বলিউডি ছবিতে ভাই-বোনের অকৃত্রিম রসায়ন
নিম পাতার অসাধারণ উপকারিতা
নিমের বৈজ্ঞানিক নাম Azadirachta indica । নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাকও বলা হয়। আমাদের সবার পরিচিত নিম আয়ুর্বেদ, প্রাকৃতিক, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নিমে ব্যাকটেরিয়া নাশক, ভাইরাস নাশক, ছত্রাক নাশক, বেদনানাশক, জ্বর নাশক, পচন নিবারক, জীবাণুনাশক, অ্যান্টি ডায়াবেটিক, রক্ত পরিষ্কারক এবং স্পারমিসাইডাল উপাদান আছে। নিমের নানাবিধ ঔষধি গুণের জন্য একে ‘ওয়ান ট্রি ফার্মেসি’ও বলা হয়। নিম গাছ পরিবেশের জন্যও অনেক উপকারী। নিম গাছের প্রতিটা অংশ- শিকড়, বাকল, আঠা, পাতা, ফল, ডাল,বীজ এবং বীজের তেল ভেষজ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়। নিমের কয়েকটি উপকারিতার বিষয়ে আমরা জেনে নেব আজ।
১। খুশকির চিকিৎসায়
নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে।
-চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না পানিটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে
-এই পানি ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।নিমের পানি কন্ডিশনারের মত কাজ করবে।
-সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়।
২। ওজন কমাতে
যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে। নিম ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে।
-একমুঠো নিম ফুল চূর্ণ করে নিন
-এর সাথে এক চামুচ মধু এবং আধা চামুচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান।
-প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন।
৩। রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে
নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি...
শীতকালীন সময়ে উপযুক্ত ত্বকের যত্ন
গরমের তীব্রতা কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে গেছে শীতের আমেজ। স্বস্তি পেতে এখনো ফ্যান বা এসির বাতাসে বসতে হয়। অথচ এই সময়টাতে ত্বকের শুষ্কতা বেশি অনুভূত হয়। অনেকে বিষয়টি একদমই পাত্তা দিতে চান না। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে থাকে না কোনো সুষ্ঠ ব্যবস্থা। এই সুযোগে ত্বকে শুরু হয় সুক্ষ্ম ফাটল। এক সময় তা বড় আকার ধারণ করলে চোখে পড়ে। বিশেষ করে পায়ের গোড়ালির চামড়া ক্ষতিগ্রস্থ হয় বেশি। হাতের কনুই রুক্ষ্ম, নখের চারপাশের চামড়া ওঠা, হাতের তালুর চামড়ায় খসখসে ভাব চলে আসে। মুখের সুন্দর ত্বক শুষ্ক ও মলিন হয়ে পড়ে। এতে ব্রণের উপদ্রবও বেড়ে যায়। ফলে নিজের চিন্তা ধারায় একটা অস্বস্তি বা উদাসীনতা চলে আসে। অপর দিকে ঝরঝরে মসৃণ ত্বক আপনাকে সুন্দর করে তোলে আবার কর্মজীবনেও ফিরিয়ে দেয় উদ্যামতা। তাই জেনে নিন শীতের শুরুতে কীভাবে যত্ন নিলে ত্বক থাকবে সুস্থ, সুন্দর আর কোমল।
এ সময় হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম দিতে হবে। তবে অনেকের সমস্যা হল, ত্বক শুষ্ক থাকে অথচ ক্রিম দিলে তা দ্রুত ঘেমে যায়। তাই খুব বেশি তৈলাক্ত ক্রিম ব্যবহার না করে মাঝারি তৈলাক্ত ক্রিম খুব অল্প পরিমানে ব্যবহার করতে পারেন। তারপরও যদি ঘেমে ওঠে, উদ্বিগ্ন না হয়ে টিস্যু দিয়ে চেপে চেপে ঘাম মুছে নিলে পুরো দিনের জন্য ফ্রেশ। এসময় ঋতু উপযোগী সানস্ক্রিন (এসপিএফ ৪০ এর উপরে) ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
ত্বকের বিড়ম্বনার সঙ্গে পা ফাটার ঝামেলাও কম নয়। ফাটা ত্বকে ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে হাত ও পায়ের গোড়ালিতে মাখুন। বিশেষভাবে রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকরী। সকালে ঘুম...
আসছে শীতে ৫টি উপায়ে চুলগুলোকে রাখুন ঝলমলে
শীতকালে ত্বক ও চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ, শুষ্ক। সঠিকভাবে যত্ন না নিলে চুল পড়া বেড়ে যায় অনেকখানি। তাই শীতকালে চুলের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। জেনে রাখুন কিছু টিপস, যা শীতকালেও আপনার চুল রাখবে স্বাস্থ্যোজ্বল এবং সুন্দর।
১। বাতাসের আর্দ্রতা থেকে চুলকে রক্ষার জন্য মাথায় স্কার্ফ বা হ্যাট ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে থাকবে। সিল্কের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুল রক্ষা করার সাথে সাথে ফ্যাশনও করা হবে।
২। চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আমাদের মাথার ত্বক সাধারণত শুষ্ক থাকে, গরম পানি ব্যবহার ত্বক আরও বেশি শুষ্ক করে তোলে। গরম পানি ব্যবহার করার পরিবর্তে গরম এবং ঠান্ডা পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। এটি চুলের ত্বকের ময়োশ্চারাইজ ধরে রেখে চুল পরিষ্কার করে থাকে।
৩। শ্যাম্পু করার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই শীতকালে যতবার শ্যাম্পু করবেন ততবার কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। বিশেষ করে এই সময় ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। কন্ডিশনার হিসেবে আপনি ডিমের কসুম ব্যবহার করতে পারেন। ১টি ডিমের কসুম, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ কাপ পানি মিশিয়ে নিন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। ঘরোয়া কন্ডিশনার হিসেবে এটি বেশ কার্যকরী।
৪। শ্যাম্পু করার আগে তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল, বাদাম তেল বা সরিষার তেল যেকোন তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে ম্যসাজ করে নিন। এটি মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। আপনি চাইলে যেকোন এসেনশিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার অয়েল, চা গাছের তেল বেশ উপকারী। নারকেল তেলের সাথে এই অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৫। এই শীতে চুলের যত্নে নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করুন। তা যেকোন...
দ্রুত সাজগোজের সহজ ১০টি কৌশল
অনেক সময় এমন তাড়াহুড়া থাকে যে নিজেকে একটু সাজিয়ে নেয়ার সময় থাকে না হাতে কিংবা সাজগোজ করতে ভুলেই যান আপনি। কিন্তু খুব দ্রুত সাজতে পারার টেকনিক গুলো যদি শিখে নেয়া যায়, তাহলে আর অগোছালো থাকতে হবেনা। অল্প সময়েই আপনি থাকতে পারবেন একদম টিপটপ। আজ আসুন এমন কিছু কৌশল জেনে নিই।
১। চোখে মাশকারা দিতে ভুলে গেছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনার হাতে একটু পানি নিয়ে চোখের পাতায় ছিটা দিন। এটি দারুণ ভাবে কাজ করে। এতে আপনার চোখের পাপড়িগুলো অনেক ঘন,কালো ও সুন্দর দেখাবে।
২। অনেক সময় এমন হয়ে থাকে যে আপনি কোন অনুষ্ঠানে গেছেন কিন্তু চোখে সাজতে ভুলে গেছেন। তখন সাথে লিপস্টিক থাকলে আপনার হাতের আঙ্গুলে সামান্য লিপস্টিক লাগিয়ে চোখের পাতায় ঘষে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন যাদের বাহিরে যেতে হয় তারা চোখের পাতায় ভেসেলিন লাগাতে পারেন। এতে চোখের পাতা দীপ্তি ছড়াবে।
৩। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। এটা করলে সারাদিন লিপস্টিকের রঙ ঠিক থাকবে।
৪। ব্রণের উপর ভেসেলিন লাগিয়ে নিলে ব্রণের লাল ভাব কমবে। ত্বক দেখাবে ফ্রেশ।
৫। ব্যায়ামের পরে মুখ লাল হয়ে যায়। একটি তোয়ালে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে ২ মিনিট ঘাড়ে চেপে রাখুন। মুখের লাল ভাব কমে যাবে।
৬। বাহিরে যাওয়ার আগে এক চিমটি বেবি ওয়েল মাথার চুলে বুলিয়ে নিন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
৭। নো মোর ডারটি লুকস এর সহ প্রতিষ্ঠাতা সিওভান ও কনর বলেন,ড্রায়ার না করতে চাইলে সকালে গোসলের পরে চুল শুকানোর জন্য পেপার টাওয়েল বা টিস্যু দিয়ে চুল মুছে নিন এবং ১০ মিনিট বাতাসে শুকিয়ে নিন। তারপর ভাল কোন স্প্রে দিয়ে স্প্রে করে নিন।
৮। ফাউন্ডেশন-এর সাথে ভেসেলিন এবং হাল্কা গোলাপি লিপগ্লস মিশিয়ে নুড...
কী করে দাড়ির যত্ন নেবেন
অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন দাড়ি রাখবেন। এবার সাত-পাঁচ ভেবে দাড়ি রেখেই দিলেন। শীতের কামড় থেকেউ একটু রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু দাড়ি রেখেই তো আর কাজ শেষ হয়ে যায় না। চুলের যেমন যত্ন নিতে হয়, তেমনি দাড়িরও যত্ন নিতে হয়। নইলে দেখবেন এই রুক্ষ, বিবর্ণ আর ময়লা দাড়ি নিয়ে আপনার বিপত্তির শেষ থাকবে না। জেনে নিন দাড়ির যত্ন নেবার ছোট্ট কিছু নিয়ম।
অনেকেই জানেন এই মাসটা হলো নো শেভ নভেম্বর। সবসময় ক্লিন শেভড থাকেন এমন মানুষও এই মাসে দাড়ি রাখছেন এবং কিছু টাকা দান করছেন পুরুষের ক্যান্সারের গবেষণায়। কারণ যেটাই হোক, আপনি যদি দাড়িটাকে বাড়তে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে দাড়ির যত্ন নেবার এই টুকিটাকিগুলো জেনে রাখা দরকার আপনারও।
১) চুলকানি সহ্য করুন। দাড়ি গজানোর প্রথম দিকে মুখ খুব চুলকাবে। কিন্তু দাড়ি গজানোর জন্য এটুকু আপনাকে সহ্য করে নিতেই হবে।
২) দাড়ি গজানোর জন্য বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। দাড়ির দৈর্ঘ্য কমপক্ষে এক ইঞ্চি হবার আগ পর্যন্ত এটাকে ছাঁটবেন না।
৩) আপনি যদি দেখেন শেভিং বন্ধ করার পর ২-৩ মাস হয়ে গেছে অথচ এখনো আপনার ঠিকমতো দাড়ি গজাচ্ছে না, তাহলে হাল ছেড়ে দেওয়াই ভালো। সবারই ভালোভাবে দাড়ি গজাবে না, এটাই স্বাভাবিক। ক্লিন শেভ করে ফেলুন।
৪) দাড়ি ছাঁটুন ঠিক উপায়ে। সেলুনে গিয়ে করতে পারেন। সাহস থাকলে নিজেও ছাঁটতে পারেন, তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরী। তবে আপনার দাড়ি যতো বড় বা যতো ছোটই হোক না কেন, প্রতি দুই মাসে একবার ছাঁটা ভালো।
৫) দাড়ি পরিষ্কার রাখুন। তারমানে এই নয় যে ঘাম পরিষ্কার করছেন যে সাবান দিয়ে সেটাই ঘষে নেবেন দাড়িতে। চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ২-৩বার শ্যাম্পু করুন আপনার দাড়িতে। শুধু তাই না,...
শীতে শুষ্ক ত্বক সুরক্ষার কিছু টিপস
শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বকের এপিডার্মাল লেয়ার থেকে আর্দ্র ভাব কমে যায়। যার ফলে শীতকালে আমাদের ত্বক সহজেই শুষ্ক হয়ে যায়।
শীতে শুষ্ক ত্বক আর্দ্রতা হারায় বিধায় অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাই এ সময় ত্বকের চাই বাড়তি যত্ন। সে কারণে শীতে তো বটেই বরং শীত আসার আগে থেকেই শীতের রুক্ষ আবহাওয়া মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিতে হবে। এই মৌসুমে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করে নিজেদের ত্বককে নরম রাখতে চান। তাই শুষ্কতা থেকে রক্ষার খুবই সহজ উপায় আপনাদের জন্য তুলে ধরা হল।
শীতে ত্বকের যত্নের কিছু টিপস নীচে দেওয়া হল -
১. পরিচ্ছন্নতা: শীতকালে ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখার মূল মন্ত্রই হল নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। শীতকালে বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আবহাওয়া হঠাৎ শুষ্ক হয়ে যায়। অন্যদিকে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই শুষ্ক ত্বকের যতেœর প্রথম ধাপই হল পরিচ্ছন্নতা। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকে টান পড়ে,যার ফলে কমবেশি আমরা সবাই শরীরে ময়েশ্চরাইজার লাগায়। যার কারণে আমাদের শরীরে ধুলোবালি বেশি জমে। তাই কোনওদিন স্নান বাদ দেবেন না। এতে শরীর আরও শুকিয়ে যাবে। দরকার হলে হালকা গরম জলে স্নান করুন প্রতিদিন। শীতকালে মুখ ফেস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করার বদলে তুলোয় ক্লিনজিং মিল্ক লাগিয়ে মুখ পরিষ্কার করে মুছে নিন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সাবান যত পারবেন কম ব্যবহার করুন। বদলে লিকুইড সোপ ব্যবহার করতে পারেন। শীতে শরীরের অন্যান্য অংশের যত্ন নিলেও আমদের মধ্যে অনেকেই ভুলে যাই চরণ যুগলের কথা। তাই নজর রাখুন পা ফাটলে একেবারেই নোংরা জমতে দেবেন না। গরম জলে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার...
অল্প বয়সে চুল পাকা রোধের উপায়
আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যাদের অল্পবয়সে চুল পাকা শুরু হয়েছে। সাধারণত মাথার চামড়ায় পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবে চুল পাকতে পারে। আর তরুণ বয়সে চুল পাকা অনেক বিব্রতকর একটি ব্যাপার। অল্প বয়সে চুল পাকার ফলে অনেকেই সবসময় অস্বস্তিতে ভোগেন। কোন সামাজিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও দ্বিধাবোধ করেন। যার থেকে আত্মবিশ্বাসের অভাব এমন কী তীব্র হতাশা সৃষ্টি হওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে।
যদিও সাময়িক সমাধান হিসেবে অনেকে চুলে কলপ ব্যবহার করে থাকেন। তবে এতে চুল একেবারে কালো হয় না। তার পাশাপাশি কলপের উপাদান নিম্নমানের হলে তা মাথার চামড়ার ক্ষতি করতে পারে। সুতরাং সাময়িক সমাধানের দিকে না গিয়ে ঘরে বসেই সহজে অকালে চুল পাকা থেকে রেহাই থেকে পারেন। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে থাকা নানা উপাদান থেকে এই চিকিৎসা উপকরণ তৈরী করা সম্ভব। এই উপকরণ ব্যবহার যেমন অর্থসাশ্রয়ী ঠিক তেমনি নিরাপদ এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।
চলুন আজকের লেখায় অকালে চুল পাকা রোধের কয়েকটি উপায় দেখে নেয়া যাক –
১. নারিকেল তেল এবং লেবুর রসঃ
চুলের যত্নে নারিকেল তেলের কোন জুড়ি নেই। আর লেবুর গুণাগুন তো আগেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাকা চুলের হাত থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিদিন ৪ চা চামচ নারিকেল তেলের সাথে আড়াই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণ চুলের গোড়ায় এবং মাথার চামড়ায় লাগান। দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। তার পাশাপাশি আপনার মাথার চামড়া সুস্থ থাকবে, খুশকি হবে না এবং চুলও হবে উজ্জ্বল।
২. আমলকি ও লেবুর রস মিশ্রণঃ
আমলকি ও লেবু দুটোই আমাদের দেশে জন্মে এবং সহজলভ্য। এই দুটো ফলের পুষ্টি গুণ অত্যন্ত বেশি। শরীরের মেদ কমানো, হৃদপিন্ডের সমস্যা ইত্যাদি আভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি চামড়ার ইনফেকশন এবং...
শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্নে কিছু পরামর্শ
খুব স্বাভাবিকভাবেই ছেলেদের ত্বক একটু খসখসে আর রুক্ষ হয়ে থাকে। আর সময়টা যখন শীতকাল তখন যেন এই রুক্ষভাবটা একটু বেশীই বেড়ে যায়। সারাদিনের ছোটাছুটির মধ্যে অনেক ছেলেদেরই আর ত্বকের যত্ন নেওয়ার মতো মানসিকতা থাকে না। কিন্তু নিজেকে একটু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাটা যেন এখন সময়ের দাবী হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই এই শীতকালে আপনার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও ত্বকের প্রতি একটু যত্নবান হতেই হয়।
#শীতে ছেলেদের ত্বকে একটু বেশীই খসখসে ভাব প্রকাশ পায় তখন যখন শেভ করা হয়। আর তাই শীতে শেভ করার পর অবশ্যই মুখে ক্রিম লাগাতে হবে। এতে করে ত্বকে খুব বেশী শুস্কভাব প্রকাশ পাবে না।
#শীতে ত্বকে মশ্চারাইজার ধরে রাখতে সবার আগে যেটা নিশ্চিত করতে হবে তা হল সাবান এমন কোন ধরণের হতে হবে যাতে মশ্চারাইজার আর গ্লিসারিনের পরিমাণ বেশী থাকে। এতে ছেলেদের ত্বকের নরমভাব বজায় থাকবে।
#শীতের কনকনে আবহাওয়ায় এমনিতেই ত্বক খুব দ্রুত নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। আর যেখানে ছেলেদের ত্বক ন্যাচারালই একটু শক্ত ধাতের তাই শীতে ত্বকে ভালো কোন ক্রিম ব্যবহার করার বিকল্প হয়না। ক্রিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ক্রিম বাছাই করার চেষ্টা করুন।
#শীতে গোসল করতে গিয়ে অনেকেই গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। তবে একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে পানি যেন কখনোই অতিরিক্ত গরম না হয়। শরীরের সঠিক কোমলভাব বজায় রাখতে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। ছেলেরা ত্বক নরম রাখতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চাইলে মুখে হালকা গরম পানির ভাব নিতেই পারেন।
#অনেক সময় শীতে ছেলেদের ত্বকের মতো হাত ও পা বেশ খসখসে হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সামান্য গ্লিসারিন নিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাতে পায়ে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন খসখসে ভাব কমে যাবে।
এই শীতে নিজেই তৈরি করুন লিপ বাম
শীতে ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করেছে সবারই, শুরু হয়েছে ঠোঁট ফাটা। বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপ বামে অনেকেরই উপকার হয় না। এর চাইতে বাড়িতে নিজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন দারুণ কার্যকরী লিপ বাম। ঠোঁটের ফাটাভাব দূর করে সারা শীত আপনার ঠোঁট নরম-কোমল রাখবে এই লিপ বাম।
যা যা লাগবে:
- এক টেবিল চামচ কোকো বাটার
- দেড় টেবিল চামচ প্রাকৃতিক মোম
- তিন টেবিল চামচ নারিকেল তেল
- এক ফোঁটা পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল (অথবা আপনার পছন্দের অন্য কোনো এসেনশিয়াল অয়েল)
- লিপ বাম রাখার জন্য ছোট কিছু কৌটা
যা করতে হবে:
১) একটা বড় সসপ্যানে পানি ফুটিয়ে নিন। এর ওপরে আরেকটা পাত্র বসিয়ে কোকো বাটার, মোম এবং নারিকেল তেল গলিয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভেও গলিয়ে নিতে পারেন।
২) আপনি যদি লিপ বামে রঙ অথবা সুগন্ধি দিতে চান, তাহলে এগুলো গলে গেলে ভেতরে দিতে পারেন কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল এবং এক টুকরো লিপস্টিক।
৩) কৌটায় ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে সেট হয়ে যাবে। ফ্রিজে রেখেও সেট করতে পারেন। এবার ব্যবহার করতে পারেন ইচ্ছেমত।
টিপস:
ইচ্ছে হলে দিতে পারেন এক চা চামচ করে মধু, আমন্ড তেল এবং অলিভ অয়েল
ভিটামিন ই তেল দিতে পারেন ২০ ফোঁটার মতো
এই শীতে ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহার করতে মেনে চলতে পারেন এই নিয়মগুলো-
- ঠোঁট ফেটে গেলে বা চামড়া উঠতে থাকলে চামড়া ছিঁড়বেন না বা ঠোঁট কামড়াবেন না, অবস্থা আরও খারাপ হবে
- ফাটা ঠোঁট এক্সফলিয়েট না করাই ভালো
- ইউক্যালিপ্টাসের তেল, মেনথল এবং কর্পুরের মতো উপাদানগুলো ব্যবহার কারও কারও ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।