপস
‘বিয়ে’ প্রতিটি মেয়ের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটি ঘিরে প্রতিটি মেয়ের অনেক স্বপ্ন থাকে। সবাই চায় এই দিনটিতে তাকে আর সবার থেকে একটু বেশি সুন্দর লাগুক। এই সুন্দর লাগার জন্য বিয়ের আগ থেকে ত্বকের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। অনেকেই পরামর্শ দিয়ে থাকে পার্লারে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ব্যস্ততায় সব সময় পার্লারে যাওয়ার সময় হয়ে উঠে না। তখন বাসায় নিতে হয় ত্বকের যত্ন। বিয়ের দুই সপ্তাহ আগ থেকে নিয়ম করে মেনে চলুন এই নিয়মগুলো। বিয়ের আগে কনের ত্বকের যত্ন সম্পর্কে এমন কিছু উপায়ের কথা জানা যায় indianroots.com এবং .indiatimes.com থেকে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
তৈলাক্ত ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তেল চিটচিটে ভাব। এই তৈলাক্ত ভাব কমানোর জন্য indiatimes কিছু উপায় জানিয়েছে।
১। ডিটক্স করুন
বিয়ের আগের সপ্তাহ থেকে ডিটক্স লিকুইড পান করা শুরু করুন। এটি আপনার ত্বককে ভিতর থেকে গ্লো করতে সাহায্য করবে। ফল দেহের মেদ কাটার পাশাপাশি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেক কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
২। সপ্তাহে দুইবার স্ক্রাব করুন
মুখ বেশি ঘেমে গেলে ত্বককে ব্রণ হওয়া বেড়ে যায়। এই ঘাম রোধ করার জন্য সপ্তাহে দুইবার স্ক্রাবিং করুন। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমিয়ে ব্রণ হবার প্রবণতা কমিয়ে থাকে। তার সাথে ব্ল্যাক হেডেস এবং হোয়াইট হেডেস দূর করে।
৩। হালকা লোশন ব্যবহার করুন
দিনে দুইবার সকালে এবং রাতে লোশন ব্যবহার করুন। এটি ত্বক হাইড্রেটেড করে ত্বককে সুস্থ রাখবে।
৪। ফেইস প্যাক ব্যবহার করুন
ডারমাকোলজিস্ট Dr Aparna Santhanam বলেন “ ফেসিয়াল করার পর ত্বকে হাইড্রেটিং ফেইস প্যাক ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বককে পুষ্টি জুগিয়ে ব্রণ হওয়া রোধ করে। অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী’’।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
১। ক্রিমি ক্লিনজার ব্যবহার করুন
নরমাল ফেইস...
শীতে ঠোঁটের আদর-যত্ন
আর কিছুতে জানান না দিলেও ঠোঁট ভালোভাবেই জানান দিচ্ছে শীত আসছে। হেমন্তের বাতাসে টান ধরেছে ঠোঁটের আদ্রতায়। সময়মতো খেয়াল না করলে ঠোঁট ফেটে চামড়া ওঠা, রক্ত পড়া, কথা বলতে বা হাসতে সমস্যা হওয়া, ফুসকুড়ি হওয়াসহ দেখতেও মন্দ লাগে। তাই শীতেই এই মৌসুমে খুবই যত্নে রাখতে হয় অতি আদরের ঠোঁটকে। তাই কোনো রকম ঝক্কি ঝামেলায় না গিয়ে আগেভাগে একটু সচেতন হলে সহজে ঠেকাতে পারবেন ঠোঁট ফাটার সমস্যা।
ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখতে অভ্যাসবশত বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। এতে ঠোঁট আরও শুকিয়ে যায়। এর বদলে সঙ্গে একটা লিপ-বাম বা লিপ-জেল রাখতে পারেন। ঠোঁট শুকিয়ে গেলেই একটু আদ্র করে নিন। হাত-মুখ ধোয়ার সময় বা দাঁত ব্রাশ করার সময় কোনোভাবেই ঠোঁটে জোরে ঘষা-মাজা করা যাবে না। এ সময় নরম ঠোঁটে আঁচড় পড়লে তা ভোগাতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে ম্যাট ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা, শীতে ম্যাট লিপস্টিকে ঠোঁট দুখানা আরও প্রাণহীন মনে হতে পারে। শীতে গ্লসি লিপস্টিকই ঠোঁট সজীব রাখবে এবং এতে আপনার সাজও প্রাণবন্ত লাগবে।
শীতে ঠোঁটের যত্নে ঘরে বসে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন সাশ্রয়ী লিপ-প্যাক। কিছু গোলাপের পাপড়ি বাটা আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এটা আলতো করে ওপরের ও নিচের ঠোঁটে মাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মধু ঠোঁটকে পুষ্টি জোগাবে এবং গোলাপ পাপড়ির রস কোমল ঠোঁট দুটোকে গোলাপি আভায় রাঙিয়ে তুলবে।
খাবার দাবারের ব্যাপারেও বেশ সচেতন থাকা জরুরি। মৌসুমী যত সবজি আছে তার সবগুলোয় পর্যায়ক্রমে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিটামিন সি যুক্ত ফলগুলো আপনার ত্বক বা ঠোঁটের সুরক্ষায় কাজ করবে। স্নেহ জাতীয় পদার্থও দারুণ উপকারী ভূমিকা পালন করে। তাই শীতের সকালে ঘি দিয়ে...