Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image

তার হাত ধরেই বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন স্বপ্নের চাষ



বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। ১৯৪১ সালে অক্টোবরের ২৩ তারিখ বিক্রমপুরের শ্রীনগর থানার সমষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। খ্যাতিমান এই নির্মাতা ২০১৫ সালের ১১ জানুযারি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

১৯৬১ সালে আরেকজন খ্যাতিমান পরিচালক ফতেহ লোহানীর সঙ্গে 'আছিয়া' চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রাকার ওবায়েদ-উল-হকের সহকারী হিসাবে 'দুইদিগন্ত' চলচ্চিত্রে কাজ করেন ১৯৬৩ সালে। ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনিই প্রথম নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক চলচ্চিত্র 'ওরা ১১ জন’। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধনির্ভর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র ‘ওরা ১১ জন’। এর পর নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’ (১৯৭৪)। স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পর পর দুটি চলচ্চিত্র পরিচালনার কারণে চাষী নজরুল ইসলাম অল্প দিনেই আলোচনায় চলে আসেন।

চাষী নজরুল ইসলামের বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হল-‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘হাছনরাজা’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’, ‘ধ্রুবতারা’, ‘দুই পুরুষ’ ‘বাজিমাত’, ‘দেবদাস’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’, ‘বিরহ ব্যথা’, ‘রঙিন বেহুলা লক্ষ্মীন্দর’, ‘ভালো মানুষ’, মহাযুদ্ধ’, ‘শিল্পী’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ ও ‘রঙিন দেবদাস’ ‘লেডি স্মাগলার’, ‘মিয়া ভাই’, ‘তিন কন্যা’, ‘বাসনা’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘আজকের প্রতিবাদ’।

সর্বাধিক মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্যনির্ভর সিনেমার নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ এবং ১৯৯৭ সালে ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’র জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া ‘শুভদা’ (১৯৮৬), ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ (১৯৯১), ‘হাছনরাজা’ (২০০২) শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৪ সালে তিনি একুশে পদক সম্মাননায় ভূষিত হন।

তিনি চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। চাষী নজরুল বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সবার অতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এছাড়াও তিনি আমাদের জাতীয় তিন নেতাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র শেরেবাংলা, মওলানা ভাসানী ও দেশ জাতি জিয়াউর রহমান।