মিউজিক ভিডিও থেকে আজ তারা বলিউড সুপারস্টার
ঘরে বসেই পার্লারের মত পেডিকিউর-মেনিকিউর
প্রতিদিনের রোদ ও ধুলোবালিতে আমাদের মুখের পাশাপাশি হাত ও পাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ত্বক কালো ও রুক্ষ হয়ে যায়। কিন্তু রূপচর্চায় আমরা হাত ও পাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করে থাকি। হাত পায়ের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত পেডিকিউর ও মেনিকিউর করা উচিত। কিন্তু পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করার তো আর সবার পক্ষে সম্ভব না। তাই আপনি বাসায় বসেই করে নিতে পারেন পার্লারের মত পেডিকিউর ও মেনিকিউর।
যা যা লাগবে:
পায়ের গোড়ালি ডোবে এমন একটি বড় বাটি
ব্রাশ
নেইল কাটার
ফাইলার
বাফার
কিউটিকল কাটার
শ্যাম্পু অথবা তরল সাবান
নেল পলিশ রিমুভার
পেট্রোলিয়াম জেলি/ লোশন
লেবু এবং চালের গুঁড়া, শসা গাজরের রস মিশিয়ে বানানো স্ক্রাব।
যেভাবে করবেন:
-প্রথমে নেইলপলিশ লাগানো থাকলে তা উঠিয়ে ফেলুন।
-গামলায় কুসুম গরম পানি নিয়ে এতে কিছু শ্যাম্পু মেশান। এরপর এতে ৫ মিনিট হাত ও পা ভিজিয়ে রাখুন। পায়ে ব্যথা থাকলে পানিতে একটু লবণ ছিটিয়ে নিন।
-এরপর পা মুছে নখ কেটে নিন। কিউটিকলে সমস্যা থাকলে কিউটিকল কাটার দিয়ে সাবধানে অতিরিক্ত কিউটিকল সরিয়ে নিন।
-এবার ঝামাপাথর দিয়ে পায়ের নিচে ও গোড়ালি ঘষে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া উঠে যাবে।
-এরপর নখে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে আবার ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর ম্যাসাজ করে পরিষ্কার করে নিন। একটি শুকনা তোয়ালা দিয়ে পা মুছে ফেলুন।
এরপর আসবে স্ক্রাবের পালা। প্রথমে পায়ে স্ক্রাব মেখে রাখুন তিন মিনিট। তারপর ম্যাসাজ করে নিন দুই মিনিট, তারপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
-আবার পা ধুয়ে এবার নখে ও আঙুলে লেবুর রস মেখে পরিষ্কার করে নিন। নখ চকচকে করতে বাফার ঘষে নিতে পারেন। সবশেষে পা ধুয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন লাগিয়ে নিন।
ব্যাস হয়ে গেল পেডিকিওর। ঠিক একই ভাবে হাতেও সেরে নিন...
উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় ত্বক পেতে \"ওয়াটার থেরাপি\"
খুব সহজ ও সাধারণ একটি পদ্ধতির মাধ্যমে পেতে পারেন সবসময়ের জন্য উজ্জ্বল ত্বক আর সেটা হচ্ছে ওয়াটার থেরাপি। যদিও নাম শুনে ব্যাপারটাকে অনেক কঠিন ও টেকনিক্যাল মনে হচ্ছে কিন্তু আসলে পদ্ধতিটি খুবই সহজ ও সাধারণ। পদ্ধতিটি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট বিরতিতে পানি পান করা। এই ওয়াটার থেরাপি দেহের ৭০% পানির উপর নির্ভর করে তৈরি করা।সঠিক ভাবে এই থেরাপি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল ও দীপ্ত ত্বক।
ওয়াটার থেরাপির উপকারিতা গুলো এখানে উল্লেখ করা হলো-
ভেতরের বিষাক্ত পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়
প্রচুর পরিমান পানি পান করলে তা দেহের ভেতর থেকে খারাপ বিষাক্ত পদার্থ দেহের বাইরে বের করে দিয়ে ত্বককে করে তোলে সতেজ এবং উজ্জ্বল। এটি কোলনকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে যার ফলে খাবারের মাধ্যমে গৃহীত পুষ্টি উপাদান দেহে খুব সহজে শোষিত হতে পারে। এজন্য প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো সকালে ঘুম থেকে উঠেই ২ গ্লাস পানি পান করতে হবে এর ফলে এটি নতুন রক্ত ও পেশীকোষ তৈরিতে সাহায্য করবে। ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে লসিকাতন্ত্র সম্পূর্ণ ভাবে পরিষ্কার হওয়ার ফলে তা দেহের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। যত বেশি পানি পান করবেন তত বেশি ঘামবেন। এই প্রক্রিয়ার ফলে দেহের সকল ময়লা এবং মরা কোষ ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে বের হয়ে যাবে। দেহের বিষাক্ততা বের হয়ে যাওয়য় কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করতে সাহায্য করে। এইসব উপকারিতাগুলো সরাসরি ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।
রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
প্রতিদিন ৬-৭ গ্লাস পানি পান করার ফলে তা ধীরে ধীরে দেহের বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে। রক্তে যখন বেশি পরিমান অক্সিজেন থাকবে তখন স্বাভাবিকভাবেই ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল হবে। তারপর আস্তে আস্তে পানি পানের...
কমলার খোসায় উজ্জ্বল ত্বক
সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে কমলা খুবই পরিচিত। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতের এই মৌসুমে বাজার ছেয়ে গেছে সুলভ মূল্যের কমলায়। খাওয়ার পাশাপাশি ত্বক ঘটিত সমস্যার সহজ সমাধানে কমলার খোসার জুড়ি নেই। কিন্তু সঠিক ব্যবহারের অভাবে ত্বকের কাম্য উজ্জ্বলতা পাইনা। আসুন জেনে নেয়া যাক কমলার খোসাকে রূপচর্চার উপযুক্ত উপাদানে পরিণত করার কিছু উপায়।
ত্বকের কালো দাগ তুলতে
এক টেবিল চামচ দই, আধা চামচ মধু, এক চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানাতে হবে। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করবে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা এই প্যাকে এক চা চামচ অলিভ ওয়েল বা নারিকেলের তেল যোগ করতে পারেন।
ব্ল্যাকহেডস দূর করতে
দুই চা চামচ দই এবং এক চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট করে আপনার ত্বকের ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ৩ থেকে ৪ দিনেই ব্ল্যাকহেডস কমে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
কমলার খোসা বাটা ১ টেবিল চামচ, আধা টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া, আধা টেবিল চামচ মধু নিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন ক্লান্তিহীন উজ্জ্বল ত্বক।
চুলের রং মুছে ফেলুন খুব সহজে ঘরে বসেই
খুব শখ করে চুল রং করালেন। কয়েকদিন যেতে না যেতে আর ভাল লাগছে না চুলের রং। এখন কি উপায়? চুলের রং মুছে ফেলার জন্য এখন আবার ছুটতে হবে পার্লারে, করতে হবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ! না, এখন থেকে খুব সহজেই ঘরে মুছে ফেলতে পারেন চুলের রং। তাও আবার বেকিং সোডা ব্যবহার করে। অবিশ্বাস্য মনে হলে কথাটি সত্যি। বেকিং সোডা ব্যবহার করে মুছে ফেলতে পারেন চুলের রং। আসুন জেনে নিই, কিভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করে চুলের রং মুছে ফেলতে পারবেন।
উপকরণ:
• অ্যান্টি ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু
• বেকিং সোডা
• কন্ডিশনার
পদ্ধতি:
• প্রথমে অ্যান্টি ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। যে শ্যাম্পুতে পিএইচ লেভেল বেশি থাকে সেই ধরণের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। এগুলো চুলের রং দূর করতে সাহায্য করে।
• একটি বাটিতে সমপরিমাণে বেকিং সোডা এবং শ্যাম্পু ভাল করে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন।
• পেষ্টটি খুব ভাল করে চুলে লাগান। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত এমনভাবে লাগান যাতে কোন চুল বাদ না পড়ে।
• শ্যাম্পু এবং বেকিং সোডার পেষ্টটি ৫-১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
• এরপর আবার অ্যান্টি ড্রান্ডারাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
• এরপর চুলে ভাল কোন কন্ডিশনার লাগান।
• প্রথম ধোয়াতে দেখবেন আপনার চুলের রং অনেকখানি দূর হয়ে গেছে। বিশেষ করে বেকিং সোডা ব্যবহারের কারণে চুলের রং খুব দ্রুত মুছে ফেলা যায়। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ফলে যেকোন চুলের অধিকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারে।
মনে রাখবেন:
১। প্রথমবার ব্যবহারে চুলের রং সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা না গেলেও, কয়েকবার এই পদ্ধতিতে চুল ধুলে রং দূর হয়ে যাবে।
২। চুল ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। খুব বেশি নয়, কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এটি হয়তো...
পাকা কলার যত্নে ত্বকের সৌন্দর্য
অলসতার কারণে ব্যাগের ছাতা ব্যাগেই থেকে যায়, মাথার ওপর মেলে ধরা হয় না। পাওনা হিসেবে জুটে যায় ত্বকের পোড়া ভাব। এভাবে দিনের পর দিন ত্বক হারায় নিজের উজ্জ্বলতা। ব্রণের আবির্ভাবে ত্বকে দেখা দেয় কালো দাগ। এক সময় ত্বকের সৌন্দর্য সম্পূর্ণ হারিয়ে বসলে তখন চোখে পড়ে। তাই এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে-
– বাইরে থেকে ফিরে শুধু একটি পাকা কলা চটকে নিয়ে মুখে, গলায় আর ঘাড়ে লাগিয়ে হালকা মাসাজ করতে থাকুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললেই ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে।
– ত্বকচর্চায় সপ্তাহে একদিন ভালোভাবে যত্ন নেয়া উচিৎ। দুটি মাঝারি আকারের পাকা কলা, চন্দনের গুঁড়া ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে পুরো শরীরে লাগান। ২০ থেকে ২৫ মিনিট হালকাভাবে মাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল।
– ত্বকের রুক্ষতা কাটাতে পাকা কলা, অলিভ অয়েল ও মধু একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
– ত্বকের মলিনতা কাটাতে পাকা কলা, মধু ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। হালকা টানটান হলে ধুয়ে ফেলুন।
– ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পাকা কলার সঙ্গে মিহিদানার চিনি মিশিয়ে ত্বকে লাগান এবং হালকাভাবে মাসাজ করুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
ঘরে বসেই সেরে নিন পার্লারের ৭ রকম ব্যায়বহুল হেয়ার স্পা
চুল রুক্ষ, নিস্তেজ, শুষ্ক হয়ে গেলে হেয়ার স্পা করার প্রয়োজন পড়ে। প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে উজ্জ্বল করে তুলেতে হেয়ার স্পা তুলনাহীন। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে হেয়ার স্পা করানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। এটি বেশ সময় ও অর্থ সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে চিন্তা নেই, আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়েই করে ফেলতে পারেন হেয়ার স্পা। আসুন জেনে নিই, ঘরে বসে হেয়ার স্পা সেরে ফেলার ৭ কৌশল।
১। অলিভ অয়েল ম্যাসাজ
অলিভ অয়েল ম্যাসাজ চুলের জন্য খুব ভাল একটা স্পা। অলিভ অয়েল দিয়ে মাথার তালুতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ১০ মিনিট পুরো মাথা ঢেকে রাখুন। তোয়ালের গরম ভাব চুলে স্টিমের কাজ করে। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে আপনি চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার এড়িয়ে যেতে পারেন।
২। অ্যাভোকাডো কন্ডিনশিং প্যাক
অ্যাভোকাডো নতুন চুল গজাতে সাহায্য করার পাশাপাশি চুলকে মসৃণ কোমল করে থাকে। একটি অ্যাভোকাডো চটকে নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার চুলে এই প্যাক মাখুন। ২০ মিনিট এর পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। শসার প্যাক
১ টি ডিমের সাদা অংশ, ২ টেবিলচামচ অলিভ অয়েল, ৪ টুকরো শসা দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। মাথার তালু, চুলে ভাল করে প্যাকটি লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং ঝলমলে হবে।
৪। ডিমের প্যাক
নারিকেল তেলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। সম্পূর্ণ চুলে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলকে নরম ও মসৃণ করে...
চুল ধোয়ার টুকিটাকি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিদিনই ঘরের বাইরে যেতে হয় কম বেশি সবার। আর বাইরে গেলেই ধূলোবালিতে চুল হয়ে যায় মলিন, প্রাণহীন। দেখা দেয় খুশকি, যা চুল ঝরে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। ধোয়ার সময় একটুখানি যত্ন আত্তিই সমাধান করতে পারে এই সমস্যার। আপনি বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন স্বাস্থ্যজ্বল, ঝলমলে চুল। এমনকি খুব বেশি সময় দেয়ারও প্রয়োজন নেই। চলুন দেখি চুল ধোয়ার জন্য আগে এবং পরে কী কী করলে চুলের সমস্যা থেকে অনেকটা পরিত্রান পাওয়া যায়।
চুল ধোয়ার আগে :
১। প্রতিদিন চুল ধোয়ার আগে অন্তত আধ ঘণ্টা চুলে তেল দিয়ে রাখুন । সম্ভব হলে রাতে তেল দিয়ে সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২। যাদের চুলে খুশকি খুব বেশি তারা প্রতিদিন টক দই চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন । এক সপ্তাহ টানা করলে খুশকি প্রায় পুরোটাই চলে যায়।
৩ । টকদই ব্যাবহারে যাদের চুলে অসুবিধা হয় তারা লেবু আর অলিভ অয়েল হাল্কা গরম করে চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৪। চুল মলিন হয়ে গেলে পাকা কলা আর মধু এক সাথে চটকে চুলে দিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
চুল ধোয়ার সময় :
১। চুলে শ্যাম্পু করলে সরাসরি শ্যাম্পু মাথায় লাগাবেন না, এতে মাথার স্কাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। আগে পানির সাথে মিশিয়ে তারপর চুলে লাগান।
২। চুল একবার ধোয়ার পর দ্বিতীয় বার অল্প শ্যাম্পু দিয়ে পুনরায় ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের তেলতেলে ভাব আর থাকবে না।
৩।যারা প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন তারা ১ মিনিটের বেশি সময় শ্যাম্পু মাথায় রাখবেন না আর যারা সপ্তাহে ২ বার করেন তারা ৩ মিনিটের বেশি রাখবেন না।
৪। খেয়াল রাখবেন চুল ধোয়ার পর চুলে যেন কোন শ্যাম্পু...
৫টি ঘরোয়া উপায়ে খুশকি দূরে রাখুন আজীবনের জন্য
ছেলে মেয়ে উভয়ই চুলের যে সম্যসাটাতে বেশি ভোগেন তা হল খুশকি! চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় খুশকিকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। এটা একটি স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। এই খুশকি দূর করার জন্য আমরা কত রকমের শ্যাম্পুই তো ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সেই সকল শ্যাম্পু খুশকি দূর করার চেয়ে চুলের ক্ষতিটাই বেশী করে থাকে। চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ্ম ও শুষ্ক। খুশকিও ফিরে আসে কিছুদিনের মাঝেই। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে চিরদিনের জন্য দূর করা যায় খুশকি। আসুন জেনে নিই, উপায়গুলো
১। অ্যাস্পিরিন
অ্যাস্পিরিনে স্যালিসিলিক এসিড আছে যা চুলের খুশকি দূর করে থাকে। সাধারণত খুশকি দূর করার শ্যাম্পুগুলোতে এই উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দুইটি অ্যাস্পিরিন ট্যাবলেট শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পুটি চুলে ব্যবহার করুন ১/২ বার। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন।
২। বেকিং সোডা
বেকিং সোডা দিয়ে মাথার তালুতে কিছুক্ষণ ঘষুন। বেকিং সোডা ব্যবহারের আগে মাথা ভিজিয়ে নিন। তারপর বেকিং সোডা ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করবেন না। চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি হয়তো আপনার চুলকে শুষ্ক করে দিতে পারে সাময়িকভাবে কিন্তু আপনার মাথা থেকে খুশকি দূর করে দেবে।
৩। নারকেল তেল
৪-৫ ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে তালুতে ম্যাসাজ করুন। কমপক্ষে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল থেকে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
৪। লবণ
লবণও খুশকি দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। কিছু পরিমাণ লবণ নিয়ে তালুতে ঘষুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করুন। কিছুদিনের মধ্যে মাথা থেকে খুশকি গায়েব হয়ে যাবে।
ত্বকের যত্নে যে উপাদানগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে আদিকাল থেকেই
ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার জন্য আমরা কত রকমারি পণ্য ব্যবহার করে থাকি। শুধু কি ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে? মুখের দাগ, বলিরেখা, রোদে পড়া দাগ সব সামলাতেই আমরা নানা রকম পণ্য ব্যবহার করি।
কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো আমাদের নানী দাদীরা কি এত বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতেন? করতেন না তো, তাহলে আমরা কেন এত বিউটি প্রোডাক্টের ওপর নির্ভরশীল? নানি দাদিরা বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করলেও তারা প্রাকৃতিক কিছু উপাদান দিয়ে নিয়মিত রূপচর্চা করতেন। কোন কোন উপাদান ব্যবহার করতেন আমাদের নানি দাদিরা? আসুন জেনে নিই তেমন কয়েকটা উপকরণের নাম।
১। জাফরান
মোঘল আমল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে জাফরান। কিছুটা দামী হলেও ত্বকের জন্য এটি অমূল্য। দুধের সর বা দুধের সাথে জাফরন মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। প্রতিদিন সকালে রোদে পড়া দাগের ওপর এটি লাগান। এটি রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। গোলাপ জলের সাথে কিছু জাফরান মিশিয়ে নিন। এরপর তুলার বলে সেটি লাগিয়ে মুখে লাগান। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি আপনার ত্বকের রং উজ্জ্বল করবে।
২। নিম
নিম রূপচর্চা আদি উপাদান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য এবং অনেক বেশি কার্যকরী। কয়েকটি নিম পাতা সিদ্ধ করে নিন। এরপর তুলোর বল ভিজিয়ে সারা মুখে কিছুক্ষণ ঘষুন। এটি আপনার মুখের ব্রণ হওয়া প্রবণতা কমিয়ে দিবে। এছাড়া এটি ত্বক জীবাণু মুক্ত করে থাকে।
৩। মধু
সব ধরণের ত্বকের সাথে মিশে যায় মধু। ফলে যেকোন ত্বকের অধিকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারে। মধু রোদে পোড়া দাগের ওপর ঘষুন। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি আপনার রোদে পোড়া দাগকে একদম দূর করে দিবে। বেসন, দুধের মালাই বা চন্দনের সাথে মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এটি ত্বকের যেকোন দাগ দূর করে ত্বককে করে তোলে...