রিমেক হচ্ছে ‘আম্মাজান’
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ডিমের ৪ টি অজানা অসাধারণ ব্যবহার
ডিম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার তাতে সন্দেহ নেই। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ভিটামিন এ ডি, বি৬ ইত্যাদি যা দেহের সুরক্ষায় অনেক বেশি কার্যকরী। তবে ডিম শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতাতেই নয়, সৌন্দর্য চর্চায় আরও অনেক বেশি কার্যকরী। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়েছে কিংবা চুল পড়ে যাচ্ছে? সবকিছুর সমাধান করে ফেলতে পারবেন ডিমের সাহায্যে। বিশ্বাস হচ্ছে না? আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক এমনই অসাধারণ অজানা কিছু ব্যবহার যা সত্যিই অবাক করবে আপনাকে।
১) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে অনেকেই অনেক অ্যান্টিএইজিং ক্রিম ও নানা কেমিক্যাল সমৃদ্ধ মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। এর চাইতে ব্যবহার করুন সহজলভ্য এবং কার্যকরী ডিমের মাস্ক। একটি ডিমের সাদা অংশে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর এতে দিন ক্লে, যদি ক্লে দিতে না চান তাহলে চন্দনগুঁড়ো মেশাতে পারেন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। এই মাস্কটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।
২) ত্বকের মরা কোষ দূর করতে
ত্বকের উপরে মরা কোষ জমলে ত্বক অনেক কালচে হয়ে যায় এবং ত্বকের আসল সৌন্দর্য হারাতে থাকে। এই সমস্যা সমাধান করে দেবে ডিম। কয়েকটি ডিমের খোসা ব্লেন্ডারে দিয়ে একেবারে মিহি গুঁড়ো করে নিন। এরপর তা একটি বাটিতে নামিয়ে নিয়ে এতে মেশান মধু ও লবণ। ভালো করে মিশিয়ে এই পেস্টটি পুরো দেহের ত্বকে আলতো ম্যাসাজ করে নিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। খুব সহজেই ত্বকের মরা কোষ দূর হয়ে যাবে।
৩) নখের ভঙ্গুরতা দূর করতে
খুব সহজেই নখ ভেঙে যায়? একটি কাজ করুন। ১/৪ কাপ দুধের মধ্যে ১ টি ডিমের কুসুম খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে হাত ডুবিয়ে...
মাত্র ১ মাসেই আপনার চুলকে করে তুলুন ঘন ও কালো
চুল লম্বা করা জন্য আমরা কত রকম শ্যাম্পু, হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু রাসায়নিক পন্য ব্যবহারে চুল বৃদ্ধি হলেও সেটি সাময়িক সময়ের জন্য হয়ে থাকে। ৩০ দিনে চুল ঘন করতে চান? তবে আপানাকে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। আসুন জেনে নেই ৩০ দিনে প্রাকৃতিকভাবে চুল ঘন করার উপায় যা সাময়িক নয়, বরং আজীবনের।
১। পুষ্টি সম্পূর্ণ খাদ্য গ্রহণ
দিন শুরু করুন পুষ্টিদায়ক খাবার দিয়ে। প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি, এবং সি, আয়রন, ওমেগা সমৃদ্ধি খাবার খাওয়া উচিত। সকালের নাস্তার মেন্যুতে মাংশের পরিবর্তে মাছ, ডিম, সাদা রুটি, ফল এবং সবুজ সবজি প্রটিন, ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে। ভেজিটিবেল অয়লে পাওয়া যাবে আয়রন এবং ওমেগা ৩।
২। মাথার তালু স্ক্রাব করা
প্রতিদিন নিয়ম করে মাথা স্ক্রাব করুন। মাথার মৃত কোষ, খুশকি, ময়লা দূর করে মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে স্ক্রাবিং অনেক ভাল কাজ করে। বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন স্কাল্প স্ক্রাব। ভেজিটেবল অয়েলের সাথে লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এটি চুলে বিলি করে চুলের গোঁড়ায় এটি আস্তে আস্তে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে একবার করুন।
৩। ম্যাসাজ করা
মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালনের জন্য ম্যাসাজ অনেক উপকারী। এটি রক্ত সঞ্চালনের পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। ম্যাসাজ একটু ভিন্নভাবে করতে হবে। আপনার হাতের আঙ্গুল মাথা উপর থেকে নিয়ে ঘাড়ে ছড়িয়ে দিন। এইভাবে কয়েকবার করুন। ম্যাসাজ খুব বেশী জোর দিয়ে করবেন না। এতে আপনার মাথায় চাপ পড়তে পারে।
৪। ডিমের প্যাক লাগান
চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে ডিমের ভূমিকা অনেক বেশী। ডিমে আছে প্রোটিন, আয়রন, সালফার, জিংক, সেলিয়াম।
২ টা ডিমের সাদা অংশ, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি...
উকুন দূর করার ৫ টি কার্যকর উপায়
অনেকেই উকুন সমস্যায় পড়ে থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মাথায় উকুন বেশি দেখায় যায়। উকুন একটি পরজীবী প্রাণি যা মানুষের মাথার ত্বকে বসবাস করে। এবং খুব সহজেই একজনের মাথা থেকে অন্যের মাথায় চলে আসে।
যে যে কারণে উকুন হতে পারে:
১। মাথা অপরিষ্কার থাকলে।
২। ভেজা চুল বাধাঁর অভ্যাস থাকলে।
৩। ভেজা চুল অনেকক্ষণ বাঁধা অবস্থায় থাকলে।
৪। অন্যের চিরুনি, তোয়ালে, গামছা ব্যবহার করলে।
৫। অন্যের মাথা থেকে উকুন চলে এলে।
কিভাবে দূর করবেন?
উকুন সহজে মাথা থেকে যেতে চায় না। কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে মাথা থেকে উকুন দূর করা সম্ভব। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো কি কি
১। ভিনেগার
ভিনেগার দিয়ে খুব সহজে উকুন দূর করা সম্ভব। এতে অ্যাসিটিক এসিড আছে যা উকুন দূর করতে সাহায্য করে। ভিনেগার আর পানি মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি মাথায় লাগান। ১০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
২। নারকেল তেল
উকুন দূর করার ক্ষেত্রে নারকেল তেল অনেক ভাল কাজ করে থাকে। নারকেন তেল উকুনদের শ্বাসরোধ করে দেয় ফলে উকুনরা বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। ৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং খুব সামান্য কর্পূর মিশিয়ে নিন। তেলটি মাথায় ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এরপর শাওয়ার কাপ দিয়ে মাথা ঢেকে দিন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। শুঁকিয়ে গেলে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান। দেখবেন উকুন চলে যাচ্ছে। এটি সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ দিন করুন। দেখবেন উকুন গায়েব হয়ে গেছে।
৩। পেঁয়াজ
পেঁয়াজের রসে সালফার আছে যা উকুন দূর করে থাকে। ৪/৫ টা পেঁয়াজের রস করে নিন। এরপর তা মাথায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। ২ ঘন্টা পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল...
ত্বকের বিচ্ছিরি কালো দাগ দূর করার ৫টি সহজ ও স্থায়ী উপায়
ত্বকের কালো দাগ নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। বাজারে কালো দাগ দূর করার জন্য আছে নানা ব্যান্ডের নানা ক্রিম। আবার অনেকেই কালো দাগ ঢাকার জন্য বিভিন্ন কসমেটিকস ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এইগুলো কি চিরস্থায়ী সমাধান? অনেকের ত্বকের কালো দাগ এত গাঢ় হয়ে যায় অনেককেই লেজার চিকিৎসারও আশ্রয় নিতে হয়। কালো দাগ পড়ার সাথে সাথে যদি কিছু প্যাক ব্যবহার করা যায়, তবে এই দাগ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আসুন জেনে নিই ত্বকের দাগ দূর করার কিছু খুব সহজ উপায়।
১। লেবুর ফেইস প্যাক
যা লাগবে- অর্ধেকটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু
লেবু রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। এটি আপনার মুখে ভাল করে লাগান। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে প্রথমে মুখ ধুয়ে ফেলুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোন। মুখ মুছে কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
২। চন্দনের প্যাক
যা লাগবে- চন্দনের পাউডার ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ৩ চাচামচ, গ্লিসারিন ১ চা চামচ, গোলাপ জল।
চন্দনের গুঁড়া, লেবুর রস, গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। মুখে ভাল করে লাগান , বিশেষ কএ কালো দাগের ওপর লাগান। কিছু সময় অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এই প্যাক ব্যবহার করুন।
৩। পেঁয়াজের প্যাক
অনেক দিন পুরানো হয়ে যাওয়া কালো দাগ দূর করতে এই প্যাক ভাল কাজ করে থাকে। পেঁয়াজ এবং আদা পেষ্ট করে নিন। এই পেস্টটি আপনার কালো দাগের ওপর ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এরপর ভাল কোন ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৪। দুধ মধুর ফেইস প্যাক
যা লাগবে- ৩ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, ২ টেবিল চামচ মধু
কাঁচা দুধ এবং মধু মিশিয়ে নিন।...
ফ্লাওয়ার ফেসিয়াল
নিখুঁত দাগহীন ত্বক সকলেরই কাম্য। কিন্তু ত্বকের দাগ এবং ত্বক সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যাতে অনেকেই ভুগে থাকেন। তবে তা নিয়ে মন খারাপের কোনো কারণ নেই, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে এবং বিশেষ কিছু কাজ করলে খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। অনেকেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে চলে যান পার্লারে। ফেসিয়াল করিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরণের ত্বকের সমস্যা দূর করা সম্ভব। ফেসিয়াল করলে ত্বকের ময়লা গভীর থেকে দূর হয় এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। তবে সব ধরণের ফেসিয়াল করতে কিন্তু পার্লারে ছুটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ‘ফ্লাওয়ার ফেসিয়াল যেটা মূলত ফুলের পাপড়ি দিয়ে করা হয় সেটি অনায়েসে ঘরেই করে নেয়া সম্ভব, এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের দাগ মিলিয়ে যেতে সাহায্য করে’। আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরে বসেই কীভাবে ফ্লাওয়ার ফেসিয়াল করবেন তার দারুণ পদ্ধতিটি।
১) প্রথম ধাপ
ফেসিয়ালের প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রথমেই মুখ খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। এবং খানিকক্ষণ ময়েসচারাইজার ক্রিম দিয়ে মুখ, গলা এবং ঘাড়ের ত্বক ভালো করে ম্যাসেজ করে ফেসিয়ালের জন্য প্রস্তুত করে ফেলুন। এরপর একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ক্রিম ভালো করে ত্বক থেকে মুছে নিন।
২) দ্বিতীয় ধাপ
এরপর একটি ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডস রিমুভার পিন দিয়ে কিংবা একটি ববি পিনের পেছনের অংশ দিয়ে নাকের পাশে এবং নাক ও থুঁতনির দিকের অংশ থেকে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডস তুলে ফেলুন।
৩) তৃতীয় ধাপ
দ্বিতীয় ধাপের পর পালা ত্বক স্ক্রাব করে নেয়ার। এক্ষেত্রে ত্বক আপনার পছন্দের নামী কোনো ব্র্যান্ডের স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও হারবাল স্ক্রাব ব্যবহার করতে চাইলে চালের গুঁড়ো মধু ও দুধ মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে তা দিয়ে ত্বক অল্প ম্যাসেজ করে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ত্বক...
রুক্ষ, অনুজ্জ্বল চুলকে করে তুলুন মসৃণ
চুল সামলানো সহজ কাজ নয়। আর তা যদি হয় রুক্ষ,উড়ু উড়ু চুল, তবে তো কোন কথাই নেই। সিল্কি চুলও অনেক সময় বিভিন্ন কারণে রুক্ষ,অনুজ্জ্বল হয়ে যায়। বাইরের ধুলো বালি, রোদ, আবহাওয়ায় এই সব কিছু দায়ী চুল রুক্ষ মলিন হওয়ার পিছনে।
- চুল ঝরঝরে সিল্কি রাখতে হলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হবে। নারকেল তেল হালকা গরম করে চুলে লাগাবেন। যাঁরা তেল পছন্দ করেন না, তাঁরা তেল লাগানোর দুই ঘণ্টার পর চুল ধুয়ে ফেলতে পারবেন। এতেও কাজ হবে।
- স্বাস্থ্যজ্বল চুলের জন্য তেলের সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে নিতে পারেন। এরপর তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চুল পেঁচিয়ে ১০ মিনিট রাখলেই হবে। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর অব্যশই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।
- বাজারের কেনা কন্ডিশনার ব্যবহার করতে না চাইলে বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন কন্ডিশনার। বাসায় কিভবে কন্ডিশনার তৈরি করবেন সে বিষয়ে রূপবিশেষজ্ঞ ফাতেমা সুলতানা রুমা বলেন “চায়ের লিকারের পানি বা ভিনেগার কন্ডিশনার হিসাবে অনেক ভাল কাজ করে। আবার এক টেবিল চামচ মেথি দুই লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তার পরের দিন শ্যাম্পু করার পর ব্যবহার করুন। এটিও কন্ডিশনারের কাজ করে।
- যাদের চুল তৈলাক্ত তারা তুলসীপাতা, নিমপাতা বেটে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের রুক্ষভাব দূর করে চুলকে মসৃণ করবে। এছাড়াও মেথির গুঁড়া, টকদই, ডিম ও অ্যালোভেরার জেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।
- রুক্ষ চুলের অধিকারীরা একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত এক দিন এই প্যাক ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুলের রুক্ষতা দূর করে চুল করবে স্বাস্থ্যজ্বল ও সুন্দর।
- এছাড়া অবাধ্য চুলকে...
চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করুন খুব সহজ ২ টি উপায়ে
একজন মানুষের সৌন্দর্য কি দেখে প্রথমে নির্ধারণ করা হয়? অবশ্যই তার মুখমণ্ডল দেখে। প্রথম দেখায় সকলেই মানুষটির রূপটাই দেখতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে চোখের সৌন্দর্য আসলেই অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি চোখের নিচেটা ফুলে থাকে এবং ফোলা ফোলা ভাব চলে আসে তাহলে দেখতে একটু খারাপই লাগে। চোখের কোল ফুলে যাওয়া সত্যিই বিরক্তিকর। ভাবছেন এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন? জেনে নিন খুবই সহজ দুটি সমাধান।
কেন চোখের নিচের অংশ ফোলার সমস্যা হয়
চোখের নিচ ফুলে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো যতোটা সম্ভব বাদ দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। এতে করে চোখ ফোলার সমস্যা হবেই না।
- ঘুম কম হলে বা ঘুমের সমস্যা থেকে থাকলে চোখের নিচ ফুলে যায়। সুতরাং আপনাকে নিয়ম করে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে চোখের নিচ ফুলে যায় অনেক বেশী।
- অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়ার কারণে দেহে পানি বেশী জমতে থাকে। এতে করেও অনেকের চোখের নিচে ফুলে যায়।
- সাইনাসের সমস্যা থাকলে চোখের নিচের ফোলাভাব বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপানের কারণেও চোখের নিচ ফুলে থাকে।
- পরিবারের সদস্যদের যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি আপনার জেনেটিক্যাল ব্যাপার, আর সে কারণেই আপনার চোখের নিচ ফোলা।
জেনে নিন তানিজা আহমেদের খুবই সহজ দুটি সমাধান
১) আলুর রসের ব্যবহার
‘আলুর রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান চোখের নিচের ফলাভাব এবং সেই সাথে কালচে ভাব দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী’। প্রথমে একটি আলু গ্রেট করে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন। এবং এই রস একটু ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে ফেলুন। ঠাণ্ডা আলুর রস তুলোর বলে লাগিয়ে চোখের উপরে দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এই ২০ মিনিট রিলাক্স করুন। ২০ মিনিট পর তুলোর বল ফেলে ঠাণ্ডা পানি...
মাত্র ১ মিনিটে ঘরেই তৈরি করুন দারুণ একটি পারফিউম
“সুগন্ধি” নারী পুরুষ সবার অনেক পছন্দের প্রসাধনী। নানা গন্ধের নানা ব্রান্ডের সুগন্ধি বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সব সুগন্ধি কি আপনার পছন্দের বা সব সুগন্ধি কি আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যাচ্ছে? সব সুগন্ধি সব জায়গায় সব সময় ব্যবহার করা যায় না। কড়া সুগন্ধি মেখে নিশ্চয়ই আপনি আফিসে যাবেন না। আবার জমকালো পার্টিতে হালকা, সাদামাটা সুগন্ধিও যেন বেমানান। পোশাকে যেমন আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে, সুগন্ধির ক্ষেত্রেও তাই। সুগন্ধি আপনাকে দেবে স্বচ্ছ, নিখুঁত হওয়ার প্রেরণা। একটি ভাল মানের সুগন্ধি আপনার দেহজুড়ে ১০ ঘণ্টা বা তার অধিক ঘ্রাণ ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় বাজারে পছন্দমত সুগন্ধি পাওয়া যায় না। আবার বাজারের সুগন্ধি ব্যবহারে অনেকের ত্বকে হতে পারে র্যাশ। যদি সুগন্ধিটা নিজে বানিয়ে নেওয়া যেত তবে কেমন হত? মাত্র তিনটি উপাদান দিয়ে এক মিনিটে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন নিজের পছন্দের সুগন্ধি। আসুন জেনে নিই, এক মিনিটে সুগন্ধি বানানোর উপায়টি।
যা যা লাগবে
একটি খালি স্প্রে বোতল
চিনিমুক্ত ভ্যানিলা এসেন্স
এসেন্সিয়াল অয়েল ( ল্যাভেন্ডার, রোজমেরী, জেসমিন)
যেভাবে তৈরি করবেন
স্প্রে বোতলটি ভাল করে ধুয়ে নিন। পুরাতন কোন সুগন্ধির শিশি ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ এতে পুরাতন সুগন্ধির ঘ্রাণ থেকে যায়। তাই নতুন কোন স্প্রে বোতল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
খালি স্প্রে বোতলে ভ্যানিলা এসেন্স ঢালুন।
এতে আপনার পছন্দমত এন্সেসিয়াল অয়েল যোগ করে নিন। ল্যাভেন্ডার, রোজমেরী, জেসমিন , গোলাপ যে কোন এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
এখন খুব ভাল মত ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন।
তারপর নিজের হাতের উলটো পিঠের এক অংশে স্প্রে করে দেখুন কি দারুণ ঘ্রাণের একটি সুগন্ধি তৈরি হয়ে গেছে।
কোথায় পাবেন
ভ্যানিলা এসেন্স আমাদের আশেপাশের দোকানগুলোতে পাওয়া যাব। তবে একটি ভাল মানের ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করা উচিত। ভ্যানিলা এসেন্স অব্যশই...
বৃষ্টিদিনের সাজ
বর্ষপঞ্জির হিসেবে বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে অনেক আগে। কিন্তু অঝোর ধারা বৃষ্টি এখনও মাঝে মাঝে আমাদের ভিজিয়ে দেয়। এই বৃষ্টি এই কড়া রোদ। বাসা থেকে বের হলেন কড়া রোদ দেখে কিছুদূর যাওয়ার পর পরলেন ঝুম বৃষ্টির কবলে। তখন ভাবুন তো অবস্থা! কাজের খাতিরে হোক বা কোন নিমন্ত্রণ রক্ষার তাগিদে হোক প্রতিনিয়ত আমাদের বের হতে হয় আর তার সাথে করতে হয় মেকআপ।
কিন্তু এই আবহাওয়ায় মেকআপ ঠিক রাখাটা অনেক বেশি ঝামেলার। তাই সাজার সময় থাকতে হয় একটু বেশী সতর্ক। এই সময়টাতে মেকআপের জন্য ওয়াটারপ্রুফ (পানি নিরোধক ) উপকরণ ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা, কাজল আর আইলাইনার ব্যবহার করাটা জরুরি। এই তিনটি প্রসাধনী যদি পানিরোধী না হয়, তাহলে ভিজে গেলে পুরো সাজটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
ফাউন্ডেশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের রং অনুযায়ী ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। তবে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পূর্বে ভাল মানের কোন প্রাইমার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আধ ঘন্টা আগে প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ত্বকের সাথে খুব ভাল করে মেকআপ মিশে যায়। এতে ঘেমে গেলেও মেকআপ মুছে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
প্রাইমারের পরিবর্তে আপনি চাইলে বিবি ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। ফাউন্ডেশন লাগানোর পূর্বে বিবি ক্রিম লাগিয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য “flawless by sonya aloe bb cream” ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিন।
জেনে নিন এই সময়ের সাজের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ—
-এ সময় মেকআপ হওয়া উচিত একটু উজ্জ্বল ধরনের। তবে খুব ভারী মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো।
-ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। এ সময় গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করলে তা ভিজে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-আইশ্যাডো ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ম্যাট আইশ্যাডো বেছে নিতে পারেন। তবে দিনেরবেলার সাজের ক্ষেত্ররে বেজ রং এর আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন।...