সকালে ১ গ্লাস পানি
শীতে মেকআপ করার কিছু দরকারি টিপস
শীতের এই শুষ্ক আবহাওয়ায় আমাদের চারপাশের প্রকৃতির মতোই আমাদের ত্বক ও ঠিক নিষ্প্রাণ আর রুক্ষ হয়ে উঠে। যার কারণে আমাদের মুখের ত্বকের উপর প্রায়ই দেখা মেলে শুকনো, খসখসে ভাব।
এই মৃত ত্বকীয় কোষের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো যখনই আমরা কোন উপলক্ষে মুখে মেকআপ লাগাই তখন এই মৃত ত্বক মেকআপ কে ত্বকে পুরোপুরি মিশে যেতে দেয়না। যার ফলে ত্বকের উপর ভীষণ বাজেভাবে মেকআপ উঠে থাকে। তবে মেকআপের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে আমরা শীতের সময় ও পেতে পারি মেকআপের পারফেক্ট ফিনিশিং।
আসুন আজ দেখাবো শীতে মেকাপের কিছু দরকারি টিপস।
# মেকআপের আগে আপনার প্রথম কাজ হবে মুখটি খুব যত্ন সহকারে ধোয়া। শীতে আপনি আপনার ত্বকের কমনীয়তা বজায় রাখতে ব্যবহার করতে পারেন, জেল, ফোম, মিল্কি বা ক্রিমি ফেসওয়াসগুলো। এতে করে ত্বকের খসখসে ভাব কম হবে।
# মেকআপের একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে ফাউন্ডেশনের ব্যবহার। তাই শীতে মুখে মেকআপ লাগানোর আগে একটি বরফের টুকরো নিয়ে মুখে আলতো ঘষে নিন। এরপর ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় ফাউন্ডেশনের সাথে সামান্য পরিমাণ মশ্চারাইজার মিশিয়ে নিন। এতে ত্বক টানটান অনুভূত হবে না।
# শীতেও ত্বকে সানস্ক্রিন খুব দরকারি। আর সেকারণেই শীতের মেকআপে পূর্ণতা আনতে ফাউন্ডেশনের সাথে সানস্ক্রিন অবশ্যই মিশিয়ে নেবেন।
# আপনার মুখের ত্বকের সাথে মানানসই ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হালকা করে পুরো মুখে মেখে নেবেন।তবে খুব বেশি ড্রাই স্কিন হলে, শীতকালে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার না করাই ভাল।
# মেকআপের পরবর্তী ধাপ হচ্ছে ব্লাশার। ব্লাশার ব্যবহার করতে চাইলে, স্কিনটোনের সঙ্গে মানাবে এমন শেডই ব্যবহার করবেন। যারা ফর্সা তাদের লাল, গোলাপি এবং গোল্ডেন শেড খুব ভাল লাগে। যাদের গায়ের রঙ একটু চাপা, তারা ব্রোঞ্জের বিভিন্ন শেড লাগাতে পারে। রাতে অনুষ্ঠান হলে গোল্ডেনও ভাল লাগবে।
# শীতে...
রূপচর্চায় বেছে নিন ৭টি অসাধারণ ফল
প্রতিদিনের খাবারে ফলের যেমন আবশ্যকতা রয়েছে তেমনি ফল দিয়ে আপনি সেরে নিতে পারে আপনার দৈনন্দিন রূপচর্চাটুকু। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর আপনার ত্বক কিংবা বাতাসে উড়ন্ত আপনার ঝরঝরে চুল বা স্বচ্ছ নখ- সবকিছুতেই কাজে লাগবে আপনার বাড়িতে থাকা মৈাসুমী ফল। আসুন জেনে নিই কোন ফল দিয়ে কোন ধরণের রূপচর্চা করবেন।
ত্বকের বলিরেখা সমাধানে আপেলঃ
মুখের চামড়ায় ভাজ পড়া ও পিগমেন্টেশনের সমাধানে আপেল খুব কার্যকরী একটি ফল । শুষ্ক ত্বকের জন্য ১/২ টি আপেল বেটে তাতে ১/২ চামচ লেবুর রস ,সামান্য শসার রস আর একটি ডিমের কুসুম একত্রে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা কমে আর্দ্রতা বজায় থাকবে আর ত্বক মসৃণ কোমল হবে। আপেলের এন্টি এইজিং উপাদান বলিরেখা সমস্যা সমাধানে ভীষণভাবে কাজ করে।
মুখের কালো দাগ দূর করতে কলাঃ
কলা এমন একটি ফল যা আপনি সারা বছরই পাবেন । পাকা কলা,টক দই, জলপাই তেল, মধু একত্রে মিশিয়ে মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। চুল ঝরঝরে মসৃণ হবে। মুখের কালো দাগ দুর করতে পাকা কলা, মধু, গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা ভাগের মিশ্রণের মাস্ক ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
খুশকি দূর করতে কমলালেবুঃ
খুশকি দূর করতে মাথার ত্বকে কমলালেবুর রস ব্যবহার করুন । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কমলালেবুর রসের সাথে গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে তুলা দিয়ে নিয়মিত মুখে লাগালে মুখের রুক্ষ ভাব কমে যাবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ও ত্বকের কোমলতা বাড়বে ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পেঁপেঃ
পাকা পেঁপে বলিরেখা ও ম্লান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পাকা পেঁপে সামান্য দুধ ও লেবুর রসের সাথে চটকে মুখ ও গলায় নিয়মিত লাগান, ত্বকের ক্লান্তি ভাব কেটে যাবে ।
চোখের...
মেকআপ ছাড়াই সুন্দর থাকুন ১০টি সহজ কৌশলে
সুন্দর হতে হলে কি সব সময় মেকআপ করতে হবে? অনেকের ধারণা মেকআপ ছাড়া সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়? কিন্তু মেকআপ ছাড়াও সুন্দর লাগা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশল। জেনে নিন মেকআপ ছাড়া সুন্দর লাগানোর ১০টি কৌশল।
১। হাইজেনিক :
আপনি কি মেকআপ ছাড়া Without makeup সুন্দর দেখাতে চান? তাহলে গাদা গাদা ফাউন্ডেশন, পাউডারের পরিবর্তে গোসল করুন। দিনে ২ বার গোসল করার চেষ্টা করুন। গোসল প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে একটি স্নিগ্ধ লুক দিবে।
২। দিনে দুইবার মুখ ধুয়ার অভ্যাস করুন :
প্রতিদিন সকাল এবং রাতে দুই বার করে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্য। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয় অনেকখানি।
৩। ময়েশ্চারাইজ :
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুব প্রয়োজন। মুখের সাথে হাত, ঘাড়, পায়েরও ময়েশ্চারাইজ করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ বয়সের ছাপ সবার আগে হাত পায়ে পরে থাকে। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এছাড়া ত্বকের সাথে মানানসয়ী যেকোন ময়েশ্চারাইজ ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
৪। ফেইস ওয়াসের ব্যবহার :
প্রতিদিন ত্বকের ময়লা পরিস্কার করার জন্য ফেইস ওয়াস face wash ব্যবহার করুন। এমনকি ঘর থেকে বের না হলেও প্রতিদিন ফেইস ওয়াস দিয়ে মুখ পরিস্কার করুন।
৫। টোনার ব্যবহার :
প্রতিদিন ত্বক পরিচর্যায় টোনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টোনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল Oil দূর করে ত্বককে টানটান করে থাকে। বাজারে টোনার কিনতে পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জল খুব ভাল প্রাকৃতিক টোনার।
৬। হেয়ার স্টাইল :
সব হেয়ার স্টাইল আপনার জন্য নয়। আপনাকে হয়তো লম্বা বেনীতে ভাল লাগছে কিন্তু আরেকজনকে চুল ছাড়া অবস্থায় বেশি মানিয়ে যায়। আপনাকে যে হেয়ার স্টাইলটি বেশি...
সবচাইতে সহজ ফেসপ্যাক তৈরির কৌশল
সৌন্দর্যচর্চার কৌশল এর টিপসের ছড়াছড়ি চারিদিকে। ঘন্টার পর ঘন্টা এই রূপচর্চা করেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আধুনিক নারীর কী আদৌ সেই সময় আছে? রূপচর্চার জন্য ঘন্টা দূরে থাক, পাঁচ মিনিট সময়ও পাওয়া যায় না। আর ঘরে তৈরি অমুক প্যাক, তমুক স্ক্রাব তো অনেক পরের কথা। কী করবেন ব্যস্ত এই নারীরা? আপনাদের জন্যই আজ রইলো সহজতম ফেসপ্যাক তৈরির কৌশলটি। খুব কম সময়ে এবং মাত্র দুইটি উপকরণে তৈরি হবে নির্ঝঞ্ঝাট এই ফেসপ্যাক।
এই ফেসপ্যাক তৈরিতে কী কী উপকরণ লাগবে?
দরকার হবে দুই চা চামচ মধু এবং অর্ধেকটা লেবুর রস। আর কিছুই না, শুধু এই দুইটিই উপাদান। একটি বোলে মধু এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখ ভালো করে ধুয়ে এই মিশ্রণ মুখে লাগান। এর আগে মুখে স্টিম দিতে পারেন। তবে এক্সফলিয়েট করার পর এটা মুখে দেবেন না, লেবুর রসের কারণে মুখ জ্বলতে পারে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের পোরগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর মুখ আলতো করে ধুয়ে নিন। রাত্রে ঘুমাতে যাবার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের পর ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার দিন মুখে।
এই ফেসপ্যাকের উপকারিতাগুলো হলো-
- ব্রণ দূর করে
- মুখ পরিষ্কার করে
- পোর ছোট করে
- ত্বক মসৃণ করে
- জ্বালাপোড়া দূর করে
- ত্বকে দীপ্তি নিয়ে আসে
ত্বকের শুকনোভাব দূর করে
- ত্বক থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে
- ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে
কী কারণে এসব উপকারিতা পাওয়া যায়?
লেবুর রসে থাকে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড যা ত্বককে এক্সফলিয়েট করতে সাহায্য করে। এটা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বক থেকে ময়লা ওঠায়, মেকআপ তুলে ফেলে এবং...
রুপচর্চায় বেকিং সোডার ৯টি দারুণ ব্যবহার
বেকিং সোডা শুধু বেকিং এর জন্যই নয়, বরং ঘরদোরের অনেককিছু পরিষ্কার করতেও কাজে লাগে। কিন্তু রূপচর্চাতেও যে বেকিং সোডার বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার আছে আপনি কি তা জানেন? আপনার ত্বক, চুল থেকে শুরু করে দাঁত-নখ পর্যন্ত রূপচর্চায় ব্যবহৃত হতে পারে বেকিং সোডা। জেনে নিন কী করে ব্যবহার করবেন বেকিং সোডা। আর এটাও জেনে নিন কোন পরিস্থিতিতে বেকিং সোডা ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
১) হ্যান্ড ওয়াশ
রান্নাবান্না বা খাওয়ার পর হাত খুব বেশি তেলতেলে হয়ে থাকলে সাবান ব্যবহার করেও তেল কাটানো যায় না। এক্ষেত্রে অল্প একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন পানির সাথে। এটা তেল কাটিয়ে ফেলবে সহজেই।
২) ড্রাই শ্যাম্পু
ড্রাই শ্যাম্পু হলো চুলের তেলতেলে ভাব দূর করার সহজ এবং দ্রুত একটি প্রক্রিয়া। চুল ধোয়ার ঝামেলায় না গিয়েও চুল ঝরঝরে করে ফেলতে ড্রাই শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। কয়েক চিমটি বেকিং সোডা ঘষে নিন আপনার চুলের গোড়ায়। এরপর চিরুনি চালিয়ে এটা চুল থেকে ঝেড়ে ফেলুন। চুলের অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে।
৩) ডিওডোরেন্ট
কেমিক্যাল ডিওডোরেন্ট যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় তা বলাই বাহুল্য। প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। আপনার ত্বক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকলেও এটা কাজে আসবে। অল্প করে বেকিং সোডা ছিটিয়ে নিতে পারেন বগলে। এতে দুর্গন্ধমুক্ত থাকতে পারবেন অনেকটা সময়।
৪) টিথ হোয়াইটেনার
দাঁতে বিভিন্ন কারণে দাগ পড়তে পারে। খুব দ্রুত এই দাগ দূর করার জন্য বেকিং সোডা এবং পানি দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে লাগাতে পারেন। তবে এতে দাঁত পাকাপাকিভাবে সাদা হয়ে যাবে না।
৫) ফেসিয়াল স্ক্রাব
তিন ভাগ বেকিং সোডা এবং এক ভাগ পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন এবং সেটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন।...
আপেল নাইট ক্রিম
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের জুড়ি নেই। আমাদের শরীরের সবচাইতে স্পর্শকাতর অংশ হল ত্বক। রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার যত কম করা যায় ততই ত্বক ভালো থাকবে। আর নাইট ক্রিম যেহেতু সারা রাত ত্বকে দিয়ে রাখতে হয়, তাই সেটা প্রাকৃতিক হওয়াই ভালো।
অনেকেই কোন নাইট ক্রিম ব্যবহার করবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। আসুন দেখে নেওয়া যাক বাসায় থাকা খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য কিভাবে চমৎকার একটা নাইট ক্রিম বানিয়ে ফেলা যায়! ত্বক ভালো থাকার পাশাপাশি এই ক্রিম আপনার খরচও কমিয়ে দেবে, আর আপেল ব্যবহার করার ফলে একই সাথে অ্যান্টি-এজিং ক্রিমেরও কাজ করবে।
আপেল নাইট ক্রিম তৈরি করতে লাগবে মাত্র ৩টি ঘরোয়া উপাদান –
১. একটা তাজা আপেল।
২. আধা কাপ জলপাই তেল।
৩. আধা কাপ গোলাপ জল। গোলাপ ঘরে বানানোর উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন
প্রস্তুত প্রণালী –
• প্রথমে আপেলটাকে ধুয়ে কুঁচি করে কাটুন। খোসা রাখুন কিন্তু বীজ এবং মাঝের অংশ ফেলে দিন। এরপর গোলাপ জল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি করে নিন যাতে ঘন একটা পেস্টের মত হয়। খুবই মসৃণ ঘন পেস্ট।
• একটা পাত্রে পানি গরম করুন। পানি ফুটে উঠলে পানির ওপরে আরেকটি পাত্রে এই মিশ্রণটি রেখে গরম করুন। অনেকটা চকলেট যেভাবে গলান, সেভাবে। মিশ্রণটি ভাল মতন গরম হবে, তবে খেয়াল রাখবেন একেবারে উত্তপ্ত যেন হয়ে না ওঠে। মিশ্রণটা বেশ ঘন হয়ে আসবে।
• মিশ্রণটিকে ভালোভাবে নেড়ে ঠাণ্ডা করুন।
• কৌটায় ভরে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করুন।
উপকারিতা –
• কাঁচা আপেলে ম্যালিক এসিড থাকে যা ত্বককে একই সাথে কোমল এবং টানটান করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমায়।
• জলপাই তেল ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। খুব শুষ্ক ত্বককেও সজীব করে তোলে। ত্বকের ক্ষতি মেরামত...
ধূমপানজনিত কারণে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করুন সহজ কিছু উপায়ে
সিগারেট থেকে হওয়া ঠোঁটের কালো দাগ দূর করাটা প্রায় দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার। এর জন্য প্রথমত আপনার ধূমপান করা ত্যাগ করতে হবে। অনেকের ঠোঁট বংশগত কারণেই কালচে হয়ে থাকে। তবে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, ধূমপান, অ্যালার্জি, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ, হরমন সমস্যা ইত্যাদি কারণেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যায়। তাছাড়া নিয়ম করে যত্ন না নিলেও ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে।
আসুন, জেনে নেয়া যাক ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে যা করবেন।
১। একটি পাতলা লেবুর টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ঘষুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং লেবু সূর্যের ফলে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটের চামড়াকে উজ্জবল করতে সাহায্য করে।
২। মধুর সাথে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন।
৩। ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক এ্যাসিড খুব উপকারী। নিয়মিত দুধ খাবার সাথে সাথে খানিকটা দুধ তুলোয় করে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলার মাধ্যমে দুধ ঠোঁটের কালো হওয়াকেও প্রতিরোধ করে।
৪। গোলাপের পাপড়িও ঠোঁটের গোলাপী ভাব আনতে সাহায্য করে। এজন্য গোলাপের পাপড়ি দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রলেপটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর দুধ দিয়ে ঠোঁটকে মুছে নিন। প্রতিদিন এই প্রলেপটির ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে করে তুলবে আকর্ষনীয়।
৫। লেবুর ভেতরের এসিড ঠোঁটের শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রসের সাথে খানিকটা চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরে বসেই নিতে পারেন ঠোঁটের পুরোপুরি যত্ন। প্রলেপটি মাখার একঘন্টা পর ধুয়ে নিন।
৬। লেবুর রসের সাথে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েকদিনেই আপনি পাবেন চমত্কার ফলাফল।
৭। বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রন করুন। প্যাকটি আপনার ঠোঁটকে কেবল সুন্দরই করবে না, কোমলতাও বাড়াবে।
৮। ঘুমানোর...
শীতের রুক্ষতাকে রুখে দিতে একটি প্যাক
গত কয়েকদিন ধরে হুট করেই শীত যেন বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। শীতে ত্বক আর চুলের রুক্ষতা যেন সবার জৌলুসেই একটু নিষ্প্রাণতার ছাপ এনে দেয়। আবার ঠাণ্ডার কারনে অনেকে প্যাক বানিয়ে লাগাতেও চান না। আর মৌসুমটাই এমন। একটু আলসেমি লাগে। তাই আলাদা করে ত্বকের জন্য আর চুলের জন্য প্যাক বানিয়ে লাগানো শীতকালে একটু ঝামেলাই মনে হয় সকলের কাছে। তাই শীতের রুক্ষতা এড়ানোর জন্য চটজলদি বানানো যায় এমন একটি প্যাকের কথা বলব আজকে। এটা বানানো যেমন সহজ, তেমনি এটা ত্বক আর চুল দুইয়ের জন্যই দারুন কার্যকর। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই প্যাক নরমাল, কম্বিনেশন, ড্রাই, অয়েলি সব রকম স্কিনের অধিকারীরা ব্যাবহার করতে পারেন। চুলের ক্ষেত্রেও তাই।
প্যাকটি তৈরির জন্যঃ
একটি অ্যাভোকাডো
১/২ কাপ দুধ ব্যাস!
এই দুটি মাত্র উপকরণ।
কিভাবে তৈরি করবেনঃ
অ্যাভোকাডোর খোসা ছিলে নিন। মাঝখান থেকে টুকরো করে ভেতরের বীজ ফেলে দিন। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে এই টুকরো অ্যাভোকাডো আর আধা কাপ দুধ ঢেলে ব্লেন্ড করে নিন, যতক্ষণ পর্যন্ত একটা ক্রিমি পেস্ট তৈরি হয়।
কিভাবে ব্যাবহার করবেনঃ
চুলে বিলি কেটে আঙ্গুল দিয়ে এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর চুল হাল্কা করে ক্লিপ দিয়ে খোপার মত করে বেধে রাখুন। যেটুকু রয়ে যাবে সেটুকু লাগিয়ে ফেলুন মুখে, হাতে পায়ে। ৩০ মিনিট পরে পানি দিয়ে চুল আর ত্বক ধুয়ে ফেলুন।এই প্যাক রুক্ষ ত্বকের ওপর আর্দ্রতার একটি পরত সৃষ্টি করবে, চুলে ও ত্বকে পুষ্টি জোগাবে আর রুক্ষতা দূর করে এই শীতে আপনি পাবেন কোমল ত্বক আর চুল! ঘরে বসেই!
সপ্তাহে একদিন এই প্যাক লাগাতে পারেন। রুক্ষতা মোকাবেলার জন্য আর আলাদা করে কোন সৌন্দর্য চর্চার কথা ভাবতে হবেনা আপনাকে।
এটা বানিয়ে রেখে দেওয়া যায়না। তাই যখন...
ত্বক হয়ে উঠুক সুন্দর আপেলের গুণে
আপেল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি ফল। আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে না জন্মালেও এটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। অত্যন্ত সুন্দর ও লোভনীয় এই ফলটি শুধু আমাদের দেহে শক্তিই জোগায় না, এটি আমাদের ত্বকের যত্নেও ব্যাপক কার্যকরী। পার্লারের নানা ক্যামিকেলযুক্ত ট্রিটমেন্ট নিতে আমরা অনেক সময়ই ভীত হয়ে পড়ি, আবার অনেক অর্থ ব্যয় করেও অনেক সময় আশানুরূপ ফল পাই না।
এক্ষেত্রে আপেলের ফেসপ্যাক অনেক সুলভ এবং এটি অনেক বেশি সতেজ ও প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর থাকার সহজ উপায় হতে পারে।
আপেলের অনেক ফেসপ্যাক আছে যা ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকরী, এর মধ্যে কিছু প্যাক:
• ফেসপ্যাক ১
উপাদানসমূহ: লেবুর রস, আপেলের রস।
পদ্ধতি: প্রথমে লেবুর রস ও আপেলের রস করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপেলের ফলের অংশ পাল্প (pulp) করে নিলেও হবে। এরপর ১/২ চা চামচ লেবুর রসের সাথে ১ চা চামচ অ্যাপল পাল্প ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি পুরো মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি মুখের অতিরিক্ত তেল সরিয়ে ত্বককে সতেজ ও নমনীয় করে তোলে।
• ফেসপ্যাক ২
উপাদানসমূহ: ২টি আপেল, ১ চা চামচ মধু।
পদ্ধতি: আপেলের খোসা ও বীচি ছাড়িয়ে ভিতরের ফলের অংশটুকু নিয়ে পাল্প(pulp) করে নিতে হবে। এরপর এই পেস্টের সাথে ১ চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এটি তৈলাক্ত মুখের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
• ফেসপ্যাক ৩
উপাদানসমূহ: আপেল, ১ চা চামচ মধু।
পদ্ধতি: এক্ষেত্রে অ্যাপল জুস করে নিতে হবে। এরপর অ্যাপল জুসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্যাকটি শুকিয়ে...