রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে খাগড়াছড়ির রহস্যময় আলুটিলা গুহা
রূপচর্চায় তেজপাতার অসাধারণ ৬টি ব্যবহার
তেজপাতাকে আমরা শুধুমাত্র রান্নায় স্বাদ ও গন্ধের কাজেই ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও তেজপাতার অসাধারণ পুষ্টিগুণ আমাদের নানা শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় তেজপাতার রয়েছে আরও বেশ কিছু অসাধারণ ব্যবহার। আর তা হচ্ছে রূপচর্চায়। ত্বকের রিংকেল, চুল পড়ার সমস্যা, চুলের খুশকি এবং উকুন কিংবা দাঁতের হলদেটে দাঁত যে কোনো কিছু থেকে মুক্তি দিতে পারে তেজপাতা। অবাক হচ্ছেন? চলুন তাহলে আজকে দেখে নিন রূপচর্চায় তেজপাতার এমনই কিছু অসাধারণ ব্যবহার।
১) ব্রণ, রিংকেল দূর করতে
একটি প্যানে ২ কাপ পানিতে ৫ টি শুকনো তেজপাতা নিয়ে ঢেকে জ্বাল দিন। এরপর ঢাকনা খুলে ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে একটি সসপ্যানে নামিয়ে নিন। এরপর একটি তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ সসপ্যানটি ঢেকে ভাপ আপনার ত্বকে নিন। এভাবে মিনিট দশেক ভাপ নিলেই যথেষ্ট। সপ্তাহে ২ বার এভাবে করুন ব্রণ ও রিংকেল সমস্যার সমাধান করতে।
২) ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে
তেজপাতার অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের যে কোনো ইনফেকশন দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ছোটখাটো কাটা ছেঁড়া, জখমের দাগ এবং পোকামাকড়ের কামড়ের সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারেন কাঁচা তেজপাতার রসের মাধ্যমে।
৩) চুল পড়ার সমস্যা এবং খুশকি দূর করতে
পানিতে তেজপাতা ভালো করে ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও তেজপাতার তেল মাথার ত্বকে লাগালে চুলের খুশকি সমস্যা থেকেও দ্রুত রেহাই পাবেন।
৪) উকুন সমস্যার সমাধান করতে
৫০ গ্রাম তেজপাতা গুঁড়ো করে নিয়ে ৪০০ মিলি পানিতে জ্বাল দিতে থাকুন যতোক্ষণ না ১০০ মিলিতে পৌছায়। শুকিয়ে এলে ছেঁকে পানি আলাদা করে নিন। এই পানি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন। ৩/৪ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।...
ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর করুন খুবই সহজ ৩ টি উপায়ে
ডার্ক সার্কেলের সমস্যায় নারী পুরুষ যে কেউই পড়তে পারেন। মানসিক চাপ, রাত জাগার কারণে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা দেয়। ক্ষতিকর না হলেও দেখতে একটু বিশ্রী লাগে বলে অনেকেই ডার্ক সার্কেলের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। চোখের নিচে কালচে দাগের কারণে চোখও ছোট দেখায়। কিন্তু এই সমস্যা এতো কঠিন কিছু নয় যে এর সমাধান করা যাবে না। বরং অনেক সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। রান্নাঘরের খুবই সহজলভ্য কিছু জিনিস দিয়েই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক ডার্ক সার্কেল সমস্যার খুব সহজ কিছু সমাধান।
১) টমেটোর ব্যবহার
টমেটো ডার্ক সার্কেল দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। কালচে দাগ দূর করে এবং ত্বকের নমনীয়তা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে টমেটোর রস।
যা যা লাগবে
- ১ চা চামচ টমেটোর রস
- ১ চা চামচ লেবুর রস
পদ্ধতি
- লেবুর রস ও টমেটোর রস একসাথে মিশিয়ে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেলের উপরে লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখুন ১০ মিনিট।
- ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।
- এভাবে দিনে ২ বার ব্যবহার করুন। খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান পাবেন।
২) আলুর ব্যবহার
ডার্ক সার্কেলের সমস্যা সমাধানে আলু অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে এর চাইতে সহজ অন্য কোনো পদ্ধতি নেই।
যা যা লাগবে
- আলু
- তুলোর প্যাড
পদ্ধতি
- আলু গ্রেটারে গ্রেট করে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন।
- এই আলুর রস তুলোর প্যাডে লাগিয়ে নিন। এরপর এই তুলোর প্যাড চোখ বন্ধ করে চোখের উপর চেপে লাগিয়ে নিন।
- ১০ মিনিট রিলাক্স করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
- নিয়মিত ব্যবহারে দ্রুত ডার্ক সার্কেলের...
দারুণ কার্যকরী ১ টি উপায়ে দূর করুন ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যা
ত্বকের সবচাইতে বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক সমস্যাগুলোর মধ্যে ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যা অন্যতম। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মিতে বেশী সময় ধরে থাকা, অযত্ন এবং চিনি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর মূল কারণ হচ্ছে এইসকল কাজের কারণে ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর স্থায়ী ক্ষতি হয় এবং ত্বক তার স্বাভাবিক ইলাস্টিসিটি হারিয়ে ফেলে। ইলাস্টিসিটি হারানোর কারণেই ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুবই সহজ তবে কার্যকরী ১ টি উপায়ে। চলুন আজকে শিখে নেয়া যাক দারুণ কার্যকরী এই সমাধানগুলো।
ডিমের সাদা অংশ ও টকদইয়ের মাস্ক
যা যা লাগবে
- ডিমের সাদা অংশ
- ১ চিমটি চিনি
- ২ টেবিল চামচ দই
পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি
- একটি বাটিতে সকল উপকরণ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মসৃণ মিশ্রণের মতো তৈরি করে ফেলুন যাতে কোনো লাম্প না থাকে।
- এবারে এই মিশ্রণটি ব্রাশের মাধ্যমে পুরো ত্বকে, মুখ , গলা এবং বুকের সামনের অংশে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- ১৫ মিনিট এভাবেই রেখে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যাবহারেই দারুণ ফল পাবেন।
কার্যকারণ
ডিমের স্বাদ অংশ সরাসরি ত্বকের কোলাজেন টিস্যুতে কাজ করে এবং কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতিপূরণ করে ত্বকের ইলাস্টিসিটি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। ডিমের সাদা অংশ প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট নামে পরিচিত যা ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এবং টকদই ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
মনে রাখুন জরুরী কিছু বিষয়
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলতে।
- সকালে এবং রাতে কাঠবাদামের তেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে মিশিয়ে ত্বক ময়েসচারাইজ করার...
ঈদের ঝুঁট-ঝামেলায় গৃহিণীদের হাতের যত্ন
কোরবানির ঈদে যত ঝড় ঝাপটা যায় নারীদের হাতের ওপর দিয়ে। প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মাংস কাটাকুটি তো আছেই, সেই সাথে মাংস রান্না করার কাজটাও তাদেরই সামলাতে হয়। এসব করতে গিয়ে হাতের বারোটা বেজে গেলে কী করবেন? জেনে নিন ভীষণ দরকারি কিছু টিপস।
১) কাঁচা মাংস কাটার পর সাবধানতা
কাঁচা মাংস কাটাকুটি শেষে পুরো ঘর পরিষ্কার তো করবেনই, সেই সাথে নিজের হাতটাও পরিষ্কার করা চাই খুব ভালো করে। নয়তো খাবারে খুব বাজে জীবাণু চলে যেতে পারে। কাঁচা মাংস কাটার পর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এরপর হাত শুকিয়ে নেবেন ভালো করে। এর জন্য অ্যান্টিসেপ্টিক সাবান ব্যবহারের দরকার নেই, সাধারণ সাবানেই চলবে। অ্যান্টিসেপ্টিক সাবান হাতের ত্বককে আরও রুক্ষ করে দেবে।
২) হলুদের দাগ দূর
মাংস সংরক্ষণ এবং রান্নার জন্য হলুদ প্রচুর ব্যবহার হয়। বেশি সময় ধরে হাতে হলুদ মেখে থাকলে পরে সেটা তুলতে সমস্যা হয়। হাত এবং নখ হলদে হয়ে থাকলে খুব বাজে দেখা যায়। এর জন্য প্রথমে সাবান দিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। কাজ না হলে এক টুকরো লেবু ঘষে নিন হাতে, এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতেও যদি কাজ না হয়, তবে চিনির সাথে কিছুটা পানি অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে হাতের ত্বক ম্যাসাজ করুন। হলুদের রঙ উঠে আসবে। এই অলিভ অয়েল এবং সুগার স্ক্রাবটি ত্বকে কোমলতা ফিরিয়ে আনতেও ভীষণ কার্যকরী।
৩) হাতের ত্বকের যত্ন
মুখটা দেখতে খুব সুন্দর লাগছে অথচ হাত রুক্ষ বিবর্ণ, কেমন বেমানান লাগবে ভাবুন তো! এর জন্য হাতের যত্ন নেওয়াটা খুব জরুরী। ঈদের ধকল যাবার পর হাতের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হাতের ত্বকের জন্য তৈরি করে ফেলতে পারেন দারুণ সহজ একটি মাস্ক,...
যে কোন প্রকার ত্বকই এক নিমিষে ফর্সা করবে এই দারুণ ২টি ফেসপ্যাক
ঈদের সময় থাকে শতেক কাজ। অনেকেরই মেলে না রূপচর্চার একটুখানি সময়। তারপর সারাদিনের কাজ শেষে দেখায় ক্লান্ত, মলিন ও কালো। তাহলে উপায়? বেড়াতে যাওয়ার আগে কি চেহারার উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়? ঘরোয়া কিছু প্যাক ব্যবহার করে খুব সহজেই চেহারার ক্লান্তি ভাব দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। কীভাবে? আসুন জেনে নিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এমন দুটি ফেস প্যাক। বেড়াতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে নিতে পারেন এর যেকোন একটি। আর এক নিমিষে পেয়ে যান উজ্জ্বল প্রাণবন্ত ফর্সা ত্বক।
১। কলা পেঁপের ফেস প্যাক
যা প্রয়োজন-
১ টুকরো পেঁপে
১ টুকরো কলা
১/৪ চাচামচ লেবুর রস
-পেঁপে, কলা ভাল করে মিশিয়ে পেষ্ট করে নিন। এবার এতে লেবুর রস দিয়ে আবার ভাল করে মেশান। প্যাকটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। ১৫ মিনিট পর প্যাক শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
যেভাবে কাজ করে
পেঁপেতে এক প্রকার এনজাইম আছে যা ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে, দাগ দূর করে থাকে। ফ্রুট ফেস প্যাক সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী হয়ে থাকে। তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুয়ে নিতে ত্বককে মসৃন করতেও এই প্যাকের জুড়ি নেই।
২। বেসন, হলুদ, মধুর ফেইস প্যাক
যা প্রয়োজন
বেসন
হলুদ
মধু
লেবুর রস
-২ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মধু, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, এবং ১/২ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে যাতে বেসনের কোন দানা না থাকে। এবার মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। মুখ শুকানোর পর প্যাকটি লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্যাক শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সাথে সাথে আপনি পেয়ে যাবেন উজ্জ্বল ত্বক।
ব্রণ প্রতিরোধ করবে যে ৫টি খাবার
ছেলে মেয়ে সবাই ত্বকের যে সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকেন, তা হল ব্রণ। ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই নয় ব্রণের কালো দাগ সহজে ত্বক থেকে দূরও হতে চায় না। এই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কত দামি দামি প্রসাধনী না ব্যবহার করি। কত রকমের রূপচর্চা করে থাকি। তাও মুক্তি মেলে না ব্রণের হাত থেকে। রূপচর্চা করার পাশাপাশি কিছু খাবার খাওয়া উচিত ব্রণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। এই খাবার গুলো ভিতর থেকে ব্রণ প্রতিরোধ করে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ব্রণ প্রতিরোধ করে থাকে এমন কিছু খাবারের নাম।
১। মাছ
ব্রণ প্রতিরোধ করে এমন খাবারগুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। মাছে আছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই এসিড আমাদের দেহের ইনফ্লামমেশন দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে। যা ব্রণ হবার প্রবণতা হ্রাস করে থাকে।
২। বাদাম
বাদামে সেলিয়াম, ভিটামিন ই, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন আছে। যা ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার রোধ করে থাকে। বাদাম বিশেষ করে কাজুবাদাম ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। প্রতিদিন কিছু পরিমাণে বাদাম খাওয়া অভ্যাস আপনাকে দিবে ব্রণ মুক্ত স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বক।
৩। লাল আঙ্গুর
আঙ্গুর আমাদের সবার অনেক পছন্দের ফল। লাল আঙ্গুরে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের প্রদাহ রোধ করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে থাকে। শুধু লাল আঙ্গুর না এর বীচিও অনেক বেশি পুষ্টিদায়ক। এছাড়া লাল আঙ্গুর ত্বকের অ্যালার্জি রোধ করে থাকে।
৪। রসূন
ওজন কমাতে বা হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে রসূনের গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই রসূন যে ব্রণ রোধ করতে সাহায্য...
রূপচর্চায় দুধের অসাধারণ ৫ ব্যবহার
দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো তা সকলেই জানেন। এছাড়াও নিয়মিত দুধ পান ত্বকের জন্যও বেশ কার্যকরী। তবে খাওয়া পর্যন্তই দুধ পানের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায় না। দুধের আরও অনেক ব্যবহার রয়েছে রূপচর্চার ক্ষেত্রে যা ত্বক ও চুল সবকিছুর জন্যই বেশ উপকারী। আজকে জেনে নিন রূপচর্চায় দুধের এমনই দারুণ কিছু ব্যবহার সম্পর্কে যা আপনার ত্বক ও চুলের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
১) ফেসিয়াল ক্লিনজার হিসেবে দুধ
বাজারে কিনতে পাওয়া প্রায় সকল ফেসিয়াল ক্লিনজারে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে যা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে। এরচাইতে ব্যবহার করতে পারেন দুধ। শুধুমাত্র তুলোর বলে দুধ ভিজিয়ে ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। বেশ ভালো কাজে দেবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরে পাবেন।
২) ময়েসচারাইজার হিসেবে দুধ
রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের জন্য কেমিক্যাল সমৃদ্ধ ময়েসচারাইজার ব্যবহার না করে শুধুমাত্র দুধ ব্যবহারেও অনেক ভালো ফলাফল পাবে। দুধে মধু মিশিয়ে ত্বকে সামান্য সময় ম্যাসাজ করে নিন এবং এরপর ত্বক ভালো করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়াও পাকা করা পিষে দুধ মিশিয়ে প্যাক ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাবেন।
৩) ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দুধ
তাৎক্ষণিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দুধের কার্যকারিতা অনেক বেশী। সামান্য একটু চিনির সাথে দুধ মিশিয়ে ত্বক আলতো করে ম্যাসাজ করে নিন। এতে করে ত্বকের উপরের কালচে মরা কোষ দূর হবে এবং দুধ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে তাৎক্ষণিকভাবেই।
৪) ত্বকের দাগ দূর করতে দুধ
ত্বকের যেকোনো ধরণের দাগ দূর করতেও দুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ দুধে রয়েছে মাইল্ড অ্যাসিড যা ত্বকের দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে দিতে সক্ষম। আলু গ্রেট করে চিপে তা থেকে রস বের করে...
মাত্র ১ টি উপায়ে দূর করুন অতিরিক্ত চুল পড়ার যন্ত্রণা
চুলের অন্যান্য সমস্যার চাইতে বেশী সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত চুল পড়া। কারণ রুক্ষ শুষ্ক চুলও মেনে নেয়া যায় কিন্তু অতিরিক্ত চুল পড়ে মাথা প্রায় খালি হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি কেউ মেনে নিতে পারেন না। বিশেষ করে নারীরা। কিন্তু এই নিয়ে আরও যতো দুশ্চিন্তা করবেন ততো বেশী করে চুল পড়তে থাকবে। এর চাইতে ঘরেই দারুণ একটি উপায়ে দূর করে দিন চুল পড়ার যন্ত্রণা চিরকালের জন্য। অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এটি বেশ কার্যকরী। ব্যবহার করেই দেখুন। বেশ উপকার পেয়ে যাবেন কিছুদিনের মধ্যেই।
যা যা লাগবে:
- দেড় কাপ আলুর রস
- ১ চা চামচ মধু
- সামান্য পানি
- ১ টি ডিমের কুসুম
পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি
- পরিষ্কার চুলে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ আগের দিন চুল পরিষ্কার করে নিয়ে পরের দিন ব্যবহার করতে পারেন এই হেয়ার প্যাকটি।
- একটি বাটিতে সকল উপকরণ পরিমাণ মতো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন যেনো সম্পূর্ণ ভালো করে মিশে যায় সবকিছু।
- এরপর চুল একটু ভিজিয়ে নিয়ে এই প্যাকটি পুরো চুলে লাগান, বিশেষ করে মাথার ত্বকে, চুলের গোঁড়ায়। এরপর ৩০ মিনিট এভাবেই রাখুন।
- ৩০ মিনিট পর চুল খুব ভালো করে ধুয়ে নিন এবং ফ্যানের বাতাসে চুল শুকান। সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ব্যবহার করুন। কয়েক মাসের মধ্যেই চুল পড়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
কার্যকারণ
আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি এবং ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস যা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের অতিরিক্ত রুক্ষতা যার কারণে চুল পড়ে এবং ভেঙে যায় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। মধু এবং ডিমের কুসুম চুলের কোলাজেন টিস্যুর সুরক্ষায় কাজ...
ব্রণের সমস্যা নিয়েও মেকআপ করার এক ডজন টিপস
ত্বকে ব্রণের উপদ্রব থাকলে মেকআপ ব্যবহার করতে চান না নারীরা। কারণ এতে ব্রণ আরও ফুটে ওঠে। আবার মেকআপ করলে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই সমস্যা আর নয়। ব্রণ ঢেকে মেকআপ করার দারুণ কার্যকরী টিপসগুলো দেখে নিন এখনই।
১) অনেকের ত্বকে খুব সহজেই ব্রণ ওঠে। তারা সাধারণ মেকআপ ব্যবহার না করে নন-কমোডোজেনিক বা নন-অ্যাকনিজেনিক পণ্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের পোর বা রোমকূপ বন্ধ করে না ফলে ব্রণের ভয় কমে যায়।
২) পাউডার ধরণের মেকআপ কম ব্যবহার করুন। তার বদলে বেছে নিন ওয়াটার বেসড লিকুইড মেকআপ। যেমন লিকুইড ফাউন্ডেশন এবং ব্লাশ।
৩) ভারী ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। এর বদলে ব্যবহার করুন একেবারেই হালকা ফাউন্ডেশন। টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারগুলো এক্ষেত্রে বেশি ভালো কাজ করে।
৪) ওয়াক্স আছে এমন পণ্য, অথবা স্টিক, প্যানকেক, পাউডার ধরণের ফাউন্ডেশনগুলো ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এগুলো ব্রণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৫) নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন আপনার মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ। কিছুদিন পরপর এগুলো পরিবর্তন করাতাও ভালো। কারণ পরিষ্কার না করলে আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং অতিরিক্ত মেকআপ এগুলোতে লেগে থাকে। ফলে ত্বকে মারাত্মক ব্রণের উপদ্রব হতে পারে।
৬) আলতো হাতে মেকআপ দিন। বেশি দ্রুত বা ঘষাঘষি করে মেকআপ দিতে গেলে ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হবে। ত্বকে যতো কম হাত দেওয়া যায় তত ভালো।
৭) ত্বক কখনো বেশি শুষ্ক হতে দেবেন না। ত্বক শুকনো রাখলে তা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে এবং আরও বেশি বাড়বে ব্রণ। সারাদিন যেন ত্বক আর্দ্র থাকে তার জন্য হালকা একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন দিনে শুরুতেই।
৮) মেকআপ শুরুর আগে অয়েল ফ্রি প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে তা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে আর সারাদিন মেকআপ...