রাইতা
ঘরেই হোক ফ্রুট ফেসিয়াল
পার্লারে গিয়ে আমরা কত রকমেরই না ফেসিয়াল করে থাকি। হারবাল,গোল্ড,পার্ল আরও কত কি! এতে সময় ও অর্থ দুই-ই কিন্তু ব্যয় হয় অতিরিক্ত, তাই না? অথচ বাসায় বসেই বিভিন্ন ফল দিয়ে খুব সহজেই সেরে নেয়া যায় চমৎকার ফেসিয়াল পর্ব! যা আপনার ত্বকের জন্য খুব উপকারী প্রমাণিত তো হবেই। সাথে সময় যেমন বাঁচবে তেমনি অর্থও।
কি জানতে হবে? জানতে হবে কেবল সঠিক ফলটির সঠিক ব্যবহার। আসুন জেনে নেয়া যাক আমাদের দেশে সহজলভ্য ফল গুলো দিয়ে কিভাবে হতে পারে চমৎকার ফেসিয়াল।
-পাকা কলা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটা জিনিস। একটি পাকা কলা হাত দিয়ে ভর্তা করে সারা মুখে আর গলায় লাগান। চাইলে এতে একটু মধু মেশাতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের এই প্যাকটি ভালো কাজ দেয়, ত্বককে নরম ও মোলায়েম করতে সাহায্য করে।
-পাকা টমেটো ভর্তা করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন ও পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটা ভাল স্ক্রাবার হিশাবে কাজ করবে। আবার রোদের পোড়া ভাবও কমাতে সাহায্য করবে।
-ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে পাকা পেঁপে খুব উপকারী। পাকা পেঁপে ভর্তা করে নিন। সাথে দিন মধু ও সামান্য ময়দা। পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান,আধা ঘণ্টা পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। লক্ষ্য করুন ত্বক কতো উজ্জ্বল লাগছে।
-যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শশার রস মুখে লাগান। শশার রস ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে। এছাড়া শশার রসে তুলো ভিজিয়ে দুই চোখের উপর দিয়ে রাখুন, তুলো শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। শশার রস চোখের চারদিকের কালো ভাব দূর করবে। রস করতে না চাইলে শসাকে মিহি ঝুরি করে চটকে নিন। তারপর মুখে বা চোখের উপর...
কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায়
কে না চায় একজোড়া সুন্দর ও আকর্ষণীয় ঠোঁট? কেবল একজোড়া স্বাস্থ্যজ্জ্বল ঠোঁটই আপনার হাসিকে করে তুলতে পারে আরো আকর্ষণীয়, চেহারাকে করে তুলতে পারে মোহনীয়। আর তাই জেনে নিন ঠোঁটকে সুন্দর রাখবার উপায়গুলো।
আসুন, জেনে নেয়া যাক সুন্দর গোলাপি ঠোঁট পেতে কী কী করবেন ও করবেন না-
যা করতে পারেন-
১. একটি পাতলা লেবুর টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ঘষুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং লেবু সূর্যের ফলে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটের চামড়াকে উজ্জবল করতে সাহায্য করে।
২. মধুর সাথে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন।
৩. ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক এ্যাসিড খুব উপকারী। নিয়মিত দুধ খাবার সাথে সাথে খানিকটা দুধ তুলোয় করে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলার মাধ্যমে দুধ ঠোঁটের কালো হওয়াকেও প্রতিরোধ করে।
৪. গোলাপের পাপড়িও ঠোঁটের গোলাপী ভাব আনতে সাহায্য করে। এজন্য গোলাপের পাপড়ি দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রলেপটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর দুধ দিয়ে ঠোঁটকে মুছে নিন। প্রতিদিন এই প্রলেপটির ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে করে তুলবে আকর্ষনীয়।
৫. লেবুর ভেতরের এসিড ঠোঁটের শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রসের সাথে খানিকটা চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরে বসেই নিতে পারেন ঠোঁটের পুরোপুরি যত্ন। প্রলেপটি মাখার একঘন্টা পর ধুয়ে নিন।
৬. লেবুর রসের সাথে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েকদিনেই আপনি পাবেন চমত্কার ফলাফল।
৭. বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রন করুন। প্যাকটি আপনার ঠোঁটকে কেবল সুন্দরই করবে না, কোমলতাও বাড়াবে।
৮. ঘুমানোর আগে ঠোঁটে পালং পাতা ঘষে নিন। সাথে রাখতে পারেন জাফরানও। এই দুটি সহজলভ্য উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার আপনার শুষ্ক ঠোঁটকে সারিয়ে তুলবে...
ত্বকের যত্ন হউক ভেষজ উপাদানে
ত্বকের যত্নে ভেষজ উপাদানের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এই সব উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকের যেমন তেমন কোনো ক্ষতি হয়না তেমন ত্বক বাড়তি যত্নও লাভ করে। জেনে নিন ত্বকের যত্নে ভেষজ ব্যবহারের কিছু সহজ উপায়।
হলুদ : হলুদ ত্বকের জীবানু নাশ করতে সহায়তা করে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে।
মধু : মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের জন্যেই মধু দরকারি। তবে ত্বকের জন্যে এর প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। মধু ত্বককে সতেজ এবং পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি রাখে জীবানুমুক্ত।
লবণ : লবণ এমনিতে কিছুরোগীর জন্যে ক্ষতিকর হলেও যাদের ত্বকে সমস্যা আছে, তাদের জন্যে বেশ উপকারি। কারণ লবণ ত্বকের মৃতকোষ বের করে আনতে সহায়তা করে।
লেবু : ত্বকে এসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে লেবু কাজ করে থাকে।
জায়ফল : মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে জায়ফলের কোনো জুড়ি নেই।
ঠোঁটের যত্ন ও মেকআপ পদ্ধতি
মানুষের সৌন্দর্যের প্রশ্নে প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুন্দর একটি মুখমণ্ডলের প্রতিচ্ছবি। আর এ মুখমণ্ডলের সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হচ্ছে এক জোড়া ঠোঁট। সবার কাছেই সুন্দর ঠোঁটের আকর্ষণ অনেক বেশি। ঠোঁট আকর্ষণীয় না হলে সৌন্দর্যের অনেক কিছুতেই ভাটা পড়ে যায়। কারণ চেহারার সৌন্দর্যে সজীব ও রাঙা ঠোঁটের হাসিটাও বিরাট ভূমিকা রাখে। তাই ঠোঁট দুটি হবে আকর্ষণীয় ও দেখার মতো এটাই সবার কামনা। সে জন্য নিয়মিত নিতে হবে ঠোঁটের যত্ন।
ঠোঁট সবসময়ই হওয়া উচিত কোমল, মসৃণ এবং স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আর্দ্র। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে ফেটে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ঠোঁটের চামড়ায় দাগ পড়ে। এ অবস্থায় লিপস্টিক লাগালে ভালো দেখায় না। ঠোঁটের জন্যে প্রয়োজন তাই পরিচর্যার। অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠান্ডা আবহাওয়া ঠোঁটের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তখন ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। তাই ঠোঁটের সৌন্দর্য বজায় রাখতে একটু বেশি সচেতন হতে হবে। ঠোঁট সুন্দর, আকর্ষণীয় করতে হলে নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। ঠোঁটের সৌন্দর্যে করণীয়-
ঠোঁটের যত্নে যা করবেন
১. প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে তাতে কোনো ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম অথবা চ্যাপস্টিক লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া রাতে ঘুমোনোর আগে গোলাপ জলে মেশানো গ্লিসারিন পানি ঠোঁটে লাগিয়ে শুতে পারেন অথবা ভালো পেট্রোলিয়াম জেলির প্রলেপ লাগিয়ে নিতে পারেন।
গ্লিসারিন পানি তৈরির নিয়ম : সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপ জল অথবা খাবার পানি মিশিয়ে নিলেই হলো। তবে একবারে বেশি পরিমাণে বানাবেন না। নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বানিয়ে ব্যবহার করবেন।
২. সম্ভব হলে ঠোঁটে দুধের সর ও চিনি মিশিয়ে গলে না যাওয়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। তাতে ঠোঁট অনেকটা সজীব দেখাবে।
৩. সপ্তাহে দু’এক দিন ঠোঁট জোড়া ব্রাশ করে নেবেন। তাতে ঠোঁটের মরা কোষগুলো ঝরে...
দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক দারুণ কার্যকরী ২ টি পদ্ধতি
ঘন কালো লম্বা চুল কার না পছন্দ বলুন? যদিও আধুনিকতা এবং কাজের সুবিধার জন্য অনেকেই চুল লম্বা করতে চান না তারপরও মনে মনে আশা থাকে কোমর পর্যন্ত লম্বা চুলের গোছার। নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে লম্বা চুলের বর্ণনাই প্রথমে আসে। কিন্তু এই বিরূপ আবহাওয়া এবং অযত্ন অবহেলার কারণে চুলের বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। আর সেই সাথে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই বড় চুল রাখতে সাহস করেন না। এই ধরণের সমস্যা সমাধানে আজ জেনে নিন দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক অসাধারণ ২ টি কার্যকরী পদ্ধতি যার মাধ্যমে দ্রুত চুল লম্বা করতে পারবেন এবং সেই সাথে নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করবে।
১) অ্যালোভেরার ব্যবহার
বেশ প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার নানা অংশে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা পাতার জেল চুলের জন্যও বিশেষভাবে কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেলের প্রাকৃতিক উপাদান সমূহ চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক এবং সেই সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
– অ্যালোভেরার তাজা পাতা কেটে তাজা জেল বের করে নিন।
– এই জেল চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন।
– ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে এই অ্যালোভেরা জেল পদ্ধতি ব্যবহার করুন অত্যন্ত ৩ বার।
– আরও দ্রুত ফলাফল পেতে অ্যালোভেরার জেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে মিশিয়ে নিতে পারেন এবং প্রতিদিন পান করতে পারেন অ্যালোভেরার জুস। খুব ভালো ফলাফল পাবেন
২) তেলের মিশ্রণের ম্যাসেজ পদ্ধতি
চুলের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে তেলের বিকল্প নেই। আপনি যতো নামী দামী হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন না কেন চুলে তেল না দিলে চুল লম্বা ও ঘন করতে পারবেন না। তাই তেল দেয়াটা বাধ্যতামূলক।
– সমপরিমাণ নারকেল তেল, কাঠবাদামের তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসাথে মিশিয়ে একটি বোতলে ভরে...
ফর্সা ত্বকের জন্য মেক-আপ টিপস
অনেকে নারীরাই মনে করে থাকেন যে ফর্সা ত্বকে মেক-আপ করার কী আছে? হালকা একটু সাজলেই ভাল লাগবে দেখতে। কিন্তু মাঝে মাঝে তো সাজতেই হয়। কোন বড় পার্টিতে গেলে একটু বেশি মেক-আপ নিতে হয়। তাই নিজেই নিজেকে সাজাতে জেনে রাখুন কিছু টিপস।
১। ফর্সা ত্বকে গোলাপি রঙের হালকা ফাউন্ডেশন ভাল লাগবে। হালকা ফাউন্ডেশন না থাকলে ভারী ফাউন্ডেশন সামান্য ব্রোনজার মিশিয়ে ব্যবহার করুণ। ব্রোনজিং পাউডার বা শিমার প্যানস্টিকও ভাল হবে।
২। সফট পাউডার চটজলদি গ্লো তৈরি করতে ভাল কাজ করে। ভাল কোম্পানির টাচ এন্ড গ্লো পাউডার বেছে নিতে পারেন।
৩। পার্টি লুকের জন্য হালকা গোলাপি শেডের ফাউন্ডেশনে সামান্য সিলভার শিমার মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪। মাসকারায় খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট না করলেও হবে। ব্রাউন বা ব্ল্যাক মাসকারাই ভাল।
৫। আইশ্যাডোতে একটু অন্যরকম শেড ট্রাই করতে পারেন।
৬। হালকা লিপস্টিক আপনার লুক কমপ্লিট করবে। পিচ কালার ভাল অপশন, ফর্সা ত্বকে মানাবেও দারুন।
সৌন্দর্য বাড়াতে চায়ের লিকার
চায়ের লিকার শুধু পান করা হয় না, সেইসঙ্গে এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। চায়ে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বক, চুল সুন্দর রাখার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাও সমাধান করবে।
ময়েশ্চারাইজের গুণ:
সবুজ চায়ের লিকার ত্বকে ময়েশ্চারাইজ হিসেবে কাজ করে। ত্বক শুষ্ক হলে বাইরে থেকে এসে ঠাণ্ডা সবুজ চায়ের লিকার ত্বকে স্প্রে করলে ক্লান্তি দূর হবে এবং সতেজতা ফিরে পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।সবুজ চায়ের লিকার ব্যবহারে ত্বকের ব্রন ও মেছতা দূর হবে।
চোখের ফোলাভাব দূর হবে:
ব্যবহার করা টি-ব্যাগ ফেলে না দিয়ে ফ্রিজে রেখে চোখের পাতার ওপর দিয়ে রাখলে চোখের ফোলাভাব দূর হবে এবং চোখের শ্রান্তি দূর হবে। নিয়মিত ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে।
চুলের উজ্জলতা বাড়বে:
নিয়মিত চায়ের লিকার ব্যবহারে চুল ভালো থাকে। কালো চায়ের লিকার চুল ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং সবুজ চায়ের লিকার চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চায়ের লিকার চুলে দিয়ে দশ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করবে:
চায়ে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যারা পায়ের দুর্গন্ধে ভুগছেন তারা যদি কালো চায়ের লিকারে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে করে পায়ের দুর্গন্ধ দূর হবে।
হাত পায়ের কালচে দাগ দূর করে দিন খুবই সহজ ৩ টি উপায়ে
মুখের ত্বকের তুলনায় কালচে হাত পায়ের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এর মূল কারণ হচ্ছে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই শুধুমাত্র মুখের ত্বকের যত্ন নেয়ার মতো ভুল কাজটি করে থাকি। পার্লারে গিয়ে বা ঘরে বসে যখন ত্বকের যত্ন নিই তখন শুধুই মুখের ত্বকের যত্ন নিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। যত্ন নিতে হবে হাত ও পায়ের ত্বকে। তা না হলে কালচে হাত ও পায়ের ত্বকের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই পড়তে হতে পারে। আজ চলুন একেবারেই সহজ এবং অল্প খরচে কীভাবে হাত ও পায়ের ত্বকের কালচে ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় তার কৌশলটি জেনে নেয়া যাক।
১) লেবুর রসের ব্যবহার
লেবুর ব্লিচিং উপাদান হাত ও পায়ের ত্বকের কালচে ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে খুবই সহজে
- একটি বড় পাত্রে কুসুম গরম পানি নিয়ে এতে লেবুর রস চিপে দিন বেশ খানিকটা। এই পানিতে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট।
- এরপর চিপে নেয়া লেবুর খোসা দিয়েই আলতো করে ঘষে নিন হাত ও পায়ের ত্বক। দেখবেন কতো সহজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে।
- এছাড়াও লেবুর খণ্ড চিনিতে গড়িয়ে তা দিয়ে হাত ও পায়ের ত্বকে ম্যাসাজ করে নিলে ত্বকের উপরের মরা কোষ এবং কালচে দাগ দূর করতে পারবেন খুবই সহজে।
২) টকদই ও মধুর ব্যবহার
টকদই ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক এবং মধু ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ময়েসচারাইজ করে
- পরিমাণমতো টকদই নিয়ে এতে টকদইয়ের অর্ধেক পরিমাণ মধু ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
- এই পেস্টটি হাত ও পায়ের ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহারেই ভালো...
আপনার চুলকে সুস্থ রাখবে এই ৮টি “ঘরোয়া” শ্যাম্পু
একের পর এক ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন কিন্তু কোনটিতেই ফল পাচ্ছেন না? জেনে রাখুন একদম ঘরোয়া উপায়ে এই ৮টি শ্যাম্পু তৈরির উপায়। রাসায়নিক শ্যাম্পু ব্যবহারে আপনার যতো ক্ষতি হচ্ছে, এসব প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহারে কমে যাবে সেই ক্ষতি। সুস্থ ঝলমলে চুল হয়ে উঠবে ভেতর থেকে সুন্দর।
১) বেকিং সোডা শ্যাম্পু
এক টেবিল চামচ সোডার সাথে এক কাপ পানি মিশিয়ে সাধারণ শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করুন। চুলের ময়লা কমানো এবং ড্যানড্রাফ দূর করতে এটি কাজে লাগবে। তবে এই শ্যাম্পু কিছুদিন পর পর ব্যবহার করাই ভালো।
২) লেবু ও শসার শ্যাম্পু
যাদের চুল শুষ্ক তাদের জন্য এই শ্যাম্পু খুবই কাজে আসবে। একটি লেবু ও একটি শসার খোসা ছিলে নিন। এগুলো ব্লেন্ড ক্লরে নিন ভালোমত। এরপর সাধারণ শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করুন। চুলে কিছু লেবুর অংশ লেগে থাকতে পারে। চুল শুকিয়ে যাবার পর চিরুনি চালিয়ে এগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।
৩) কর্ন স্টার্চ শ্যাম্পু
এই শ্যাম্পু চুল ঘন করতে সাহায্য করবে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। এরপর এতে কর্ন স্টার্চ বা কর্ন ফ্লাওয়ার যোগ করুন যতক্ষণ না তা শ্যাম্পুর মতো ঘন হয়। এরপর সাধারণ শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করুন।
৪) অ্যাপল সিডার শ্যাম্পু
এক কাপ বেবি শ্যাম্পুর সাথে যোগ করুন দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার। এর সাথে সিকি কাপ পানি যোগ করুন। যোগ করতে পারেন এক টেবিল চামচ টি ট্রি অয়েল। ব্যবহার করুন সাধারণ শ্যাম্পুর মতো। শুধু শ্যাম্পুই নয়, এটি কন্ডিশনারেরও কাজ করবে।
৫) নারিকেল শ্যাম্পু
চুলের জন্য নারিকেলের দুধ খুবই ভালো। পৌনে এক কাপ বেবি শ্যাম্পুর সাথে যোগ করুন সিকি কাপ নারিকেল দুধ। এর সাথে যোগ করতে পারেন এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল এবং দশ...